সেশনজটের ব্যাধি -শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা থেকে কি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা শিক্ষা নেবেন
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার সিঁড়ি হওয়ার কথা ছিল জীবনে সাফল্যের সোপান, সেই সিঁড়ি পিছলে তিনি হারিয়ে গেলেন। সেশনজটের কারণে শিক্ষাজীবন শেষ না হওয়ার হতাশায় আত্মহত্যাই করতে হলো তাঁকে। তাই তিনি লিখে গেছেন অন্তিম অভিযোগ, ‘আমার সুইসাইডের জন্য ইউনিভার্সিটি দায়ী, সেশনজট দায়ী।’ অভিযোগকারী ছাত্র সোহান আত্মহত্যা করে এই জট থেকে পরিত্রাণ খুঁজেছেন, কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কর্তারা কীভাবে সেই দায় থেকে পরিত্রাণ নেবেন?
গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহানের (২৫) এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরটি আমাদের বিচলিত করেছে। সোহান তাঁর অন্য বন্ধুদের মতো পড়ালেখা শেষ করে উপার্জনের জগতে ঢুকতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী মায়ের চাপ কমাতে। সুস্থ, স্বাভাবিক তরুণ ছিলেন সোহান। নিজের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘নাম: স্বাপ্নিক সোহান, পেশা: স্বপ্ন দেখা, শখ: গান শোনা।’ অথচ ঠিকানার ঘরে লিখেছেন, বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি সমুদ্রের জলরাশির কথা। হতাশার সাগর থেকে বাঁচতে সোহান সত্যিকার সাগরে ঝাঁপ দিয়েছেন। জীবন দিয়ে তিনি কি তাহলে আমাদের কোনো বার্তা দিয়ে গেলেন? বলে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ শিক্ষার অভিভাবকদের দায়ের কথা?
সেশনজট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুরারোগ্য ব্যাধি। সময়ের মধ্যে পাঠক্রম শেষ করায় অবহেলা, পরীক্ষার খাতা দেখে সময়মতো তার ফল প্রকাশে গাফিলতি ইত্যাকার নানা কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা শেষ করতে পারেন না। এক বছর, দুই বছর, কোনো কোনো বিভাগে তিন-চার বছরেরও জট লেগে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রশাসনের এতে ক্ষতি হয় না। বরং কোর্স শেষ না করার ওই সময়টা অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যয় করে লাভবানও হন। ওই সময়টায় তাঁরা ঠিকই বেতন পান, কিন্তু শিক্ষার্থীর জীবন থেকে এই সময়টা চিরতরে হারিয়ে যায়। এই সময়টাই কিন্তু যৌবনের সোনালি সময়। এই অতিরিক্ত সময়ের জন্য পরিবারকেও ব্যয় করতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। কেবল সেশনজটই নয়, প্রশাসনের অবহেলা, সন্ত্রাসীদের দাপটসহ এ ধরনের আরও কিছু কারণে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ যথাযথভাবে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারে না।
এ ধরনের যাবতীয় দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনারই ফসল হলো সোহানের আত্মহত্যা। এ ধরনের আরও ভুক্তভোগী রয়েছে। সোহানের মৃত্যু থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুষ্ঠু শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই কেবল এর প্রায়শ্চিত্ত সম্ভব।
গত বৃহস্পতিবারের প্রথম আলোয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সোহানের (২৫) এই মর্মান্তিক মৃত্যুর খবরটি আমাদের বিচলিত করেছে। সোহান তাঁর অন্য বন্ধুদের মতো পড়ালেখা শেষ করে উপার্জনের জগতে ঢুকতে চেয়েছিলেন। চেয়েছিলেন একমাত্র উপার্জনকারী মায়ের চাপ কমাতে। সুস্থ, স্বাভাবিক তরুণ ছিলেন সোহান। নিজের সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, ‘নাম: স্বাপ্নিক সোহান, পেশা: স্বপ্ন দেখা, শখ: গান শোনা।’ অথচ ঠিকানার ঘরে লিখেছেন, বঙ্গোপসাগরের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি সমুদ্রের জলরাশির কথা। হতাশার সাগর থেকে বাঁচতে সোহান সত্যিকার সাগরে ঝাঁপ দিয়েছেন। জীবন দিয়ে তিনি কি তাহলে আমাদের কোনো বার্তা দিয়ে গেলেন? বলে গেলেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ শিক্ষার অভিভাবকদের দায়ের কথা?
সেশনজট পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর দুরারোগ্য ব্যাধি। সময়ের মধ্যে পাঠক্রম শেষ করায় অবহেলা, পরীক্ষার খাতা দেখে সময়মতো তার ফল প্রকাশে গাফিলতি ইত্যাকার নানা কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীরা শিক্ষা শেষ করতে পারেন না। এক বছর, দুই বছর, কোনো কোনো বিভাগে তিন-চার বছরেরও জট লেগে থাকে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা প্রশাসনের এতে ক্ষতি হয় না। বরং কোর্স শেষ না করার ওই সময়টা অনেক ক্ষেত্রে তাঁরা নিজেদের ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য ব্যয় করে লাভবানও হন। ওই সময়টায় তাঁরা ঠিকই বেতন পান, কিন্তু শিক্ষার্থীর জীবন থেকে এই সময়টা চিরতরে হারিয়ে যায়। এই সময়টাই কিন্তু যৌবনের সোনালি সময়। এই অতিরিক্ত সময়ের জন্য পরিবারকেও ব্যয় করতে হয় অতিরিক্ত অর্থ। কেবল সেশনজটই নয়, প্রশাসনের অবহেলা, সন্ত্রাসীদের দাপটসহ এ ধরনের আরও কিছু কারণে শিক্ষার্থীদের একটা অংশ যথাযথভাবে শিক্ষাজীবন শেষ করতে পারে না।
এ ধরনের যাবতীয় দায়িত্বহীনতা ও অব্যবস্থাপনারই ফসল হলো সোহানের আত্মহত্যা। এ ধরনের আরও ভুক্তভোগী রয়েছে। সোহানের মৃত্যু থেকে শিক্ষা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সুষ্ঠু শিক্ষা কার্যক্রমের মধ্য দিয়েই কেবল এর প্রায়শ্চিত্ত সম্ভব।
No comments