পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় -সুপ্রিম কোর্টকে ধন্যবাদ, সংসদের সামনে অনেক দায়িত্ব
বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগকে ধন্যবাদ। ৩৫ বছর পর বাহাত্তরের সংবিধানের চার মূলনীতি অবিকল পুনরুজ্জীবিত হলো। এতে জনগণের চোখে সুপ্রিম কোর্টের মর্যাদা অনেক উঁচুতে উঠল।
সর্বসম্মতিতে আপিল বিভাগ শুধু সামরিক শাসনকে বেআইনি নয়, সব ধরনের সংবিধানবহির্ভূত রোমাঞ্চপনাকেও তাঁরা ‘গুডবাই’ জানিয়েছেন। আপিল বিভাগের ১৮৪ পৃষ্ঠার মাইলফলক রায়ের এটাই শেষ বাক্য। সংবিধানের চেয়ে সামরিক ফরমান বড়, আদালত তার এই কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেন। এমনকি তাঁরা বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট এতকাল ভুল করে সামরিক ফরমানকে বৈধতা দিয়ে চলেছিলেন। এখন চ্যালেঞ্জ হলো এই অর্জন ধরে রাখা। আর এটা মূলগতভাবে নির্ভর করছে রাজনীতিকদের অঙ্গীকারের ওপর। আমরা আশা করব, জাতীয় সংসদ আপিল বিভাগের রায় থেকে পাওয়া অর্জনকে সামগ্রিকভাবে বিবেচনায় নিতে সচেষ্ট হবে।
বিভিন্ন রায়ে সংবিধান সংশোধন-সংক্রান্ত যেসব নির্দেশনা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে বিশেষ সংসদীয় কমিটিকে। কমিটিকে গভীরভাবে বুঝতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট কেন রায় দিতে গিয়ে নীতিগত কারণে পঞ্চম সংশোধনীকে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়েছেন, আবার সেই অবৈধ সামরিক ফরমান দিয়ে আনা কতিপয় সংশোধনীকে মার্জনা করেছেন। কতিপয় সামরিক ফরমানকে ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য উপকারী’ হিসেবে তাঁদের গণ্য করতে হয়েছে। সেই অর্থে পঞ্চম সংশোধনীর কিছু অংশ যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় ভূমিকা রেখেছে, তা একটি অপ্রিয় সত্য। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে কোনো বাগিবতণ্ডা কাম্য নয়। যেটা এখন দরকার, সেটা হলো আত্মজিজ্ঞাসা।
ধর্মভিত্তিক দল ও সেনাছাউনিতে ভর করে বেড়ে ওঠা সেই বিএনপি আর আজকের বিএনপি এক নয়। অসাম্প্রদায়িক পরিবর্তনগুলো মেনে নিলে বিএনপির ক্ষতি হবে না। আর আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, আদালতের রায় বাস্তবায়নের দায়িত্ব সংসদীয় কমিটির হওয়ার নয়। ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে আমরা বলব, ইতিমধ্যেই সংশোধিত অনুচ্ছেদগুলো যথাস্থানে রেখে আইন মন্ত্রণালয় যেন অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আপিল বিভাগের রায়ে আমরা যা পেলাম, তা সংসদীয় অর্জন নয়। সংসদ কী দেবে, সেটার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া নজিরবিহীন নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, উচ্চ আদালতের বিচারকসহ সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগদানের উপযুক্ত পদ্ধতি প্রবর্তন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের কোনো লাভজনক পদে বহাল না রাখা-সংক্রান্ত বাহাত্তরের মূল বিধান পুনরুজ্জীবন, সংসদ কার্যকর করতে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন-ব্যবস্থার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যা গণতন্ত্রের জন্য দরকারি।
সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে বুঝতে হবে, সাংবিধানিক পথচলা থেকে ছিটকে পড়ার ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের ব্যর্থতা কতটা ভূমিকা পালন করে। আপিল বিভাগের রায়ের সুফল অবশ্যই আমাদের পেতে হবে। সংসদ যাতে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে, সে জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। সংসদীয় কমিটি এ পর্যন্ত আশাবাদ জাগিয়ে রাখছে। একটি অধিকতর গণতান্ত্রিক সংবিধান গড়ার সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।
সর্বসম্মতিতে আপিল বিভাগ শুধু সামরিক শাসনকে বেআইনি নয়, সব ধরনের সংবিধানবহির্ভূত রোমাঞ্চপনাকেও তাঁরা ‘গুডবাই’ জানিয়েছেন। আপিল বিভাগের ১৮৪ পৃষ্ঠার মাইলফলক রায়ের এটাই শেষ বাক্য। সংবিধানের চেয়ে সামরিক ফরমান বড়, আদালত তার এই কলঙ্কিত অধ্যায়ের সমাপ্তি টানলেন। এমনকি তাঁরা বলেছেন, সুপ্রিম কোর্ট এতকাল ভুল করে সামরিক ফরমানকে বৈধতা দিয়ে চলেছিলেন। এখন চ্যালেঞ্জ হলো এই অর্জন ধরে রাখা। আর এটা মূলগতভাবে নির্ভর করছে রাজনীতিকদের অঙ্গীকারের ওপর। আমরা আশা করব, জাতীয় সংসদ আপিল বিভাগের রায় থেকে পাওয়া অর্জনকে সামগ্রিকভাবে বিবেচনায় নিতে সচেষ্ট হবে।
বিভিন্ন রায়ে সংবিধান সংশোধন-সংক্রান্ত যেসব নির্দেশনা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে বিশেষ সংসদীয় কমিটিকে। কমিটিকে গভীরভাবে বুঝতে হবে, সুপ্রিম কোর্ট কেন রায় দিতে গিয়ে নীতিগত কারণে পঞ্চম সংশোধনীকে বেআইনি বলে আখ্যা দিয়েছেন, আবার সেই অবৈধ সামরিক ফরমান দিয়ে আনা কতিপয় সংশোধনীকে মার্জনা করেছেন। কতিপয় সামরিক ফরমানকে ‘গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের জন্য উপকারী’ হিসেবে তাঁদের গণ্য করতে হয়েছে। সেই অর্থে পঞ্চম সংশোধনীর কিছু অংশ যে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় ভূমিকা রেখেছে, তা একটি অপ্রিয় সত্য। অবশ্য বিষয়টি নিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দল বিএনপির মধ্যে কোনো বাগিবতণ্ডা কাম্য নয়। যেটা এখন দরকার, সেটা হলো আত্মজিজ্ঞাসা।
ধর্মভিত্তিক দল ও সেনাছাউনিতে ভর করে বেড়ে ওঠা সেই বিএনপি আর আজকের বিএনপি এক নয়। অসাম্প্রদায়িক পরিবর্তনগুলো মেনে নিলে বিএনপির ক্ষতি হবে না। আর আওয়ামী লীগকে বুঝতে হবে, আদালতের রায় বাস্তবায়নের দায়িত্ব সংসদীয় কমিটির হওয়ার নয়। ড. কামাল হোসেনের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়ে আমরা বলব, ইতিমধ্যেই সংশোধিত অনুচ্ছেদগুলো যথাস্থানে রেখে আইন মন্ত্রণালয় যেন অবিলম্বে প্রজ্ঞাপন জারি করে। আপিল বিভাগের রায়ে আমরা যা পেলাম, তা সংসদীয় অর্জন নয়। সংসদ কী দেবে, সেটার জন্য আমরা অপেক্ষায় আছি। প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়া নজিরবিহীন নির্বাহী ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা, উচ্চ আদালতের বিচারকসহ সাংবিধানিক ও গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগদানের উপযুক্ত পদ্ধতি প্রবর্তন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারকদের কোনো লাভজনক পদে বহাল না রাখা-সংক্রান্ত বাহাত্তরের মূল বিধান পুনরুজ্জীবন, সংসদ কার্যকর করতে ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন-ব্যবস্থার মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে, যা গণতন্ত্রের জন্য দরকারি।
সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে বুঝতে হবে, সাংবিধানিক পথচলা থেকে ছিটকে পড়ার ক্ষেত্রে রাজনীতিকদের ব্যর্থতা কতটা ভূমিকা পালন করে। আপিল বিভাগের রায়ের সুফল অবশ্যই আমাদের পেতে হবে। সংসদ যাতে সবকিছুর কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে, সে জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা নিতে হবে। সংসদীয় কমিটি এ পর্যন্ত আশাবাদ জাগিয়ে রাখছে। একটি অধিকতর গণতান্ত্রিক সংবিধান গড়ার সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।
No comments