ইরানের পরমাণু ইস্যু নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা
ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরুর ইতিবাচক ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরান। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ দাভুতোগলু ইস্তাম্বুলে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, বিশ্বের পরাশক্তিগুলো প্রস্তাবিত পরমাণু জ্বালানি বিনিময়ে রাজি হলে ইরান ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে দেবে বলে ইরানের পক্ষ থেকে গত রোববার তাঁর কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। এ প্রস্তাবের ধারাবাহিকতায় পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে আগামী সেপ্টেম্বরে পরাশক্তিগুলোর সঙ্গে তেহরানের আলোচনা আবার শুরু হতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
দাভুতোগলুর মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইরান মাঝেমধ্যেই এ ধরনের ‘মিশ্র ইঙ্গিত’ পাঠায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতি তেহরানের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ রয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে জেনেভায় পরমাণু ইস্যু নিয়ে ইরান শেষবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় বসে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেছেন, গত অক্টোবরের মতো কয়েক সপ্তাহ পরে একই ধরনের আলোচনা হতে পারে বলে তাঁরা আশা করছেন। তবে আলোচনার চেয়ে একটি প্রক্রিয়ার ভেতরে পৌঁছনোর ব্যপারে তাঁরা বেশি আগ্রহী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ৩.৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করেছে। এ ঘোষণায় ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপকরণ উৎপাদন করছে বলে পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহ বেড়ে যায়।
এ আশঙ্কা থেকেই গত মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে।
অস্ট্রেলিয়ার অবরোধ: পরমাণু ইস্যুতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া ইরানের বিরুদ্ধে তাদের আরোপিত অবরোধ আরও কড়া করেছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ বলেছেন, নতুন এই পদক্ষেপে ইরানের শতাধিক শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীদের ওপর ইরানের তেল ও গ্যাস খাতে বিনিয়োগ করার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
দাভুতোগলুর মন্তব্য সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ইরান মাঝেমধ্যেই এ ধরনের ‘মিশ্র ইঙ্গিত’ পাঠায়। তবে যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয় জাতি তেহরানের সঙ্গে বৈঠকে বসার জন্য ‘সম্পূর্ণ প্রস্তুত’ রয়েছে। গত বছরের অক্টোবরে জেনেভায় পরমাণু ইস্যু নিয়ে ইরান শেষবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও জার্মানির সঙ্গে আলোচনায় বসে।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র পি জে ক্রাউলি বলেছেন, গত অক্টোবরের মতো কয়েক সপ্তাহ পরে একই ধরনের আলোচনা হতে পারে বলে তাঁরা আশা করছেন। তবে আলোচনার চেয়ে একটি প্রক্রিয়ার ভেতরে পৌঁছনোর ব্যপারে তাঁরা বেশি আগ্রহী বলে তিনি মন্তব্য করেন।
গত ফেব্রুয়ারিতে ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তারা ৩.৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ পর্যন্ত ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ শুরু করেছে। এ ঘোষণায় ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরির উপকরণ উৎপাদন করছে বলে পশ্চিমা দেশগুলোর সন্দেহ বেড়ে যায়।
এ আশঙ্কা থেকেই গত মাসে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে ইরানের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করে।
অস্ট্রেলিয়ার অবরোধ: পরমাণু ইস্যুতে আন্তর্জাতিক উদ্বেগের অংশ হিসেবে গতকাল বৃহস্পতিবার অস্ট্রেলিয়া ইরানের বিরুদ্ধে তাদের আরোপিত অবরোধ আরও কড়া করেছে। অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন স্মিথ বলেছেন, নতুন এই পদক্ষেপে ইরানের শতাধিক শিল্প ও বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের ওপর অবরোধ আরোপ করা হয়েছে। একই সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ীদের ওপর ইরানের তেল ও গ্যাস খাতে বিনিয়োগ করার ব্যপারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
No comments