কিরগিজস্তানের শরণার্থীদের জন্য সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ
জাতিগত সহিংসতায় বিপর্যস্ত কিরগিজস্তানের সংখ্যালঘু উজবেক শরণার্থীদের জন্য সাত কোটি ১০ লাখ ডলারের জরুরি ত্রাণ-সহায়তা চেয়েছে জাতিসংঘ। গত শুক্রবার জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন জানান, এ ব্যাপারে সদস্য দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতিসংঘের অফিস ফর দ্য কো-অর্ডিনেশন অব হিউম্যান অ্যাফেয়ার্সের প্রধান জন হোমস।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, কিরগিজস্তানে জাতিগত সহিংসতায় প্রায় চার লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। সে দেশে সংখ্যাগুরু কিরগিজ ও সংখ্যালঘু উজবেক জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই সহিংসতায় কমপক্ষে ১০ লাখ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান রোজা ওতুনবায়েভা বলেছেন, সহিংসতায় প্রাণহানির সংখ্যা দুই হাজার হতে পারে।
কিরগিজস্তান থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া শরণার্থীদের বেশির ভাগ প্রতিবেশী উজবেকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। উজবেকিস্তানের সরকারও তাদের দেশের জন্য একই ধরনের ত্রাণ-সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের কাছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, কিরগিজস্তানের শরণার্থীদের জন্য মূলত খাদ্য ও বাসস্থানবিষয়ক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। সেখানে হাসপাতাল ও অন্যান্য চিকিৎসা সেবার প্রতিষ্ঠানগুলোয় ওষুধ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, দেশের ভেতরে প্রায় তিন লাখ কিরগিজ নাগরিক উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আরও প্রায় এক লাখ নাগরিক উজবেকিস্তানে পালিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ৮০ হাজার সেখানকার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন দূত রবার্ট ব্লেক এই জাতিগত সহিংসতা উসেক দেওয়ার জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভকে দায়ী করেছেন। গতকাল শনিবার তিনি বিপর্যস্ত কিরগিজস্তান পরিদর্শন করেন।
ব্লেক বলেন, নিশ্চিতভাবেই ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট দেশ ছাড়ার আগে তাঁর অনুগত ব্যক্তিদের রেখে গেছেন। যাঁরা স্থানীয় প্রাদেশিক সরকারের বিরোধী। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ শুক্রবার টেলিফোনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনিও সহিংসতার কারণ হিসেবে বহিঃশক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করেন। তবে বর্তমানে বেলারুশে নির্বাসিত বাকিয়েভ এই সহিংসতায় তাঁর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঐতিহাসিকভাবে জাতিগত উজবেক ও কিরগিজদের মধ্যে শত্রুতা রয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের ধারণা, গত কয়েক দিনের এই সহিংসতার পেছনে রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত। গত এপ্রিলে এক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে।
জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, কিরগিজস্তানে জাতিগত সহিংসতায় প্রায় চার লাখ মানুষ উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। সে দেশে সংখ্যাগুরু কিরগিজ ও সংখ্যালঘু উজবেক জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে এই সহিংসতায় কমপক্ষে ১০ লাখ নাগরিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান রোজা ওতুনবায়েভা বলেছেন, সহিংসতায় প্রাণহানির সংখ্যা দুই হাজার হতে পারে।
কিরগিজস্তান থেকে ঘরবাড়ি ছেড়ে যাওয়া শরণার্থীদের বেশির ভাগ প্রতিবেশী উজবেকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছে। উজবেকিস্তানের সরকারও তাদের দেশের জন্য একই ধরনের ত্রাণ-সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের কাছে।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘের মহাসচিব বলেন, কিরগিজস্তানের শরণার্থীদের জন্য মূলত খাদ্য ও বাসস্থানবিষয়ক সহায়তা চাওয়া হচ্ছে। সেখানে হাসপাতাল ও অন্যান্য চিকিৎসা সেবার প্রতিষ্ঠানগুলোয় ওষুধ ফুরিয়ে যাচ্ছে। তিনি জানান, দেশের ভেতরে প্রায় তিন লাখ কিরগিজ নাগরিক উদ্বাস্তু হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া আরও প্রায় এক লাখ নাগরিক উজবেকিস্তানে পালিয়ে গেছে। তাদের মধ্যে ৮০ হাজার সেখানকার বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে।
এদিকে মধ্য এশিয়াবিষয়ক মার্কিন দূত রবার্ট ব্লেক এই জাতিগত সহিংসতা উসেক দেওয়ার জন্য ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট কুরমানবেক বাকিয়েভকে দায়ী করেছেন। গতকাল শনিবার তিনি বিপর্যস্ত কিরগিজস্তান পরিদর্শন করেন।
ব্লেক বলেন, নিশ্চিতভাবেই ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট দেশ ছাড়ার আগে তাঁর অনুগত ব্যক্তিদের রেখে গেছেন। যাঁরা স্থানীয় প্রাদেশিক সরকারের বিরোধী। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইসলাম করিমভ শুক্রবার টেলিফোনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে কথা বলেন। তিনিও সহিংসতার কারণ হিসেবে বহিঃশক্তির সংশ্লিষ্টতার কথা উল্লেখ করেন। তবে বর্তমানে বেলারুশে নির্বাসিত বাকিয়েভ এই সহিংসতায় তাঁর কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ঐতিহাসিকভাবে জাতিগত উজবেক ও কিরগিজদের মধ্যে শত্রুতা রয়েছে। কিন্তু বিশ্লেষকদের ধারণা, গত কয়েক দিনের এই সহিংসতার পেছনে রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত। গত এপ্রিলে এক অভ্যুত্থানে প্রেসিডেন্ট বাকিয়েভ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে দেশটিতে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে।
No comments