অনুতপ্ত আনেলকা
কিংবদন্তি না হোক, বড় খেলোয়াড় হওয়ার সব গুণ নিয়েই এসেছিলেন তিনি। ১৯৯৯ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েম্বলির অভিষেকেই জোড়া গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন ২-০ গোলে। সে রাতেই অভিভূত অধিনায়ক দিদিয়ের দেশম বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের রোনালদো পেয়ে গেছি।’
এবার বিশ্বকাপে কোচের প্রথম পছন্দ হয়ে ‘রোনালদো’ হয়ে ওঠার একটা সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু হায়! বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর মতো নায়ক হওয়া তো হলোই না, হয়ে গেলেন কলঙ্কিত এক নাম। কোচকে অশ্লীল গালিগালাজ করে বিশ্বকাপের দল থেকে বহিষ্কৃত নিকোলাস আনেলকা!
যা করেছেন, এরপর আর আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো উপায় থাকে না। তার পরও আত্মপক্ষ সমর্থন করে যাচ্ছেন। তবে মাথা পেতে নিয়েছেন নিজের বহিষ্কারাদেশ, ‘ফ্রান্স দল থেকে আমার বহিষ্কারাদেশ আমি মেনে নিচ্ছি। এবং সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লা ব্লুদের জন্য রইল শুভকামনা।’
প্যারিসের শহরতলি ট্রাপিসে বেড়ে ওঠা আনেলকার প্রতিভা নিয়ে যেমন কারও সংশয় ছিল না, তেমনই সেই ছোটবেলা থেকেই পরিচিত তিনি রুক্ষ মেজাজ ও হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়ার জন্য। এর আগেও বিভিন্ন সময় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। জাতীয় দলের কোচ জ্যাঁক সান্তিনির সঙ্গে গোলমাল করার ইতিহাস আছে তাঁর। দল থেকে বাদ পড়ায় সান্তিনিকে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন আনেলকা। এরপর ডমেনেখ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত আর দলেই ডাক পাননি এই স্ট্রাইকার।
সেই আনেলকা যে বদলাননি, তার প্রমাণ মিলল আবার। নিজেই স্বীকার করছেন, কোচ রেমন্ড ডমেনেখের সঙ্গে তাঁর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। কিন্তু পত্রিকায় বিষয়গুলো কীভাবে এল তা নিয়ে বিস্মিত আনেলকা, ‘কোচের সঙ্গে আমার ঘটনাটা লকার রুমে অন্য খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের সামনেই ঘটেছে। এটা লকার রুমের বাইরে যাওয়া উচিত হয়নি। আমি জানি না এসব ছড়িয়ে কার উপকার হবে; দলের যে উপকার হবে না, সেটা নিশ্চিত।’
একটু যেন অনুতপ্তও এই চেলসি তারকা, ‘ফ্রান্স দলের প্রতি, সতীর্থদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। ফ্রান্স দলকে অনেক শ্রদ্ধা করি, দলটাকে কলঙ্কিত করার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না।’
ইচ্ছা থাক আর নাই থাক, কলঙ্ক আনেলকা গায়ে মেখেছেন। যদিও ফ্রান্সের অধিনায়ক প্যাট্রিস এভরা বলছেন, পুরোনো ইতিহাস বা নতুন এই ঘটনা দিয়ে আনেলকাকে বিচার করা ঠিক হবে না, ‘যারা তাকে ভালো করে চেনে না, তারা বলবে ও একটা খারাপ ছেলে। কিন্তু আমি তাকে ভালো চিনি, সে আসলে এ রকম নয়। ও একজন ভদ্রলোক।’
এবার বিশ্বকাপে কোচের প্রথম পছন্দ হয়ে ‘রোনালদো’ হয়ে ওঠার একটা সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু হায়! বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ গোলদাতা রোনালদোর মতো নায়ক হওয়া তো হলোই না, হয়ে গেলেন কলঙ্কিত এক নাম। কোচকে অশ্লীল গালিগালাজ করে বিশ্বকাপের দল থেকে বহিষ্কৃত নিকোলাস আনেলকা!
যা করেছেন, এরপর আর আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো উপায় থাকে না। তার পরও আত্মপক্ষ সমর্থন করে যাচ্ছেন। তবে মাথা পেতে নিয়েছেন নিজের বহিষ্কারাদেশ, ‘ফ্রান্স দল থেকে আমার বহিষ্কারাদেশ আমি মেনে নিচ্ছি। এবং সেই সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে লা ব্লুদের জন্য রইল শুভকামনা।’
প্যারিসের শহরতলি ট্রাপিসে বেড়ে ওঠা আনেলকার প্রতিভা নিয়ে যেমন কারও সংশয় ছিল না, তেমনই সেই ছোটবেলা থেকেই পরিচিত তিনি রুক্ষ মেজাজ ও হঠাৎ উত্তেজিত হয়ে পড়ার জন্য। এর আগেও বিভিন্ন সময় দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ আছে তাঁর বিরুদ্ধে। জাতীয় দলের কোচ জ্যাঁক সান্তিনির সঙ্গে গোলমাল করার ইতিহাস আছে তাঁর। দল থেকে বাদ পড়ায় সান্তিনিকে হাঁটু গেড়ে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন আনেলকা। এরপর ডমেনেখ জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত আর দলেই ডাক পাননি এই স্ট্রাইকার।
সেই আনেলকা যে বদলাননি, তার প্রমাণ মিলল আবার। নিজেই স্বীকার করছেন, কোচ রেমন্ড ডমেনেখের সঙ্গে তাঁর উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছিল। কিন্তু পত্রিকায় বিষয়গুলো কীভাবে এল তা নিয়ে বিস্মিত আনেলকা, ‘কোচের সঙ্গে আমার ঘটনাটা লকার রুমে অন্য খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের সামনেই ঘটেছে। এটা লকার রুমের বাইরে যাওয়া উচিত হয়নি। আমি জানি না এসব ছড়িয়ে কার উপকার হবে; দলের যে উপকার হবে না, সেটা নিশ্চিত।’
একটু যেন অনুতপ্তও এই চেলসি তারকা, ‘ফ্রান্স দলের প্রতি, সতীর্থদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা আছে। ফ্রান্স দলকে অনেক শ্রদ্ধা করি, দলটাকে কলঙ্কিত করার কোনো ইচ্ছাই আমার ছিল না।’
ইচ্ছা থাক আর নাই থাক, কলঙ্ক আনেলকা গায়ে মেখেছেন। যদিও ফ্রান্সের অধিনায়ক প্যাট্রিস এভরা বলছেন, পুরোনো ইতিহাস বা নতুন এই ঘটনা দিয়ে আনেলকাকে বিচার করা ঠিক হবে না, ‘যারা তাকে ভালো করে চেনে না, তারা বলবে ও একটা খারাপ ছেলে। কিন্তু আমি তাকে ভালো চিনি, সে আসলে এ রকম নয়। ও একজন ভদ্রলোক।’
No comments