মারউইকের কাছে জয়টাই আসল
হল্যান্ড প্রথম ম্যাচে ডেনমার্ককে হারিয়েছে ২-০ গোলে। ক্যামেরুনের বিপক্ষে জাপানের জয় ১-০ গোলে। আজ ডারবানে হল্যান্ড-জাপান ম্যাচের পরই ‘ই’ গ্রুপের বাকি দুই দল কামেরুন-ডেনমার্ক মুখোমুখি হবে প্রিটোরিয়ায়। এই ম্যাচ ড্র হলে হল্যান্ড-জাপান ম্যাচের জয়ী দল আজই উঠে যাবে শেষ ষোলোতে।
বার্ট ফন মারউইকের চোখ এখন শেষ ষোলোতে। ডাচ কোচ জাপানকে হারানোর ব্যাপারে খুবই আশাবাদী, ‘প্রথম ম্যাচ জেতার পর খেলোয়াড়েরা অনেকটা নির্ভার। জাপানের বিপক্ষে তারা আরও ভালো খেলবে আশা করি।’
আগের ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে পাওয়া জয়টা দেশের বাইরে জাপানের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ জয়। জাপান কোচ তাকেশি ওকাদা হল্যান্ডকে মোটেও ভয় পাচ্ছেন না, ‘আমার ছেলেরা এখন খুবই উজ্জীবিত। এই ম্যাচের গুরুত্বটা তারা বুঝতে পারছে। আমরা ৩ পয়েন্টের জন্যই খেলব।’
হল্যান্ডকে সহজে ছাড়বে না জাপান—এটা ডাচদের ভালোই জানা। কোচ তো খেলোয়াড়দের বলে দিয়েছেন, জাপান ম্যাচটা কঠিন হবে তাদের জন্য। দলের অন্যতম তারকা ওয়েসলি স্নাইডার জানাচ্ছেন, ‘আমাদের কোচ বলেছেন, গ্রুপে জাপান একমাত্র দল যারা আমাদের জন্য ম্যাচটা কঠিন করে তুলতে পারে।’
জাপানের কোচের কথা শুনলে সাবধান তো হতেই হচ্ছে হল্যান্ডকে। ‘আমাদের নিয়ে কে কী ভাবে ভাবুক, আমি দল মাঠে নামাব তিন পয়েন্টের জন্যই’—বলেছেন ওকাদা।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে জাপান ৪৫, হল্যান্ড ৪। শুধু কাগজে-কলমে নয় এখন পর্যন্ত এশিয়ান দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিই জিতছে হল্যান্ড। বাছাইপর্বে ৮ ম্যাচ জিতে সবার আগে উঠেছে চূড়ান্ত পর্বে। প্রস্তুতি ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে ৪-১, হাঙ্গেরির বিপক্ষে পেয়েছে ৬-১-এর বড় জয়। তবে ডেনমার্কের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্বপ্রতিভ ছিল না হল্যান্ড। প্রথম গোলটা তো ডেনমার্ক নিজেরাই করল!
আর তাই হল্যান্ডের খেলা নিয়ে কথা উঠছে। জয়ই শেষ কথা ঠিক আছে, তবে ‘টোটাল ফুটবলের প্রবর্তক’, ১৯৭৪ আর ’৭৮ সালে রানার্সআপ, ১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের হারিয়ে খুঁজলেও এখনো মানুষ ডাচ ফুটবলারদের পায়ে সৃজনশীল ফুটবল দেখতে চায়।
কিন্তু ‘সুন্দর’ ফুটবলের চেয়ে ফলনির্ভর ফুটবলই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন হল্যান্ডের কোচ মারউইক। তাঁর দর্শনটাই এমন, ‘সুন্দর ফুটবল সব সময় “কার্যকর ফুটবল” হয় না।’ ডাচ স্ট্রাইকার ফন ডার ভার্ট বলছেন, ‘এটা ঠিক, আমরা কিছুটা জার্মানির মতো খেলেছি। কোচ আমাদের মাঠে একটা কার্যকর দল হিসেবেই গড়ে তুলেছেন।’
মজার ব্যাপার, মারউইকের অধীনে ২২ ম্যাচ খেলেছে হল্যান্ড। ডাচ কোচ হিসেবে তাঁর রেকর্ডটাই সবচেয়ে উজ্জ্বল।
হল্যান্ড-জাপান
রবিন ফন পার্সি
ইনজুরিতে ক্লাব মৌসুমের প্রায় পুরোটাই বাইরে থেকে তরতাজা ফন পার্সি হল্যান্ডকে শিরোপা জেতাবেন, ডাচ গ্রেট রুদ খুলিতের প্রত্যাশা এমনটাই। আর্সেনাল স্ট্রাইকার গোল করতে পারেন দুরূহ সব কোণ থেকে, ফ্রি-কিকে তাঁর বাঁ পা থেকে বের হয় গোলা। প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি, আজ তাই মুখিয়ে থাকবেন গোলের জন্য।
মার্কাস তুলিও তানাকা
জন্ম-বেড়ে ওঠা ব্রাজিলে বলেই হয়তো বল পায়ে তানাকা অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়, ডিফেন্ডার হলেও প্রায়ই ঘোরাফেরা করেন প্রতিপক্ষের সীমানায়। বিশ্বকাপের আগে আলোচনা এসেছেন প্রস্তুতি ম্যাচে দুটি আত্মঘাতী গোল করে এবং দ্রগবার হাত ভেঙে। তবে রক্ষণকাজটা তিনি ভালোই করেন, ডাচদের আক্রমণ সামলাতে আজ বড় ভূমিকা রাখতে হবে তাঁকে।a
বার্ট ফন মারউইকের চোখ এখন শেষ ষোলোতে। ডাচ কোচ জাপানকে হারানোর ব্যাপারে খুবই আশাবাদী, ‘প্রথম ম্যাচ জেতার পর খেলোয়াড়েরা অনেকটা নির্ভার। জাপানের বিপক্ষে তারা আরও ভালো খেলবে আশা করি।’
আগের ম্যাচে ক্যামেরুনের বিপক্ষে পাওয়া জয়টা দেশের বাইরে জাপানের প্রথম বিশ্বকাপ ম্যাচ জয়। জাপান কোচ তাকেশি ওকাদা হল্যান্ডকে মোটেও ভয় পাচ্ছেন না, ‘আমার ছেলেরা এখন খুবই উজ্জীবিত। এই ম্যাচের গুরুত্বটা তারা বুঝতে পারছে। আমরা ৩ পয়েন্টের জন্যই খেলব।’
হল্যান্ডকে সহজে ছাড়বে না জাপান—এটা ডাচদের ভালোই জানা। কোচ তো খেলোয়াড়দের বলে দিয়েছেন, জাপান ম্যাচটা কঠিন হবে তাদের জন্য। দলের অন্যতম তারকা ওয়েসলি স্নাইডার জানাচ্ছেন, ‘আমাদের কোচ বলেছেন, গ্রুপে জাপান একমাত্র দল যারা আমাদের জন্য ম্যাচটা কঠিন করে তুলতে পারে।’
জাপানের কোচের কথা শুনলে সাবধান তো হতেই হচ্ছে হল্যান্ডকে। ‘আমাদের নিয়ে কে কী ভাবে ভাবুক, আমি দল মাঠে নামাব তিন পয়েন্টের জন্যই’—বলেছেন ওকাদা।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে জাপান ৪৫, হল্যান্ড ৪। শুধু কাগজে-কলমে নয় এখন পর্যন্ত এশিয়ান দলের বিপক্ষে তিন ম্যাচ খেলে তিনটিই জিতছে হল্যান্ড। বাছাইপর্বে ৮ ম্যাচ জিতে সবার আগে উঠেছে চূড়ান্ত পর্বে। প্রস্তুতি ম্যাচে ঘানার বিপক্ষে ৪-১, হাঙ্গেরির বিপক্ষে পেয়েছে ৬-১-এর বড় জয়। তবে ডেনমার্কের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে স্বপ্রতিভ ছিল না হল্যান্ড। প্রথম গোলটা তো ডেনমার্ক নিজেরাই করল!
আর তাই হল্যান্ডের খেলা নিয়ে কথা উঠছে। জয়ই শেষ কথা ঠিক আছে, তবে ‘টোটাল ফুটবলের প্রবর্তক’, ১৯৭৪ আর ’৭৮ সালে রানার্সআপ, ১৯৮৮ সালের ইউরো চ্যাম্পিয়নরা নিজেদের হারিয়ে খুঁজলেও এখনো মানুষ ডাচ ফুটবলারদের পায়ে সৃজনশীল ফুটবল দেখতে চায়।
কিন্তু ‘সুন্দর’ ফুটবলের চেয়ে ফলনির্ভর ফুটবলই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন হল্যান্ডের কোচ মারউইক। তাঁর দর্শনটাই এমন, ‘সুন্দর ফুটবল সব সময় “কার্যকর ফুটবল” হয় না।’ ডাচ স্ট্রাইকার ফন ডার ভার্ট বলছেন, ‘এটা ঠিক, আমরা কিছুটা জার্মানির মতো খেলেছি। কোচ আমাদের মাঠে একটা কার্যকর দল হিসেবেই গড়ে তুলেছেন।’
মজার ব্যাপার, মারউইকের অধীনে ২২ ম্যাচ খেলেছে হল্যান্ড। ডাচ কোচ হিসেবে তাঁর রেকর্ডটাই সবচেয়ে উজ্জ্বল।
হল্যান্ড-জাপান
রবিন ফন পার্সি
ইনজুরিতে ক্লাব মৌসুমের প্রায় পুরোটাই বাইরে থেকে তরতাজা ফন পার্সি হল্যান্ডকে শিরোপা জেতাবেন, ডাচ গ্রেট রুদ খুলিতের প্রত্যাশা এমনটাই। আর্সেনাল স্ট্রাইকার গোল করতে পারেন দুরূহ সব কোণ থেকে, ফ্রি-কিকে তাঁর বাঁ পা থেকে বের হয় গোলা। প্রথম ম্যাচে প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি, আজ তাই মুখিয়ে থাকবেন গোলের জন্য।
মার্কাস তুলিও তানাকা
জন্ম-বেড়ে ওঠা ব্রাজিলে বলেই হয়তো বল পায়ে তানাকা অ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়, ডিফেন্ডার হলেও প্রায়ই ঘোরাফেরা করেন প্রতিপক্ষের সীমানায়। বিশ্বকাপের আগে আলোচনা এসেছেন প্রস্তুতি ম্যাচে দুটি আত্মঘাতী গোল করে এবং দ্রগবার হাত ভেঙে। তবে রক্ষণকাজটা তিনি ভালোই করেন, ডাচদের আক্রমণ সামলাতে আজ বড় ভূমিকা রাখতে হবে তাঁকে।a
No comments