ঘানা-ক্যামেরুনের দিকে তাকিয়ে আফ্রিকা
হারলেই সব সম্ভাবনা প্রায় শেষ—এমন সমীকরণের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অস্ট্রেলিয়া আজ তাদের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে ঘানার। গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে তারা দলে পাচ্ছে না টিম কাহিলকে। গোলের জন্য ওরা কাহিলের দিকেই তাকিয়ে থাকত। এখন মনে হচ্ছে, সেই শূন্যস্থানটা পূরণের ভার থাকবে হ্যারি কেউয়েলের কাঁধে।
সব ধরনের খেলাতেই অস্ট্রেলীয় মানসিকতার আলাদা কদর আছে। দৃঢ়চেতা স্বভাবের জন্য ওরা পরিচিত। প্রথম ম্যাচে জার্মানির কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পরও আমার ধারণা, এই ম্যাচে ওরা ভালো করবে। ঘানার বিপক্ষে ওদের রেকর্ডও ভালো। ঘানা অবশ্য প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে হারিয়ে দিয়ে ভালো শুরু করেছে।
আফ্রিকার এ দলটি শারীরিকভাবে বেশ শক্তপোক্ত। মাঝমাঠে মুনতারি আর আপিয়াহর মতো ভালো মানের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে ওদের। গোলপোস্টে কিংসন, রক্ষণে জন মেনশাহ আর পান্টসিল ওদের ডিফেন্সকে বেশ শক্তিশালী করেছে। ঘানার দুর্বলতা আসলে গোল করায়। দুটি ম্যাচ ড্র করলেই ওরা পরের রাউন্ডে যাবে। ফলে আজকের ম্যাচে ওরা ড্রয়ের মানসিকতা নিয়েই খেলবে। অন্যদিকে আক্রমণের বিকল্প নেই অস্ট্রেলীয়দের। অস্ট্রেলীয়রা কাহিলকে হারিয়ে আক্রমণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। রক্ষণটাই এখন ওদের বড় ভরসা। আর তাই একটা গোলও এই ম্যাচের ফলনির্ধারক হয়ে উঠতে পারে।
হল্যান্ডের এই দলটার সবকিছুই আছে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ভাস্বর খেলোয়াড়, সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা। আছে টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও। রক্ষণটাও অটুট। মাঝমাঠে আছে ফন বোমেল, স্নাইডার আর ফন ডার ভার্টের মতো খেলোয়াড়। ফন পার্সি আর ডির্ক কিউটকে নিয়ে গড়া আক্রমণভাগও তীক্ষ। ডেনমার্ক ম্যাচে ওরা খাপ খাইয়ে নিতে সময় নিয়েছে। কিন্তু দারুণ খেলেছে দ্বিতীয়ার্ধে। যোগ্যতর দল হিসেবেই পেয়েছে ২-০ গোলের জয়। তারা দল হিসেবে অদম্য।
ক্যামেরুনকে হারিয়ে আসা জাপান দেখিয়ে দিয়েছে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গেও ওরা ভালোই লড়তে পারে। আজকের ম্যাচে ওদের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে থাকবে অধিনায়ক ইয়োজি নাকাজাওয়া এবং সুসংগঠিত রক্ষণ। প্লে-মেকার সানসুকে নাকামুরা আর মিডফিল্ডার কিউসুকে হোন্ডাও আজ নজর কাড়বে। হোন্ডা তো ডাচ ক্লাব ভিভিভি ফেনলোতেই খেলেছে। গত ম্যাচের জয়ের নায়কও ছিল সে। এই ম্যাচে ড্র পেলেও বর্তে যাবে জাপান। ওরা তাই প্রতিপক্ষকে বেশি জায়গা দিয়ে খেলতে চাইবে না আজ। ডাচদের হতাশ করে পাল্টা-আক্রমণে যতটা সম্ভব সুবিধা তুলে নিতে চাইবে ওরা। হল্যান্ড আজ জিতলে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলবে। কাজটা নিশ্চয়ই পরের ম্যাচের জন্য ওরা জমা করে রাখতে চাইবে না।
ক্যামেরুন ও ডেনমার্ক দুই দলই প্রথম ম্যাচটা হেরে গেছে। ফলে আজকের ম্যাচটা তাদের জন্য অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। ক্যামেরুন নিশ্চয়ই তাদের খেলা নিয়ে হতাশ। সং, জেরেমি, মাকুন, স্টেফানে এমবিয়াদের নিয়ে গড়া ওদের রক্ষণ অনেক অভিজ্ঞ। মাঝমাঠে আলেক্স সং অনেক সৃষ্টিশীল। অধিনায়ক ইতো তো স্ট্রাইকার হিসেবে অদম্য। তাদের সক্ষমতা আছে। কিন্তু ধারাবাহিকতার বড্ড অভাব। মাঝেমধ্যেই ভুল করে ফেলে। জাপান ম্যাচে এটা বেশ বোঝা গেছে। ডেনমার্ক সেদিক দিয়ে বেশ সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খলিত, পরিশ্রমী। টমাসন, বেন্টনার ও অভিজ্ঞ সোরেন লারসেনের মতো ফরোয়ার্ড আছে ওদের। সিমন কায়ের, সিমন পোলসেন আর ড্যানিয়েল অ্যাগারের মতো ডিফেন্ডারও আছে যারা বেশ অভিজ্ঞ আর সংগঠিত। মাঝমাঠ চষে বেড়ায় ড্যানিয়েল ইয়েনসেন, ক্রিশ্চিয়ান পোলসেনরা।
গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দলের কাছে হেরে যাওয়া এক কথা। গ্রুপের দুর্বল দলের কাছে হেরে যাওয়া আরেক কথা। এই দুই দলের মানসিক অবস্থা তাই আজকের ম্যাচে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। সমান লড়াইয়ের একটা ম্যাচই আমি আশা করছি। যদিও আমার ধারণা, ম্যাচটা ডেনমার্ক ২-১ গোলেই জিতবে।
সব ধরনের খেলাতেই অস্ট্রেলীয় মানসিকতার আলাদা কদর আছে। দৃঢ়চেতা স্বভাবের জন্য ওরা পরিচিত। প্রথম ম্যাচে জার্মানির কাছে নাস্তানাবুদ হওয়ার পরও আমার ধারণা, এই ম্যাচে ওরা ভালো করবে। ঘানার বিপক্ষে ওদের রেকর্ডও ভালো। ঘানা অবশ্য প্রথম ম্যাচে সার্বিয়াকে হারিয়ে দিয়ে ভালো শুরু করেছে।
আফ্রিকার এ দলটি শারীরিকভাবে বেশ শক্তপোক্ত। মাঝমাঠে মুনতারি আর আপিয়াহর মতো ভালো মানের অভিজ্ঞ খেলোয়াড় আছে ওদের। গোলপোস্টে কিংসন, রক্ষণে জন মেনশাহ আর পান্টসিল ওদের ডিফেন্সকে বেশ শক্তিশালী করেছে। ঘানার দুর্বলতা আসলে গোল করায়। দুটি ম্যাচ ড্র করলেই ওরা পরের রাউন্ডে যাবে। ফলে আজকের ম্যাচে ওরা ড্রয়ের মানসিকতা নিয়েই খেলবে। অন্যদিকে আক্রমণের বিকল্প নেই অস্ট্রেলীয়দের। অস্ট্রেলীয়রা কাহিলকে হারিয়ে আক্রমণে দুর্বল হয়ে পড়েছে। রক্ষণটাই এখন ওদের বড় ভরসা। আর তাই একটা গোলও এই ম্যাচের ফলনির্ধারক হয়ে উঠতে পারে।
হল্যান্ডের এই দলটার সবকিছুই আছে। ব্যক্তিগত নৈপুণ্যে ভাস্বর খেলোয়াড়, সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা। আছে টানা ২০ ম্যাচ অপরাজিত থাকার রেকর্ডও। রক্ষণটাও অটুট। মাঝমাঠে আছে ফন বোমেল, স্নাইডার আর ফন ডার ভার্টের মতো খেলোয়াড়। ফন পার্সি আর ডির্ক কিউটকে নিয়ে গড়া আক্রমণভাগও তীক্ষ। ডেনমার্ক ম্যাচে ওরা খাপ খাইয়ে নিতে সময় নিয়েছে। কিন্তু দারুণ খেলেছে দ্বিতীয়ার্ধে। যোগ্যতর দল হিসেবেই পেয়েছে ২-০ গোলের জয়। তারা দল হিসেবে অদম্য।
ক্যামেরুনকে হারিয়ে আসা জাপান দেখিয়ে দিয়েছে, শারীরিকভাবে শক্তিশালী প্রতিপক্ষের সঙ্গেও ওরা ভালোই লড়তে পারে। আজকের ম্যাচে ওদের নির্ভরতার প্রতীক হয়ে থাকবে অধিনায়ক ইয়োজি নাকাজাওয়া এবং সুসংগঠিত রক্ষণ। প্লে-মেকার সানসুকে নাকামুরা আর মিডফিল্ডার কিউসুকে হোন্ডাও আজ নজর কাড়বে। হোন্ডা তো ডাচ ক্লাব ভিভিভি ফেনলোতেই খেলেছে। গত ম্যাচের জয়ের নায়কও ছিল সে। এই ম্যাচে ড্র পেলেও বর্তে যাবে জাপান। ওরা তাই প্রতিপক্ষকে বেশি জায়গা দিয়ে খেলতে চাইবে না আজ। ডাচদের হতাশ করে পাল্টা-আক্রমণে যতটা সম্ভব সুবিধা তুলে নিতে চাইবে ওরা। হল্যান্ড আজ জিতলে পরের রাউন্ড নিশ্চিত করে ফেলবে। কাজটা নিশ্চয়ই পরের ম্যাচের জন্য ওরা জমা করে রাখতে চাইবে না।
ক্যামেরুন ও ডেনমার্ক দুই দলই প্রথম ম্যাচটা হেরে গেছে। ফলে আজকের ম্যাচটা তাদের জন্য অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার লড়াই। ক্যামেরুন নিশ্চয়ই তাদের খেলা নিয়ে হতাশ। সং, জেরেমি, মাকুন, স্টেফানে এমবিয়াদের নিয়ে গড়া ওদের রক্ষণ অনেক অভিজ্ঞ। মাঝমাঠে আলেক্স সং অনেক সৃষ্টিশীল। অধিনায়ক ইতো তো স্ট্রাইকার হিসেবে অদম্য। তাদের সক্ষমতা আছে। কিন্তু ধারাবাহিকতার বড্ড অভাব। মাঝেমধ্যেই ভুল করে ফেলে। জাপান ম্যাচে এটা বেশ বোঝা গেছে। ডেনমার্ক সেদিক দিয়ে বেশ সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খলিত, পরিশ্রমী। টমাসন, বেন্টনার ও অভিজ্ঞ সোরেন লারসেনের মতো ফরোয়ার্ড আছে ওদের। সিমন কায়ের, সিমন পোলসেন আর ড্যানিয়েল অ্যাগারের মতো ডিফেন্ডারও আছে যারা বেশ অভিজ্ঞ আর সংগঠিত। মাঝমাঠ চষে বেড়ায় ড্যানিয়েল ইয়েনসেন, ক্রিশ্চিয়ান পোলসেনরা।
গ্রুপের সবচেয়ে শক্তিশালী দলের কাছে হেরে যাওয়া এক কথা। গ্রুপের দুর্বল দলের কাছে হেরে যাওয়া আরেক কথা। এই দুই দলের মানসিক অবস্থা তাই আজকের ম্যাচে বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে। সমান লড়াইয়ের একটা ম্যাচই আমি আশা করছি। যদিও আমার ধারণা, ম্যাচটা ডেনমার্ক ২-১ গোলেই জিতবে।
No comments