মেয়র ও কাউন্সিলরদের অভিনন্দন -চট্টগ্রামের উন্নয়নে সবাই একযোগে কাজ করুন
নানা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা সত্ত্বেও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে, সে জন্য চট্টগ্রাম মহানগরের বাসিন্দাদের অভিনন্দন। একই সঙ্গে অভিনন্দন জানাই নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদেরও। এর মাধ্যমে গণতন্ত্র জয়ী হয়েছে, প্রতিফলন ঘটেছে জনগণের রায়ের। এ রকম একটি পরিচ্ছন্ন ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশন অবশ্যই ধন্যবাদ পেতে পারে। প্রার্থী বা তাঁর সমর্থকেরা যাতে আচরণবিধি পুরো মেনে চলে, সে ব্যাপারে কমিশন শুরু থেকেই ছিল অত্যন্ত সজাগ ও সতর্ক। প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আইন মেনে চলার প্রবণতাও ছিল প্রশংসনীয়। আচরণবিধি লঙ্ঘন করে কেউ বাড়তি নির্বাচনী ক্যাম্প বা মিছিল বের করেনি। তাতে নির্বাচনী প্রচারণায় জৌলুশ কম থাকলেও নগরবাসী স্বস্তিতে ছিলেন।
বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণও হয়েছে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। তবে মধ্যরাতে ফল ঘোষণা নিয়ে যে সংঘাত হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর অসহিষ্ণুতাই প্রকাশ পেয়েছে। নেতা-কর্মীরা ধৈর্য ধরলে এ সংঘাত এড়ানো অসম্ভব হতো না। শেষ পর্যন্ত বড় কোনো হাঙ্গামা ছাড়াই নির্বাচনের রায় ঘোষিত হয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাকে স্বাগতও জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়রকে। দেশের বৈরিতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশে এটি ইতিবাচক বলেই মনে করি। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো যাতে পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে পারে, সে জন্য সরকারের সহযোগিতা- সমর্থন জরুরি। সরকার ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সম্পর্ক হবে পরিপূরক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নয়।
নির্বাচনের মাধ্যমে বন্দরনগরের ভোটাররা তাঁদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। এখন জনপ্রতিনিধিদের পালা। তাঁরা জনগণের কাছে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলো কীভাবে পালন করবেন, সেসবেই মনোনিবেশ করতে হবে অহেতুক বিতর্কে না জড়িয়ে। মেয়র ও কাউন্সিলরদের মনে রাখতে হবে, তাঁরা যে ফোরাম বা কমিটি থেকেই নির্বাচিত হোন না কেন, নগরবাসী যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাঁদের নির্বাচন করেছেন, তা পূরণে একযোগে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম শুধু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর নয়, আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তিও বটে। এ নগরের উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। জনপ্রতিনিধিদের একটা প্রবণতা আছে, তা হলো পূর্বসূরিদের ভালো কাজের স্বীকৃতি না দিয়ে সব ব্যর্থতার দায় তাঁদের ওপর চাপানো। চট্টগ্রামের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা তা করবেন না বলেই প্রত্যাশিত। নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, নগর পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি পূর্বসূরির পরামর্শ ও সহযোগিতা নেবেন। চট্টগ্রামবাসী তাঁর এ বক্তব্যের বাস্তবায়নই দেখতে চাইবেন। সেই সঙ্গে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত নারী কাউন্সিলরদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
বিজয়ের এই শুভক্ষণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের যে কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তা হলো, নির্বাচিত জনপ্রতিষ্ঠানকে দলীয় ও গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। নির্বাচিত হওয়া মানে কেবল পদ-পদবি ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়া নয়, জনগণের প্রতি কর্তব্য পালনও। আশা করি, বীর চট্টলার জনপ্রতিনিধিরা সেই কথাটি বিস্মৃত হবেন না।
বৃহস্পতিবার ভোট গ্রহণও হয়েছে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে। তবে মধ্যরাতে ফল ঘোষণা নিয়ে যে সংঘাত হয়েছে, তাতে রাজনৈতিক দলগুলোর অসহিষ্ণুতাই প্রকাশ পেয়েছে। নেতা-কর্মীরা ধৈর্য ধরলে এ সংঘাত এড়ানো অসম্ভব হতো না। শেষ পর্যন্ত বড় কোনো হাঙ্গামা ছাড়াই নির্বাচনের রায় ঘোষিত হয়েছে এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা তাকে স্বাগতও জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী অভিনন্দন জানিয়েছেন নবনির্বাচিত মেয়রকে। দেশের বৈরিতাপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশে এটি ইতিবাচক বলেই মনে করি। স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলো যাতে পরিকল্পনামাফিক কাজ করতে পারে, সে জন্য সরকারের সহযোগিতা- সমর্থন জরুরি। সরকার ও স্থানীয় সরকার সংস্থাগুলোর সম্পর্ক হবে পরিপূরক, প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নয়।
নির্বাচনের মাধ্যমে বন্দরনগরের ভোটাররা তাঁদের দায়িত্ব শেষ করেছেন। এখন জনপ্রতিনিধিদের পালা। তাঁরা জনগণের কাছে কী প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, সেগুলো কীভাবে পালন করবেন, সেসবেই মনোনিবেশ করতে হবে অহেতুক বিতর্কে না জড়িয়ে। মেয়র ও কাউন্সিলরদের মনে রাখতে হবে, তাঁরা যে ফোরাম বা কমিটি থেকেই নির্বাচিত হোন না কেন, নগরবাসী যে আশা-আকাঙ্ক্ষা নিয়ে তাঁদের নির্বাচন করেছেন, তা পূরণে একযোগে কাজ করতে হবে।
চট্টগ্রাম শুধু দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগর নয়, আমাদের অর্থনীতির চালিকাশক্তিও বটে। এ নগরের উন্নয়ন ছাড়া দেশের সার্বিক উন্নয়ন সম্ভব নয়। জনপ্রতিনিধিদের একটা প্রবণতা আছে, তা হলো পূর্বসূরিদের ভালো কাজের স্বীকৃতি না দিয়ে সব ব্যর্থতার দায় তাঁদের ওপর চাপানো। চট্টগ্রামের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররা তা করবেন না বলেই প্রত্যাশিত। নবনির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ মন্জুর আলম অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, নগর পরিচালনার ক্ষেত্রে তিনি পূর্বসূরির পরামর্শ ও সহযোগিতা নেবেন। চট্টগ্রামবাসী তাঁর এ বক্তব্যের বাস্তবায়নই দেখতে চাইবেন। সেই সঙ্গে সংরক্ষিত আসনে নির্বাচিত নারী কাউন্সিলরদের দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে ভাবতে হবে।
বিজয়ের এই শুভক্ষণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের যে কথাটি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই তা হলো, নির্বাচিত জনপ্রতিষ্ঠানকে দলীয় ও গোষ্ঠীস্বার্থের ঊর্ধ্বে রাখতে হবে। দেশ ও জনগণের কল্যাণে সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। নির্বাচিত হওয়া মানে কেবল পদ-পদবি ও সুযোগ-সুবিধা পাওয়া নয়, জনগণের প্রতি কর্তব্য পালনও। আশা করি, বীর চট্টলার জনপ্রতিনিধিরা সেই কথাটি বিস্মৃত হবেন না।
No comments