ফরাসিরা শুধু মাঠেই ছিল
এমন ছন্নছাড়া ফুটবল খেলার দল তো ওরা নয়! প্রথম ম্যাচে বাজে খেলার পরও প্রত্যাশা ছিল দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়াবে। কিন্তু উল্টো আরও নুয়ে পড়ল। উঠে দাঁড়ানোর শক্তিই যেন হারিয়ে ফেলেছে ফ্রান্স। এরই পরিণতি—গ্রুপ থেকে দলটির বিদায় আসন্ন।
জিদানের ফ্রান্স আর এভরার ফ্রান্স, আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এই ফ্রান্সে দলীয় গাঁথুনির ছিটেফোঁটা নেই। একটা বড় দল মাঠে নামলে তো বোঝাতে হবে তাদের উপস্থিতি। ফ্রান্স মাঠে আছে বোঝার উপায়ই ছিল না।
প্রতিপক্ষকে চিন্তায় ফেলতে চাই আতঙ্ক তৈরি। ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নদের খেলায় সেটি কোথায়? ১১ জন ফরাসি মাঠে ছিল শুধু। সবাই ‘এক’ হতে পারেনি। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ছিল না কারোরই। শুরুর দিকে ফ্রাঙ্ক রিবেরির বিচ্ছিন্ন কিছু চেষ্টা চোখে পড়লেও একটা সময় সেও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মালুদা, আনেলকা—যাদের ওপর ফ্রান্সের আশা ছিল তারা দলকে বেশি কিছুই দিতে পারেনি। ফরাসিদের জন্য যা খুবই হতাশার।
অন্য বিভাগগুলো যেমন-তেমন, রক্ষণই তো ঠিক নেই দলটির! দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার গালাস আর আবিদালের মধ্যে বিন্দুমাত্র বোঝাপড়া ছিল না। আবিদালকে মনে হয়েছে ও বুঝি দলের বোঝা হয়ে গেছে। গালাসেরও একই দশা। তাদের বুঝতে হবে, কার কী দায়িত্ব। কে কখন বলে যাবে। কে কার সাপোর্টে থাকবে? কিন্তু ওরা কখনো দাঁড়িয়ে ছিল, কখনো ধুমধাম বল সামনে মেরেছে। গালাস তো মনে হয় অপেক্ষা করছিল কখন খেলাটা শেষ হয়। খেলার মধ্যেই সে ছিল না। এত কিছুর পরও গোলরক্ষক হতে পারত দলের শেষ ভরসা। সেও গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েছে। নিজের ওপর তার আস্থা ছিল না।
রক্ষণের সঙ্গে মাঝমাঠের সেতুবন্ধ গড়ে ওঠেনি। মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা জায়গা মেক্সিকোকে ছেড়ে দিয়েছে ফ্রান্স। তাদের পাস ঠিকমতো হচ্ছিল না। লম্বা পাসগুলো তো এত বাজে ছিল যে এই পর্যায়ের ফুটবলে বেমানান। সবকিছু মিলিয়ে ফ্রান্সকে অসহায় লাগছিল। এটা শুধু শেষ দিকে নয়, খেলা শুরুর পর থেকেই বোঝা গেছে এই দল নুয়ে পড়বে।
মেক্সিকোর কৃতিত্ব প্রাপ্য। উজ্জীবিত হয়ে খেলার ফল তারা পেয়েছে। মানসিকভাবে চাঙা থেকে খেলার কোনো বিকল্প নেই। নতজানু দল কখনো দাঁড়াতে পারে না।
ফ্রান্সের কেন এই হাল? আমি বলতে পারব না। পত্রিকায় পড়েছি, কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দূরত্ব আছে। অনুশীলনে মালুদার সঙ্গে কী নিয়ে নাকি ঝামেলাও হয়েছে। কোচ রেমন্ড ডমেনেখ অনেক দিন ধরে এই দলটার সঙ্গে আছেন। সম্ভবত দলটাকে তিনি উজ্জীবিত করতে পারেননি। যেটা খুব দরকার ছিল। আসলে সুর-লয়-তাল কেটে গেলে ভালো গান তো হবে না।
ফ্রান্স যদি উত্তর মেরুর দল হয়, তাহলে দক্ষিণ মেরুর দল আর্জেন্টিনা। একই দিনে দুই বড় দলের পারফরম্যান্সে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। আর্জেন্টিনা দারুণ ফুটবল খেলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ‘মুক্ত ও সাবলীল’ ছিল ম্যারাডোনার দল।
জিদানের ফ্রান্স আর এভরার ফ্রান্স, আকাশ-পাতাল পার্থক্য। এই ফ্রান্সে দলীয় গাঁথুনির ছিটেফোঁটা নেই। একটা বড় দল মাঠে নামলে তো বোঝাতে হবে তাদের উপস্থিতি। ফ্রান্স মাঠে আছে বোঝার উপায়ই ছিল না।
প্রতিপক্ষকে চিন্তায় ফেলতে চাই আতঙ্ক তৈরি। ১৯৯৮ চ্যাম্পিয়নদের খেলায় সেটি কোথায়? ১১ জন ফরাসি মাঠে ছিল শুধু। সবাই ‘এক’ হতে পারেনি। ব্যক্তিগত নৈপুণ্য ছিল না কারোরই। শুরুর দিকে ফ্রাঙ্ক রিবেরির বিচ্ছিন্ন কিছু চেষ্টা চোখে পড়লেও একটা সময় সেও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। মালুদা, আনেলকা—যাদের ওপর ফ্রান্সের আশা ছিল তারা দলকে বেশি কিছুই দিতে পারেনি। ফরাসিদের জন্য যা খুবই হতাশার।
অন্য বিভাগগুলো যেমন-তেমন, রক্ষণই তো ঠিক নেই দলটির! দুই সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার গালাস আর আবিদালের মধ্যে বিন্দুমাত্র বোঝাপড়া ছিল না। আবিদালকে মনে হয়েছে ও বুঝি দলের বোঝা হয়ে গেছে। গালাসেরও একই দশা। তাদের বুঝতে হবে, কার কী দায়িত্ব। কে কখন বলে যাবে। কে কার সাপোর্টে থাকবে? কিন্তু ওরা কখনো দাঁড়িয়ে ছিল, কখনো ধুমধাম বল সামনে মেরেছে। গালাস তো মনে হয় অপেক্ষা করছিল কখন খেলাটা শেষ হয়। খেলার মধ্যেই সে ছিল না। এত কিছুর পরও গোলরক্ষক হতে পারত দলের শেষ ভরসা। সেও গড্ডলিকা প্রবাহে গা ভাসিয়েছে। নিজের ওপর তার আস্থা ছিল না।
রক্ষণের সঙ্গে মাঝমাঠের সেতুবন্ধ গড়ে ওঠেনি। মাঝখানে অনেকটা ফাঁকা জায়গা মেক্সিকোকে ছেড়ে দিয়েছে ফ্রান্স। তাদের পাস ঠিকমতো হচ্ছিল না। লম্বা পাসগুলো তো এত বাজে ছিল যে এই পর্যায়ের ফুটবলে বেমানান। সবকিছু মিলিয়ে ফ্রান্সকে অসহায় লাগছিল। এটা শুধু শেষ দিকে নয়, খেলা শুরুর পর থেকেই বোঝা গেছে এই দল নুয়ে পড়বে।
মেক্সিকোর কৃতিত্ব প্রাপ্য। উজ্জীবিত হয়ে খেলার ফল তারা পেয়েছে। মানসিকভাবে চাঙা থেকে খেলার কোনো বিকল্প নেই। নতজানু দল কখনো দাঁড়াতে পারে না।
ফ্রান্সের কেন এই হাল? আমি বলতে পারব না। পত্রিকায় পড়েছি, কোচের সঙ্গে খেলোয়াড়দের দূরত্ব আছে। অনুশীলনে মালুদার সঙ্গে কী নিয়ে নাকি ঝামেলাও হয়েছে। কোচ রেমন্ড ডমেনেখ অনেক দিন ধরে এই দলটার সঙ্গে আছেন। সম্ভবত দলটাকে তিনি উজ্জীবিত করতে পারেননি। যেটা খুব দরকার ছিল। আসলে সুর-লয়-তাল কেটে গেলে ভালো গান তো হবে না।
ফ্রান্স যদি উত্তর মেরুর দল হয়, তাহলে দক্ষিণ মেরুর দল আর্জেন্টিনা। একই দিনে দুই বড় দলের পারফরম্যান্সে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। আর্জেন্টিনা দারুণ ফুটবল খেলেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ‘মুক্ত ও সাবলীল’ ছিল ম্যারাডোনার দল।
No comments