ঘানাই আফ্রিকার ভরসা?
বিশ্বকাপে ভুভুজেলার ‘অত্যাচারে’ অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিলেন বাঁশিটা যারা বাজায় তারা ছাড়া সবাই। কিন্তু টুর্নামেন্টের যারা প্রাণ, সেই আয়োজকদের বিদায় হয়ে যাওয়ায় কান ফুটো করা ভুভুজেলার আওয়াজ অনেকটাই স্তিমিত। এ পর্যন্ত আফ্রিকার একটি মাত্র দেশের শেষ ষোলোতে যাওয়া নিশ্চিত হওয়ায় মনে হচ্ছে ভুভুজেলার জ্বালাতন মধুর নস্টালজিয়ায় পরিণত হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, নিজেদের পরিণতি যা-ই হোক, স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব পালনে বিন্দুমাত্র ত্রুটি করবে না তারা। কিন্তু তাদের এই সান্ত্বনার বাণীতে গোটা আফ্রিকার ওপর নেমে আসা বিষাদের ছায়া কতটা কাটবে তা গবেষণার ব্যাপার। অথচ কী উর্যাসাহ নিয়েই না আফ্রিকানরা শুরু করেছিল তাদের প্রথম বিশ্বকাপ! আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল মহাদেশটি থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছয়-ছয়টি দল।
মঙ্গলবার আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ার বাদ পড়ে যাওয়ার পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শেষ মুহূর্তের গোল খেয়ে বিদায়-ঘণ্টা বাজে আলজেরিয়ার। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ঘানা গোল-গড়ে উতরে গেলেও আইভরিকোস্টের ভাগ্য ঝুলছে অনিশ্চয়তার অতি মিহি সুতোয়। উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে গোলের বন্যা বইয়ে দিতে পারলেই কেবল টিকে থাকা হবে পরাশক্তি ব্রাজিল আর পর্তুগালের গ্রুপসঙ্গী ‘হাতিদের’। কিন্তু পর্তুগালের কাছে সাত গোলে হারা উত্তর কোরিয়া ওই দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তি এড়াতে নিশ্চয়ই যথাসাধ্য করবে। সে ক্ষেত্রে ঘানারই দ্বিতীয় রাউন্ডে আফ্রিকার সবেধন নীলমণি হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত বলা চলে।
ঘানার ব্যাপারটা নিশ্চিত না হলে ১৯৮২ সালের পর থেকে এই প্রথম বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড আফ্রিকাহীন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সবার নজর তাই তাদের দিকেই। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার দ্য স্টার পত্রিকার এক শিরোনাম ছিল: ‘ঘানা, ডু ইট ফর আফ্রিকা’। পত্রিকাটি আয়োজক দেশকেও পরামর্শ দেয়, হতাশায় ডুবে না গিয়ে ভুভুজেলা বাদন চালিয়ে যেতে। সম্পাদকীয়তে তারা লেখে, ‘ভুভুজেলা হয়তো আজ থেকে তার জোর একটু হারিয়েই ফেলবে। কিন্তু আমাদের আয়োজক হিসেবে উষ্ণ আতিথেয়তা মেলে ধরার দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে চলবে না।’
জোহানেসবার্গের এক পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা-ফ্রান্স খেলা দেখছিলেন তেইশ বছরের নকুফিলা খুমালো। ওই ম্যাচে ফ্রান্সকে ২-১-এ ধরাশায়ী করেও স্বাগতিকদের কোনো লাভ হয়নি। তো, আইটি পরামর্শক এ তরুণী বললেন, এদিন থেকেই বিশ্বকাপ নিয়ে স্থানীয়দের মাতামাতি পড়তির দিকে যাবে। ‘আজই শেষ ভুভুজেলার রমরমা দেখছেন। তবে ফুটবল নিয়ে আবেগটা থেকে যাবে কারণ দক্ষিণ আফ্রিকানরা অন্য কোনো দেশকে সমর্থন দেবে।’
নিজে আর কোনো আফ্রিকান দেশকে সমর্থন দিয়ে হতাশ হতে চান না বলেই কি না কে জানে, নকুফিলা এখন থেকে সমর্থন করবেন অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলকে। ‘আমি ব্রাজিলকে সমর্থন করি। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেকেই তাদের সমর্থন করবে কারণ ওদের জার্সিরও একই রং—হলুদ আর সবুজ।
দক্ষিণ আফ্রিকা বলেছে, নিজেদের পরিণতি যা-ই হোক, স্বাগতিক দেশের দায়িত্ব পালনে বিন্দুমাত্র ত্রুটি করবে না তারা। কিন্তু তাদের এই সান্ত্বনার বাণীতে গোটা আফ্রিকার ওপর নেমে আসা বিষাদের ছায়া কতটা কাটবে তা গবেষণার ব্যাপার। অথচ কী উর্যাসাহ নিয়েই না আফ্রিকানরা শুরু করেছিল তাদের প্রথম বিশ্বকাপ! আফ্রিকার মাটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম বিশ্বকাপে অংশ নিয়েছিল মহাদেশটি থেকে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছয়-ছয়টি দল।
মঙ্গলবার আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা ও নাইজেরিয়ার বাদ পড়ে যাওয়ার পরদিনই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে শেষ মুহূর্তের গোল খেয়ে বিদায়-ঘণ্টা বাজে আলজেরিয়ার। ‘ডি’ গ্রুপ থেকে ঘানা গোল-গড়ে উতরে গেলেও আইভরিকোস্টের ভাগ্য ঝুলছে অনিশ্চয়তার অতি মিহি সুতোয়। উত্তর কোরিয়ার বিপক্ষে গোলের বন্যা বইয়ে দিতে পারলেই কেবল টিকে থাকা হবে পরাশক্তি ব্রাজিল আর পর্তুগালের গ্রুপসঙ্গী ‘হাতিদের’। কিন্তু পর্তুগালের কাছে সাত গোলে হারা উত্তর কোরিয়া ওই দুঃস্বপ্নের পুনরাবৃত্তি এড়াতে নিশ্চয়ই যথাসাধ্য করবে। সে ক্ষেত্রে ঘানারই দ্বিতীয় রাউন্ডে আফ্রিকার সবেধন নীলমণি হওয়ার সম্ভাবনা নিশ্চিত বলা চলে।
ঘানার ব্যাপারটা নিশ্চিত না হলে ১৯৮২ সালের পর থেকে এই প্রথম বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ড আফ্রিকাহীন হওয়ার আশঙ্কা ছিল। সবার নজর তাই তাদের দিকেই। বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকার দ্য স্টার পত্রিকার এক শিরোনাম ছিল: ‘ঘানা, ডু ইট ফর আফ্রিকা’। পত্রিকাটি আয়োজক দেশকেও পরামর্শ দেয়, হতাশায় ডুবে না গিয়ে ভুভুজেলা বাদন চালিয়ে যেতে। সম্পাদকীয়তে তারা লেখে, ‘ভুভুজেলা হয়তো আজ থেকে তার জোর একটু হারিয়েই ফেলবে। কিন্তু আমাদের আয়োজক হিসেবে উষ্ণ আতিথেয়তা মেলে ধরার দায়িত্ব পালনে গাফিলতি করলে চলবে না।’
জোহানেসবার্গের এক পার্কে দক্ষিণ আফ্রিকা-ফ্রান্স খেলা দেখছিলেন তেইশ বছরের নকুফিলা খুমালো। ওই ম্যাচে ফ্রান্সকে ২-১-এ ধরাশায়ী করেও স্বাগতিকদের কোনো লাভ হয়নি। তো, আইটি পরামর্শক এ তরুণী বললেন, এদিন থেকেই বিশ্বকাপ নিয়ে স্থানীয়দের মাতামাতি পড়তির দিকে যাবে। ‘আজই শেষ ভুভুজেলার রমরমা দেখছেন। তবে ফুটবল নিয়ে আবেগটা থেকে যাবে কারণ দক্ষিণ আফ্রিকানরা অন্য কোনো দেশকে সমর্থন দেবে।’
নিজে আর কোনো আফ্রিকান দেশকে সমর্থন দিয়ে হতাশ হতে চান না বলেই কি না কে জানে, নকুফিলা এখন থেকে সমর্থন করবেন অন্যতম ফেবারিট ব্রাজিলকে। ‘আমি ব্রাজিলকে সমর্থন করি। দক্ষিণ আফ্রিকার অনেকেই তাদের সমর্থন করবে কারণ ওদের জার্সিরও একই রং—হলুদ আর সবুজ।
No comments