২১৭২ কোটি টাকার ঘোড়ার ডিম
ঘোড়ার ডিমের দাম কত? না, হাসবেন না। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রশ্নটি কদিন আগে ফুটবল-বিষয়ক একটি ব্লগে ছেড়ে দিয়েছিলেন ‘অ্যাংরি ফ্যান’ নামের এক ব্লগার। উত্তরটাও তিনিই দিয়েছিলেন। একটা ঘোড়ার ডিমের দাম ৩১৩ মিলিয়ন ডলার! ২১৭২ কোটি টাকা খরচ করে এই ঘোড়ার ডিম কিনল কে? রিয়াল মাদ্রিদ!
এতক্ষণে নিশ্চয়ই খোলাসা হয়ে গেছে, ওই ‘ক্ষুব্ধ সমর্থক’ আসলে রিয়ালের। আর ঘোড়ার ডিমের পেছনে এত টাকা খরচের প্রসঙ্গটা তিনি ব্যঙ্গ করে বলেছেন ‘দ্বিতীয় নক্ষত্রপুঞ্জের’ শিরোপাশূন্য প্রথম মৌসুমটার দিকে ইঙ্গিত করে।
রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ পড়েছেন যাকে বলে মহা ফাঁপরে। কোচ হোসে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনিকে ছাঁটাই করার জন্য চাপ আসছে। পরবর্তী রিয়াল কোচ হিসেবে হোসে মরিনহোর নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। বিশেষ করে মরিনহো মানেই সাফল্য—এটা বেশ প্রতিষ্ঠিত। তা ছাড়া বার্সেলোনাকে আটকানোর সবচেয়ে ভালো দাওয়াই তো এই পর্তুগিজ কোচই জানেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিয়াল আবার কোচ পাল্টালে সেটি পেরেজের জন্য হবে স্ববিরোধিতা। কারণ দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি হওয়ার আগে নির্বাচনী বৈতরণী তিনি পেরিয়েছিলেন ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা’র কথা বলেই। ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত প্রথম দফায় সভাপতি থাকার সময় রিয়াল তিন বছরে কোচ পাল্টেছিল পাঁচবার! টানা দ্বিতীয় মৌসুম শিরোপা-খরায় কাটানোর পর পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী বলেই মন হচ্ছে। তবে দলবদলের মৌসুমে এখনো রিয়াল সেভাবে নড়েচড়ে বসেনি।
‘স্পেনের আর্সেন ওয়েঙ্গার’ হিসেবে যে পেলেগ্রিনিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক বছর আগে, তিনি কি শেষ পর্যন্ত অপাঙেক্তয় হয়ে পড়বেন? চাকরি নেওয়ার সময়ই পেলেগ্রিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, রিয়ালের মতো ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়া মানেই মাথার ওপর সব সময় খড়্গ ঝুলে থাকা, এটা মেনে নিয়েই চ্যালেঞ্জটা তিনি নিচ্ছেন, ‘বড় ক্লাবগুলো প্রতি রোববারেই জিততে চায়। সেই চাওয়াটা পূরণ করতে না পারলে কাজ চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। কিন্তু যারা দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করে তারাই ভালো ফল পায়।’ পেরেজও বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যই হলো একটা দুর্দান্ত দল গড়ে তোলা। শিরোপা জিততে না পারাই কিন্তু ব্যর্থতা নয়।’
কাকা-বেনজেমাদের নিয়ে যত গুঞ্জনই থাক, রিয়াল খেলোয়াড় তালিকায় বড় পরিবর্তন আনবে না বলেই মনে হচ্ছে। লিগের শেষ দিকে বার্সেলোনার পেছনে ভালোমতো ছোটার পর পেলেগ্রিনিকে আরও একটা সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে খোদ রিয়াল সমর্থকেরাই ঠিক নিশ্চিত নয়, মরিনহোকে আনার ফলাফল কতটা ইতিবাচক হবে। মূল কারণ মরিনহোর ‘রক্ষণশীল’ দুর্নাম। ওয়েবসাইটের জরিপগুলোয় ফলাফল দেখা যাচ্ছে, পক্ষে-বিপক্ষে ৫০-৫০ কিংবা ৬০-৪০ শতাংশ রায়।
এতক্ষণে নিশ্চয়ই খোলাসা হয়ে গেছে, ওই ‘ক্ষুব্ধ সমর্থক’ আসলে রিয়ালের। আর ঘোড়ার ডিমের পেছনে এত টাকা খরচের প্রসঙ্গটা তিনি ব্যঙ্গ করে বলেছেন ‘দ্বিতীয় নক্ষত্রপুঞ্জের’ শিরোপাশূন্য প্রথম মৌসুমটার দিকে ইঙ্গিত করে।
রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ পড়েছেন যাকে বলে মহা ফাঁপরে। কোচ হোসে ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনিকে ছাঁটাই করার জন্য চাপ আসছে। পরবর্তী রিয়াল কোচ হিসেবে হোসে মরিনহোর নাম শোনা যাচ্ছে জোরেশোরে। বিশেষ করে মরিনহো মানেই সাফল্য—এটা বেশ প্রতিষ্ঠিত। তা ছাড়া বার্সেলোনাকে আটকানোর সবচেয়ে ভালো দাওয়াই তো এই পর্তুগিজ কোচই জানেন।
কিন্তু শেষ পর্যন্ত রিয়াল আবার কোচ পাল্টালে সেটি পেরেজের জন্য হবে স্ববিরোধিতা। কারণ দ্বিতীয় মেয়াদে সভাপতি হওয়ার আগে নির্বাচনী বৈতরণী তিনি পেরিয়েছিলেন ‘দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা’র কথা বলেই। ২০০৩ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত প্রথম দফায় সভাপতি থাকার সময় রিয়াল তিন বছরে কোচ পাল্টেছিল পাঁচবার! টানা দ্বিতীয় মৌসুম শিরোপা-খরায় কাটানোর পর পরিবর্তন অবশ্যম্ভাবী বলেই মন হচ্ছে। তবে দলবদলের মৌসুমে এখনো রিয়াল সেভাবে নড়েচড়ে বসেনি।
‘স্পেনের আর্সেন ওয়েঙ্গার’ হিসেবে যে পেলেগ্রিনিকে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয়েছিল এক বছর আগে, তিনি কি শেষ পর্যন্ত অপাঙেক্তয় হয়ে পড়বেন? চাকরি নেওয়ার সময়ই পেলেগ্রিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন, রিয়ালের মতো ক্লাবের দায়িত্ব নেওয়া মানেই মাথার ওপর সব সময় খড়্গ ঝুলে থাকা, এটা মেনে নিয়েই চ্যালেঞ্জটা তিনি নিচ্ছেন, ‘বড় ক্লাবগুলো প্রতি রোববারেই জিততে চায়। সেই চাওয়াটা পূরণ করতে না পারলে কাজ চালিয়ে যাওয়া মুশকিল। কিন্তু যারা দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনা করে তারাই ভালো ফল পায়।’ পেরেজও বলেছিলেন, ‘আমাদের লক্ষ্যই হলো একটা দুর্দান্ত দল গড়ে তোলা। শিরোপা জিততে না পারাই কিন্তু ব্যর্থতা নয়।’
কাকা-বেনজেমাদের নিয়ে যত গুঞ্জনই থাক, রিয়াল খেলোয়াড় তালিকায় বড় পরিবর্তন আনবে না বলেই মনে হচ্ছে। লিগের শেষ দিকে বার্সেলোনার পেছনে ভালোমতো ছোটার পর পেলেগ্রিনিকে আরও একটা সুযোগ দেওয়া যেতে পারে। বিশেষ করে খোদ রিয়াল সমর্থকেরাই ঠিক নিশ্চিত নয়, মরিনহোকে আনার ফলাফল কতটা ইতিবাচক হবে। মূল কারণ মরিনহোর ‘রক্ষণশীল’ দুর্নাম। ওয়েবসাইটের জরিপগুলোয় ফলাফল দেখা যাচ্ছে, পক্ষে-বিপক্ষে ৫০-৫০ কিংবা ৬০-৪০ শতাংশ রায়।
No comments