আফগানিস্তান সফরে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ গতকাল শনিবার আফগানিস্তানে সফরে গেছেন। তাঁর সঙ্গে প্রতিরক্ষামন্ত্রী লিয়াম ফক্স ও আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী এন্ড্রু মিচেলও যান। ব্রিটেনে নতুন জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই তাঁদের প্রথম আফগানিস্তান সফর। এর আগে গত শুক্রবার জার্মানির প্রেসিডেন্ট হোর্স্ট কোহলার আকস্মিক সফরে আফগানিস্তান যান। ব্রিটিশ ও জার্মান নেতাদের আফগানিস্তান সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে সেখানে অবস্থানরত নিজ নিজ দেশের সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা এবং দেশটির বর্তমান অবস্থা স্বচক্ষে দেখা।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সফরকালে হগসহ তিন মন্ত্রী আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা। তাঁরা আফগানিস্তানে অবস্থানরত ১০ হাজার ব্রিটিশ সেনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হগ বলেছেন, আফগানিস্তান নিয়ে তাঁরা বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন। এ জন্য এ ইস্যুটিকে তাঁরা জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানে তাঁদের সময়, শক্তি ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রীরা আফগানিস্তানের ব্যাপারে একটা বোঝাপড়ায় উপনীত হবেন। সেখানে সফল হওয়ার জন্য নতুন কৌশল নির্ধারণ করবেন।
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফক্স টাইমস সংবাদপত্রকে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সেনা ফিরিয়ে নিতে চান। তিনি বলেন, তাঁদের এটা মানতে হবে যে আফগানিস্তানে তাঁদের সেনা সীমিত। তাই তিনি দ্রুত সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে। ফক্স আরও বলেন, তাঁরা আন্তর্জাতিক পুলিশ নয়। তাঁরা আফগানিস্তান গেছেন যাতে ব্রিটেন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। স্বার্থ সংরক্ষিত হয়। আফগানিস্তানে বর্তমানে ১০ হাজার ব্রিটিশ সেনা আছে। বিভিন্ন হামলা ও দুর্ঘটনায় ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮৬ জন ব্রিটিশ সেনা হতাহত হয়েছেন। আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেছে ব্রিটেনের নতুন সরকার। ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত সপ্তাহে তিনি আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে এটা ছিল তাঁর প্রথম বৈঠক।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আফগানিস্তানকে ব্রিটেন কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, এ বৈঠকই তার প্রমাণ। ব্রিটেনের নতুন কনজারভেটিভ-লিবারেল ডেমোক্র্যাটস জোট সরকার গত সপ্তাহে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের জাতীয় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আফগানিস্তানে সেনা রাখার অঙ্গীকার করে। তবে ক্যামেরন সরকার জনস্বার্থে প্রতিরক্ষা খাতে ২৫ শতাংশ ব্যয় কমানোর ঘোষণা দেওয়ায় এর প্রভাব আফগানিস্তানে অবস্থানরত ব্রিটিশ সেনাদের ওপর পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে জার্মানির প্রেসিডেন্ট হোর্স্ট কোহলার শুক্রবার অপ্রত্যাশিত সফরে আফগানিস্তান যান। তিনি মাজার-ই শরিফে অবস্থানরত জার্মান সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন। আফগানিস্তানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীতে বর্তমানে ৪৫০০ জার্মান সেনা কাজ করছেন। জার্মানির পার্লামেন্ট গত ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত ৮৫০ জন সেনা পাঠানোর বিষয়টি অনুমোদন করে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে বলা হয়েছে, সফরকালে হগসহ তিন মন্ত্রী আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে দেখা করার কথা। তাঁরা আফগানিস্তানে অবস্থানরত ১০ হাজার ব্রিটিশ সেনার ভবিষ্যৎ নিয়ে আলোচনা করবেন।
লন্ডন থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হগ বলেছেন, আফগানিস্তান নিয়ে তাঁরা বেশ দ্বিধাদ্বন্দ্বে আছেন। এ জন্য এ ইস্যুটিকে তাঁরা জরুরি ভিত্তিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানে তাঁদের সময়, শক্তি ও অর্থ ব্যয় হচ্ছে। তাই গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রীরা আফগানিস্তানের ব্যাপারে একটা বোঝাপড়ায় উপনীত হবেন। সেখানে সফল হওয়ার জন্য নতুন কৌশল নির্ধারণ করবেন।
এদিকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী ফক্স টাইমস সংবাদপত্রকে বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব তিনি আফগানিস্তান থেকে ব্রিটিশ সেনা ফিরিয়ে নিতে চান। তিনি বলেন, তাঁদের এটা মানতে হবে যে আফগানিস্তানে তাঁদের সেনা সীমিত। তাই তিনি দ্রুত সেনাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়ার পক্ষে। ফক্স আরও বলেন, তাঁরা আন্তর্জাতিক পুলিশ নয়। তাঁরা আফগানিস্তান গেছেন যাতে ব্রিটেন ও বিশ্বের অন্যান্য দেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়। স্বার্থ সংরক্ষিত হয়। আফগানিস্তানে বর্তমানে ১০ হাজার ব্রিটিশ সেনা আছে। বিভিন্ন হামলা ও দুর্ঘটনায় ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ২৮৬ জন ব্রিটিশ সেনা হতাহত হয়েছেন। আফগানিস্তানে বিদেশি সেনাদের ওপর হামলা বেড়ে যাওয়ায় চিন্তায় পড়ে গেছে ব্রিটেনের নতুন সরকার। ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর গত সপ্তাহে তিনি আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের সঙ্গে এটা ছিল তাঁর প্রথম বৈঠক।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, আফগানিস্তানকে ব্রিটেন কতটা গুরুত্ব দিচ্ছে, এ বৈঠকই তার প্রমাণ। ব্রিটেনের নতুন কনজারভেটিভ-লিবারেল ডেমোক্র্যাটস জোট সরকার গত সপ্তাহে দায়িত্ব নেওয়ার পর দেশের জাতীয় নিরাপত্তার কথা চিন্তা করেই আফগানিস্তানে সেনা রাখার অঙ্গীকার করে। তবে ক্যামেরন সরকার জনস্বার্থে প্রতিরক্ষা খাতে ২৫ শতাংশ ব্যয় কমানোর ঘোষণা দেওয়ায় এর প্রভাব আফগানিস্তানে অবস্থানরত ব্রিটিশ সেনাদের ওপর পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে জার্মানির প্রেসিডেন্ট হোর্স্ট কোহলার শুক্রবার অপ্রত্যাশিত সফরে আফগানিস্তান যান। তিনি মাজার-ই শরিফে অবস্থানরত জার্মান সেনাদের সঙ্গে দেখা করেন। আফগানিস্তানে ন্যাটো নেতৃত্বাধীন বহুজাতিক বাহিনীতে বর্তমানে ৪৫০০ জার্মান সেনা কাজ করছেন। জার্মানির পার্লামেন্ট গত ফেব্রুয়ারিতে আফগানিস্তানে সেনা মোতায়েনের মেয়াদ বৃদ্ধি করে অতিরিক্ত ৮৫০ জন সেনা পাঠানোর বিষয়টি অনুমোদন করে।
No comments