উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা প্রশাসক -স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করুন
সুবিদিত যে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের একটি দ্বন্দ্ব সব সময় কাজ করে, বিশেষভাবে উপজেলা চেয়ারম্যানদের ক্ষেত্রে সমস্যাটি প্রকট। ১৯ এপ্রিল মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত একটি সিদ্ধান্ত এই দ্বন্দ্বকে আরও অবনতির দিকে ঠেলে দিতে পারে। ওই সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠলে তা তদন্ত করবেন জেলা প্রশাসক (ডিসি)। এই মর্মে স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিদ্যমান আইনে এ ধরনের অভিযোগ উত্থাপিত হলে কে তদন্ত করবেন, তা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা নেই; শুধু বলা হয়েছে, সরকার তদন্ত করবে। এখন সংশোধন করে ডিসির ওপর সে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে। উত্থাপিত কোনো অভিযোগের তদন্ত করে তিনি প্রতিবেদন সুপারিশসহ স্থানীয় সরকার বিভাগে পাঠাবেন। এই বিভাগ এ প্রতিবেদন গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে। আবার তৃতীয় কোনো পক্ষ দিয়ে পুনঃ তদন্তও করতে পারবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে স্থানীয় সরকার বিভাগ সংশ্লিষ্ট চেয়ারম্যানকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারবে।
আপাতদৃষ্টিতে এই সংশোধনী নির্বিরোধ ও এক অর্থে প্রয়োজনীয় বলে মনে হতে পারে। কিন্তু শেষ বিচারে বলা যায়, এ ধরনের বিধানের রাজনৈতিক অপব্যবহারের সুযোগ থেকে যায়। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে ক্ষমতাসীন মহল বা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, বিশেষভাবে ডিসি মহোদয়েরা যেন কোনো কারণে অসন্তুষ্ট না হন। এভাবে চেয়ারম্যানদের আমলা ও সরকারের মুখাপেক্ষী করে তোলা বাঞ্ছনীয় কি না, তা ভেবে দেখা দরকার। বিশেষত যখন নির্বাচিত স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী করার কথা বলা হচ্ছে, তখন কেন এ রকম উদ্যোগ?
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির যেকোনো অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু সেটা ডিসিদের মাধ্যমে, নাকি কোনো স্বাধীন সংস্থার মাধ্যমে হবে, সেটাই এখানে মূল বিবেচ্য বিষয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করা হয়েছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান বা পরিষদের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত ও তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব ছিল তাদের ওপরেই। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ওই অধ্যাদেশটি সংসদে পাস না করায় তা বাতিল হয়ে গেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যানদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) দ্বন্দ্ব নিরসনে স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন সংশোধন করা হয়েছে। ইউএনওকে উপজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পরিবর্তে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে নব নামে উল্লেখের বিধান করা হয়। কিন্তু তাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্বের হেরফের হয়নি। এ ধরনের ছোট ছোট সংশোধনীতে কোনো কাজ হবে না। সংসদে স্থানীয় সরকার কমিশন বিল এনে তার ওপর বিতর্ক হওয়া উচিত। সেখানে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক। জনমত যাচাইয়ের সুযোগ রাখা উচিত। সংসদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সব মহলের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করলে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়নের বিষয়ে অনেক প্রশ্নের মীমাংসা হবে। এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
আপাতদৃষ্টিতে এই সংশোধনী নির্বিরোধ ও এক অর্থে প্রয়োজনীয় বলে মনে হতে পারে। কিন্তু শেষ বিচারে বলা যায়, এ ধরনের বিধানের রাজনৈতিক অপব্যবহারের সুযোগ থেকে যায়। নির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যানদের সব সময় খেয়াল রাখতে হবে ক্ষমতাসীন মহল বা প্রশাসনের কর্মকর্তারা, বিশেষভাবে ডিসি মহোদয়েরা যেন কোনো কারণে অসন্তুষ্ট না হন। এভাবে চেয়ারম্যানদের আমলা ও সরকারের মুখাপেক্ষী করে তোলা বাঞ্ছনীয় কি না, তা ভেবে দেখা দরকার। বিশেষত যখন নির্বাচিত স্থানীয় সরকারব্যবস্থা শক্তিশালী করার কথা বলা হচ্ছে, তখন কেন এ রকম উদ্যোগ?
নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অনিয়ম-দুর্নীতির যেকোনো অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্তের একটি নির্ভরযোগ্য ব্যবস্থা অবশ্যই থাকতে হবে। কিন্তু সেটা ডিসিদের মাধ্যমে, নাকি কোনো স্বাধীন সংস্থার মাধ্যমে হবে, সেটাই এখানে মূল বিবেচ্য বিষয়। বিগত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় স্বাধীন স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করা হয়েছিল। উপজেলা চেয়ারম্যান বা পরিষদের অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্ত ও তদনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দায়িত্ব ছিল তাদের ওপরেই। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে ওই অধ্যাদেশটি সংসদে পাস না করায় তা বাতিল হয়ে গেছে।
উপজেলা চেয়ারম্যানদের সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) দ্বন্দ্ব নিরসনে স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) আইন সংশোধন করা হয়েছে। ইউএনওকে উপজেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার পরিবর্তে ‘মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা’ হিসেবে নব নামে উল্লেখের বিধান করা হয়। কিন্তু তাতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কর্তৃত্বের হেরফের হয়নি। এ ধরনের ছোট ছোট সংশোধনীতে কোনো কাজ হবে না। সংসদে স্থানীয় সরকার কমিশন বিল এনে তার ওপর বিতর্ক হওয়া উচিত। সেখানে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হোক। জনমত যাচাইয়ের সুযোগ রাখা উচিত। সংসদের ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সব মহলের মতামত গ্রহণের ব্যবস্থা করা যেতে পারে। সংশ্লিষ্ট সবার মতামতের ভিত্তিতে স্থানীয় সরকার কমিশন গঠন করলে স্থানীয় সরকারের ক্ষমতায়নের বিষয়ে অনেক প্রশ্নের মীমাংসা হবে। এ ব্যাপারে সরকারের দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।
No comments