আবার গৃহযুদ্ধের পথে নেপাল!
নেপালে রাজনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হয়ে উঠেছে। নতুন সংবিধান প্রণয়নে গঠিত পার্লামেন্টের (কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলি) মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে বিদ্যমান অচলাবস্থা নিরসনে গত বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট রামবরণ যাদবের ডাকা জরুরি বৈঠক সফল হয়নি। এ পরিস্থিতিতে গতকাল শুক্রবার মধ্য রাতে এ সংসদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। এর বিলুপ্তি দেশকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিতে পারে বলে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন।
নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব নিয়ে ২০০৮ সালে কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির যাত্রা শুরু হয়। দুই বছরের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা ছিল। এর ভিত্তিতেই এ বছর নতুন করে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সংবিধান রচনার দায়িত্ব পালনে এ পরিষদ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বিগত দুই বছরে পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগিবতণ্ডায় জড়ালেও সংবিধান রচনায় মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেননি। এখন পরিষদে সবচেয়ে বেশি আসনের অধিকারী মাওবাদী পার্টি বলছে, প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল পদত্যাগ না করলে তারা পরিষদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ভোট দেবে না। তারা চাইছে, ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নতুন একটি সরকার গঠিত হোক।
মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) ও নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু তারা ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নয়। এটিই বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণ।
নেপালের পত্রপত্রিকায় এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এ পরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণীত না হলে চার বছর পর আবার সেই পুরোনো গৃহযুদ্ধই ফিরে আসবে। এর আগে গৃহযুদ্ধে কমপক্ষে ১৬ হাজার লোক মারা যায়।
গতকাল নেপালি ভাষার নয়া পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘আজকের (গতকাল শুক্রবার) দিনটি আমাদের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য দিন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। এ আশঙ্কা খুব জোরালো। আজ যদি পরিষদ বিলুপ্ত হয়, তাহলে তা হবে গৃহযুদ্ধের প্রতি উন্মুক্ত আহ্বান।
নতুন সংবিধান রচনার দায়িত্ব নিয়ে ২০০৮ সালে কনস্টিটিউয়েন্ট অ্যাসেম্বলির যাত্রা শুরু হয়। দুই বছরের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা ছিল। এর ভিত্তিতেই এ বছর নতুন করে নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু সংবিধান রচনার দায়িত্ব পালনে এ পরিষদ পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। বিগত দুই বছরে পার্লামেন্টের নির্বাচিত সদস্যরা তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগিবতণ্ডায় জড়ালেও সংবিধান রচনায় মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেননি। এখন পরিষদে সবচেয়ে বেশি আসনের অধিকারী মাওবাদী পার্টি বলছে, প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপাল পদত্যাগ না করলে তারা পরিষদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাবে ভোট দেবে না। তারা চাইছে, ক্ষমতা ভাগাভাগি করে নতুন একটি সরকার গঠিত হোক।
মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল (ইউএমএল) ও নেপালি কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা করেছেন। কিন্তু তারা ক্ষমতা ছাড়তে রাজি নয়। এটিই বর্তমান রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণ।
নেপালের পত্রপত্রিকায় এরই মধ্যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, এ পরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান প্রণীত না হলে চার বছর পর আবার সেই পুরোনো গৃহযুদ্ধই ফিরে আসবে। এর আগে গৃহযুদ্ধে কমপক্ষে ১৬ হাজার লোক মারা যায়।
গতকাল নেপালি ভাষার নয়া পত্রিকার সম্পাদকীয়তে লেখা হয়, ‘আজকের (গতকাল শুক্রবার) দিনটি আমাদের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য দিন হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। এ আশঙ্কা খুব জোরালো। আজ যদি পরিষদ বিলুপ্ত হয়, তাহলে তা হবে গৃহযুদ্ধের প্রতি উন্মুক্ত আহ্বান।
No comments