লাহোরে দুই মসজিদে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৮০
পাকিস্তানের লাহোরে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় সংখ্যালঘু আহমদিয়া সম্প্রদায়ের দুটি মসজিদে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে বন্দুকধারীরা। এতে অন্তত ৮০ জন নিহত এবং সাত পুলিশ সদস্যসহ ১০৮ জন আহত হয়েছেন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, একে-৪৭, গ্রেনেড ও বোমা নিয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। দুজন সন্ত্রাসী মসজিদের ভেতর ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালায়।
পুলিশ জানায়, হামলার শিকার মসজিদ দুটি লাহোরের মডেল টাউন ও ঘনবসতিপূর্ণ ঘারহি শাহ এলাকায় অবস্থিত। মডেল টাউন এলাকার মসজিদ থেকে লাহোরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সাজ্জাদ ভুট্টো জানান, ওই মসজিদে অন্তত ২৬ জনের বেশি নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ১০৮ জন। সেখানে উদ্ধার-তৎপরতা চলছে। একে-৪৭ রাইফেল ও গ্রেনেড নিয়ে সন্ত্রাসীরা এ মসজিদে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদে ঢোকার সময় বন্দুকধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে এবং গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ মসজিদটি ঘিরে রেখেছে। তবে কারা হামলা চালিয়েছে, সে সম্পর্কে পুলিশ এখনো কিছু জানতে পারেনি।
পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিয়ো নিউজ জানায়, মডেল টাউন মসজিদে হামলায় সাতজন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাঁচজন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যায়। গত মার্চে এ মসজিদে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়েছিল। এতে ৫৫ জন নিহত হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘারহি শাহ মসজিদে বন্দুকধারীদের গুলি ও বোমায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে। তবে স্থানীয় কর্মকর্তা সাজ্জাদ ভুট্টো বলেন, উভয় মসজিদ মিলে কমপক্ষে ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সব মিলিয়ে দুটি মসজিদে ভয়াবহ এ হামলায় ৮০ জন নিহত ও ১০৮ জন আহত হয়। হামলার সময় মসজিদ দুটিতে শত শত মুসল্লি ছিলেন।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মুজহা আহমেদ জানান, সন্ত্রাসীরা মসজিদ লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং গ্রেনেড ছুড়ে মারে। তারা মসজিদ থেকে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় মডেল টাউন মসজিদে ২৬ জন এবং ঘারহি শাহ মসজিদে ৫৪ জন নিহত হয়। তিনি নিহতের সংখ্যা ৬৪ বলে দাবি করেন।
চার পুলিশ নিহত: বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটার কাছে একটি স্যাটেলাইট শহরে গতকাল অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা গুলি করে চার পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিন জানান, হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা, দুজন কনস্টেবল ও একজন গাড়িচালক ঘটনাস্থলে নিহত হন।
আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্ত-সংলগ্ন বেলুচিস্তানে সম্প্রতি সহিংতা বেড়ে গেছে। মার্চে এখানে সহিংসতায় ২৪ জনের বেশি মারা যান। এ ছাড়া সুন্নি ও শিয়াদের মধ্যে প্রায়ই সহিংস ঘটনা ঘটছে।
নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানান, একে-৪৭, গ্রেনেড ও বোমা নিয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। দুজন সন্ত্রাসী মসজিদের ভেতর ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালায়।
পুলিশ জানায়, হামলার শিকার মসজিদ দুটি লাহোরের মডেল টাউন ও ঘনবসতিপূর্ণ ঘারহি শাহ এলাকায় অবস্থিত। মডেল টাউন এলাকার মসজিদ থেকে লাহোরের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা সাজ্জাদ ভুট্টো জানান, ওই মসজিদে অন্তত ২৬ জনের বেশি নিহত হয়। আহত হয় কমপক্ষে ১০৮ জন। সেখানে উদ্ধার-তৎপরতা চলছে। একে-৪৭ রাইফেল ও গ্রেনেড নিয়ে সন্ত্রাসীরা এ মসজিদে হামলা চালায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মসজিদে ঢোকার সময় বন্দুকধারীরা এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে এবং গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটায়। পুলিশ মসজিদটি ঘিরে রেখেছে। তবে কারা হামলা চালিয়েছে, সে সম্পর্কে পুলিশ এখনো কিছু জানতে পারেনি।
পাকিস্তানের বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল জিয়ো নিউজ জানায়, মডেল টাউন মসজিদে হামলায় সাতজন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাঁচজন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা যায়। গত মার্চে এ মসজিদে আত্মঘাতী গাড়িবোমা হামলা চালানো হয়েছিল। এতে ৫৫ জন নিহত হয়েছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘারহি শাহ মসজিদে বন্দুকধারীদের গুলি ও বোমায় অন্তত ৪৫ জন নিহত হয়েছে। তবে স্থানীয় কর্মকর্তা সাজ্জাদ ভুট্টো বলেন, উভয় মসজিদ মিলে কমপক্ষে ৫০টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন। সব মিলিয়ে দুটি মসজিদে ভয়াবহ এ হামলায় ৮০ জন নিহত ও ১০৮ জন আহত হয়। হামলার সময় মসজিদ দুটিতে শত শত মুসল্লি ছিলেন।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা মুজহা আহমেদ জানান, সন্ত্রাসীরা মসজিদ লক্ষ্য করে গুলি চালায় এবং গ্রেনেড ছুড়ে মারে। তারা মসজিদ থেকে কয়েকজনকে ধরে নিয়ে যায়। তাদের হামলায় মডেল টাউন মসজিদে ২৬ জন এবং ঘারহি শাহ মসজিদে ৫৪ জন নিহত হয়। তিনি নিহতের সংখ্যা ৬৪ বলে দাবি করেন।
চার পুলিশ নিহত: বেলুচিস্তান প্রদেশের কোয়েটার কাছে একটি স্যাটেলাইট শহরে গতকাল অজ্ঞাতনামা বন্দুকধারীরা গুলি করে চার পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে।
স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আমিন জানান, হামলায় একজন পুলিশ কর্মকর্তা, দুজন কনস্টেবল ও একজন গাড়িচালক ঘটনাস্থলে নিহত হন।
আফগানিস্তান ও ইরান সীমান্ত-সংলগ্ন বেলুচিস্তানে সম্প্রতি সহিংতা বেড়ে গেছে। মার্চে এখানে সহিংসতায় ২৪ জনের বেশি মারা যান। এ ছাড়া সুন্নি ও শিয়াদের মধ্যে প্রায়ই সহিংস ঘটনা ঘটছে।
No comments