এনপিটি কার্যকর করতে শেষ মুহূর্তে চূড়ান্ত খসড়া উত্থাপন
জাতিসংঘ পরমাণু সম্মেলনে শেষ মুহূর্তে অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) চূড়ান্ত খসড়া উপস্থাপন করা হয়েছে। মাসব্যাপী সম্মেলনের শেষ মুহূর্তে গত বৃহস্পতিবার নতুন খসড়া দলিল উত্থাপন করা হয়।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে খসড়া উপস্থাপন করেন সম্মেলনের সভাপতি ফিলিপাইনের লিব্রান কাবাকতুলান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সামনে যে খসড়া হাজির করা হয়েছে, এর থেকে ভালো কিছু আর আশা করা যেতে পারে না।’
ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সন্দেহভাজন পরমাণু কর্মসূচি কীভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং ইতিমধ্যে পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলো কীভাবে চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এই মতবিরোধের কারণে এক দশক ধরে এনপিটি নিয়ে অচলাবস্থা চলছে।
পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতৃত্বে পরমাণু অস্ত্রহীন দেশগুলো গত বুধবার এ নিয়ে সম্মেলনে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এর আগে উত্থাপন করা এনপিটির খসড়ায় প্রায় ২০০ সংশোধনী আনে জোটনিরপেক্ষ দেশগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলোকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। তবে যথারীতি তা মেনে নিতে অস্বীকার করে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
এনপিটির চূড়ান্ত খসড়া গৃহীত হলেই পরমাণু অস্ত্র বিস্তারবিষয়ক সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা নয়, তবে এর মাধ্যমে সযোগিতার একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।
এ ছাড়া এর ফলে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নীতির জয় হবে। পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশের সংঘাতমূলক কৌশল থেকে সরে এসে ওবামার ঘোষিত পরিকল্পনায় বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বিষয়টিই গুরুত্ব পেয়েছে চূড়ান্ত খসড়ায়। খসড়ায় নিরস্ত্রীকরণের কার্যপদ্ধতি, পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য তা পর্যবেক্ষণ, বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে একটি পরমাণুমুক্ত অঞ্চল সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
২৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত খসড়ার মধ্যে ১১ পৃষ্ঠাজুড়ে আছে নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক কর্মপরিকল্পনার বর্ণনা। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে এই খসড়া অনুমোদনের জন্য নেতারা পাবেন মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময়।
এক পশ্চিমা কূটনীতিক সতর্কতার সঙ্গে বলেন, সবকিছুতে মতৈক্য না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে তিনিসহ অন্যরা মনে করছেন, সম্মেলন ইতিবাচক পথেই শেষ হতে যাচ্ছে।
তবে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলী আসগর সাংবাদিকদের জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে সব পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসের সময়সীমার বিষয়টি খসড়ায় যোগ করা না হলে ইরান সেই খসড়া অনুমোদন দেবে না।
নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে একটি পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে খসড়া উপস্থাপন করেন সম্মেলনের সভাপতি ফিলিপাইনের লিব্রান কাবাকতুলান। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সামনে যে খসড়া হাজির করা হয়েছে, এর থেকে ভালো কিছু আর আশা করা যেতে পারে না।’
ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সন্দেহভাজন পরমাণু কর্মসূচি কীভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং ইতিমধ্যে পরমাণু অস্ত্রধারী দেশগুলো কীভাবে চুক্তির প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নিরস্ত্রীকরণ প্রক্রিয়ায় যোগ দেবে, তা নিয়ে বিভিন্ন দেশের মধ্যে মতপার্থক্য রয়েছে। এই মতবিরোধের কারণে এক দশক ধরে এনপিটি নিয়ে অচলাবস্থা চলছে।
পরমাণু শক্তিধর দেশ এবং জোটনিরপেক্ষ আন্দোলনের নেতৃত্বে পরমাণু অস্ত্রহীন দেশগুলো গত বুধবার এ নিয়ে সম্মেলনে বিরোধে জড়িয়ে পড়ে। এর আগে উত্থাপন করা এনপিটির খসড়ায় প্রায় ২০০ সংশোধনী আনে জোটনিরপেক্ষ দেশগুলো। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে পরমাণু অস্ত্রধর দেশগুলোকে নিরস্ত্রীকরণের জন্য একটি সময়সীমা বেঁধে দেওয়া। তবে যথারীতি তা মেনে নিতে অস্বীকার করে ব্রিটেন, চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
এনপিটির চূড়ান্ত খসড়া গৃহীত হলেই পরমাণু অস্ত্র বিস্তারবিষয়ক সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে তা নয়, তবে এর মাধ্যমে সযোগিতার একটি নতুন ক্ষেত্র তৈরি হবে।
এ ছাড়া এর ফলে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নীতির জয় হবে। পূর্বসূরি জর্জ ডব্লিউ বুশের সংঘাতমূলক কৌশল থেকে সরে এসে ওবামার ঘোষিত পরিকল্পনায় বহুপক্ষীয় কূটনৈতিক সহযোগিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বিষয়টিই গুরুত্ব পেয়েছে চূড়ান্ত খসড়ায়। খসড়ায় নিরস্ত্রীকরণের কার্যপদ্ধতি, পরমাণু কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ কাজে ব্যবহারের জন্য তা পর্যবেক্ষণ, বেসামরিক উদ্দেশ্যে পরমাণু শক্তি ব্যবহারে উৎসাহিত করা এবং মধ্যপ্রাচ্যে একটি পরমাণুমুক্ত অঞ্চল সৃষ্টির কথা বলা হয়েছে।
২৮ পৃষ্ঠার চূড়ান্ত খসড়ার মধ্যে ১১ পৃষ্ঠাজুড়ে আছে নিরস্ত্রীকরণবিষয়ক কর্মপরিকল্পনার বর্ণনা। শুক্রবার সন্ধ্যা ছয়টায় সম্মেলন শেষ হওয়ার আগে এই খসড়া অনুমোদনের জন্য নেতারা পাবেন মাত্র ২৪ ঘণ্টা সময়।
এক পশ্চিমা কূটনীতিক সতর্কতার সঙ্গে বলেন, সবকিছুতে মতৈক্য না হওয়া পর্যন্ত কোনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। তবে তিনিসহ অন্যরা মনে করছেন, সম্মেলন ইতিবাচক পথেই শেষ হতে যাচ্ছে।
তবে ইরানের রাষ্ট্রদূত আলী আসগর সাংবাদিকদের জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে সব পরমাণু অস্ত্র ধ্বংসের সময়সীমার বিষয়টি খসড়ায় যোগ করা না হলে ইরান সেই খসড়া অনুমোদন দেবে না।
No comments