হু জিনতাওয়ের সমর্থন চাইলেন ওবামা
ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের প্রস্তাব সমর্থন করতে চীনের প্রেসিডেন্ট হু জিনতাওয়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। গত বৃহস্পতিবার রাতে সরাসরি টেলিফোন করে এ আহ্বান জানান ওবামা।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে প্রায় এক ঘণ্টা টেলিফোনে হু জিনতাওয়ের সঙ্গে আলাপ করেন ওবামা। ইরান যাতে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারেও তাঁদের মধ্যে আলাপ হয়েছে।
এই টেলিফোন আলাপের বিষয়ে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ রাখার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। তাইওয়ান ও তিব্বতের বিষয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব না বাড়ানোর ব্যাপারে ওবামাকে সতর্ক করেছেন তিনি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে জি-২০ সম্মেলনের চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।
ওবামাকে হু আরও বলেছেন, দুই পক্ষেরই উচিত পরস্পরের মূল স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর প্রতি সম্মান দেখানো এবং স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর প্রতি যথাযথভাবে গুরুত্বারোপ করা। তাইওয়ান ও তিব্বতের বিষয়টি চীনের স্বার্বভৌমত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এসব বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা ঠিক হবে না।
ওবামার আহ্বানের জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার ও পরমাণু সন্ত্রাস সমর্থন করে না বেইজিং। পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা জোরদারের আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে সমর্থন করেন তাঁরা। তবে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের পক্ষে কোনো মন্তব্য করা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ নিয়ে জাতিসংঘে আলাদা বৈঠক করার ব্যাপারে রাজি হয়েছে চীন। ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে চীন। তাদের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরায়েলের দাবি, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু ইরান বরাবর বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। ইরানের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যাপারে চাপ দিয়ে আসছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় ইরানের ওপর চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘের অবরোধ আরোপ করতে চাইছে তারা। এ জন্য চীনের সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইরানের সঙ্গে চীনের গভীর বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। পাশাপাশি চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘ভেটো’ ক্ষমতার অধিকারী সদস্য।
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি, তিব্বতি আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে ওবামার বৈঠক, মার্কিন ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রার বিনিময় হার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। দুই নেতার এই টেলিফোন আলাপ যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে কিছুটা স্বাভাবিক করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা।
হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিশেষ বিমান এয়ারফোর্স ওয়ান থেকে প্রায় এক ঘণ্টা টেলিফোনে হু জিনতাওয়ের সঙ্গে আলাপ করেন ওবামা। ইরান যাতে আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলে, তা নিশ্চিত করতে একসঙ্গে কাজ করার ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন তিনি। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারেও তাঁদের মধ্যে আলাপ হয়েছে।
এই টেলিফোন আলাপের বিষয়ে এক বিবৃতিতে চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট হু জিনতাও দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক স্থিতিশীল ও স্বাচ্ছন্দ্যপূর্ণ রাখার ব্যাপারে জোর দিয়েছেন। তাইওয়ান ও তিব্বতের বিষয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব না বাড়ানোর ব্যাপারে ওবামাকে সতর্ক করেছেন তিনি। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে জি-২০ সম্মেলনের চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়েও কথা বলেছেন দুই নেতা।
ওবামাকে হু আরও বলেছেন, দুই পক্ষেরই উচিত পরস্পরের মূল স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোর প্রতি সম্মান দেখানো এবং স্পর্শকাতর বিষয়গুলো নিয়ে পারস্পরিক মতপার্থক্যগুলোর প্রতি যথাযথভাবে গুরুত্বারোপ করা। তাইওয়ান ও তিব্বতের বিষয়টি চীনের স্বার্বভৌমত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে সুসম্পর্ক ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে এসব বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করাটা ঠিক হবে না।
ওবামার আহ্বানের জবাবে চীনা প্রেসিডেন্ট বলেছেন, পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার ও পরমাণু সন্ত্রাস সমর্থন করে না বেইজিং। পরমাণু অস্ত্রের বিরুদ্ধে নিরাপত্তা জোরদারের আন্তর্জাতিক উদ্যোগকে সমর্থন করেন তাঁরা। তবে ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের পক্ষে কোনো মন্তব্য করা হয়নি ওই বিবৃতিতে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মার্কিন কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, ইরানের ওপর অবরোধ আরোপ নিয়ে জাতিসংঘে আলাদা বৈঠক করার ব্যাপারে রাজি হয়েছে চীন। ইরানের ওপর অবরোধ আরোপের প্রস্তাবের বিরোধিতা করে আসছে চীন। তাদের বক্তব্য, আলোচনার মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।
পশ্চিমা বিশ্ব ও ইসরায়েলের দাবি, ইরান পরমাণু বোমা তৈরির চেষ্টা করছে। কিন্তু ইরান বরাবর বলে আসছে, তাদের পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে পরিচালিত। ইরানের এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে যুক্তরাষ্ট্র ও এর মিত্র দেশগুলো পরমাণু কর্মসূচি বন্ধ করার ব্যাপারে চাপ দিয়ে আসছে। আর এরই ধারাবাহিকতায় ইরানের ওপর চতুর্থবারের মতো জাতিসংঘের অবরোধ আরোপ করতে চাইছে তারা। এ জন্য চীনের সমর্থন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ইরানের সঙ্গে চীনের গভীর বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। পাশাপাশি চীন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে ‘ভেটো’ ক্ষমতার অধিকারী সদস্য।
তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি, তিব্বতি আধ্যাত্মিক নেতা দালাই লামার সঙ্গে ওবামার বৈঠক, মার্কিন ডলারের বিপরীতে চীনের মুদ্রার বিনিময় হার ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। দুই নেতার এই টেলিফোন আলাপ যুক্তরাষ্ট্র-চীন সম্পর্ককে কিছুটা স্বাভাবিক করবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বিশ্লেষকেরা।
No comments