দেশাইয়ের বিশ্বকাপ
খেলা ছেড়েছেন অনেক দিন হলো। কিন্তু খেলা পিছু ছাড়ছে না তাঁর। ফ্রান্স ছেড়ে চলে গেছেন জন্মভূমি ঘানায়। আক্রায় বসে টিভিতে খেলা দেখেন। চলতি পথে হঠাৎ থেমে যান পাশের দোকানে সাজিয়ে রাখা টিভির সামনে। জনা পঞ্চাশেক মানুষের ভিড়ে মার্সেল দেশাইও তখন সাধারণ এক দর্শক।
ছয় বছর খেলেছেন চেলসিতে। এর আগে খেলেছেন অলিম্পিক মার্শেই আর এসি মিলানের হয়ে। এই দুটো ক্লাবের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। ক্লাবের পাশাপাশি সাবেক এই ডিফেন্ডারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও ছিল বর্ণাঢ্য। ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ফ্রান্সের হয়ে জিতেছেন ২০০০ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০০১ আর ২০০৩ কনফেডারেশনস কাপের শিরোপাও।
গত বিশ্বকাপে বিবিসির ভাষ্যকার হিসেবে কাছে থেকে দেখেছেন ফাইনালে উঠেও কীভাবে শিরোপা মুঠো থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্সের। এবার অবশ্য ফরাসিদের শিরোপা জয়ের তেমন কোনো সম্ভাবনাই দেশাই দেখছেন না, ‘২০০৬ সালের অবস্থায় এখন আর আমরা নেই। তখন আমাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিল, যারা ছিল নিজেদের সেরা ফর্মে। ভিয়েরা, ম্যাকেলেলে, থুরাম, বার্থেজ, জিদান...এদের মতো কেউ আর এখন নেই।’
আর্জেন্টিনাকেই এবার শিরোপার মূল দাবিদার মনে করছেন এই ৪১ বছর বয়সী, ‘অবশ্যই আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনাই জিতবে। কোচ হিসেবে ম্যারাডোনাকে নিয়ে লোকে প্রশ্ন তুলতে পারে। কিন্তু আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় তালিকার দিকে তাকিয়েছেন? লিওনেল মেসির কথা যদি বাদও দেন, এর বাইরেও ওদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে।’
দেশাইয়ের দ্বিতীয় পছন্দের নাম ইংল্যান্ড এবং তিনি মনে করেন, ফাইনালটা হবে আর্জেন্টিনা বনাম ইংল্যান্ড। ফ্যাবিও ক্যাপেলোকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন মিলানে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ‘ক্যাপেলো দলকে অনেক সংগঠিত করে তোলেন। ইংল্যান্ড দলটা সুসংগঠিত হলে কতটা দুর্ধর্ষ, সেটা বাছাইপর্বেই দেখা গেছে। তিনি আসার আগে ইংল্যান্ডের এই একই দল কিন্তু ইউরোতেই যেতে পারেনি। কারণ তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ছিল না।’
ফ্রান্সের হয়ে খেলেছেন, ক্লাব ফুটবলের প্রায় পুরোটাই ইউরোপে। তাঁর পরও নাড়ির টান বলে কথা। সব সময়ই আফ্রিকার জন্য তাঁর হূদয়ে আলাদা জায়গা ছিল বরাদ্দ। সেই আফ্রিকাতেই প্রথমবারের মতো বসছে বিশ্বকাপের আসর। দেশাই নিশ্চয়ই উচ্ছ্বসিত? উচ্ছ্বাস-আনন্দ আছেই। বাস্তববাদী দেশাই এ-ও স্বীকার করছেন, আফ্রিকার বিশ্বকাপে আফ্রিকান কোনো দল সাফল্য না পেলে ম্যাড়মেড়েই হয়ে যাবে সব আয়োজন। ‘মিসর বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারলে ভালো হতো। হয়তো ওরা ফাইনালেও যেতে পারত। নিজেদের দেশে খেলবে বলে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো বাড়তি একটা শক্তি পাবে। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হবে না। আইভরিকোস্ট, ঘানা, এমনকি ক্যামেরুনও নিজেদের দিনে যেকোনো দলকে হারাতে পারে। কিন্তু সব মিলে আফ্রিকান দেশগুলোর জন্য বিশ্বকাপটা কঠিনই হবে’—বোঝাই যাচ্ছে, খুব বেশি আশা নিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে বসবেন না দেশাই!
ছয় বছর খেলেছেন চেলসিতে। এর আগে খেলেছেন অলিম্পিক মার্শেই আর এসি মিলানের হয়ে। এই দুটো ক্লাবের হয়ে জিতেছেন চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা। ক্লাবের পাশাপাশি সাবেক এই ডিফেন্ডারের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারও ছিল বর্ণাঢ্য। ১৯৯৮ বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন। ফ্রান্সের হয়ে জিতেছেন ২০০০ ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ, ২০০১ আর ২০০৩ কনফেডারেশনস কাপের শিরোপাও।
গত বিশ্বকাপে বিবিসির ভাষ্যকার হিসেবে কাছে থেকে দেখেছেন ফাইনালে উঠেও কীভাবে শিরোপা মুঠো থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল ফ্রান্সের। এবার অবশ্য ফরাসিদের শিরোপা জয়ের তেমন কোনো সম্ভাবনাই দেশাই দেখছেন না, ‘২০০৬ সালের অবস্থায় এখন আর আমরা নেই। তখন আমাদের অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় ছিল, যারা ছিল নিজেদের সেরা ফর্মে। ভিয়েরা, ম্যাকেলেলে, থুরাম, বার্থেজ, জিদান...এদের মতো কেউ আর এখন নেই।’
আর্জেন্টিনাকেই এবার শিরোপার মূল দাবিদার মনে করছেন এই ৪১ বছর বয়সী, ‘অবশ্যই আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনাই জিতবে। কোচ হিসেবে ম্যারাডোনাকে নিয়ে লোকে প্রশ্ন তুলতে পারে। কিন্তু আর্জেন্টিনার খেলোয়াড় তালিকার দিকে তাকিয়েছেন? লিওনেল মেসির কথা যদি বাদও দেন, এর বাইরেও ওদের অনেক প্রতিভাবান খেলোয়াড় আছে।’
দেশাইয়ের দ্বিতীয় পছন্দের নাম ইংল্যান্ড এবং তিনি মনে করেন, ফাইনালটা হবে আর্জেন্টিনা বনাম ইংল্যান্ড। ফ্যাবিও ক্যাপেলোকে কোচ হিসেবে পেয়েছিলেন মিলানে। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলছেন, ‘ক্যাপেলো দলকে অনেক সংগঠিত করে তোলেন। ইংল্যান্ড দলটা সুসংগঠিত হলে কতটা দুর্ধর্ষ, সেটা বাছাইপর্বেই দেখা গেছে। তিনি আসার আগে ইংল্যান্ডের এই একই দল কিন্তু ইউরোতেই যেতে পারেনি। কারণ তাদের মধ্যে শৃঙ্খলা ছিল না।’
ফ্রান্সের হয়ে খেলেছেন, ক্লাব ফুটবলের প্রায় পুরোটাই ইউরোপে। তাঁর পরও নাড়ির টান বলে কথা। সব সময়ই আফ্রিকার জন্য তাঁর হূদয়ে আলাদা জায়গা ছিল বরাদ্দ। সেই আফ্রিকাতেই প্রথমবারের মতো বসছে বিশ্বকাপের আসর। দেশাই নিশ্চয়ই উচ্ছ্বসিত? উচ্ছ্বাস-আনন্দ আছেই। বাস্তববাদী দেশাই এ-ও স্বীকার করছেন, আফ্রিকার বিশ্বকাপে আফ্রিকান কোনো দল সাফল্য না পেলে ম্যাড়মেড়েই হয়ে যাবে সব আয়োজন। ‘মিসর বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারলে ভালো হতো। হয়তো ওরা ফাইনালেও যেতে পারত। নিজেদের দেশে খেলবে বলে দক্ষিণ আফ্রিকা হয়তো বাড়তি একটা শক্তি পাবে। কিন্তু তাতে খুব একটা কাজ হবে না। আইভরিকোস্ট, ঘানা, এমনকি ক্যামেরুনও নিজেদের দিনে যেকোনো দলকে হারাতে পারে। কিন্তু সব মিলে আফ্রিকান দেশগুলোর জন্য বিশ্বকাপটা কঠিনই হবে’—বোঝাই যাচ্ছে, খুব বেশি আশা নিয়ে বিশ্বকাপ দেখতে বসবেন না দেশাই!
No comments