আজ তামিম-নাফিস ফাইনাল
বাংলাদেশ কিংবা ভারতের মতো আরব আমিরাতের এখানে-ওখানে ক্রিকেট দেখা যায় না, যা একটু চোখে পড়ে ফুটবল। কারণ এ খেলাটি এখানে বহুল জনপ্রিয়। তবে কাল সকালে দুবাইয়ের বিখ্যাত পর্যটনকেন্দ্র জুমেইরা সমুদ্রসৈকতে গিয়ে ক্রিকেট দর্শন করা গেছে। ফুটবলের পাশাপাশি পর্যটকদের কেউ কেউ মেতেছিল ক্রিকেট নিয়েও। অবশ্যই শৌখিন ক্রিকেট।
জুমেইরা থেকে শারজা মাঠে এসে দেখা গেছে আসল ক্রিকেট। যেখানে ইমরান নাজিরের তাণ্ডবে উড়ে গেছে টুর্নামেন্টের বহুল আলোচিত দল পাইরেটস অব চিটাগাং। নাজিরের ৮৭ রানের ঝড়ে ৭ উইকেটে জিতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্স পৌঁছেছে ফাইনালে। ফাইনালে ব্রাদার্সের প্রতিপক্ষ চিটাগং টাইগার্স। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের বাংলা টাইগার্সদের ১১৭ রানে হারিয়েছে তারা। আজ অনুষ্ঠিত হবে আলোচিত-সমালোচিত পিসিএলের ফাইনাল। আর এটি হবে তামিম ও নাফিস ইকবালের দ্বৈরথ।
আগের দিন মোহামেডানের বিপক্ষে গ্রুপ লিগের ম্যাচে ইমরান খেলেছিলেন অপরাজিত ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ৪২ বলের এই ইনিংসে তাঁর দুটি ছক্কায় বলও হারিয়ে গিয়েছিল। কাল যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন আবার। ১৮০ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ব্রাদার্স প্রথম ওভারেই জুনায়েদ সিদ্দিকের উইকেট হারালেও ইমরান নাজির তা বুঝতেই দেননি। ৪১ বলের ইনিংসটিতে ১০টি ছক্কা ও ৪টি চার। এদিনও একবার বল বদলাতে হয় তাঁর ছক্কার কারণে। ২১ বলে ফিফটি। ১১তম ওভারে আরাফাত সানির বলে যখন আউট হয়ে ফিরছেন, ব্রাদার্সের রান ১১৯—ম্যাচের মীমাংসা হয়েই গেছে। বাকি কাজটা সেরেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে ডাক পাওয়া ইমরুল কায়েস (৩৩) ও জহুরুল ইসলাম (৩১)। ব্রাদার্স ১৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাইরেটস করেছিল ৮ উইকেটে ১৭৯ রান। এখানেও পাকিস্তানিদের ব্যাটে রান—রাশেদ হানিফ করেছেন সর্বোচ্চ ৪১ রান, ইয়াসির হামিদ ২৫।
ম্যাচ শেষে ইমরান নাজির ভিআইপি গ্যালারিতে বসা কিছু পাকিস্তানি ভক্তের সঙ্গে করমর্দন করেন। যেটিকে বলা যেতে পারে কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। তাঁর ব্যাটিংয়ের সময় সারাক্ষণই তাঁরা নেচেছেন, করেছেন হইহুল্লোড়। পাশের গ্যালারিতে ছিলেন ব্রাদার্সের আজহার মাহমুদের স্ত্রীও। ইমরানের পর তামিমও গ্যালারিতে এসে তাঁর মা-ভাবিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর দল চিটাগং টাইগার্সের ৬ উইকেটে ১৮৯ রানের জবাবে বাংলা টাইগার্স অলআউট হয় মাত্র ৭২ রানে।
তবে গতকাল তাঁদের ছাপিয়ে এই প্রথম শারজাহ স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন প্রবাসী বাঙালিরা। সংখ্যায় বেশি না হলেও কাল শুক্রবার হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় উপস্থিতি ছিল বেশি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা বাড়ছিল। ইমরান নাজিরের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের ছক্কা-চারের সময়ও তারা মেতেছিল উল্লাসে। তাদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। যেসবে লেখা ছিল—‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করো—প্রবাসী বাঙালি’, ‘রাজাকারদের ফাঁসি চাই’।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাইরেটস অব চিটাগং: ২০ ওভারে ১৭৯/৮ (রাশেদ হানিফ ৪১, ইয়াসির হামিদ ২৫, জেনিসার খান ২৪, অলক ২৪; রাজ্জাক ৪-০-৩৯-২, রফিক ৪-০-৩২-১, জিয়াউর ৪-০-৩৯-১, তারেক ৪-০-৪৫-১, আজহার মাহমুদ ৪-০-১৪-১)। ব্রাদার্স: ১৬.৫ ওভারে ১৮০/৩ (ইমরান নাজির ৮৭, ইমরুল অপ. ৩৩, জহিরুল অপ. ৩১; রাশেদ ৪-০-৩৫-১, আরাফাত সানি ৪-০-৩১-১)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমরান নাজির।
চিটাগং টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৮৯/৬ (তামিম ইকবাল ৫৫, লু ভিনসেন্ট ৩৪, শামসুর রহমান ৩২, খুররম মঞ্জুর ৩০, শচীন রানা ১/২০, রাজেশ শর্মা ১/১৯)। বাংলা টাইগার্স, ইন্ডিয়া : ১৪.৪ ওভারে ৭২/৯ (হেমন্ত কুমার ৩০, এনামুল হক ২/৯, মাহমুদুল্লাহ ২/১৮, আলাউদ্দিন ২/২৩)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল
জুমেইরা থেকে শারজা মাঠে এসে দেখা গেছে আসল ক্রিকেট। যেখানে ইমরান নাজিরের তাণ্ডবে উড়ে গেছে টুর্নামেন্টের বহুল আলোচিত দল পাইরেটস অব চিটাগাং। নাজিরের ৮৭ রানের ঝড়ে ৭ উইকেটে জিতে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাদার্স পৌঁছেছে ফাইনালে। ফাইনালে ব্রাদার্সের প্রতিপক্ষ চিটাগং টাইগার্স। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ভারতের বাংলা টাইগার্সদের ১১৭ রানে হারিয়েছে তারা। আজ অনুষ্ঠিত হবে আলোচিত-সমালোচিত পিসিএলের ফাইনাল। আর এটি হবে তামিম ও নাফিস ইকবালের দ্বৈরথ।
আগের দিন মোহামেডানের বিপক্ষে গ্রুপ লিগের ম্যাচে ইমরান খেলেছিলেন অপরাজিত ৬৩ রানের ঝোড়ো ইনিংস। ৪২ বলের এই ইনিংসে তাঁর দুটি ছক্কায় বলও হারিয়ে গিয়েছিল। কাল যেন সেখান থেকেই শুরু করলেন আবার। ১৮০ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে ব্রাদার্স প্রথম ওভারেই জুনায়েদ সিদ্দিকের উইকেট হারালেও ইমরান নাজির তা বুঝতেই দেননি। ৪১ বলের ইনিংসটিতে ১০টি ছক্কা ও ৪টি চার। এদিনও একবার বল বদলাতে হয় তাঁর ছক্কার কারণে। ২১ বলে ফিফটি। ১১তম ওভারে আরাফাত সানির বলে যখন আউট হয়ে ফিরছেন, ব্রাদার্সের রান ১১৯—ম্যাচের মীমাংসা হয়েই গেছে। বাকি কাজটা সেরেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলে ডাক পাওয়া ইমরুল কায়েস (৩৩) ও জহুরুল ইসলাম (৩১)। ব্রাদার্স ১৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে পাইরেটস করেছিল ৮ উইকেটে ১৭৯ রান। এখানেও পাকিস্তানিদের ব্যাটে রান—রাশেদ হানিফ করেছেন সর্বোচ্চ ৪১ রান, ইয়াসির হামিদ ২৫।
ম্যাচ শেষে ইমরান নাজির ভিআইপি গ্যালারিতে বসা কিছু পাকিস্তানি ভক্তের সঙ্গে করমর্দন করেন। যেটিকে বলা যেতে পারে কৃতজ্ঞতার প্রকাশ। তাঁর ব্যাটিংয়ের সময় সারাক্ষণই তাঁরা নেচেছেন, করেছেন হইহুল্লোড়। পাশের গ্যালারিতে ছিলেন ব্রাদার্সের আজহার মাহমুদের স্ত্রীও। ইমরানের পর তামিমও গ্যালারিতে এসে তাঁর মা-ভাবিদের সঙ্গে দেখা করেছেন। তাঁর দল চিটাগং টাইগার্সের ৬ উইকেটে ১৮৯ রানের জবাবে বাংলা টাইগার্স অলআউট হয় মাত্র ৭২ রানে।
তবে গতকাল তাঁদের ছাপিয়ে এই প্রথম শারজাহ স্টেডিয়াম মাতিয়েছেন প্রবাসী বাঙালিরা। সংখ্যায় বেশি না হলেও কাল শুক্রবার হওয়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় উপস্থিতি ছিল বেশি। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এই সংখ্যা বাড়ছিল। ইমরান নাজিরের ইনিংসের পর দ্বিতীয় ম্যাচে তামিম ইকবালের ছক্কা-চারের সময়ও তারা মেতেছিল উল্লাসে। তাদের হাতে ছিল প্লাকার্ড। যেসবে লেখা ছিল—‘যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করো—প্রবাসী বাঙালি’, ‘রাজাকারদের ফাঁসি চাই’।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাইরেটস অব চিটাগং: ২০ ওভারে ১৭৯/৮ (রাশেদ হানিফ ৪১, ইয়াসির হামিদ ২৫, জেনিসার খান ২৪, অলক ২৪; রাজ্জাক ৪-০-৩৯-২, রফিক ৪-০-৩২-১, জিয়াউর ৪-০-৩৯-১, তারেক ৪-০-৪৫-১, আজহার মাহমুদ ৪-০-১৪-১)। ব্রাদার্স: ১৬.৫ ওভারে ১৮০/৩ (ইমরান নাজির ৮৭, ইমরুল অপ. ৩৩, জহিরুল অপ. ৩১; রাশেদ ৪-০-৩৫-১, আরাফাত সানি ৪-০-৩১-১)।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমরান নাজির।
চিটাগং টাইগার্স: ২০ ওভারে ১৮৯/৬ (তামিম ইকবাল ৫৫, লু ভিনসেন্ট ৩৪, শামসুর রহমান ৩২, খুররম মঞ্জুর ৩০, শচীন রানা ১/২০, রাজেশ শর্মা ১/১৯)। বাংলা টাইগার্স, ইন্ডিয়া : ১৪.৪ ওভারে ৭২/৯ (হেমন্ত কুমার ৩০, এনামুল হক ২/৯, মাহমুদুল্লাহ ২/১৮, আলাউদ্দিন ২/২৩)। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: তামিম ইকবাল
No comments