গিনি বিসাউয়ে সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টা, সেনাপ্রধানসহ ৪১ কর্মকর্তা গ্রেপ্তার
পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গিনি বিসাউয়ে গত বৃহস্পতিবার সামরিক অভ্যুত্থানের চেষ্টা করেছে বিদ্রোহী সেনারা। তারা সেনাপ্রধানসহ ৪১ সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করেছে। বিদ্রোহীরা একপর্যায়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী কার্লোস গোমেজ জুনিয়রকে আটক করে গৃহবন্দী করে রাখে। পরে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
সরকারের মুখপাত্র মামাদো দিজাউ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্লোস গোমেজ জুনিয়রকে গৃহবন্দী থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী তাঁর বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে সেখানে পুলিশ রয়েছে।
গিনি বিসাউয়ের এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইসিওডব্লিউএএসসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছে। তারা শিগগিরই সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানায়। পর্তুগাল ও ফ্রান্স ঘটনাটিকে সামরিক অভ্যুত্থান বলে অভিহিত করেছে।
তবে বিদ্রোহীদের নেতা উপসেনাপ্রধান অ্যান্তনি ইন্দজাই দাবি করেন, সামরিক সমস্যার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। এটা কোনো অভ্যুত্থান নয়।
সামরিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে গোমেজকে আটক করে সাবেক সেনা সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে তাঁর কার্যালয়ে আনা হয়। এর আগে গোমেজের বাড়ি ঘিরে রাখে সেনারা। সেনা সূত্র জানায়, ‘আমরা জানি না, তাঁর সঙ্গে কী করা হয়েছে।’
বিদ্রোহী সেনারা সেনাপ্রধান জেনারেল জোসে জামোরা ইন্দুতা ও ৪০ জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দরের কাছে বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের সময় সামরিক সংগীত বাজিয়ে জাতীয় রেডিও সম্প্রচারে ব্যাঘাত ঘটানো হয়, যা সামরিক অভ্যুত্থানের লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
এদিকে গোমেজের শত শত সমর্থক রাজধানী বিসাউয়ে জড়ো হয়ে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল ইন্দজাই বলেন, ‘রাস্তাঘাটে লোকজন জমায়েত হয়, এমন কোনো কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন। যদি তা না করেন কাদোগো (গোমেজের ডাক নাম) হত্যা করব আমরা।’ রাগান্বিত ইন্দজাই বার্তা সংস্থা এএফপিকে সংক্ষিপ্ত এক টেলিফোন সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘কাদোগো একজন অপরাধী। তাঁর বিচার হওয়া উচিত।’
পরে গিনি বিসাউয়ের পর্তুগুয়েজ রেডিওতে প্রচারিত বিবৃতিতে ইন্দজাই বলেন, রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট মালাম বাকাই সানহা জানেন যে সেনাপ্রধান ইন্দুতাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বন্দী করা হয়েছে।
পর্তুগালস অ্যান্টেনা ওয়ান-এ প্রচারিত বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট সানহা বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাদের মধ্যে সমস্যা থাকায় তা বেসামরিক সরকারকেও স্পর্শ করে। পরিস্থিতি শান্ত ও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা।’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গিনি বিসাউয়ের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মাদকদ্রব্য বিশেষ করে কোকেন পাচারে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে মূল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করছে গিনি বিসাউ। পর্তুগিজদের উপনিবেশ থেকে ১৯৭৪ সালে স্বাধীনতা লাভ করে গিনি বিসাউ। এরপর বেশ কয়েকবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে সে দেশে। গত বছরের মার্চ মাসে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে হত্যার পর এর প্রতিশোধ নিতে সেনারা প্রেসিডেন্ট জোয়াও বার্নারদো ভিয়েইরাকে হত্যা করে। এর পরেই গিনি বিসাউয়ে নতুন করে সংকট তৈরি হয়।
সরকারের মুখপাত্র মামাদো দিজাউ বলেন, প্রধানমন্ত্রী কার্লোস গোমেজ জুনিয়রকে গৃহবন্দী থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেনাবাহিনী তাঁর বাড়ি ছেড়ে চলে গেছে। তবে নিরাপত্তার খাতিরে সেখানে পুলিশ রয়েছে।
গিনি বিসাউয়ের এ ঘটনায় ইতিমধ্যে জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, পর্তুগাল, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আফ্রিকান ইউনিয়ন, পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলোর জোট ইসিওডব্লিউএএসসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে নিন্দা জানিয়েছে। তারা শিগগিরই সাংবিধানিক শাসনব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি জানায়। পর্তুগাল ও ফ্রান্স ঘটনাটিকে সামরিক অভ্যুত্থান বলে অভিহিত করেছে।
তবে বিদ্রোহীদের নেতা উপসেনাপ্রধান অ্যান্তনি ইন্দজাই দাবি করেন, সামরিক সমস্যার কারণে ঘটনাটি ঘটেছে। এটা কোনো অভ্যুত্থান নয়।
সামরিক সূত্র জানায়, গত বৃহস্পতিবার সকালে গোমেজকে আটক করে সাবেক সেনা সদর দপ্তরে নেওয়া হয়। পরে তাঁকে তাঁর কার্যালয়ে আনা হয়। এর আগে গোমেজের বাড়ি ঘিরে রাখে সেনারা। সেনা সূত্র জানায়, ‘আমরা জানি না, তাঁর সঙ্গে কী করা হয়েছে।’
বিদ্রোহী সেনারা সেনাপ্রধান জেনারেল জোসে জামোরা ইন্দুতা ও ৪০ জন কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দরের কাছে বিমান ঘাঁটিতে নিয়ে যায়। গ্রেপ্তারের সময় সামরিক সংগীত বাজিয়ে জাতীয় রেডিও সম্প্রচারে ব্যাঘাত ঘটানো হয়, যা সামরিক অভ্যুত্থানের লক্ষণ বলে মনে করা হয়।
এদিকে গোমেজের শত শত সমর্থক রাজধানী বিসাউয়ে জড়ো হয়ে তাঁকে মুক্তি দেওয়ার দাবি জানায়। বৃহস্পতিবার রাতে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া হয়।
এক সংবাদ সম্মেলনে জেনারেল ইন্দজাই বলেন, ‘রাস্তাঘাটে লোকজন জমায়েত হয়, এমন কোনো কিছু বলা থেকে বিরত থাকুন। যদি তা না করেন কাদোগো (গোমেজের ডাক নাম) হত্যা করব আমরা।’ রাগান্বিত ইন্দজাই বার্তা সংস্থা এএফপিকে সংক্ষিপ্ত এক টেলিফোন সাক্ষাত্কারে বলেন, ‘কাদোগো একজন অপরাধী। তাঁর বিচার হওয়া উচিত।’
পরে গিনি বিসাউয়ের পর্তুগুয়েজ রেডিওতে প্রচারিত বিবৃতিতে ইন্দজাই বলেন, রাজনৈতিক কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করতে পারে সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট মালাম বাকাই সানহা জানেন যে সেনাপ্রধান ইন্দুতাকে ক্ষমতাচ্যুত করে বন্দী করা হয়েছে।
পর্তুগালস অ্যান্টেনা ওয়ান-এ প্রচারিত বিবৃতিতে প্রেসিডেন্ট সানহা বলেন, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেনাদের মধ্যে সমস্যা থাকায় তা বেসামরিক সরকারকেও স্পর্শ করে। পরিস্থিতি শান্ত ও সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি আমরা।’
জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন গিনি বিসাউয়ের সামরিক ও রাজনৈতিক নেতাদের বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
মাদকদ্রব্য বিশেষ করে কোকেন পাচারে দক্ষিণ আমেরিকা ও ইউরোপের মধ্যে মূল সংযোগস্থল হিসেবে কাজ করছে গিনি বিসাউ। পর্তুগিজদের উপনিবেশ থেকে ১৯৭৪ সালে স্বাধীনতা লাভ করে গিনি বিসাউ। এরপর বেশ কয়েকবার সামরিক অভ্যুত্থান ঘটেছে সে দেশে। গত বছরের মার্চ মাসে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানকে হত্যার পর এর প্রতিশোধ নিতে সেনারা প্রেসিডেন্ট জোয়াও বার্নারদো ভিয়েইরাকে হত্যা করে। এর পরেই গিনি বিসাউয়ে নতুন করে সংকট তৈরি হয়।
No comments