ঠিকমতো দায়িত্ব পালন করছেন না ভারতের লোকসভার সদস্যরা by দীপাঞ্জন রায় চৌধুরী
সংসদীয় দায়িত্ব পালনে অবহেলার কারণে ভারতীয় পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ লোকসভার সদস্যরা সরকারি কোষাগারের জন্য বোঝা হয়ে উঠছেন। সম্প্রতি একটি বেসরকারি সংস্থার গবেষণা প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। গত ২৬ নভেম্বর লোকসভার অধিবেশনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে আলোচনার সময় মাত্র ২৬ জন সদস্য উপস্থিত ছিলেন। আর ৩০ নভেম্বর প্রশ্নোত্তর পর্বে উপস্থিত সাংসদের সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫ জন।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, লোকসভার একটি অধিবেশনে প্রতি ঘণ্টার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হয় ১৫ লাখ রুপি। অথচ সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে ৪৮ শতাংশ সাংসদই অনুপস্থিত ছিলেন। দিল্লিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের শাখা পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চ এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করে।
গবেষণায় জানানো হয়, লোকসভায় ২০৬ জন এমপি সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে তেমন চিন্তিত নন। তাঁদের মধ্যে ১১৩ জন সদস্য বাজেট ও শীতকালীন অধিবেশনে কোনো প্রশ্ন করেননি। আর বাকি ৯৩ জন সদস্যের প্রত্যেকে গড়ে ১০টিরও কম প্রশ্ন করেছেন। এ ছাড়া রীতি অনুযায়ী মন্ত্রিসভার ৬৪ জন সদস্য এবং স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতা অধিবেশনে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন না। সুতরাং এই ৬৭ জনকে বাদ দিলে বলা যায়, ৫৪৪ জন সদস্যের লোকসভার প্রায় অর্ধেক সদস্যই বাজেট ও শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেননি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকসভার ৪৮ শতাংশ সদস্যই অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নেননি। যাঁরা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশ আবার একটি বা দুটি বিষয়ে নিজেদের আটকে রেখেছেন। মাত্র তিন শতাংশ সদস্য ১০টির বেশি বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আর এই চুপচাপ থাকার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোয় সরকারকে ছাড় দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
এ ব্যাপারে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ রমেশ বাইস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো এই সমস্যা সম্পর্কে জানে, কিন্তু দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বুঝতে পারছেন না কীভাবে এর সমাধান করবেন। আজকাল সংসদীয় কাজে আইনসভার সদস্যদের অংশগ্রহণ কমছে। এল কে আদভানির মতো শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বারংবার নির্দেশের পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
লোকসভার অধিবেশনে সাংসদদের উপস্থিতিও সন্তোষজনক নয়। বাজেট ও শীতকালীন অধিবেশনে মাত্র ১৫ জন সাংসদ সব সময় উপস্থিত ছিলেন। কমপক্ষে ২৫ জন সাংসদ অর্ধেকের বেশি আলোচনায় অনুপস্থিত ছিলেন। ওই দুই অধিবেশনে সবচেয়ে কম উপস্থিত ছিলেন তেলেগু চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ও সাংসদ বিজয়া শান্তি। তাঁর উপস্থিতির হার মাত্র ১৭ শতাংশ। আর শতভাগ উপস্থিত ছিলেন সিপিআইয়ের সাংসদ গুরুদাস দাসগুপ্ত, কংগ্রেসের সাংসদ একনাথ মহাদেব গায়কোয়াড়, জেডি-ইউর সাংসদ রাজীব রঞ্জন সিং ও সিপিআইএমের সাংসদ এম বি রাজেশ। আর আরেক তেলেগু চলচ্চিত্রাভিনেতা জে কে রিথিশ ও সাবেক ক্রিকেটার নভজিত্ সিংয়ের মতো সাংসদদের উপস্থিতি ৪০ শতাংশের কম।
এম বি রাজেশ বললেন, সাংসদ হিসেবে প্রথম লোকসভায় এসেছেন তিনি। অধিবেশনে যোগ দেওয়াকে দায়িত্ব বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যৌক্তিক কারণ ছাড়া সাংসদদের অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকা ঠিক না।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, লোকসভার একটি অধিবেশনে প্রতি ঘণ্টার জন্য সরকারি কোষাগার থেকে খরচ হয় ১৫ লাখ রুপি। অথচ সদ্যসমাপ্ত শীতকালীন অধিবেশনে ৪৮ শতাংশ সাংসদই অনুপস্থিত ছিলেন। দিল্লিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি রিসার্চের শাখা পিআরএস লেজিসলেটিভ রিসার্চ এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করে।
গবেষণায় জানানো হয়, লোকসভায় ২০৬ জন এমপি সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে তেমন চিন্তিত নন। তাঁদের মধ্যে ১১৩ জন সদস্য বাজেট ও শীতকালীন অধিবেশনে কোনো প্রশ্ন করেননি। আর বাকি ৯৩ জন সদস্যের প্রত্যেকে গড়ে ১০টিরও কম প্রশ্ন করেছেন। এ ছাড়া রীতি অনুযায়ী মন্ত্রিসভার ৬৪ জন সদস্য এবং স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার ও বিরোধীদলীয় নেতা অধিবেশনে প্রশ্ন উত্থাপন করতে পারেন না। সুতরাং এই ৬৭ জনকে বাদ দিলে বলা যায়, ৫৪৪ জন সদস্যের লোকসভার প্রায় অর্ধেক সদস্যই বাজেট ও শীতকালীন অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেননি।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, লোকসভার ৪৮ শতাংশ সদস্যই অধিবেশনে আলোচনায় অংশ নেননি। যাঁরা আলোচনায় অংশ নিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২৫ শতাংশ আবার একটি বা দুটি বিষয়ে নিজেদের আটকে রেখেছেন। মাত্র তিন শতাংশ সদস্য ১০টির বেশি বিষয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। আর এই চুপচাপ থাকার মাধ্যমে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের সিদ্ধান্ত ও জলবায়ু পরিবর্তনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোয় সরকারকে ছাড় দিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।
এ ব্যাপারে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সাংসদ রমেশ বাইস বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো এই সমস্যা সম্পর্কে জানে, কিন্তু দলের শীর্ষস্থানীয় নেতারা বুঝতে পারছেন না কীভাবে এর সমাধান করবেন। আজকাল সংসদীয় কাজে আইনসভার সদস্যদের অংশগ্রহণ কমছে। এল কে আদভানির মতো শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বারংবার নির্দেশের পরও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি।
লোকসভার অধিবেশনে সাংসদদের উপস্থিতিও সন্তোষজনক নয়। বাজেট ও শীতকালীন অধিবেশনে মাত্র ১৫ জন সাংসদ সব সময় উপস্থিত ছিলেন। কমপক্ষে ২৫ জন সাংসদ অর্ধেকের বেশি আলোচনায় অনুপস্থিত ছিলেন। ওই দুই অধিবেশনে সবচেয়ে কম উপস্থিত ছিলেন তেলেগু চলচ্চিত্রাভিনেত্রী ও সাংসদ বিজয়া শান্তি। তাঁর উপস্থিতির হার মাত্র ১৭ শতাংশ। আর শতভাগ উপস্থিত ছিলেন সিপিআইয়ের সাংসদ গুরুদাস দাসগুপ্ত, কংগ্রেসের সাংসদ একনাথ মহাদেব গায়কোয়াড়, জেডি-ইউর সাংসদ রাজীব রঞ্জন সিং ও সিপিআইএমের সাংসদ এম বি রাজেশ। আর আরেক তেলেগু চলচ্চিত্রাভিনেতা জে কে রিথিশ ও সাবেক ক্রিকেটার নভজিত্ সিংয়ের মতো সাংসদদের উপস্থিতি ৪০ শতাংশের কম।
এম বি রাজেশ বললেন, সাংসদ হিসেবে প্রথম লোকসভায় এসেছেন তিনি। অধিবেশনে যোগ দেওয়াকে দায়িত্ব বলে মনে করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যৌক্তিক কারণ ছাড়া সাংসদদের অধিবেশনে অনুপস্থিত থাকা ঠিক না।
No comments