এক আফগান যুবকের সংস্কৃতিচর্চার যুদ্ধ
‘কাউকে যখন বলি, আমি আফগানিস্তান থেকে এসেছি, তখন প্রথমেই তাঁর মুখ থেকে যে শব্দগুলো বেরিয়ে আসে সেগুলো হলো—ওসামা, তালেবান ও যুদ্ধ।’ কথাগুলো আফগানিস্তানের পপসংগীতের প্রতিভা খোঁজার অনুষ্ঠান আফগান স্টার-এর সাবেক উপস্থাপক দাউদ সিদ্দিকির।
২০০৯ সালটি দাউদ সিদ্দিকির জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও পয়মন্ত একটি বছর। এই বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে দ্য সানডান্স চলচ্চিত্র উত্সবে যোগ দেন তিনি। উদ্দেশ্য আফগান স্টার-এর ওপর তৈরি করা একটি ব্রিটিশ তথ্যচিত্রের পক্ষে প্রচারণা চালানো। উত্সবে দুটো পুরস্কার অর্জন করে অনুষ্ঠানটি। আফগান স্টার তাঁর জীবনে এনে দিয়েছে তারকাখ্যাতি।
কিন্তু এত কিছুর পরও নিজের জীবনের ওপর তালেবান হুমকিতে বিচলিত দাউদ। আর কাবুলে ফিরে যেতে চান না তিনি। আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
আফগান স্টার শো এবং ব্রিটিশ তথ্যচিত্রের সুবাদে রাতারাতি সেলিব্রিটি বনে যান দাউদ। তবে নতুন পাওয়া এই খ্যাতি তাঁর জীবনের ওপর সৃষ্টি করেছে বেশুমার হুমকি।
ওয়াশিংটনে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে দাউদ বলেন, ‘আফগানিস্তানে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা চান না যে নারীরা নৃত্য করবে। তাঁরা দেশে গণতন্ত্র চান না। এমনকি বিশ্বায়নেরও বিপক্ষে তাঁরা। আধুনিক সংস্কৃতিও তাঁরা পছন্দ করেন না। আমাদের অনুষ্ঠান এ বিষয়গুলোকে উত্সাহ জুগিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আফগানিস্তানে নিরাপদ নই।’
কিন্তু এত ভীতিকর অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও দেশের প্রতি ভালোবাসা একটুও কমেনি দাউদের। নিজের দেশ সম্পর্কে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতিবাচক মনোভাব তাঁকে আহত করে।
তবে দাউদ বলেন, ‘আমি তাঁদের দোষ দিতে পারি না। টেলিভিশনে তাঁরা সব সময় যেটা দেখে থাকেন, সেটাই বলছেন। তবে বিশ্বাস করুন, আফগানিস্তানে ভালো ভালো গল্প রয়েছে। আছে অনেক ভালো মানুষ। আফগানিস্তান খুবই সুন্দর একটি দেশ।’
তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমার দিকে তাকান। আমি দেখতে তালেবানের মতো নই। আমি কাবুলে বড় হয়েছি। আমি একজন খাঁটি আফগান।’
বর্তমান ভয়েস অব আমেরিকায় (ভোয়া) কাজ করছেন দাউদ সিদ্দিকি। পশতু ভাষায় একটি কল-ইন রেডিও শো উপস্থাপনা করেন তিনি।
দাউদকে ভোয়ায় কাজ করার সুযোগ দিয়ে অনুতপ্ত নন রেডিওটির আফগান সার্ভিসের প্রধান বেথ মেনডেলসন। তিনি বলেন, দাউদ একজন মেধাবী তরুণ। তাঁর ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল।
বেথ মেনডেলসন বলেন, দেশের একজন বড় তারকার আবারও মিডিয়ায় ফিরে আসার বিষয়টি উপভোগ করছেন আফগানিস্তানে ভোয়ার শ্রোতারা।
আফগান স্টার-এর অর্জনে গর্বিত দাউদ। তিনি বলেন, এটা কোনো নিয়মিত রিয়ালিটি শো ছিল না। এটা ছিল গণতন্ত্র ও নারী অধিকারের একটি পরীক্ষা। সেখানে জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য ছিল। অনুষ্ঠানটি দেশের মানুষের মধ্যে আশাবাদ ফিরিয়ে এনেছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিকের পর্বগুলোতে নিজের জাতি-গোষ্ঠীর প্রতিযোগীদের সমর্থন দেওয়ার প্রবণতা ছিল দর্শকদের মধ্যে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসেন দর্শকেরা। প্রতিযোগীর সংখ্যা কমতে কমতে যখন তিনে এসে দাঁড়ায়, তখন জাতিগত পরিচয়ের চেয়ে মেধার স্বীকৃতি দিতে শুরু করেন দর্শকেরা।
তরুণ দর্শকেরা অনুষ্ঠানটিকে ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করে। স্মিত হাসিতে দাউদ বলেন, তবে নারীদর্শকেরা এখনো সুদর্শন পুরুষ প্রতিযোগীদেরই ভোট দিচ্ছেন।
এত খ্যাতি, ভোয়ায় কাজ করার সুযোগ সত্ত্বেও দেশকে ভুলতে পারছেন না তিনি। ছয় বোন, এক ভাই ও বাবা-মাকে রেখে এসেছেন বাড়িতে। তাঁরা সবাই কাবুলে বসবাস করছেন। এ ছাড়া অভাববোধ করছেন নিজের দর্শকদের।
দাউদ বলেন, ‘আমি যখন এ দেশে আসি, তখন আমি সবকিছু ফেলে এসেছি। আমি সবকিছু হারিয়েছি। আমি মরে গেছি। আপনি এখন যাকে দেখছেন, সে আফগান স্টার-এর উপস্থাপক নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় আমার পুনর্জন্ম হয়েছে।’
২০০৯ সালটি দাউদ সিদ্দিকির জন্য অত্যন্ত গুরুত্ববহ ও পয়মন্ত একটি বছর। এই বছরের জানুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রে দ্য সানডান্স চলচ্চিত্র উত্সবে যোগ দেন তিনি। উদ্দেশ্য আফগান স্টার-এর ওপর তৈরি করা একটি ব্রিটিশ তথ্যচিত্রের পক্ষে প্রচারণা চালানো। উত্সবে দুটো পুরস্কার অর্জন করে অনুষ্ঠানটি। আফগান স্টার তাঁর জীবনে এনে দিয়েছে তারকাখ্যাতি।
কিন্তু এত কিছুর পরও নিজের জীবনের ওপর তালেবান হুমকিতে বিচলিত দাউদ। আর কাবুলে ফিরে যেতে চান না তিনি। আশ্রয় প্রার্থনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রে।
আফগান স্টার শো এবং ব্রিটিশ তথ্যচিত্রের সুবাদে রাতারাতি সেলিব্রিটি বনে যান দাউদ। তবে নতুন পাওয়া এই খ্যাতি তাঁর জীবনের ওপর সৃষ্টি করেছে বেশুমার হুমকি।
ওয়াশিংটনে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাত্কারে দাউদ বলেন, ‘আফগানিস্তানে এমন অনেক মানুষ আছেন, যাঁরা চান না যে নারীরা নৃত্য করবে। তাঁরা দেশে গণতন্ত্র চান না। এমনকি বিশ্বায়নেরও বিপক্ষে তাঁরা। আধুনিক সংস্কৃতিও তাঁরা পছন্দ করেন না। আমাদের অনুষ্ঠান এ বিষয়গুলোকে উত্সাহ জুগিয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আফগানিস্তানে নিরাপদ নই।’
কিন্তু এত ভীতিকর অভিজ্ঞতা সত্ত্বেও দেশের প্রতি ভালোবাসা একটুও কমেনি দাউদের। নিজের দেশ সম্পর্কে পশ্চিমা দেশগুলোর নেতিবাচক মনোভাব তাঁকে আহত করে।
তবে দাউদ বলেন, ‘আমি তাঁদের দোষ দিতে পারি না। টেলিভিশনে তাঁরা সব সময় যেটা দেখে থাকেন, সেটাই বলছেন। তবে বিশ্বাস করুন, আফগানিস্তানে ভালো ভালো গল্প রয়েছে। আছে অনেক ভালো মানুষ। আফগানিস্তান খুবই সুন্দর একটি দেশ।’
তিনি ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, ‘আমার দিকে তাকান। আমি দেখতে তালেবানের মতো নই। আমি কাবুলে বড় হয়েছি। আমি একজন খাঁটি আফগান।’
বর্তমান ভয়েস অব আমেরিকায় (ভোয়া) কাজ করছেন দাউদ সিদ্দিকি। পশতু ভাষায় একটি কল-ইন রেডিও শো উপস্থাপনা করেন তিনি।
দাউদকে ভোয়ায় কাজ করার সুযোগ দিয়ে অনুতপ্ত নন রেডিওটির আফগান সার্ভিসের প্রধান বেথ মেনডেলসন। তিনি বলেন, দাউদ একজন মেধাবী তরুণ। তাঁর ভবিষ্যত্ উজ্জ্বল।
বেথ মেনডেলসন বলেন, দেশের একজন বড় তারকার আবারও মিডিয়ায় ফিরে আসার বিষয়টি উপভোগ করছেন আফগানিস্তানে ভোয়ার শ্রোতারা।
আফগান স্টার-এর অর্জনে গর্বিত দাউদ। তিনি বলেন, এটা কোনো নিয়মিত রিয়ালিটি শো ছিল না। এটা ছিল গণতন্ত্র ও নারী অধিকারের একটি পরীক্ষা। সেখানে জাতিগত গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য ছিল। অনুষ্ঠানটি দেশের মানুষের মধ্যে আশাবাদ ফিরিয়ে এনেছে।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিকের পর্বগুলোতে নিজের জাতি-গোষ্ঠীর প্রতিযোগীদের সমর্থন দেওয়ার প্রবণতা ছিল দর্শকদের মধ্যে। কিন্তু ধীরে ধীরে এই প্রবণতা থেকে বেরিয়ে আসেন দর্শকেরা। প্রতিযোগীর সংখ্যা কমতে কমতে যখন তিনে এসে দাঁড়ায়, তখন জাতিগত পরিচয়ের চেয়ে মেধার স্বীকৃতি দিতে শুরু করেন দর্শকেরা।
তরুণ দর্শকেরা অনুষ্ঠানটিকে ভিন্নভাবে দেখতে শুরু করে। স্মিত হাসিতে দাউদ বলেন, তবে নারীদর্শকেরা এখনো সুদর্শন পুরুষ প্রতিযোগীদেরই ভোট দিচ্ছেন।
এত খ্যাতি, ভোয়ায় কাজ করার সুযোগ সত্ত্বেও দেশকে ভুলতে পারছেন না তিনি। ছয় বোন, এক ভাই ও বাবা-মাকে রেখে এসেছেন বাড়িতে। তাঁরা সবাই কাবুলে বসবাস করছেন। এ ছাড়া অভাববোধ করছেন নিজের দর্শকদের।
দাউদ বলেন, ‘আমি যখন এ দেশে আসি, তখন আমি সবকিছু ফেলে এসেছি। আমি সবকিছু হারিয়েছি। আমি মরে গেছি। আপনি এখন যাকে দেখছেন, সে আফগান স্টার-এর উপস্থাপক নয়।’ তিনি বলেন, ‘আমেরিকায় আমার পুনর্জন্ম হয়েছে।’
No comments