দুর্নীতির নতুন রকম ‘চালবাজি’ ব্যবসায়ীদের ‘হক’ বনাম দলের লোকের ‘হক’
গোল্ডফিশ মাছের স্মৃতি না থাকা সুবিদিত; দলীয়করণের হোতাদের লজ্জাহীনতাও তেমনই এক প্রতিষ্ঠিত ব্যাপার। দুর্নীতিতে বারবার আন্তর্জাতিক শিরোমণি হওয়া কিংবা এ বিষয়ে জাতীয় আলোড়ন যেন বিস্মৃত হয়েছেন ক্ষমতাসীনেরা। নাটোরে চাল সরবরাহে দলীয় একচেটিয়া প্রভাব এই স্মৃতিহীনতারই সতর্কসংকেত।
সোমবারের প্রথম আলোয় নাটোর-৪ আসনের সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, ‘দলীয় লোকজন সুযোগ-সুবিধার জন্য আমার কাছে এসেছিল। আমি মিলমালিকদের বলেছি, আপনারা একচেটিয়া ব্যবসা ছেড়ে দলীয় লোকজন নিয়ে চাল সরবরাহ করেন।’ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হক নষ্ট করা হচ্ছে। কিন্তু আসলে হক নষ্ট হচ্ছে কৃষকের এবং জনগণের করের টাকার।
প্রথমত, উপজেলার ১২৯ মিল থেকে যেখানে মিলপ্রতি প্রায় ১০ টন করে চাল সরবরাহের অনুমতি পাওয়ার কথা, সেখানে ৫১টি মিল মাত্র এক টন করে সরবরাহের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে সরবরাহ তালিকার ছয়জন সরবরাহ করেছেন ৬০ টন করে। বাজারমূল্যের চেয়ে সেরপ্রতি প্রায় পাঁচ টাকা দাম বেশি ধরা হচ্ছে। মিলমালিকদের লাইসেন্স ব্যবহার করে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা বাগিয়ে নিয়েছে দলীয় লোকজন। লাভের সীমা আর দুর্নীতির সীমা এখানে একাকার। কিন্তু ইউএনও বা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কিংবা জেলা প্রশাসক জানেন না, তাঁদের কী করণীয়। কেবল নাটোর নয়, সারা দেশেই প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন ধারার অনিয়ম হচ্ছে, সংবাদও প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারের টনক অনড়! সত্যি, কী বিচিত্র এই ‘না-জানার’ ব্যাধি!
একটি দেশ সরকার বা রাষ্ট্রের জন্য দুর্নীতির চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছু হতে পারে না। বিগত বছরগুলোয়, এমনকি গত নির্বাচনের রায়ে এর বিরুদ্ধে জনগণের তীব্র ঘৃণা প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা নিশ্চয়ই সব অবগত আছেন, যেমন অবগত থাকার কথা দলীয় লোকদের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি সম্পর্কে। গোড়াতেই যদি এর প্রতিকার না হয়, তাহলে দেশের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাও সেই তিমিরেই থাকবেন, যে তিমিরে দেশ এর আগে ছিল।
সোমবারের প্রথম আলোয় নাটোর-৪ আসনের সাংসদ আব্দুল কুদ্দুস বলেছেন, ‘দলীয় লোকজন সুযোগ-সুবিধার জন্য আমার কাছে এসেছিল। আমি মিলমালিকদের বলেছি, আপনারা একচেটিয়া ব্যবসা ছেড়ে দলীয় লোকজন নিয়ে চাল সরবরাহ করেন।’ ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, প্রকৃত ব্যবসায়ীদের হক নষ্ট করা হচ্ছে। কিন্তু আসলে হক নষ্ট হচ্ছে কৃষকের এবং জনগণের করের টাকার।
প্রথমত, উপজেলার ১২৯ মিল থেকে যেখানে মিলপ্রতি প্রায় ১০ টন করে চাল সরবরাহের অনুমতি পাওয়ার কথা, সেখানে ৫১টি মিল মাত্র এক টন করে সরবরাহের অনুমতি পেয়েছে। অন্যদিকে সরবরাহ তালিকার ছয়জন সরবরাহ করেছেন ৬০ টন করে। বাজারমূল্যের চেয়ে সেরপ্রতি প্রায় পাঁচ টাকা দাম বেশি ধরা হচ্ছে। মিলমালিকদের লাইসেন্স ব্যবহার করে মাত্রাতিরিক্ত মুনাফা বাগিয়ে নিয়েছে দলীয় লোকজন। লাভের সীমা আর দুর্নীতির সীমা এখানে একাকার। কিন্তু ইউএনও বা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা কিংবা জেলা প্রশাসক জানেন না, তাঁদের কী করণীয়। কেবল নাটোর নয়, সারা দেশেই প্রতিটি ক্ষেত্রে এমন ধারার অনিয়ম হচ্ছে, সংবাদও প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু সরকারের টনক অনড়! সত্যি, কী বিচিত্র এই ‘না-জানার’ ব্যাধি!
একটি দেশ সরকার বা রাষ্ট্রের জন্য দুর্নীতির চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছু হতে পারে না। বিগত বছরগুলোয়, এমনকি গত নির্বাচনের রায়ে এর বিরুদ্ধে জনগণের তীব্র ঘৃণা প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের নীতিনির্ধারকেরা নিশ্চয়ই সব অবগত আছেন, যেমন অবগত থাকার কথা দলীয় লোকদের দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি সম্পর্কে। গোড়াতেই যদি এর প্রতিকার না হয়, তাহলে দেশের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরাও সেই তিমিরেই থাকবেন, যে তিমিরে দেশ এর আগে ছিল।
No comments