আজই শেষ ঘটনাবহুল ফুটবল ক্যাম্প
ফুটবল দলের ঘটনাবহুল আবাসিক ক্যাম্প শেষ হচ্ছে আজ। এই ক্যাম্পে কোচ ডিডো যেমন তাঁর ভবিষ্যত্ যাত্রার একটা ধাপ পেরোলেন, তেমনি নানা ঘটনায় বেশ উত্তপ্তই ছিল সময়টা। ফুটবলারদের এমন আবাসিক ক্যাম্প এর আগে বাংলাদেশের ফুটবলে হয়নি!
একই সঙ্গে আট খেলোয়াড়কে ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া, ডিডোর নিজে পদত্যাগ করে চলে যেতে চাওয়া, বাফুফের মধ্যস্থতায় ওই আট খেলোয়াড়কে ক্যাম্পে ফিরিয়ে নিলেও ডিডো তাঁদের আলাদাই অনুশীলন করিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। সর্বশেষ চার দিন আগে কোচ ক্যাম্পে প্রীতম নামের তরুণ এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা মেরেছেন বলে শোরগোল উঠল, আবার দেনদরবার। সবকিছু মিলিয়ে এই ক্যাম্প যতটা অনুশীলনের জন্য আলোচিত, তার চেয়ে বেশি আলোচিত অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় সামনে হাজির হওয়ায়।
সবকিছুর কেন্দ্রেই কোচ ডিডো। বারবার খেলোয়াড়দের অনুশীলন-সুবিধার স্বার্থে ফেডারেশনকে চাপ দিয়ে গেছেন, চেয়েছেন পর্যাপ্ত সুযোগ। কিন্তু অনুশীলনের জন্য যতটা সময় চেয়েছিলেন, ততটা পাননি ডিডো। কক্সবাজারে তিন সপ্তাহ কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পর বিকেএসপিতে মাসখানেক চলল ক্যাম্প। এতে কি সন্তুষ্ট ব্রাজিলীয় কোচ? বিকেএসপি থেকে ফিরে আসার আগের রাতে ফোনে ডিডো জানালেন, পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন, ‘অনুশীলনসূচিটা তো শেষ করতে পারিনি। ঘাটতি তো রয়েই গেছে।’
অধিনায়ক আমিনুল অবশ্য খুশিই। তবে অনুশীলনটা বেশ কার্যকরই হয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস, ‘ডিডো এবারের ক্যাম্পে আমাদের ফিটনেস নিয়েই বেশি কাজ করেছেন। রানিংটার ওপরই জোর দিয়েছেন। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো হয়েছে এই অনুশীলন পর্বটা। খেলোয়াড়েরা অনেক উপকৃত হবে।’
আজ থেকে খেলোয়াড়েরা ফিরে যেতে পারবেন নিজ নিজ ক্লাবে। সামনে ফেডারেশন কাপ, বি-লিগ। এখানেই খেলোয়াড়দের দিতে হবে আসল পরীক্ষাটা। ডিডো ৩০ জন খেলোয়াড় নিয়ে ক্যাম্প শুরু করেছিলেন ডিসেম্বরের সাফ ফুটবল সামনে রেখে, এরপর আছে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। নভেম্বরে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট খেলতে ব্যাংককে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজার এবং বিকেএসপিতে যাঁরা ক্যাম্প করলেন, তাঁরা কিন্তু কেউই দলে নিশ্চিত নন। ঘরোয়া ফুটবলে পারফরম্যান্স দেখেই কোচ আবার নতুন করে খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে ডাকবেন—এই হলো ক্যাম্প শেষ হওয়ার আগের দিনের সিদ্ধান্ত।
আট খেলোয়াড় যেমনটা আশঙ্কা করছেন, কোচ তাঁদের দলে নাও রাখতে পারেন, সেই সুযোগ আর থাকবে না এই সিদ্ধান্তের পর। কোচ তাঁদের আলাদা অনুশীলন করালেও শেষ পর্যন্ত মূল দলে থাকার সুযোগ তাঁরা পাচ্ছেনই। কাজেই অনুশীলন করতে চাননি বলে কোচ তাঁদের ক্যাম্প থেকে বহিষ্কার করার পর বাফুফে সভাপতির মধ্যস্থতায় ফিরে যাওয়ার পরও এত দিন ধরে যে মনোবেদনায় ভুগছেন, সেটি অমূলক। মাঠেই নিজেদের প্রমাণ করতে হবে, বলে দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।
সালাউদ্দিন বরাবরই বলে এসেছেন, কোচই দলের সর্বেসর্বা। তিনি যেভাবে দল চালাচ্ছেন সেভাবেই চলবে। বাফুফের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কাল নিজের বাসায় দীর্ঘ তিন ঘণ্টার সভায়ও সেটিই বহাল থাকল। এই সভায় ঠিক হয়েছে, ডিডো আপাতত খেলা দেখে বেড়াবেন। আর সহকারী কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক চলে যাবেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে। ওই দলটির কোচ থাকবেন মানিক। এরই মাঝে ডিডো চাইলে তাঁর কোচিং স্টাফ আরও শক্তিশালী করতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁকে আরও সহকারী কোচ দেওয়া হবে।
সভাশেষে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, কোন এক খেলোয়াড়কে ডিডোর ধাক্কা মারার বিষয়টি অতিরঞ্জিত। এটা নিয়ে শোরগোল তোলার কিছু নেই। ক্যাম্পে টুকটাক ব্যাপার-স্যাপার হতেই পারে, এটাকে রং দিয়ে দলে ভাঙন ধরানোর কোনো যুক্তি নেই। ক্যাম্প যেভাবে চলছে, ডিডোর নেতৃত্বে সেভাবেই এগিয়ে যাবে। আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না।’
ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়েরও একই সুর। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন শিক্ষক হিসেবে খেলোয়াড়কে শাসন করার ক্ষমতা আছে কোচের। কাজেই এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা মারার বিষয়টি বড় কিছু নয়। তবে কোচের ‘জেদ’ দেখছেন তাঁরা। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ কোচের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে থাকলেও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কোচকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ারই পক্ষে কমিটি। তবে ভবিষ্যতে কোচিং স্টাফ বদলে দেওয়ার চিন্তাটাও কমিটির মাথায় আছে।
একই সঙ্গে আট খেলোয়াড়কে ক্যাম্প থেকে বের করে দেওয়া, ডিডোর নিজে পদত্যাগ করে চলে যেতে চাওয়া, বাফুফের মধ্যস্থতায় ওই আট খেলোয়াড়কে ক্যাম্পে ফিরিয়ে নিলেও ডিডো তাঁদের আলাদাই অনুশীলন করিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। সর্বশেষ চার দিন আগে কোচ ক্যাম্পে প্রীতম নামের তরুণ এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা মেরেছেন বলে শোরগোল উঠল, আবার দেনদরবার। সবকিছু মিলিয়ে এই ক্যাম্প যতটা অনুশীলনের জন্য আলোচিত, তার চেয়ে বেশি আলোচিত অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয় সামনে হাজির হওয়ায়।
সবকিছুর কেন্দ্রেই কোচ ডিডো। বারবার খেলোয়াড়দের অনুশীলন-সুবিধার স্বার্থে ফেডারেশনকে চাপ দিয়ে গেছেন, চেয়েছেন পর্যাপ্ত সুযোগ। কিন্তু অনুশীলনের জন্য যতটা সময় চেয়েছিলেন, ততটা পাননি ডিডো। কক্সবাজারে তিন সপ্তাহ কন্ডিশনিং ক্যাম্পের পর বিকেএসপিতে মাসখানেক চলল ক্যাম্প। এতে কি সন্তুষ্ট ব্রাজিলীয় কোচ? বিকেএসপি থেকে ফিরে আসার আগের রাতে ফোনে ডিডো জানালেন, পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন, ‘অনুশীলনসূচিটা তো শেষ করতে পারিনি। ঘাটতি তো রয়েই গেছে।’
অধিনায়ক আমিনুল অবশ্য খুশিই। তবে অনুশীলনটা বেশ কার্যকরই হয়েছে বলে তাঁর বিশ্বাস, ‘ডিডো এবারের ক্যাম্পে আমাদের ফিটনেস নিয়েই বেশি কাজ করেছেন। রানিংটার ওপরই জোর দিয়েছেন। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ভালো হয়েছে এই অনুশীলন পর্বটা। খেলোয়াড়েরা অনেক উপকৃত হবে।’
আজ থেকে খেলোয়াড়েরা ফিরে যেতে পারবেন নিজ নিজ ক্লাবে। সামনে ফেডারেশন কাপ, বি-লিগ। এখানেই খেলোয়াড়দের দিতে হবে আসল পরীক্ষাটা। ডিডো ৩০ জন খেলোয়াড় নিয়ে ক্যাম্প শুরু করেছিলেন ডিসেম্বরের সাফ ফুটবল সামনে রেখে, এরপর আছে এএফসি চ্যালেঞ্জ কাপ। নভেম্বরে প্রস্তুতি টুর্নামেন্ট খেলতে ব্যাংককে যাওয়ার কথা রয়েছে। কিন্তু কক্সবাজার এবং বিকেএসপিতে যাঁরা ক্যাম্প করলেন, তাঁরা কিন্তু কেউই দলে নিশ্চিত নন। ঘরোয়া ফুটবলে পারফরম্যান্স দেখেই কোচ আবার নতুন করে খেলোয়াড়দের ক্যাম্পে ডাকবেন—এই হলো ক্যাম্প শেষ হওয়ার আগের দিনের সিদ্ধান্ত।
আট খেলোয়াড় যেমনটা আশঙ্কা করছেন, কোচ তাঁদের দলে নাও রাখতে পারেন, সেই সুযোগ আর থাকবে না এই সিদ্ধান্তের পর। কোচ তাঁদের আলাদা অনুশীলন করালেও শেষ পর্যন্ত মূল দলে থাকার সুযোগ তাঁরা পাচ্ছেনই। কাজেই অনুশীলন করতে চাননি বলে কোচ তাঁদের ক্যাম্প থেকে বহিষ্কার করার পর বাফুফে সভাপতির মধ্যস্থতায় ফিরে যাওয়ার পরও এত দিন ধরে যে মনোবেদনায় ভুগছেন, সেটি অমূলক। মাঠেই নিজেদের প্রমাণ করতে হবে, বলে দিয়েছেন কাজী সালাউদ্দিন।
সালাউদ্দিন বরাবরই বলে এসেছেন, কোচই দলের সর্বেসর্বা। তিনি যেভাবে দল চালাচ্ছেন সেভাবেই চলবে। বাফুফের জাতীয় দল ব্যবস্থাপনা কমিটির সঙ্গে কাল নিজের বাসায় দীর্ঘ তিন ঘণ্টার সভায়ও সেটিই বহাল থাকল। এই সভায় ঠিক হয়েছে, ডিডো আপাতত খেলা দেখে বেড়াবেন। আর সহকারী কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক চলে যাবেন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের সঙ্গে। ওই দলটির কোচ থাকবেন মানিক। এরই মাঝে ডিডো চাইলে তাঁর কোচিং স্টাফ আরও শক্তিশালী করতে পারেন। প্রয়োজনে তাঁকে আরও সহকারী কোচ দেওয়া হবে।
সভাশেষে সালাউদ্দিন বলেছেন, ‘খোঁজখবর নিয়ে জেনেছি, কোন এক খেলোয়াড়কে ডিডোর ধাক্কা মারার বিষয়টি অতিরঞ্জিত। এটা নিয়ে শোরগোল তোলার কিছু নেই। ক্যাম্পে টুকটাক ব্যাপার-স্যাপার হতেই পারে, এটাকে রং দিয়ে দলে ভাঙন ধরানোর কোনো যুক্তি নেই। ক্যাম্প যেভাবে চলছে, ডিডোর নেতৃত্বে সেভাবেই এগিয়ে যাবে। আমরা কোনো হস্তক্ষেপ করব না।’
ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান বাদল রায়েরও একই সুর। সাংবাদিকদের তিনি জানিয়েছেন, তাঁরা মনে করেন শিক্ষক হিসেবে খেলোয়াড়কে শাসন করার ক্ষমতা আছে কোচের। কাজেই এক খেলোয়াড়কে ধাক্কা মারার বিষয়টি বড় কিছু নয়। তবে কোচের ‘জেদ’ দেখছেন তাঁরা। এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। কেউ কেউ কোচের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পক্ষে থাকলেও অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে কোচকে সমর্থন দিয়ে যাওয়ারই পক্ষে কমিটি। তবে ভবিষ্যতে কোচিং স্টাফ বদলে দেওয়ার চিন্তাটাও কমিটির মাথায় আছে।
No comments