আফগানিস্তানের কাতারে ভারতের অবস্থান- সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ
আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে গঠিত মার্কিন কংগ্রেসের একটি প্যানেল কমিশন ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হওয়ার জন্য ভারতকে আফগানিস্তান, সোমালিয়া ও কিউবার মতো দেশের সঙ্গে একই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করে দেশটির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের কথা বলেছে। কমিশন বলেছে, ভারতে ধর্মীয় সহিংসতা বৃদ্ধির মাত্রা উদ্বেগজনক। খবর বিবিসির।
প্যানেলটি তার বার্ষিক প্রতিবেদন গত মে মাসে প্রকাশ করলেও ভারতের অংশটি সদ্য প্রকাশ করেছে। এর কারণ, আগে এই কমিশনের সদস্যদের ভারত সফরের ভিসা দেওয়া হয়নি। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটি নামের সংস্থাটি মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেস যে চিত্র তুলে ধরেছে, বাস্তবতা কি আসলে তাই? এ বিষয়ে মানবাধিকার-সম্পর্কিত গবেষণার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ভারতের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটির গবেষক আদিত্য নিগম বিবিসিকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে কথা বলতে চাই না। প্রতিবেদনে মূলত দুটো বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, উড়িষ্যায় খ্রিষ্টানবিরোধী সহিংসতা, অন্যটি গুজরাটে ২০০২ সালের ঘটনা। ভারতকে আফগানিস্তানের সঙ্গে রাখা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে দেখতে গেলে সেটা খারাপ লাগতে পারে। কারণ আমাদের এখানে তালেবান নেই। ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের এখনো শাস্তি দেওয়া হয়নি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা সহিংসতার শিকার হয়েছে তাদের প্রতিকার বা সুরক্ষা দিতে বিচার বিভাগ ও পুলিশ হয় অনিচ্ছুক নয়তো অক্ষম। আসলে কোনটা? বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে আদিত্য নিগম বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রকাশিত সব প্রতিবেদনেই দেখা গেছে, পুলিশ সংখ্যাগরিষ্ঠদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় থেকে আসে, সেভাবেই তারা চিন্তাভাবনা করে। কাজেই দৃষ্টিভঙ্গির কোনো তফাত্ আলাদাভাবে নেই।’
আদিত্য নিগম বলেন, এর মধ্যে রাজনৈতিক ব্যাপারও আছে। সরকার কিংবা রাজ্যের তরফ থেকে যেটার অভাব, সেটা হচ্ছে রাজ্যের সংস্থাগুলোর (বিচার বিভাগ, পুলিশ) আলাদা কোনো প্রশিক্ষণ নেই। ছোটখাটো যে আদালতগুলো চলে, ওখানকার বিচারকদের দৃষ্টিভঙ্গির তফাত্ এদের থেকে বেশি নেই।
প্যানেলটি তার বার্ষিক প্রতিবেদন গত মে মাসে প্রকাশ করলেও ভারতের অংশটি সদ্য প্রকাশ করেছে। এর কারণ, আগে এই কমিশনের সদস্যদের ভারত সফরের ভিসা দেওয়া হয়নি। এই প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার পর এ বিষয়ে ভারত সরকারের কোনো প্রতিক্রিয়া এখনো পাওয়া যায়নি।
সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটি নামের সংস্থাটি মানবাধিকার বিষয়ে গবেষণার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত। ভারতের ধর্মীয় স্বাধীনতার বিষয়ে মার্কিন কংগ্রেস যে চিত্র তুলে ধরেছে, বাস্তবতা কি আসলে তাই? এ বিষয়ে মানবাধিকার-সম্পর্কিত গবেষণার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত ভারতের সেন্টার ফর দ্য স্টাডি অব ডেভেলপিং সোসাইটির গবেষক আদিত্য নিগম বিবিসিকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে কথা বলতে চাই না। প্রতিবেদনে মূলত দুটো বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। একটি হচ্ছে, উড়িষ্যায় খ্রিষ্টানবিরোধী সহিংসতা, অন্যটি গুজরাটে ২০০২ সালের ঘটনা। ভারতকে আফগানিস্তানের সঙ্গে রাখা হয়েছে, জাতীয়তাবাদী অবস্থান থেকে দেখতে গেলে সেটা খারাপ লাগতে পারে। কারণ আমাদের এখানে তালেবান নেই। ২০০২ সালে গুজরাটে দাঙ্গার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের এখনো শাস্তি দেওয়া হয়নি।’
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যারা সহিংসতার শিকার হয়েছে তাদের প্রতিকার বা সুরক্ষা দিতে বিচার বিভাগ ও পুলিশ হয় অনিচ্ছুক নয়তো অক্ষম। আসলে কোনটা? বিবিসির এই প্রশ্নের জবাবে আদিত্য নিগম বলেন, ‘এ পর্যন্ত প্রকাশিত সব প্রতিবেদনেই দেখা গেছে, পুলিশ সংখ্যাগরিষ্ঠদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলেছে। তারা সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় থেকে আসে, সেভাবেই তারা চিন্তাভাবনা করে। কাজেই দৃষ্টিভঙ্গির কোনো তফাত্ আলাদাভাবে নেই।’
আদিত্য নিগম বলেন, এর মধ্যে রাজনৈতিক ব্যাপারও আছে। সরকার কিংবা রাজ্যের তরফ থেকে যেটার অভাব, সেটা হচ্ছে রাজ্যের সংস্থাগুলোর (বিচার বিভাগ, পুলিশ) আলাদা কোনো প্রশিক্ষণ নেই। ছোটখাটো যে আদালতগুলো চলে, ওখানকার বিচারকদের দৃষ্টিভঙ্গির তফাত্ এদের থেকে বেশি নেই।
No comments