মহারণের আগে ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার হুঙ্কার
চেতনায়-আদর্শে চে গুয়েভারা, কার্ল মার্কস আর লেনিনের অনুসারী ডিয়েগো ম্যারাডোনা সমাজতন্ত্রের আদি তীর্থভূমি রাশিয়ায় গিয়েছিলেন আরেক বিপ্লবের সন্ধানে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সর্বশেষ তিন ম্যাচের দুটো হেরে কোণঠাসা আর্জেন্টিনা আগামী মাসে ব্রাজিল-পরীক্ষার আগে পেল দারুণ এক জয়। ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ছয় নম্বরে থাকা রাশিয়াকে ৩-২ গোলে হারিয়ে এ ম্যাচে দলে ছন্দ ফিরে আসার ছায়াও দেখতে পাচ্ছেন কোচ ম্যারাডোনা।
পরশু প্রীতি ম্যাচের পসরায় জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিলও। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে জিতেছে তারা লুই ফাবিয়ানোর একমাত্র গোলে। আর্জেন্টিনার মতো ব্রাজিলের ছন্দ ফিরে পাওয়ার ব্যাপার-স্যাপার ছিল না। ছিল ছন্দ ধরে রাখার। বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই তারা। কদিন আগে জিতেছে কনফেডারশনস কাপও। ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ফাবিয়ানোই এদিন ৪৩ মিনিটে গোল করে জিতিয়ে দিয়েছেন দলকে।
কনফেডারেশনস কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনও ফিরেছে জয়ের ধারায়। ০-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও ফার্নান্দো তোরেস, জেরার্ড পিকে আর রিয়েরার দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোল মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতিয়েছে স্পেনকে। ফিরে পাওয়ার ব্যাপার ছিল ইতালিরও। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গোলমুখ খুলতেই পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গোলশূন্য ড্র ম্যাচে একমাত্র প্রাপ্তিটা ব্যক্তিগত, পাওলো মালিদিনির ইতালির পক্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন ফ্যাবিও ক্যানাভারো (১২৭ ম্যাচ)। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমার্ধে দুই গোল খেয়ে হারতে বসেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে দু গোল করে ইংল্যান্ডের পরাজয় এড়ান জার্মেইন ডিফো।
একগাদা প্রীতি ম্যাচের আড়ালে আসলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরের রাউন্ডের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিল দলগুলো। তাতে সবচেয়ে বড় আনন্দের সংবাদ আর্জেন্টিনাই পেয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর বাছাইপর্বে ব্রাজিলের সঙ্গে মহারণ। ওই ম্যাচে হারলে আর ইকুয়েডর একই দিন বলিভিয়ার বিপক্ষে জিতলে আর্জেন্টিনা নেমে যাবে ৫ নম্বরে। এই কোণঠাসা অবস্থায় শুধু জয় নয়, দলে মরিয়া চেষ্টার ছাপও দেখতে চেয়েছিলেন ম্যারাডোনা। মেসি-তেভেজবিহীন আর্জেন্টিনা খুশিই করেছে কোচকে।
১৭ মিনিটে ইগর সেমশোভের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রাশিয়াই। গোল খেয়ে চৈতন্য ফেরা আর্জেন্টিনা মরিয়া হয়ে ওঠে। ৪৫ মিনিটে জামাতা সার্জিও আগুয়েরোই দুশ্চিন্তামুক্ত করেন ম্যারাডোনাকে। ৪৬ মিনিটে লিওঁ স্ট্রাইকার লিসান্দ্রো লোপেজের গোলে এগিয়ে যায় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৮ নম্বরে থাকা আর্জেন্টিনা। আর ৫৯ মিনিটে নাপোলির জেসাস দাতোলো স্কোরটাকে বানিয়ে দেন ৩-১। ৭৮ মিনিটে রোমান পাভলিউচেঙ্কোর গোলে ব্যবধান কমালেও সমতা আর ফেরাতে পারেনি রুশরা।
সোভিয়েত জমানার পর এই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। আর জাদুকর কোচ গাস হিডিঙ্কের ছোঁয়ায় ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রাশিয়ার মতো দলের বিপক্ষে জিততে পেরে ম্যারাডোনা খুশি, ‘রাশিয়া এখন বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। তার পরও আমরা ওদের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছি। তিনটি গোল দেওয়া, জয়—সব মিলে দারুণ ফলাফল।’
এ ম্যাচে ম্যারাডোনা নিজেও খেলেছেন বেশ। ধুরন্ধর হিডিঙ্ক হার মেনেছেন তাঁর কৌশলের কাছে। বদলি হিসেবে নামানোর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল করেছেন লোপেজ। তৃতীয় গোলটিও অন্য ‘সুপার সাব’ দাতোলোর।
শিষ্যরা তাঁর কথামতো খেলতে পেরেছেন বলেও খুশি ম্যারাডোনা। গত তিন ম্যাচের দুটোতে হেরে যাওয়ার পর সরব সমালোচকদেরও একটা মৃদু জবাব ম্যারাডোনা দিয়ে দিলেন, ‘আজ (পরশু) আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা এখনো জীবিত, এখনো আমরা আমাদের সমর্থকদের আনন্দ দিতে পারি।’
এ ম্যাচে কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়কে বাজিয়ে দেখার ঝুঁকি নিয়েও সফল ম্যারাডোনা। তাই বললেন, ‘এ দলটিরই ৮৫ থেকে ৮৮ শতাংশ খেলোয়াড় ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলবে। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমরা যা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি, সেটি দেখিয়ে দেওয়াও জরুরি ছিল। ছেলেরা সেটি পেরেছে।’
দুই দল ভিন্ন ভিন্ন দুই দেশে, ভিন্ন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হলেও চোখ রেখেছিল একে অন্যের বিপক্ষে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুদলই জয় পেয়ে ৫ সেপ্টেম্বরের জন্য হুঙ্কারও দিয়ে রাখল।
পরশু প্রীতি ম্যাচের পসরায় জয় তুলে নিয়েছে ব্রাজিলও। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে জিতেছে তারা লুই ফাবিয়ানোর একমাত্র গোলে। আর্জেন্টিনার মতো ব্রাজিলের ছন্দ ফিরে পাওয়ার ব্যাপার-স্যাপার ছিল না। ছিল ছন্দ ধরে রাখার। বাছাইপর্বের পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই তারা। কদিন আগে জিতেছে কনফেডারশনস কাপও। ওই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতা ফাবিয়ানোই এদিন ৪৩ মিনিটে গোল করে জিতিয়ে দিয়েছেন দলকে।
কনফেডারেশনস কাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়া ইউরো চ্যাম্পিয়ন স্পেনও ফিরেছে জয়ের ধারায়। ০-২ গোলে পিছিয়ে থেকেও ফার্নান্দো তোরেস, জেরার্ড পিকে আর রিয়েরার দ্বিতীয়ার্ধের তিন গোল মেসিডোনিয়ার বিপক্ষে ৩-২ গোলে জিতিয়েছে স্পেনকে। ফিরে পাওয়ার ব্যাপার ছিল ইতালিরও। কিন্তু সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে গোলমুখ খুলতেই পারেনি বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। গোলশূন্য ড্র ম্যাচে একমাত্র প্রাপ্তিটা ব্যক্তিগত, পাওলো মালিদিনির ইতালির পক্ষে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন ফ্যাবিও ক্যানাভারো (১২৭ ম্যাচ)। নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথমার্ধে দুই গোল খেয়ে হারতে বসেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয়ার্ধে দু গোল করে ইংল্যান্ডের পরাজয় এড়ান জার্মেইন ডিফো।
একগাদা প্রীতি ম্যাচের আড়ালে আসলে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের পরের রাউন্ডের আগে নিজেদের ঝালিয়ে নিল দলগুলো। তাতে সবচেয়ে বড় আনন্দের সংবাদ আর্জেন্টিনাই পেয়েছে। ৫ সেপ্টেম্বর বাছাইপর্বে ব্রাজিলের সঙ্গে মহারণ। ওই ম্যাচে হারলে আর ইকুয়েডর একই দিন বলিভিয়ার বিপক্ষে জিতলে আর্জেন্টিনা নেমে যাবে ৫ নম্বরে। এই কোণঠাসা অবস্থায় শুধু জয় নয়, দলে মরিয়া চেষ্টার ছাপও দেখতে চেয়েছিলেন ম্যারাডোনা। মেসি-তেভেজবিহীন আর্জেন্টিনা খুশিই করেছে কোচকে।
১৭ মিনিটে ইগর সেমশোভের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল রাশিয়াই। গোল খেয়ে চৈতন্য ফেরা আর্জেন্টিনা মরিয়া হয়ে ওঠে। ৪৫ মিনিটে জামাতা সার্জিও আগুয়েরোই দুশ্চিন্তামুক্ত করেন ম্যারাডোনাকে। ৪৬ মিনিটে লিওঁ স্ট্রাইকার লিসান্দ্রো লোপেজের গোলে এগিয়ে যায় ফিফা র্যাঙ্কিংয়ের ৮ নম্বরে থাকা আর্জেন্টিনা। আর ৫৯ মিনিটে নাপোলির জেসাস দাতোলো স্কোরটাকে বানিয়ে দেন ৩-১। ৭৮ মিনিটে রোমান পাভলিউচেঙ্কোর গোলে ব্যবধান কমালেও সমতা আর ফেরাতে পারেনি রুশরা।
সোভিয়েত জমানার পর এই প্রথম মুখোমুখি হয়েছিল এই দুই দল। আর জাদুকর কোচ গাস হিডিঙ্কের ছোঁয়ায় ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠা রাশিয়ার মতো দলের বিপক্ষে জিততে পেরে ম্যারাডোনা খুশি, ‘রাশিয়া এখন বিশ্বের সেরা দলগুলোর একটি। তার পরও আমরা ওদের বিপক্ষে দুর্দান্ত খেলেছি। তিনটি গোল দেওয়া, জয়—সব মিলে দারুণ ফলাফল।’
এ ম্যাচে ম্যারাডোনা নিজেও খেলেছেন বেশ। ধুরন্ধর হিডিঙ্ক হার মেনেছেন তাঁর কৌশলের কাছে। বদলি হিসেবে নামানোর ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই গোল করেছেন লোপেজ। তৃতীয় গোলটিও অন্য ‘সুপার সাব’ দাতোলোর।
শিষ্যরা তাঁর কথামতো খেলতে পেরেছেন বলেও খুশি ম্যারাডোনা। গত তিন ম্যাচের দুটোতে হেরে যাওয়ার পর সরব সমালোচকদেরও একটা মৃদু জবাব ম্যারাডোনা দিয়ে দিলেন, ‘আজ (পরশু) আমরা দেখিয়ে দিয়েছি, আমরা এখনো জীবিত, এখনো আমরা আমাদের সমর্থকদের আনন্দ দিতে পারি।’
এ ম্যাচে কয়েকজন নতুন খেলোয়াড়কে বাজিয়ে দেখার ঝুঁকি নিয়েও সফল ম্যারাডোনা। তাই বললেন, ‘এ দলটিরই ৮৫ থেকে ৮৮ শতাংশ খেলোয়াড় ব্রাজিলের বিপক্ষে খেলবে। ব্রাজিলের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমরা যা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করছি, সেটি দেখিয়ে দেওয়াও জরুরি ছিল। ছেলেরা সেটি পেরেছে।’
দুই দল ভিন্ন ভিন্ন দুই দেশে, ভিন্ন প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হলেও চোখ রেখেছিল একে অন্যের বিপক্ষে। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুদলই জয় পেয়ে ৫ সেপ্টেম্বরের জন্য হুঙ্কারও দিয়ে রাখল।
No comments