একটি ছবি, হাজার কথা
প্রিয় পাঠক এই লেখার সঙ্গে ছবিটির দিকে একবার তাকান! কী দেখলেন! ভয়াবহ এক ধ্বংসযজ্ঞ! একবার কল্পনা করুন, গাজায় কি নির্মমতা, কি নিষ্ঠুরতা চালিয়েছে ইসরাইল। ছবিতে বিশাল একটি এলাকা দেখা যাচ্ছে। সেখানে কোনো একটি স্থাপনা দাঁড়িয়ে নেই। মাটির সঙ্গে মিশে গেছে সব। চারদিকে এই ধ্বংসস্তূপের মাঝে ফিরছেন গাজাবাসী। সহায় সম্বল বলতে যা কিছু আছে, তাই নিয়ে তারা ফিরছেন নিজস্ব ঠিকানায়। যেখানে তাদের বাড়ি ছিল, ঠিকানা ছিল তা এখন অনেকটাই অচেনা। কোথায় বাড়ি, কোথায় ঘর ছিল- অশ্রুসজল চোখে খুঁজছেন তারা। সেখানেই আবার নতুন করে বাঁচার, নতুন জীবন গড়ার স্বপ্ন দেখছেন। ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজার উত্তরের এলাকা জাবালিয়া। সেখানকার অধিবাসী আবু জিয়াব বলেন, উত্তরে আর বসবাস করার মতো কোনো অবকাঠামো নেই। বাড়িঘর, স্কুল, হাসপাতাল- সব গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। জনপদের কোনো চিহ্নই নেই। সাহায্যকর্মীরা বলছেন- খাদ্য, বাসস্থান ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট বিরাজ করছে। উল্লেখ্য, কাঙ্খিত সময়ের তিন ঘণ্টা পর রোববার শুরু হয় হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতি। কিন্তু চুক্তি কার্যকরের পূর্ব পর্যন্ত গাজায় হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। সে সময় বোমার আঘাতে প্রাণ হারান ১৯ জন ও আহত হন ২৫। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অংশ হিসেবে ৩ জন ইসরাইলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয় হামাস। বিনিময়ে আটক ৯০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয় ইসরাইল। হামাসের এক সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, আগামী শনিবার মুক্তি দেয়া হবে জিম্মিদের পরবর্তী দলকে। এদিকে ত্রাণের মিশরের এক সূত্র জানান, রোববার ১৬ ট্রাক জ্বালানি ও ২৬০ ট্রাক সাহায্য উপকরণ প্রবেশ করেছে গাজায়। মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বদর আব্দেল্লাতি বলেন, প্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্য সাহায্য উপকরণ নিয়ে দৈনিক ৬০০টি ট্রাক প্রবেশ করবে গাজায়। এদিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিকে স্বাগত জানিয়েছেন বিশ্ব নেতারা। দুই পক্ষকে চুক্তির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জোর তাগিদ দেয়া হয়। চুক্তির প্রথম মেয়াদকে ‘সাময়িক যুদ্ধবিরতি’ বলে মন্তব্য করেছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তিনি বলেন, ইসরাইলের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ণ সমর্থন আছে। প্রয়োজন হলে তারা পুনরায় যুদ্ধে জড়াবেন।

No comments