অনন্য সংস্কৃতির ইতিহাস by রাজিউদ্দিন আকিল
শুরুতে
বইটি লেখা হয়েছিল ‘বিজ্ঞ নন-একাডেমিক’ বাঙালি পাঠকদের জন্য, প্রকাশিত
হয়েছিল ২০০৬ সালে ঢাকায়। শর্বরী সিনহার চমৎকার অনুবাদে সেটি মূল রচনা বলেই
মনে হয়েছিল। অনুবাদের নোটে শর্বরী সিনহা আমাদের ভয়াবহ সময়ে এই বই রচনার
উদ্দেশ্য ও মান নিয়ে মুগ্ধকর সংক্ষিপ্তসার তুলে ধরেছেন। তিনি লিখেছেন,
প্রায় বিশ্বজুড়েই প্রাচীরগুলো ক্রমাগত লম্বা হচ্ছে, লোকজন আরো কঠোরভাবে
ইতিহাস থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে, অভিন্ন নিয়তির কথা বলে এমন ভাষ্যগুলো এড়িয়ে
চলছে। ফলে এই পর্যায়ে শোনা কথা আর সামাজিক মিথের চেয়ে গ্রন্থবদ্ধ ইতিহাসের
ভিত্তিতে অভিন্ন কাহিনী বলা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি দরকার। ইতিহাস
যদি শিক্ষাবিদদের গণ্ডির বাইরে এসে দৈনন্দিন আলোচনার অংশ না হয়, তবে শূন্য
স্থান পূরণে পুরান-কাহিনী আর গোঁড়ামি অনিবার্যভাবে সামনে চলে আসে।
গোলাম মুর্শিদের গ্রন্থটি এসেছে রেডিও প্রোগ্রাম ও পত্রিকার কলাম থেকে। এই মাধ্যমেই তিনি বৃহত্তর জনসাধারণের কাছে হাজার বছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন। একটু মনোযোগী হলে দেখা যাবে যে অঞ্চল হিসেবে বাংলা, বাংলা ভাষা, ও বাঙালি লোকজন গত ছয় থেকে সাত শতকের ব্যাপ্তিতে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক সত্ত্বা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বইটি ১৪টি অধ্যায়ে ৬৪৪ পৃষ্ঠায় বাংলার সংস্কৃতির পুরো ইতিহাস সামনে নিয়ে এসেছে। বাংলা ভাষাভাষী ও মাছ-ভাত খাওয়া লোকজনকে বাঙলি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে, যদিও অঞ্চল, ধর্ম (বর্ণ), গ্রাম-শহর ব্যবধান ব্যাপক রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম বঙ্গ, বরেন্দ্র ও রাঢ় এগুলো স্রেফ ভৌগোলিক বিভক্তি নয়, এখানে সামাজিক ঐক্যের অভাবও ছিল। তিনি বলেছেন, ভাষাই আমাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে দিয়েছে। বাঙালি বলতে আসলে যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে, তাদেরই বোঝায়।
আর তা কাকতালীয়ভাবে হয়নি। বাঙালি আড্ডাকে বাঙালি আড্ডায় পরিণত করতে সাংস্কৃতিক বিনিয়োগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
ভাষার পর ধর্মের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। সমসাময়িক পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা নিজেদের বাঙালি বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। তাদের কাছে মুসলিমরা হলো মুসলিম, এমনকি তারা বাংলা ভাষায় কথা বললেও। বাঙালি মুসলিমরা তাদের দ্বৈত পরিচয় নিয়ে সংগ্রাম করেছে। জন্ম ও ভাষার সূত্রে তাই বাঙালি হওয়া সতর্কভাবে বাছাই করা পরিচয়।
বিজ্ঞ বাঙালি ব্যক্তিত্বরা সবসময়ই রাজনৈতিক বিভক্তির ঊর্ধ্বে ওঠে অভিন্ন সাংস্কৃতিক অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন।
উপজাতীয় লোকজনের বাঙালি পরিচিতি নির্মাণের অসমাপ্ত কাজটি এখনো সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ফলে জটিলতা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
বাঙালি ও মুসলিম
বাঙালি সংস্কৃতি গঠন নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটি অধ্যায়ের পর মুর্শিদ যথাযথভাবেই ইন্দো-মুসলিম যুগের সাংস্কৃতিক রূপান্তরের দিকে ছুটে গেছেন। তিনি ১৩ শ’ শতক থেকে ১৮ শ’ শতক পর্যন্ত ব্যাপ্ত বাঙলার মুসলিম শাসনের প্রায় ৫৫০ বছরের ইতিহাসের দিকে মনোযোগী হয়েছেন। মুসলিম শাসকেরা এসেছিলেন মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন অংশ থেকে। তারা ভিন্ন ভাষায় কথা বলতেন, একক সংস্কৃতির অধিকারী ছিলেন না। তাদের অভিন্ন ধর্মীয় পরিচিতি থাকলেও তারা ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলা সফর করতেন না। আরবি, পাররি, তুর্কি ভাষাভাষী মুসলিম অভিবাসীরা সাথে করে নানা ধরনের সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে এসেছিলেন। স্থানীয় রমণীদের বিয়ের মাধ্যমে ওই সংস্কৃতি স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে মিশে বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। একইভাবে উত্তর ভারতের ব্রাহ্মণ অভিবাসীরাও সাঁওতাল রমণীদের বিয়ে করে বাঙালি ব্রাহ্মণ সৃষ্টি করেছে।
মুসলিম শাসক ও মধ্য ইসলামিক ভূমির অভিজাতদের ও সেইসাথে স্থানীয় মধ্যবর্তীদের সাথে মেলামেশার ফলে বাঙালি সভ্যতার উদ্ভব ঘটিয়েছে। আর তা ধর্ম, স্থাপত্য, সাহিত্যসহ সংস্কৃতির নানা উপাদানে নতুনত্ব সৃষ্টি করেছে। মসজিদ, মাজার, দরগায় এসব চিহ্ন বিপুলভাবে দেখা যায়।
সামাজিক ও ধর্মীয় অধ্যায়ে মুর্শিদ লিখেছেন যে মধ্য যুগে ইসলামের অভ্যুদয়ের ফলে স্থানীয় ও আমদানিকৃত ধর্মের মধ্যে নানা মাত্রিক সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
লেখক ধর্মীয় মাত্রার নানা দিক তুলে ধরেছেন। সমাজ ও সংস্কৃতিতে এর প্রভাব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ব্যাপক পরিসরে। ধর্মকে কেবল ধর্মীয় পরিসরেই সীমিত রাখা যায় না। ইসলাম ধর্ম ও হিন্দু ধর্মকে বাঙালিরা কিভাবে ব্যাখ্যা করেছে, সেটিও বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে। ভিন্নতার কারণেই বাঙালি মুসলিম কিন্তু বিহারি মুসলিম বা পাঞ্জাবি মুসলিম হয়নি।
লেখক ধর্মীয় একীভূত করার প্রক্রিয়ায় বৌদ্ধ তান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর বেশ গুরুত্বারোপ করেছেন। আবার শিবের স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রবধূ হিসেবে অনার্য দেবীরা হিন্দু ঐতিহ্যের দেবী হিসেবে গৃহীত হয়েছে। মঙ্গল কাব্যগুলোতে বিষয়টি প্রবলভাবে দেখা যায়। তাছাড়া চৈতন্যদেবকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্ম পুনর্জীবন আন্দোলন ইসলামের ব্যাপক রাজনৈতিক উপস্থিতিকে প্রতিরোধ করতে দেখা যায়।
বাঙলার বিশ্বাস সবসময়েই ছিল ভক্তিমূলক, গুরুদের প্রতি ছিল নিবেদিতপ্রাণ। এ কারণে গুরুমুখী ইসলামই এখানে বিকশিত হয়েছে। বৌদ্ধ সহজিয়া আদর্শ, সুফি ধ্যান ধারণা ও বৈষ্ণববাদের মিলন এখানে ঘটতে পেরেছে।
মাছ পছন্দ
লেখক ঐতিহাসিক তথ্যের সাহায্যে দেখিয়েছেন এই এলাকার লোকজন মাছের প্রতি বিপুলভাবে আকৃষ্ট ছিল। মুসলিম ও অন্যান্য আমলে খাদ্যাভ্যাসে বিপুল বৈচিত্র্য সৃষ্টি হলেও গত ১০০০ বছরে বাঙালি খাদ্য আলাদাই থেকে গেছে।
তবে মুর্শিদ কিন্তু কেবল ধর্ম বা খাদ্যেই সীমিত থাকেননি। তিনি সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, অন্যান্য ধরনের শিল্পকলার দিকেও নজর দিয়েছেন। এমনকি বাবু সংস্কৃতিও তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন।
লেখক এই বইটিতে যেভাবে বাঙালি ইতিহাস তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। বইটি বাঙলার সংস্কৃতির ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ বিবেচিত হতে পারে।
লেখক: শিক্ষক, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি এর আগে ছিলেন ফেলো, সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা। তার গ্রন্থরাজির মধ্যে রয়েছে ‘দি মুসলিম কোশ্চেন আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম অ্যান্ড ইন্ডিয়ান হিস্টরি’ (পেঙ্গুইন)।
গোলাম মুর্শিদের গ্রন্থটি এসেছে রেডিও প্রোগ্রাম ও পত্রিকার কলাম থেকে। এই মাধ্যমেই তিনি বৃহত্তর জনসাধারণের কাছে হাজার বছরের ইতিহাস ও সংস্কৃতি তুলে ধরেছেন। একটু মনোযোগী হলে দেখা যাবে যে অঞ্চল হিসেবে বাংলা, বাংলা ভাষা, ও বাঙালি লোকজন গত ছয় থেকে সাত শতকের ব্যাপ্তিতে স্বতন্ত্র সাংস্কৃতিক সত্ত্বা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।
বইটি ১৪টি অধ্যায়ে ৬৪৪ পৃষ্ঠায় বাংলার সংস্কৃতির পুরো ইতিহাস সামনে নিয়ে এসেছে। বাংলা ভাষাভাষী ও মাছ-ভাত খাওয়া লোকজনকে বাঙলি হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে, যদিও অঞ্চল, ধর্ম (বর্ণ), গ্রাম-শহর ব্যবধান ব্যাপক রয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, তাছাড়া পূর্ব ও পশ্চিম বঙ্গ, বরেন্দ্র ও রাঢ় এগুলো স্রেফ ভৌগোলিক বিভক্তি নয়, এখানে সামাজিক ঐক্যের অভাবও ছিল। তিনি বলেছেন, ভাষাই আমাদের মধ্যে ঐক্য গড়ে দিয়েছে। বাঙালি বলতে আসলে যারা বাংলা ভাষায় কথা বলে, তাদেরই বোঝায়।
আর তা কাকতালীয়ভাবে হয়নি। বাঙালি আড্ডাকে বাঙালি আড্ডায় পরিণত করতে সাংস্কৃতিক বিনিয়োগের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।
ভাষার পর ধর্মের দিকে নজর দেয়া হয়েছে। সমসাময়িক পশ্চিমবঙ্গে হিন্দুরা নিজেদের বাঙালি বলে পরিচয় দিয়ে থাকে। তাদের কাছে মুসলিমরা হলো মুসলিম, এমনকি তারা বাংলা ভাষায় কথা বললেও। বাঙালি মুসলিমরা তাদের দ্বৈত পরিচয় নিয়ে সংগ্রাম করেছে। জন্ম ও ভাষার সূত্রে তাই বাঙালি হওয়া সতর্কভাবে বাছাই করা পরিচয়।
বিজ্ঞ বাঙালি ব্যক্তিত্বরা সবসময়ই রাজনৈতিক বিভক্তির ঊর্ধ্বে ওঠে অভিন্ন সাংস্কৃতিক অবস্থানের ওপর জোর দিয়েছেন।
উপজাতীয় লোকজনের বাঙালি পরিচিতি নির্মাণের অসমাপ্ত কাজটি এখনো সমস্যা হিসেবে রয়ে গেছে। ফলে জটিলতা বয়ে বেড়াতে হচ্ছে।
বাঙালি ও মুসলিম
বাঙালি সংস্কৃতি গঠন নিয়ে সংক্ষিপ্ত একটি অধ্যায়ের পর মুর্শিদ যথাযথভাবেই ইন্দো-মুসলিম যুগের সাংস্কৃতিক রূপান্তরের দিকে ছুটে গেছেন। তিনি ১৩ শ’ শতক থেকে ১৮ শ’ শতক পর্যন্ত ব্যাপ্ত বাঙলার মুসলিম শাসনের প্রায় ৫৫০ বছরের ইতিহাসের দিকে মনোযোগী হয়েছেন। মুসলিম শাসকেরা এসেছিলেন মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন অংশ থেকে। তারা ভিন্ন ভাষায় কথা বলতেন, একক সংস্কৃতির অধিকারী ছিলেন না। তাদের অভিন্ন ধর্মীয় পরিচিতি থাকলেও তারা ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলা সফর করতেন না। আরবি, পাররি, তুর্কি ভাষাভাষী মুসলিম অভিবাসীরা সাথে করে নানা ধরনের সংস্কৃতি ও সভ্যতা নিয়ে এসেছিলেন। স্থানীয় রমণীদের বিয়ের মাধ্যমে ওই সংস্কৃতি স্থানীয় সংস্কৃতির সাথে মিশে বাঙালি মুসলিম সংস্কৃতি সৃষ্টি করেছে। একইভাবে উত্তর ভারতের ব্রাহ্মণ অভিবাসীরাও সাঁওতাল রমণীদের বিয়ে করে বাঙালি ব্রাহ্মণ সৃষ্টি করেছে।
মুসলিম শাসক ও মধ্য ইসলামিক ভূমির অভিজাতদের ও সেইসাথে স্থানীয় মধ্যবর্তীদের সাথে মেলামেশার ফলে বাঙালি সভ্যতার উদ্ভব ঘটিয়েছে। আর তা ধর্ম, স্থাপত্য, সাহিত্যসহ সংস্কৃতির নানা উপাদানে নতুনত্ব সৃষ্টি করেছে। মসজিদ, মাজার, দরগায় এসব চিহ্ন বিপুলভাবে দেখা যায়।
সামাজিক ও ধর্মীয় অধ্যায়ে মুর্শিদ লিখেছেন যে মধ্য যুগে ইসলামের অভ্যুদয়ের ফলে স্থানীয় ও আমদানিকৃত ধর্মের মধ্যে নানা মাত্রিক সংযোগ প্রতিষ্ঠিত হয়।
লেখক ধর্মীয় মাত্রার নানা দিক তুলে ধরেছেন। সমাজ ও সংস্কৃতিতে এর প্রভাব তুলে ধরার চেষ্টা করেছেন ব্যাপক পরিসরে। ধর্মকে কেবল ধর্মীয় পরিসরেই সীমিত রাখা যায় না। ইসলাম ধর্ম ও হিন্দু ধর্মকে বাঙালিরা কিভাবে ব্যাখ্যা করেছে, সেটিও বিশ্লেষণ করার প্রয়োজন রয়েছে। ভিন্নতার কারণেই বাঙালি মুসলিম কিন্তু বিহারি মুসলিম বা পাঞ্জাবি মুসলিম হয়নি।
লেখক ধর্মীয় একীভূত করার প্রক্রিয়ায় বৌদ্ধ তান্ত্রিক ব্যবস্থার ওপর বেশ গুরুত্বারোপ করেছেন। আবার শিবের স্ত্রী, কন্যা ও পুত্রবধূ হিসেবে অনার্য দেবীরা হিন্দু ঐতিহ্যের দেবী হিসেবে গৃহীত হয়েছে। মঙ্গল কাব্যগুলোতে বিষয়টি প্রবলভাবে দেখা যায়। তাছাড়া চৈতন্যদেবকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্ম পুনর্জীবন আন্দোলন ইসলামের ব্যাপক রাজনৈতিক উপস্থিতিকে প্রতিরোধ করতে দেখা যায়।
বাঙলার বিশ্বাস সবসময়েই ছিল ভক্তিমূলক, গুরুদের প্রতি ছিল নিবেদিতপ্রাণ। এ কারণে গুরুমুখী ইসলামই এখানে বিকশিত হয়েছে। বৌদ্ধ সহজিয়া আদর্শ, সুফি ধ্যান ধারণা ও বৈষ্ণববাদের মিলন এখানে ঘটতে পেরেছে।
মাছ পছন্দ
লেখক ঐতিহাসিক তথ্যের সাহায্যে দেখিয়েছেন এই এলাকার লোকজন মাছের প্রতি বিপুলভাবে আকৃষ্ট ছিল। মুসলিম ও অন্যান্য আমলে খাদ্যাভ্যাসে বিপুল বৈচিত্র্য সৃষ্টি হলেও গত ১০০০ বছরে বাঙালি খাদ্য আলাদাই থেকে গেছে।
তবে মুর্শিদ কিন্তু কেবল ধর্ম বা খাদ্যেই সীমিত থাকেননি। তিনি সঙ্গীত, চলচ্চিত্র, অন্যান্য ধরনের শিল্পকলার দিকেও নজর দিয়েছেন। এমনকি বাবু সংস্কৃতিও তিনি সামনে নিয়ে এসেছেন।
লেখক এই বইটিতে যেভাবে বাঙালি ইতিহাস তুলে ধরেছেন, তা সত্যিই প্রশংসাযোগ্য। বইটি বাঙলার সংস্কৃতির ইতিহাসের অমূল্য সম্পদ বিবেচিত হতে পারে।
লেখক: শিক্ষক, দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি এর আগে ছিলেন ফেলো, সেন্টার ফর স্টাডিজ ইন সোস্যাল সায়েন্সেস, কলকাতা। তার গ্রন্থরাজির মধ্যে রয়েছে ‘দি মুসলিম কোশ্চেন আন্ডারস্ট্যান্ডিং ইসলাম অ্যান্ড ইন্ডিয়ান হিস্টরি’ (পেঙ্গুইন)।
No comments