জেলখানায় প্রেম, সমকামিতা
বৃটেনের
জঘন্যতম ভালবাসার কাহিনী বলা হয় একে। সিরিয়াল কিলার হিসেবে পরিচিত রোজ
ওয়েস্ট ও মিরা হিন্ডলের মধ্যে জেলখানায় গড়ে উঠেছিল প্রেম। দুই নারীর সেই
সম্পর্ক গড়ায় শারীরিক সম্পর্কে। সমকামিতায় লিপ্ত হন তারা জেলের ভিতরেই। তবে
খুব বেশি দিন তাদের এই সম্পর্ক টিকে থাকে নি। কয়েক মাস। তারপর হিন্ডলে’কে
ত্যাগ করেন রোজ ওয়েস্ট। কারণ, তিনি নাকি খুব বেশি বিপজ্জনক আর ধান্দাবাজ।
এমন দাবি করেছেন রোজ ওয়েস্টের সাবেক আইনজীবী লিও গোটলে। তার আইনজীবী হওয়ার কারণে তিনি বহুবার রোজ ওয়েস্টের সঙ্গে সাক্ষাত করতে জেলে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে জানতে পেরেছেন সব। বলেছেন, রোজ ওয়েস্টের এখন বয়স ৬৫ বছর। তিনি জেলের জীবনকেই বেছে নিয়েছেন। সেখান থেকে মুক্ত হতে চান না।
ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের দিকের। ওই সময় সিরিয়াল কিলার বা ধারাবাহিক হত্যার অভিযোগে জেল দেয়া হয় এই দুই নারীকে। কিন্তু জেলখানার ভিতর তাদের সাক্ষাত হয়ে যায়। পরিচয় হয়। আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। সেই ঘনিষ্ঠতা এক পর্যায়ে সমকামিতায় রূপ নেয়। ডারহাম জেলখানায় রোজ ওয়েস্টের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতেন তার আইনজীবী লিও গোটলে। সেই সময়কার কাহিনী নিয়ে তিনি একটি বই লিখেছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ফ্রেড অ্যান্ড রোজ ওয়েস্ট’। এতে তিনি তুলে ধরছেন বৃটেনের দুই জঘন্য নারীর জেলখানার ব্যতিক্রমধর্মী প্রণয়লীলা। এতে আরো বর্ণনা করেছেন রোজ ওয়েস্ট ও তার স্বামী ফ্রেড মিলে কিভাবে ভয়াবহ সহ হত্যাকান্ড ঘটাতেন। রোজের বিরুদ্ধে ১০ জন বালিকা ও যুবতীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার বিচারে ১২ বছর প্রতিনিধিত্ব করেন আইনজীবী লিও গোটলে।
এক পর্যায়ে জেলখানার ভিতরে রোজ ওয়েস্টের স্বামী ফ্রেড আত্মহত্যা করেন। সেই আত্মহত্যার ২৫তম বার্ষিকীকে সামনে রেখে বই প্রকাশ করেছেন লিও গোটলে। রোজ ওয়েস্টের যৌনজীবন এবং তার হত্যাযজ্ঞ নিয়ে তার কোনোই সন্দেহ নেই। এসব হত্যাকান্ড বৃটেনকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। রোজ ওয়েস্টের বয়স যখন মাত্র ১৪ বছর তখন তার স্বামী ফ্রেডের সঙ্গে মিলে স্কুলছাত্রী মেরি ব্যাসথেমকে হত্যা করে। ওই ছাত্রী ১৯৬৮ সালে ১৫ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে যান। এখন রোজ ওয়েস্টের বয়স ৬৫ বছর। কিন্তু তিনিই ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি জেলখানায় যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন বলে দাবি করেছেন লিও গোটলে, তা এখন সবচেয়ে বড় বিতর্ক সৃষ্টি করবে।
১৯৬৬ সালে প্রেমিক ইয়ান ব্রাডির সঙ্গে মুরস মার্ডারের জন্য অভিযুক্ত হয়ে শাস্তি পান হিন্ডলে। তাকে ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে পাঠানো হয় ডারহাম জেলে। একই সময় সেখানে ছিলেন রোজ ওয়েস্ট। মুরস মার্ডার বৃটেনকে নাড়িয়ে দেয়। তাকে ওই সময় বৃটেনের সবচেয়ে নিকৃষ্ট নারী খুনি হিসেবে অভিহিত করা হয়। ডারহাম জেলের ভিতরেই রোজ ওয়েস্টের সঙ্গে হিন্ডলের ঘনিষ্ঠতা। সেখানেই তারা সমকামিতায় লিপ্ত হন।
গোটলে তার বইয়ে সমাবেশ ঘটিয়েছেন রোজ ওয়েস্টের ১২ বছরের চিঠি, সাক্ষাতকার ও তার সঙ্গে লিও গোটলের ভিজিটের বর্ণনা। তিনি বলেছেন, অনেক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের একটি ছিল হিন্ডলের সঙ্গের সম্পর্ক। যাবজ্জীবন জেলের শুরু থেকেই রোজ ওয়েস্ট এ সম্পর্ক উপভোগ করতে থাকেন। তাদের এই সম্পর্ক ছিল প্রকৃতপক্ষেই সাপোর্টিভ এবং মাঝে মধ্যেই তা শারীরিক সম্পর্কে গড়াতো। তারা বেদিশা হয়ে যেতেন।
এমন দাবি করেছেন রোজ ওয়েস্টের সাবেক আইনজীবী লিও গোটলে। তার আইনজীবী হওয়ার কারণে তিনি বহুবার রোজ ওয়েস্টের সঙ্গে সাক্ষাত করতে জেলে গিয়েছেন। সেখানে গিয়ে জানতে পেরেছেন সব। বলেছেন, রোজ ওয়েস্টের এখন বয়স ৬৫ বছর। তিনি জেলের জীবনকেই বেছে নিয়েছেন। সেখান থেকে মুক্ত হতে চান না।
ঘটনাটি ১৯৯৫ সালের দিকের। ওই সময় সিরিয়াল কিলার বা ধারাবাহিক হত্যার অভিযোগে জেল দেয়া হয় এই দুই নারীকে। কিন্তু জেলখানার ভিতর তাদের সাক্ষাত হয়ে যায়। পরিচয় হয়। আস্তে আস্তে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে। সেই ঘনিষ্ঠতা এক পর্যায়ে সমকামিতায় রূপ নেয়। ডারহাম জেলখানায় রোজ ওয়েস্টের সঙ্গে নিয়মিত দেখা করতেন তার আইনজীবী লিও গোটলে। সেই সময়কার কাহিনী নিয়ে তিনি একটি বই লিখেছেন। এর নাম দেয়া হয়েছে ‘আন্ডারস্ট্যান্ডিং ফ্রেড অ্যান্ড রোজ ওয়েস্ট’। এতে তিনি তুলে ধরছেন বৃটেনের দুই জঘন্য নারীর জেলখানার ব্যতিক্রমধর্মী প্রণয়লীলা। এতে আরো বর্ণনা করেছেন রোজ ওয়েস্ট ও তার স্বামী ফ্রেড মিলে কিভাবে ভয়াবহ সহ হত্যাকান্ড ঘটাতেন। রোজের বিরুদ্ধে ১০ জন বালিকা ও যুবতীকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। এ অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়ার পর তার বিচারে ১২ বছর প্রতিনিধিত্ব করেন আইনজীবী লিও গোটলে।
এক পর্যায়ে জেলখানার ভিতরে রোজ ওয়েস্টের স্বামী ফ্রেড আত্মহত্যা করেন। সেই আত্মহত্যার ২৫তম বার্ষিকীকে সামনে রেখে বই প্রকাশ করেছেন লিও গোটলে। রোজ ওয়েস্টের যৌনজীবন এবং তার হত্যাযজ্ঞ নিয়ে তার কোনোই সন্দেহ নেই। এসব হত্যাকান্ড বৃটেনকে শোকে স্তব্ধ করে দিয়েছিল। রোজ ওয়েস্টের বয়স যখন মাত্র ১৪ বছর তখন তার স্বামী ফ্রেডের সঙ্গে মিলে স্কুলছাত্রী মেরি ব্যাসথেমকে হত্যা করে। ওই ছাত্রী ১৯৬৮ সালে ১৫ বছর বয়সে নিখোঁজ হয়ে যান। এখন রোজ ওয়েস্টের বয়স ৬৫ বছর। কিন্তু তিনিই ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি জেলখানায় যে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন বলে দাবি করেছেন লিও গোটলে, তা এখন সবচেয়ে বড় বিতর্ক সৃষ্টি করবে।
১৯৬৬ সালে প্রেমিক ইয়ান ব্রাডির সঙ্গে মুরস মার্ডারের জন্য অভিযুক্ত হয়ে শাস্তি পান হিন্ডলে। তাকে ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে পাঠানো হয় ডারহাম জেলে। একই সময় সেখানে ছিলেন রোজ ওয়েস্ট। মুরস মার্ডার বৃটেনকে নাড়িয়ে দেয়। তাকে ওই সময় বৃটেনের সবচেয়ে নিকৃষ্ট নারী খুনি হিসেবে অভিহিত করা হয়। ডারহাম জেলের ভিতরেই রোজ ওয়েস্টের সঙ্গে হিন্ডলের ঘনিষ্ঠতা। সেখানেই তারা সমকামিতায় লিপ্ত হন।
গোটলে তার বইয়ে সমাবেশ ঘটিয়েছেন রোজ ওয়েস্টের ১২ বছরের চিঠি, সাক্ষাতকার ও তার সঙ্গে লিও গোটলের ভিজিটের বর্ণনা। তিনি বলেছেন, অনেক নারীর সঙ্গে সম্পর্কের একটি ছিল হিন্ডলের সঙ্গের সম্পর্ক। যাবজ্জীবন জেলের শুরু থেকেই রোজ ওয়েস্ট এ সম্পর্ক উপভোগ করতে থাকেন। তাদের এই সম্পর্ক ছিল প্রকৃতপক্ষেই সাপোর্টিভ এবং মাঝে মধ্যেই তা শারীরিক সম্পর্কে গড়াতো। তারা বেদিশা হয়ে যেতেন।
No comments