বিএনপি’র হাতে সময় খুব কম :- কর্নেল (অব.) অলি by শাহনেওয়াজ বাবলু
কর্নেল
(অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। একজন রাজনীতিবিদ। রাজপথের লড়াকু সৈনিক ।
মুক্তিযুদ্ধের অগ্রনায়ক। একাধিকবারের সংসদ সদস্য। ছিলেন মন্ত্রীও। খোলামেলা
কথা বলতে পছন্দ করেন। এ খোলামেলা কথা বলা নিয়েই তার নিজ দল বিএনপির সঙ্গে
শুরু হয় দূরত্ব।
একসময় হয়ে পড়েন বিচ্ছিন্ন। নিজে দল করেন। লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টি। সংক্ষেপে এলডিপি। বর্তমানে দলটির চেয়ারম্যান তিনি। বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এর সঙ্গে তিনি জড়িত। বিশেষ করে বিএনপি নামটিও তার দেয়া। এ কারণে যত দূরেই যান না কেন বিএনপি তার মনে প্রাণে। বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে তার মুখে এখন হতাশার সুর। বলেন, আগেকার বিএনপি আর এখনকার বিএনপি এক নয়। তারপরও তিনি আশাবাদী। বলেন, সঠিক নেতৃত্ব পেলে বিএনপি আবারো ক্ষমতায় আসবে। এজন্য নেতাকর্মীদের সঠিক নেতা বেছে নিতে হবে বলে মন্তব্য তার।
তবে, তার কথা- বিএনপির হাতে সময় খুব কম। গতকাল এ রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলাপচারিতায় কখনো ফিরে যান অতীতে। কখনো ভবিষ্যৎ ভাবনায় তাড়িত হন। বিএনপির প্রসঙ্গ আসতেই বলেন, এ নামটিও আমার দেয়া। অতীতে ফিরে গিয়ে বলেন, ১৯৭৭ সালে এই নামটি একটি কাগজে আমিই লিখেছিলাম। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা তানভীর আহমেদ ও প্রফেসর আরিফ মঈনুদ্দিন। ওই কাগজটা এখনো আমার কাছে আছে। কর্নেল অলি বলেন, বিভিন্ন সময়ে সংগ্রাম এবং ক্ষমতায় থাকার কারণে বিএনপি একটি সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। সঠিক নেতৃত্ব পেলে বিএনপি টিকে থাকবে। ক্ষমতায় আসবে। ২০ দলীয় জোট প্রসঙ্গে অলির ভাষ্য জোটের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। তারা কখনো ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে ব্যস্ত, আবার কখনো কখনো নিজেদের দলের জনসমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত। ২৪ ঘণ্টার নোটিশে হঠাৎ হঠাৎ ২০ দলের বৈঠকও ডাকেন তারা।
অনেক সময় দেখা যায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঢাকায় উপস্থিত থাকেন না বৈঠকের সময়। ২০ দলীয় জোট যে কার্যকর আছে সেটা বলা যাবে না। বিএনপি এখন ঐক্যফ্রন্টকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। আর তারা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বকেই পছন্দ করেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্ভাবনাময় এবং তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদদের নিয়ে একটি জাতীয় মুক্তি মঞ্চ গঠন করেছি। এই মঞ্চের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং পুনঃনির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করা। কারণ গত জাতীয় নির্বাচন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই পরবর্তীতে কোনো নির্বাচনে মঞ্চের কোনো সদস্য অংশ নেয়নি। অন্যদিকে বিএনপি বলেছিল, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও এর ফলাফল তাদের গ্রহণযোগ্য নয় এবং তারা সেটা প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন হয়নি। বিএনপির নির্বাচিত সদস্যরা সংসদে যোগদান করেছে এবং পরবর্তীতে প্রত্যেকটা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য ভিন্ন। এক কথায় বলতে গেলে জাতীয় মুক্তি মঞ্চের বক্তব্য হচ্ছে, জাতিকে মুক্ত করা এবং সরকারকে পুনর্নির্বাচনে বাধ্য করা।
২০ দলের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ২০ দলের সঙ্গে জামায়াতের কি সমস্যা এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত হবে না। আমি শুধু বিশ্বাস করি জোটের সঙ্গে যে বা যারাই আছে, চিন্তা ভাবনা করেই তাদের অতীতের কর্মকাণ্ড, সামাজিক অবস্থান, দলের অবস্থান, জনগণের মতামত সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই জোটে বা ঐক্যজোটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটা কোনো ফুটপাথের দোকানিদের সংগঠন না। এটা একটা রাজনৈতিক দলের জোট। ২০ দলের সঙ্গে তার দলের সম্পর্ক নিয়ে বলেন, বহুদিন ধরে ২০ দলীয় নেতাদের সঙ্গে আমার দেখা বা কথা বলার সুযোগ হয়নি। আপাতত আমি জাতীয় মুক্তি মঞ্চ নিয়ে দেশকে মুক্ত করার কাজেই ব্যস্ত।
আর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের কোনো সম্পর্ক নেই। উভয়ই নিজ নিজ কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রথম দিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আমাকে এর দ্বিতীয় নেতা হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে আমি রাজি হইনি। কারণ একদিকে ২০ দল, অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট এতে করে জনমনে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার অবকাশ ছিল। মানুষ মনে করতো আসলে আমি কে বা কার লোক। সামনে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের যৌথ কর্মসূচির প্রসঙ্গ টানতেই বলেন, এখন আর সে সময় নাই।
দেশের সমসাময়িক ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? এ প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল অলি বলেন, বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোতে লেখাপড়ার কোনো হদিস নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোমলমতি ছেলেমেয়েদের হাতে অবৈধ অস্ত্র তুলে দিচ্ছি। দেশকে মেধাশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছি। এর জন্য রাজনীতিবিদরা যেভাবে দায়ী ঠিক তেমনি শিক্ষকরাও এর দায় এড়াতে পারে না। দেশে লেজুরভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন খুব জরুরি। কারণ তারাই আমাদের আগামীর জাতির মেরুদণ্ড। আর এই ছাত্রদের ন্যায় এবং সত্যের পথে নিয়ে যাওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কি করছেন? কর্নেল অলি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর প্রথম এলডিপির পক্ষ থেকে সরকারের সমালোচনা করে আমরা সংবাদ সম্মেলন করি। উনার মুক্তির দাবিতে প্রায় দশ দিন টানা কর্মসূচি পালন করেছি। আমি মনে করি কোনো যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়াই প্রতিশোধের রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্য এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আটকে রাখার জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। জিয়া পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ১৯৭০ সাল থেকে। আমি মনে করি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কাজ করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কখনোই পিছপা হবো না। কারো জ্ঞান শুনে আমি রাজনীতি করি না। স্বাধীনতা যুদ্ধে তরুণ একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে যুদ্ধ করেছি। এদেশকে আমরা ভালোবাসি। চোখের সামনে দেশটাকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এই দেশ রক্ষায় শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় মুক্তি মঞ্চের ব্যাপারে তার কথা- মুক্তি মঞ্চ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। এটা কোনো ব্যক্তি, কোনো নেতা বা কোনো দলের ওপর নির্ভরশীল নয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করে পুনঃনির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জনমনে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
একসময় হয়ে পড়েন বিচ্ছিন্ন। নিজে দল করেন। লিবারেল ডেমোক্রেট পার্টি। সংক্ষেপে এলডিপি। বর্তমানে দলটির চেয়ারম্যান তিনি। বিএনপি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই এর সঙ্গে তিনি জড়িত। বিশেষ করে বিএনপি নামটিও তার দেয়া। এ কারণে যত দূরেই যান না কেন বিএনপি তার মনে প্রাণে। বিএনপির সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে তার মুখে এখন হতাশার সুর। বলেন, আগেকার বিএনপি আর এখনকার বিএনপি এক নয়। তারপরও তিনি আশাবাদী। বলেন, সঠিক নেতৃত্ব পেলে বিএনপি আবারো ক্ষমতায় আসবে। এজন্য নেতাকর্মীদের সঠিক নেতা বেছে নিতে হবে বলে মন্তব্য তার।
তবে, তার কথা- বিএনপির হাতে সময় খুব কম। গতকাল এ রাজনৈতিক নেতার সঙ্গে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সমসাময়িক বিষয় নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হয়। দীর্ঘ আলাপচারিতায় কখনো ফিরে যান অতীতে। কখনো ভবিষ্যৎ ভাবনায় তাড়িত হন। বিএনপির প্রসঙ্গ আসতেই বলেন, এ নামটিও আমার দেয়া। অতীতে ফিরে গিয়ে বলেন, ১৯৭৭ সালে এই নামটি একটি কাগজে আমিই লিখেছিলাম। ওই সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি নেতা তানভীর আহমেদ ও প্রফেসর আরিফ মঈনুদ্দিন। ওই কাগজটা এখনো আমার কাছে আছে। কর্নেল অলি বলেন, বিভিন্ন সময়ে সংগ্রাম এবং ক্ষমতায় থাকার কারণে বিএনপি একটি সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। সঠিক নেতৃত্ব পেলে বিএনপি টিকে থাকবে। ক্ষমতায় আসবে। ২০ দলীয় জোট প্রসঙ্গে অলির ভাষ্য জোটের মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিএনপির। তারা কখনো ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে ব্যস্ত, আবার কখনো কখনো নিজেদের দলের জনসমাবেশ নিয়ে ব্যস্ত। ২৪ ঘণ্টার নোটিশে হঠাৎ হঠাৎ ২০ দলের বৈঠকও ডাকেন তারা।
অনেক সময় দেখা যায় বিএনপির সিনিয়র নেতারা ঢাকায় উপস্থিত থাকেন না বৈঠকের সময়। ২০ দলীয় জোট যে কার্যকর আছে সেটা বলা যাবে না। বিএনপি এখন ঐক্যফ্রন্টকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। আর তারা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বকেই পছন্দ করেন। কথা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সম্ভাবনাময় এবং তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদদের নিয়ে একটি জাতীয় মুক্তি মঞ্চ গঠন করেছি। এই মঞ্চের অন্যতম লক্ষ্য হচ্ছে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং পুনঃনির্বাচনে সরকারকে বাধ্য করা। কারণ গত জাতীয় নির্বাচন আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। তাই পরবর্তীতে কোনো নির্বাচনে মঞ্চের কোনো সদস্য অংশ নেয়নি। অন্যদিকে বিএনপি বলেছিল, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও এর ফলাফল তাদের গ্রহণযোগ্য নয় এবং তারা সেটা প্রত্যাখ্যান করেছে। কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন হয়নি। বিএনপির নির্বাচিত সদস্যরা সংসদে যোগদান করেছে এবং পরবর্তীতে প্রত্যেকটা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এ ব্যাপারে আমাদের বক্তব্য ভিন্ন। এক কথায় বলতে গেলে জাতীয় মুক্তি মঞ্চের বক্তব্য হচ্ছে, জাতিকে মুক্ত করা এবং সরকারকে পুনর্নির্বাচনে বাধ্য করা।
২০ দলের সঙ্গে জামায়াতের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ২০ দলের সঙ্গে জামায়াতের কি সমস্যা এ বিষয়ে আমার মন্তব্য করা উচিত হবে না। আমি শুধু বিশ্বাস করি জোটের সঙ্গে যে বা যারাই আছে, চিন্তা ভাবনা করেই তাদের অতীতের কর্মকাণ্ড, সামাজিক অবস্থান, দলের অবস্থান, জনগণের মতামত সবকিছু বিবেচনায় নিয়েই জোটে বা ঐক্যজোটে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। এটা কোনো ফুটপাথের দোকানিদের সংগঠন না। এটা একটা রাজনৈতিক দলের জোট। ২০ দলের সঙ্গে তার দলের সম্পর্ক নিয়ে বলেন, বহুদিন ধরে ২০ দলীয় নেতাদের সঙ্গে আমার দেখা বা কথা বলার সুযোগ হয়নি। আপাতত আমি জাতীয় মুক্তি মঞ্চ নিয়ে দেশকে মুক্ত করার কাজেই ব্যস্ত।
আর ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের কোনো সম্পর্ক নেই। উভয়ই নিজ নিজ কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত। ঐক্যফ্রন্ট গঠনের প্রথম দিকে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন আমাকে এর দ্বিতীয় নেতা হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। তাতে আমি রাজি হইনি। কারণ একদিকে ২০ দল, অন্যদিকে ঐক্যফ্রন্ট এতে করে জনমনে ভুল বোঝাবুঝি হওয়ার অবকাশ ছিল। মানুষ মনে করতো আসলে আমি কে বা কার লোক। সামনে ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে ২০ দলের যৌথ কর্মসূচির প্রসঙ্গ টানতেই বলেন, এখন আর সে সময় নাই।
দেশের সমসাময়িক ছাত্র রাজনীতি নিয়ে আপনার মূল্যায়ন কী? এ প্রশ্নের উত্তরে কর্নেল অলি বলেন, বর্তমানে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজগুলোতে লেখাপড়ার কোনো হদিস নেই। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সন্ত্রাসী তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। আমরা ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য কোমলমতি ছেলেমেয়েদের হাতে অবৈধ অস্ত্র তুলে দিচ্ছি। দেশকে মেধাশূন্য করার গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছি। এর জন্য রাজনীতিবিদরা যেভাবে দায়ী ঠিক তেমনি শিক্ষকরাও এর দায় এড়াতে পারে না। দেশে লেজুরভিত্তিক ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া উচিত। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেকটা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন খুব জরুরি। কারণ তারাই আমাদের আগামীর জাতির মেরুদণ্ড। আর এই ছাত্রদের ন্যায় এবং সত্যের পথে নিয়ে যাওয়া আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে কি করছেন? কর্নেল অলি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া জেলে যাওয়ার পর প্রথম এলডিপির পক্ষ থেকে সরকারের সমালোচনা করে আমরা সংবাদ সম্মেলন করি। উনার মুক্তির দাবিতে প্রায় দশ দিন টানা কর্মসূচি পালন করেছি। আমি মনে করি কোনো যুক্তি সঙ্গত কারণ ছাড়াই প্রতিশোধের রাজনীতি চরিতার্থ করার জন্য এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আটকে রাখার জন্যই বেগম খালেদা জিয়াকে আটকে রাখা হয়েছে। জিয়া পরিবারের সঙ্গে আমার সম্পর্ক ১৯৭০ সাল থেকে। আমি মনে করি খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য কাজ করা আমার পবিত্র দায়িত্ব। এই পবিত্র দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে কখনোই পিছপা হবো না। কারো জ্ঞান শুনে আমি রাজনীতি করি না। স্বাধীনতা যুদ্ধে তরুণ একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে যুদ্ধ করেছি। এদেশকে আমরা ভালোবাসি। চোখের সামনে দেশটাকে ধ্বংস হতে দিতে পারি না। এই দেশ রক্ষায় শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
জাতীয় মুক্তি মঞ্চের ব্যাপারে তার কথা- মুক্তি মঞ্চ তার অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য এগিয়ে যাচ্ছে। এটা কোনো ব্যক্তি, কোনো নেতা বা কোনো দলের ওপর নির্ভরশীল নয়। নিয়মতান্ত্রিকভাবে আমরা আমাদের কর্মসূচি পালন করে পুনঃনির্বাচন এবং খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য জনমনে অব্যাহত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাবো।
No comments