জাতিসংঘে পাকিস্তানী নারী সেনাদের সমুন্নত শির
সারা
বিশ্বে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনগুলোতে ব্লু হেলমেট ও ব্লু ক্যাপ পরিহিত
পাকিস্তানের নারী সেনারা সামনের সারিতে থেকে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
বিশ্বজুড়ে মানবতার সেবা, শান্তি বিনির্মাণ ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার
প্রচেষ্টায় জাতিসংঘ মিশনগুলোতে বহুবার পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নারী সদস্যরা
তাদের জোরালে উপস্থিতির কথা জানান দেন।
এরকম এক পাকিস্তানী নারী সেনাসদস্য, সাইপ্রাসে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত মেজর ফৌজিয়া পারভিনের ছবি জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোদি সম্প্রতি তার টুইটারে শেয়ার করলে সামাজিক গণমাধ্যমে প্রশংসার ঝড় বয়ে যায়। ছবিতে সাইপ্রাসের কোন এক জায়গায় জাতিসংঘের একটি গাড়ির পাশে ওয়্যারলেস সেট হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পারভিনকে।
টুইটে মালিহা লিখেন: জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত আমাদের নারী শান্তিরক্ষীদের নিয়ে আমরা গর্বিত। মেজর ফৌজিয়া পারভিন সাইপ্রাসে জাতিসংঘ মিশনে কাজ করছেন, তাকে একটি বাফার জোনে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালনকারী ও সবচেয়ে বড় কনট্রিবিউটর পাকিস্তান। ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার বহুজাতিক প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করে আসছে দেশটির নারী ও পুরুষ শান্তি রক্ষীরা।
বিশ্বসংস্থার এই ফ্লাগশিপ কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি প্রচেষ্টার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে পাকিস্তানী দলের কোটা পূরণের জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৫ জন নারী সেনা ও স্টাফ অফিসারকে মোতায়েন করে ইসলামাবাদ।
জাতিসংঘ মিশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবদান
আন্তর্জাতিক শানিত্ ও স্থিতিশীলতা জোরদারে জাতিসংঘের প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকার কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ভিশন থেকে উৎসরিত। ১৯৬০ সালে প্রথম কঙ্গোতে কনটিনজেন্ট মোতায়েনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টা শুরু হয়। বিগত ৫৯ বছর ধরে দেশটি সারা বিশ্বে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ও ধারাবাহিক অবদান রেখে যাচ্ছে।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যে কথা বলেছিলেন তা তুলে ধরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে: আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতি বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আমরা সততা ও ন্যায্যতার সঙ্গে আচরণে বিশ্বাস করি এবং বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনায়নে আমরা সর্বোচ্চ অবদান রাখতে প্রস্তুত। বিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের প্রতি বস্তুগত ও নৈতিক সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয়া এবং জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে কখনো পাকিস্তানের ত্রুটি পাওয়া যাবে না।
ওয়েবসাইটে আরো বলা হয় যে, জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে জন্ম থেকেই সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, নৈতিক ও বস্তুগত সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পাকিস্তান।
এখন পাকিস্তান শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সদস্য প্রেরণকারী দেশ এবং তাদের সেনারাই সবচেয়ে বেশি হতাহত হচ্ছে। বৈশ্বিক শান্তির মতো মহৎ আদর্শ সমুন্নত রাখতে এটা তার অঙ্গীকার ও প্রচেষ্টার সাক্ষ্য বহন করছে।
১৯৬০ সালের জুলাইয়ে কঙ্গো মিশনে পাকিস্তান লজিস্টিক সহায়তা দেয় এবং সেই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন প্রথম পাকিস্তানী অফিসার লে. কর্নেল নাসের। এই বাহিনী কঙ্গোর ভেতর ও বাইরে সেনা সদস্যদের চলাচলে সুরক্ষা দিয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে পাকিস্তান
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাকিস্তানের সেনা সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ, যারা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ৭০টি অপারেশন কভার করছে।
জাতিসংঘের মতে সংঘাতে ছিন্নভিন্ন দেশগুলোকে সহায়তা করার একটি উপায় হলো শান্তিরক্ষা মিশন। সংঘাত-পরবর্তী সময়ে যে শান্তি রক্ষা প্রক্রিয়া শুরু হয় তা পর্যবেক্ষণ ও তদারকির দায়িত্ব শান্তিরক্ষীদের। সাবেক যোদ্ধারা যেন তাদের স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারে তাতে শান্তিরক্ষীরা সহায়তা করে।
আস্থা তৈরির ব্যবস্থা, ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রক্রিয়া, নির্বাচনী সহায়তা, আইনের শাসন শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে এই সহায়তা করা হয়। পাকিস্তান মূলত সামরিক সদস্যদের পাঠালেও শান্তি রক্ষী হিসেবে প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক পুলিশ সদস্যদেরও পাঠানো হয়।
বিশ্বশান্তি রক্ষায় নিয়োজিত পাকিস্তানী বাহিনী বহুবার জাতিসংঘের পদকে ভূষিত হয়েছে। বিশ্বের অসংখ্য নেতা ও জাতিসংঘের নেতৃত্ব পাকিস্তানী শান্তিরক্ষীদের দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
এরকম এক পাকিস্তানী নারী সেনাসদস্য, সাইপ্রাসে জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত মেজর ফৌজিয়া পারভিনের ছবি জাতিসংঘে নিযুক্ত পাকিস্তানের স্থায়ী প্রতিনিধি মালিহা লোদি সম্প্রতি তার টুইটারে শেয়ার করলে সামাজিক গণমাধ্যমে প্রশংসার ঝড় বয়ে যায়। ছবিতে সাইপ্রাসের কোন এক জায়গায় জাতিসংঘের একটি গাড়ির পাশে ওয়্যারলেস সেট হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় পারভিনকে।
টুইটে মালিহা লিখেন: জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত আমাদের নারী শান্তিরক্ষীদের নিয়ে আমরা গর্বিত। মেজর ফৌজিয়া পারভিন সাইপ্রাসে জাতিসংঘ মিশনে কাজ করছেন, তাকে একটি বাফার জোনে টহল দিতে দেখা যাচ্ছে।
এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে দীর্ঘদিন ধরে দায়িত্ব পালনকারী ও সবচেয়ে বড় কনট্রিবিউটর পাকিস্তান। ১৯৬০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার বহুজাতিক প্রচেষ্টায় অংশগ্রহণ করে আসছে দেশটির নারী ও পুরুষ শান্তি রক্ষীরা।
বিশ্বসংস্থার এই ফ্লাগশিপ কর্মকাণ্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি প্রচেষ্টার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে জাতিসংঘ শান্তি মিশনে পাকিস্তানী দলের কোটা পূরণের জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১৫ জন নারী সেনা ও স্টাফ অফিসারকে মোতায়েন করে ইসলামাবাদ।
জাতিসংঘ মিশনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবদান
আন্তর্জাতিক শানিত্ ও স্থিতিশীলতা জোরদারে জাতিসংঘের প্রতি পাকিস্তানের অঙ্গীকার কায়েদে আজম মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ভিশন থেকে উৎসরিত। ১৯৬০ সালে প্রথম কঙ্গোতে কনটিনজেন্ট মোতায়েনের মধ্য দিয়ে পাকিস্তানের শান্তিরক্ষা প্রচেষ্টা শুরু হয়। বিগত ৫৯ বছর ধরে দেশটি সারা বিশ্বে জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ও ধারাবাহিক অবদান রেখে যাচ্ছে।
১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ যে কথা বলেছিলেন তা তুলে ধরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে: আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হলো বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতি বন্ধুত্ব ও সৌহার্দ্যপূর্ণ। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক লেনদেনের ক্ষেত্রে আমরা সততা ও ন্যায্যতার সঙ্গে আচরণে বিশ্বাস করি এবং বিশ্বের দেশগুলোর মধ্যে শান্তি ও সমৃদ্ধি আনায়নে আমরা সর্বোচ্চ অবদান রাখতে প্রস্তুত। বিশ্বের নির্যাতিত ও নিপীড়িত মানুষের প্রতি বস্তুগত ও নৈতিক সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দেয়া এবং জাতিসংঘ সনদের নীতিমালা সমুন্নত রাখার ক্ষেত্রে কখনো পাকিস্তানের ত্রুটি পাওয়া যাবে না।
ওয়েবসাইটে আরো বলা হয় যে, জাতিসংঘের সদস্য হিসেবে জন্ম থেকেই সক্রিয় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা, নৈতিক ও বস্তুগত সহায়তার মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে পাকিস্তান।
এখন পাকিস্তান শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সদস্য প্রেরণকারী দেশ এবং তাদের সেনারাই সবচেয়ে বেশি হতাহত হচ্ছে। বৈশ্বিক শান্তির মতো মহৎ আদর্শ সমুন্নত রাখতে এটা তার অঙ্গীকার ও প্রচেষ্টার সাক্ষ্য বহন করছে।
১৯৬০ সালের জুলাইয়ে কঙ্গো মিশনে পাকিস্তান লজিস্টিক সহায়তা দেয় এবং সেই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন প্রথম পাকিস্তানী অফিসার লে. কর্নেল নাসের। এই বাহিনী কঙ্গোর ভেতর ও বাইরে সেনা সদস্যদের চলাচলে সুরক্ষা দিয়েছে।
জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে পাকিস্তান
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে পাকিস্তানের সেনা সংখ্যা তৃতীয় সর্বোচ্চ, যারা বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ৭০টি অপারেশন কভার করছে।
জাতিসংঘের মতে সংঘাতে ছিন্নভিন্ন দেশগুলোকে সহায়তা করার একটি উপায় হলো শান্তিরক্ষা মিশন। সংঘাত-পরবর্তী সময়ে যে শান্তি রক্ষা প্রক্রিয়া শুরু হয় তা পর্যবেক্ষণ ও তদারকির দায়িত্ব শান্তিরক্ষীদের। সাবেক যোদ্ধারা যেন তাদের স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করতে পারে তাতে শান্তিরক্ষীরা সহায়তা করে।
আস্থা তৈরির ব্যবস্থা, ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রক্রিয়া, নির্বাচনী সহায়তা, আইনের শাসন শক্তিশালী করা, অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে এই সহায়তা করা হয়। পাকিস্তান মূলত সামরিক সদস্যদের পাঠালেও শান্তি রক্ষী হিসেবে প্যারামিলিটারি ও বেসামরিক পুলিশ সদস্যদেরও পাঠানো হয়।
বিশ্বশান্তি রক্ষায় নিয়োজিত পাকিস্তানী বাহিনী বহুবার জাতিসংঘের পদকে ভূষিত হয়েছে। বিশ্বের অসংখ্য নেতা ও জাতিসংঘের নেতৃত্ব পাকিস্তানী শান্তিরক্ষীদের দক্ষতার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন।
No comments