নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎকে নিয়ে বিজেপি’র লাগামহীন কুৎসা
অমর্ত্য
সেনের পর বাঙালি অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সস্ত্রীক নোবেল প্রাপ্তির
খবরে বাঙালি হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ অভিনন্দন এবং উচ্ছ্বাসের জোয়ারে
ভাসছেন। সেখানে এই ভারতীয়ের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে বিজেপি’র মন্ত্রী ও নেতারা
লাগামহীন কুৎসায় মেতে রয়েছেন। অভিজিৎয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন
বামপন্থি। আসলে মোদি সরকারের অর্থনীতির প্রবল সমালোচনা করে আসছেন অভিজিৎ।
নোবেল পাওয়ার ক’দিন আগেও ভারতের অর্থনীতি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রভাব
নিয়ে সমালোচনা করেছিলেন অভিজিৎ। এমনকি নোবেল পাওয়ার পরও তিনি বলেছেন,
ভারতীয় অর্থনীতির হাল খুব খারাপ। অর্থনীতির গতি দ্রুত হারে শ্লথ হচ্ছে।
সরকারও সেটা বুঝছে।
গত নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের খসড়াও তিনিই করে দিয়েছিলেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীরা। নোবেল ঘোষণার চার ঘণ্টা পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিজিৎকে অভিনন্দন জানালেও তার দলের নেতারা গত দু’তিন দিন ধরে লাগাতার কুৎসা করে চলেছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও তারা দ্বিধা করছেন না। গত শুক্রবার রাতেই অভিজিৎ সস্ত্রীক দিল্লি পৌঁছেন। আর সে দিনই ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূস গোয়েল বলেছেন, অভিজিতের তত্ত্ব অচল। দেশের মানুষ গত নির্বাচনে সেই তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে তার সংযোজন, অভিজিৎ বামপন্থি। এদিনই বিজেপি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেছেন, যাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশিনী তারাই দেখি নোবেল পাচ্ছেন। নোবেল পাওয়ার জন্য এটা কোনও কোয়ালিফিকেশন কিনা তা আমার জানা নেই। আবার বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, আমেরিকার জামাই হলে নোবেল পেতে সুবিধা হয়। অভিজিতের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব কুৎসার কোনও জবার দেয়া হয়নি। তার ভাই এবং মা নীরবতাই সেরা অস্ত্র বলে মনে করেছেন। তবে কলকাতার নাগরিক সমাজ এই কুৎসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি’র নীতির সঙ্গে না মিললেই সেই অর্থনৈতিক তত্ত্বকে বামপন্থি বা ভারত বিরোধী তকমা দেবার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, যারা এই ধরনের মন্তব্য করে তাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং যুক্তি নিয়ে আমার প্রবল সন্দেহ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের মন্তব্যকে সরাসরি নোংরা বলে অভিহিত করে বলেছেন, এরা সবাই নিম্ন রুচির পরিচয় দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে অভিজিতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কুৎসা। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ভুয়া টুইটার হ্যান্ডল বানিয়ে সেখান থেকে মনমোহন সিংয়ের নামে প্রশংসা টুইট করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে। টুইটার হ্যান্ডলটির ডিসপ্লে নাম ছিল ‘নট দ্যাট স্বরাজ’। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোবেল পুরস্কার দেয়ার কথা ঘোষিত হওয়ার পরে ডিসপ্লে নাম বদলে করা হয় ‘অভিজিৎ ব্যানার্জি’। ডিসপ্লে পিকচার থেকে মহাত্মা গান্ধী ও সুষমা স্বরাজের মুখের কোলাজ সরিয়ে অভিজিৎ বিনায়কের মুখের ছবি দেয়া হয়। নোবেল কমিটি অভিজিতের যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল, সেই ছবিটিকেই এই টুইটার হ্যান্ডলের ডিসপ্লেতে লাগানো হয়। আর হ্যান্ডল থেকে ‘প্যারডি’ শব্দটি সরিয়ে লেখা হয় ‘ইকনমিস্ট’। তবে হ্যান্ডল নাম যা ছিল, তাই রেখে দেয়া হয়, ‘পলিটিক্স’। কিন্তু টুইটারে কাউকে চিহ্নিত করার জন্য মূলত ডিসপ্লে পিকচার এবং ডিসপ্লে নাম-ই দেখেন সকলে। হ্যান্ডল নাম কেউ সেভাবে খেয়াল করেন না। ফলে গত কয়েক দিনে অনেকেই ওই টুইটার হ্যান্ডলকেই অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যান্ডল ভাবছিলেন। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনন্দন বার্তা পোস্ট করা হচ্ছিল সে হ্যান্ডলে, কখনও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিনন্দন বার্তা। সে সব বার্তার জবাবে ‘ধন্যবাদ’ও জানানো হচ্ছিল। অভিজিতের নামে ফেক টুইটও করা হচ্ছিল। অচিরেই জানা গিয়েছে, ওই টুইটার হ্যান্ডল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের নয়। তার পরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বামদের অভিযোগ, এই কুৎসা চালাচ্ছিলেন গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরাই।
গত নির্বাচনের আগে কংগ্রেসের ন্যায় প্রকল্পের খসড়াও তিনিই করে দিয়েছিলেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত বিজেপি নেতা ও মন্ত্রীরা। নোবেল ঘোষণার চার ঘণ্টা পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অভিজিৎকে অভিনন্দন জানালেও তার দলের নেতারা গত দু’তিন দিন ধরে লাগাতার কুৎসা করে চলেছেন। ব্যক্তিগত আক্রমণ করতেও তারা দ্বিধা করছেন না। গত শুক্রবার রাতেই অভিজিৎ সস্ত্রীক দিল্লি পৌঁছেন। আর সে দিনই ভারতের রেলমন্ত্রী পীযূস গোয়েল বলেছেন, অভিজিতের তত্ত্ব অচল। দেশের মানুষ গত নির্বাচনে সেই তত্ত্বকে খারিজ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে তার সংযোজন, অভিজিৎ বামপন্থি। এদিনই বিজেপি’র কেন্দ্রীয় সম্পাদক রাহুল সিনহা বলেছেন, যাদের দ্বিতীয় স্ত্রী বিদেশিনী তারাই দেখি নোবেল পাচ্ছেন। নোবেল পাওয়ার জন্য এটা কোনও কোয়ালিফিকেশন কিনা তা আমার জানা নেই। আবার বিজেপি’র পশ্চিমবঙ্গ কমিটির সভাপতি দিলীপ ঘোষের মতে, আমেরিকার জামাই হলে নোবেল পেতে সুবিধা হয়। অভিজিতের পরিবারের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব কুৎসার কোনও জবার দেয়া হয়নি। তার ভাই এবং মা নীরবতাই সেরা অস্ত্র বলে মনে করেছেন। তবে কলকাতার নাগরিক সমাজ এই কুৎসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছেন। প্রেসিডেন্সি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ অমল মুখোপাধ্যায় বলেছেন, বিজেপি’র নীতির সঙ্গে না মিললেই সেই অর্থনৈতিক তত্ত্বকে বামপন্থি বা ভারত বিরোধী তকমা দেবার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, যারা এই ধরনের মন্তব্য করে তাদের জ্ঞান, প্রজ্ঞা এবং যুক্তি নিয়ে আমার প্রবল সন্দেহ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিজেপি নেতাদের মন্তব্যকে সরাসরি নোংরা বলে অভিহিত করে বলেছেন, এরা সবাই নিম্ন রুচির পরিচয় দিচ্ছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও চলছে অভিজিতের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কুৎসা। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে ভুয়া টুইটার হ্যান্ডল বানিয়ে সেখান থেকে মনমোহন সিংয়ের নামে প্রশংসা টুইট করার অভিযোগ উঠেছে বিজেপি শিবিরের বিরুদ্ধে। টুইটার হ্যান্ডলটির ডিসপ্লে নাম ছিল ‘নট দ্যাট স্বরাজ’। অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোবেল পুরস্কার দেয়ার কথা ঘোষিত হওয়ার পরে ডিসপ্লে নাম বদলে করা হয় ‘অভিজিৎ ব্যানার্জি’। ডিসপ্লে পিকচার থেকে মহাত্মা গান্ধী ও সুষমা স্বরাজের মুখের কোলাজ সরিয়ে অভিজিৎ বিনায়কের মুখের ছবি দেয়া হয়। নোবেল কমিটি অভিজিতের যে ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিল, সেই ছবিটিকেই এই টুইটার হ্যান্ডলের ডিসপ্লেতে লাগানো হয়। আর হ্যান্ডল থেকে ‘প্যারডি’ শব্দটি সরিয়ে লেখা হয় ‘ইকনমিস্ট’। তবে হ্যান্ডল নাম যা ছিল, তাই রেখে দেয়া হয়, ‘পলিটিক্স’। কিন্তু টুইটারে কাউকে চিহ্নিত করার জন্য মূলত ডিসপ্লে পিকচার এবং ডিসপ্লে নাম-ই দেখেন সকলে। হ্যান্ডল নাম কেউ সেভাবে খেয়াল করেন না। ফলে গত কয়েক দিনে অনেকেই ওই টুইটার হ্যান্ডলকেই অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হ্যান্ডল ভাবছিলেন। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনন্দন বার্তা পোস্ট করা হচ্ছিল সে হ্যান্ডলে, কখনও অরবিন্দ কেজরিওয়ালের অভিনন্দন বার্তা। সে সব বার্তার জবাবে ‘ধন্যবাদ’ও জানানো হচ্ছিল। অভিজিতের নামে ফেক টুইটও করা হচ্ছিল। অচিরেই জানা গিয়েছে, ওই টুইটার হ্যান্ডল নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদের নয়। তার পরেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিভিন্ন মহলে। তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস এবং বামদের অভিযোগ, এই কুৎসা চালাচ্ছিলেন গেরুয়া শিবিরের সমর্থকরাই।
No comments