রোহিঙ্গাদের মোবাইল নেটওয়ার্ক, দায় নিচ্ছে না কেউ by কাজী সোহাগ
রোহিঙ্গাদের
হাতে মোবাইল সিম ইস্যুতে দায় নিতে চান না কেউই। বরং একে অপরকে দোষারোপ
করছেন। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)
বলছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। নিয়ম বহির্ভূত কিছু হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অন্যদিকে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ও এর দায় নিতে চায় না। তারা
সংশ্লিষ্টদের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছেন। মোবাইল অপারেটররা বলছে, নিয়ম মেনেই
তারা মোবাইল ফোনের সিম বিক্রি করেছেন। এখানে আইনের কোন ব্যত্যয় হয়নি।
এ প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ইস্যুতে মন্ত্রনালয়, বিটিআরসি ও অপারেটরদের কেউই দায় এড়াতে পারেন না।সবারই এখানে দায় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে-মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আশ্রয় ক্যাম্পে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করছেন রোহিঙ্গারা। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গার হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন। সিমের পাশাপাশি তারা ব্যবহার করছেন ইন্টারনেট সেবাও। এর মাধ্যমে গ্রুপ চ্যাটিং করে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করছেন নিয়মিত। এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে এক জায়গায় লাখ লাখ রোহিঙ্গার সমবেত হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আর এসব সম্ভব হচ্ছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে। নিয়ম অনুযায়ি কোন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সিম ব্যবহার করতে পারে না। কারণ সিম কিনতে গেলে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি লাগে। তার ওপর রয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। বিষয়টি আমলে নিয়ে সোমবার রোহিঙ্গাদের মোবাইল সেবা বন্ধের জন্য অপারেটরদের নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। সেখানে বলা হয়,‘আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো ধরনের সিম বিক্রি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে সিম ব্যবহার বন্ধ তথা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সুবিধা প্রদান না করা সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বিটিআরসিকে অবহিতকরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হল।’ বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে ‘জরুরি ব্যবস্থা’ নেয়ার নির্দেশনা পেয়ে তারা অপারেটরদের চিঠি পাঠান। বিটিআরসির এই নির্দেশনা প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয় তথ্যভান্ডারে (এনআইডি) সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই একটি মোবাইল সিম বিক্রয় করা হয়। অর্থাৎ মোবাইল সিম কিনতে হলে একজন ব্যক্তির বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে, সিম সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র বৈধ নাগরিকদের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও এনআইডি ডাটাবেজে নিবন্ধন নিশ্চিত করার মধ্যেই নিহিত রয়েছে। একই প্রসঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর্স অব বাংলাদেশ (এমটব) মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব.) বলেন, মোবাইল অপারেটররা সবসময়ই বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে চলে। এ ব্যপারে তারা নিজেদের আয়ত্তের মধ্যে সম্ভব যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। এখানে আরো বলা দরকার যে এন আই ডি ডাটাবেসের সঙ্গে বায়োমেট্রিক নিশ্চিতকরণের পরেই কেবল মোবাইল সিম সক্রিয় করা যায়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, রোহিঙ্গাদের হাতে সিম ইস্যুতে সবাই যেভাবে দায়িত্ব এড়াতে চাচ্ছেন তা অত্যন্ত হাস্যকর। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুটি মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। এটা বসাতে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির অনুমোদন লাগে। আর যদি অনুমোদন না নিয়ে টাওয়ার বসানো হয় তাহলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। বিটিআরসি এ ধরণের কোন জরিমানা সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে করেনি। তিনি বলেন, ২ বছর আগে ওই এলাকায় মোবাইল সিমের ব্যবহারকারী কতজন ছিলো আর এখন কতজন সে হিসেবটা বের করলেই খুব সহজেই বোঝা যাবে। পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত এক কিলোমিটারের মধ্যে ৫০টির বেশি পরিবার থাকে না। সে হিসেবে তাদের হাতে কয়টা সিম থাকতে পারে আর এখন কতটা আছে? মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ইস্যুতে আসলে দায়টা সবার। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো.জাকির হোসেন খাঁন মানবজমিনকে বলেন, রোহিঙ্গাদের হাতে সিম ইস্যুতে এরইমধ্যে অপারেটরদের চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের ৭ দিন সময় বেঁধে দেয়া আছে। আমরা দেখি তাদের জবাব কি আসে। আর ক্যাম্প এলাকায় মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যদি নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থাপন করা হয় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দিনের বেলা মোবাইল সংযোগ পুরোদমে চালু থাকলেও রাতে শুধু টু-জি নেটওয়ার্ক চালু থাকবে। এর মাধ্যমে শুধু কথা বলা (ভয়েস কল) যাবে। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা থ্রি-জি, ফোর-জি চালু থাকবে না। গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তিনি জানান, নতুন নিয়ম থাকলেও বর্ডার এলাকার মোবাইল টাওয়ারে টিএ (টাইমিং অ্যাডভান্স) ভ্যালু বজার রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে একেকটা সিম ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনছেন রোহিঙ্গারা। বিশেষ করে কর্পোরেট সিম সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন রোহিঙ্গারা। এই সিম একজনের নামে অনেকগুলো দেয়ার সুযোগ রয়েছে। এটাই কাজে লাগাচ্ছেন অসাধুরা। বাড়তি টাকার বিনিময়ে ওইসব সিম তুলে দিচ্ছেন রোহিঙ্গাদের হাতে। তারা জানান, এখন রোহিঙ্গাদের শক্তিশালি নেটওয়ার্ক রয়েছে। মুহুর্তের মধ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সমবেত হতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে তারা যে ভয়ংকর হয়ে উঠবে না এ নিশ্চয়তা কে দেবে? এটা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি ইস্যু। সরকার বা বিটিআরসি যদি এখনই কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে পরিস্থিতি হয়তো নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে। রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেন বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। নতুন-পুরনো মিলিয়ে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি এনজিওর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার তাদের খাদ্য, অস্থায়ী বাসস্থান, চিকিৎসা, বস্ত্র, লেখাপড়া, বিনোদনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।
এ প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ ইস্যুতে মন্ত্রনালয়, বিটিআরসি ও অপারেটরদের কেউই দায় এড়াতে পারেন না।সবারই এখানে দায় রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে-মোবাইল ফোন ব্যবহার করে আশ্রয় ক্যাম্পে শক্তিশালী নেটওয়ার্ক তৈরি করছেন রোহিঙ্গারা। প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গার মধ্যে প্রায় তিন লাখ রোহিঙ্গার হাতে রয়েছে মোবাইল ফোন। সিমের পাশাপাশি তারা ব্যবহার করছেন ইন্টারনেট সেবাও। এর মাধ্যমে গ্রুপ চ্যাটিং করে নিজেদের মধ্যে তথ্য আদান-প্রদান করছেন নিয়মিত। এক ঘন্টারও কম সময়ের মধ্যে এক জায়গায় লাখ লাখ রোহিঙ্গার সমবেত হওয়ার ক্ষমতা রয়েছে। আর এসব সম্ভব হচ্ছে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে। নিয়ম অনুযায়ি কোন রোহিঙ্গা বাংলাদেশের সিম ব্যবহার করতে পারে না। কারণ সিম কিনতে গেলে বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি লাগে। তার ওপর রয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। বিষয়টি আমলে নিয়ে সোমবার রোহিঙ্গাদের মোবাইল সেবা বন্ধের জন্য অপারেটরদের নির্দেশনা দেয় বিটিআরসি। সেখানে বলা হয়,‘আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কোনো ধরনের সিম বিক্রি, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মাধ্যমে সিম ব্যবহার বন্ধ তথা রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মোবাইল সুবিধা প্রদান না করা সংক্রান্ত সব ব্যবস্থা নিশ্চিত করে বিটিআরসিকে অবহিতকরণের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ জানানো হল।’ বিটিআরসি কর্মকর্তারা জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের কাছ থেকে ‘জরুরি ব্যবস্থা’ নেয়ার নির্দেশনা পেয়ে তারা অপারেটরদের চিঠি পাঠান। বিটিআরসির এই নির্দেশনা প্রসঙ্গে রবি আজিয়াটা লিমিটেডের চিফ করপোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অফিসার সাহেদ আলম জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, জাতীয় পরিচয় তথ্যভান্ডারে (এনআইডি) সংরক্ষিত তথ্যের সঙ্গে বায়োমেট্রিক যাচাইকরণের মাধ্যমে একজন ব্যক্তির পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরই একটি মোবাইল সিম বিক্রয় করা হয়। অর্থাৎ মোবাইল সিম কিনতে হলে একজন ব্যক্তির বৈধ জাতীয় পরিচয়পত্র থাকতে হবে। আমরা বিশ্বাস করি যে, সিম সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার সমাধান শুধুমাত্র বৈধ নাগরিকদের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ও এনআইডি ডাটাবেজে নিবন্ধন নিশ্চিত করার মধ্যেই নিহিত রয়েছে। একই প্রসঙ্গে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটর্স অব বাংলাদেশ (এমটব) মহাসচিব ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম ফরহাদ (অব.) বলেন, মোবাইল অপারেটররা সবসময়ই বিটিআরসির নির্দেশনা মেনে চলে। এ ব্যপারে তারা নিজেদের আয়ত্তের মধ্যে সম্ভব যথাযথ পদক্ষেপ নেবে। এখানে আরো বলা দরকার যে এন আই ডি ডাটাবেসের সঙ্গে বায়োমেট্রিক নিশ্চিতকরণের পরেই কেবল মোবাইল সিম সক্রিয় করা যায়। এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক এসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ মানবজমিনকে বলেন, রোহিঙ্গাদের হাতে সিম ইস্যুতে সবাই যেভাবে দায়িত্ব এড়াতে চাচ্ছেন তা অত্যন্ত হাস্যকর। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দুটি মোবাইল টাওয়ার বসানো হয়েছে। এটা বসাতে মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির অনুমোদন লাগে। আর যদি অনুমোদন না নিয়ে টাওয়ার বসানো হয় তাহলে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ আইন-২০০১ অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে ৩০০ কোটি টাকা জরিমানা করার বিধান রয়েছে। বিটিআরসি এ ধরণের কোন জরিমানা সংশ্লিষ্ট অপারেটরকে করেনি। তিনি বলেন, ২ বছর আগে ওই এলাকায় মোবাইল সিমের ব্যবহারকারী কতজন ছিলো আর এখন কতজন সে হিসেবটা বের করলেই খুব সহজেই বোঝা যাবে। পাহাড়ি এলাকায় সাধারণত এক কিলোমিটারের মধ্যে ৫০টির বেশি পরিবার থাকে না। সে হিসেবে তাদের হাতে কয়টা সিম থাকতে পারে আর এখন কতটা আছে? মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, এ ইস্যুতে আসলে দায়টা সবার। এ প্রসঙ্গে বিটিআরসির সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো.জাকির হোসেন খাঁন মানবজমিনকে বলেন, রোহিঙ্গাদের হাতে সিম ইস্যুতে এরইমধ্যে অপারেটরদের চিঠি দেয়া হয়েছে। তাদের ৭ দিন সময় বেঁধে দেয়া আছে। আমরা দেখি তাদের জবাব কি আসে। আর ক্যাম্প এলাকায় মোবাইল টাওয়ার স্থাপনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। যদি নিয়ম বহির্ভূতভাবে স্থাপন করা হয় তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় দিনের বেলা মোবাইল সংযোগ পুরোদমে চালু থাকলেও রাতে শুধু টু-জি নেটওয়ার্ক চালু থাকবে। এর মাধ্যমে শুধু কথা বলা (ভয়েস কল) যাবে। প্রতিদিন বিকাল ৫টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টা থ্রি-জি, ফোর-জি চালু থাকবে না। গতকাল মঙ্গলবার এ নিয়ে একটি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত রোহিঙ্গা এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্কের বিষয়ে এই সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তিনি জানান, নতুন নিয়ম থাকলেও বর্ডার এলাকার মোবাইল টাওয়ারে টিএ (টাইমিং অ্যাডভান্স) ভ্যালু বজার রাখারও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, স্থানীয় মানুষদের কাছ থেকে একেকটা সিম ৫০০ থেকে ১০০০ হাজার টাকার বিনিময়ে কিনছেন রোহিঙ্গারা। বিশেষ করে কর্পোরেট সিম সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করছেন রোহিঙ্গারা। এই সিম একজনের নামে অনেকগুলো দেয়ার সুযোগ রয়েছে। এটাই কাজে লাগাচ্ছেন অসাধুরা। বাড়তি টাকার বিনিময়ে ওইসব সিম তুলে দিচ্ছেন রোহিঙ্গাদের হাতে। তারা জানান, এখন রোহিঙ্গাদের শক্তিশালি নেটওয়ার্ক রয়েছে। মুহুর্তের মধ্যে লাখ লাখ রোহিঙ্গা সমবেত হতে পারে। অদূর ভবিষ্যতে তারা যে ভয়ংকর হয়ে উঠবে না এ নিশ্চয়তা কে দেবে? এটা অত্যন্ত গুরুত্বপুর্ন একটি ইস্যু। সরকার বা বিটিআরসি যদি এখনই কোন ব্যবস্থা না নেয় তাহলে পরিস্থিতি হয়তো নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে। রাখাইনে মিয়ানমারের সেনাদের নির্যাতন থেকে জীবন বাঁচাতে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের ঢল নামে। কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে আশ্রয় নেন বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। নতুন-পুরনো মিলিয়ে এখন ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে অবস্থান করছে। মানবিক কারণে বাংলাদেশ তাদের আশ্রয়ের পাশাপাশি সার্বিক সুযোগ-সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। দেশি-বিদেশি এনজিওর পাশাপাশি বাংলাদেশ সরকার তাদের খাদ্য, অস্থায়ী বাসস্থান, চিকিৎসা, বস্ত্র, লেখাপড়া, বিনোদনসহ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করেছে।
No comments