জনসনের বিরুদ্ধে নিজ দলের ২১ এমপির ভোট, পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেলেন এমপিরা
ব্রেক্সিট
ইস্যুতে বহিষ্কারের হুমকি সত্ত্বেও নিজের দল কনজারভেটিভ পার্টির ২১ জন
এমপি ভোট দিলেন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে।
এর মধ্যে রয়েছেন সাবেক কয়েকজন মন্ত্রীও। তারা চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট ঠেকাতে
যোগ দিলেন বিরোধীদের সঙ্গে। এর ফলে পার্লামেন্টে ৩২৮-৩০১ ভোটের ব্যবধানে
হেরে গেছে সরকার। মঙ্গলবার রাতে এ ভোটের ফলে পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ আজ
‘চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট বিরোধীদের’ হাতে। এর মধ্যে রয়েছেন বিরোধী দলীয় এমপি
ও কনজারভেটিভ পার্টির চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট বিরোধী এমপিরা। এর অর্থ হলো
ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা সম্প্রসারণ করতে বা বিলম্বিত করতে আজ বুধবার
পার্লামেন্টে একটি বিল আনতে পারেন তারা। এই বিলে তারা ব্রেক্সিট সম্পাদনের
সময়সীমা ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়াতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারেন।
যদি তাই হয় তাহলে চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা থাকবে না। জবাবে বরিস জনসন বলে দিয়েছেন তিনি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব উত্থাপন করবেন পার্লামেন্টে। অন্যদিকে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, নির্বাচন হওয়ার আগেই ওই বিলটি পাস হওয়া উচিত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ব্রেক্সিট নিয়ে বৃটিশ রাজনীতিতে অনেক দিন ধরেই ঝড়। এই ঝড়ে পতন ঘটেছে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর। প্রথম বিদায় নিতে হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে। তারপর এসেছিলেন তেরেসা মে। তাকেও বিদায় নিতে হয়েছে। এরপর ব্রেক্সিট সম্পাদনের এই গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি ক্ষমতায় এসেই ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পাদনের প্রত্যয় ঘোষণা করেন। এটাই এখন ব্রেক্সিট সম্পাদনের সর্বশেষ সময়সীমা। এরই মধ্যে তিনি পার্লামেন্ট ৫ সপ্তাহের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন। তাতে সম্মতি দিয়েছেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। পার্লামেন্ট স্থগিত করার পরিকল্পনায় সংশয় বাড়তে থাকে এই জন্য যে, এর মধ্য দিয়ে চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট সম্পাদন করতে পারেন বরিস জনসন। এমন সংশয় থেকে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তারই ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভের ২১ এমপি।
ছুটি শেষে মঙ্গলবার অধিবেশন বসে বৃটেনের পার্লামেন্ট। আগেই ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ দলের যারা বিরোধিতা করবেন তাদের বহিষ্কার করার হুমকি দিয়েছিলেন জনসন। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের বিদ্রোহী এমপিদের কাছে হাউজ অব কমন্সে ৩২৮-৩০১ ভোটে হেরে গেলেন তিনি। ভোটে জয়ের ফলে আজ বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেলেন বিরোধী ও বিদ্রোহী এমপিরা। এই ভোটের ফলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধীরা ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে পার্লামেন্টে বিল আনতে পারবেন।
বিবিসি লিখেছে, মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভোটের পর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, কনজারভেটিভ দলের যেসব এমপি বিদ্রোহ করেছেন তাদের পার্লামেন্টারি পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আশা ছিল, বহিষ্কার হুমকি ও আগাম নির্বাচনের কথায় বিদ্রোহী এমপিরা হয়তো অবস্থান বদলাবেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পক্ষে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর নেই।
প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালানো ছাড়া তার কিছু করার নেই। কারণ তিনি বলছেন, দেশের জনগণকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও এটিও তার জন্য খুব সহজ হবে না। কারণ বৃটেনে ২০১১ সালের একটি আইনে পার্লামেন্টকে পাঁচ বছরের মেয়াদ দেয়া হয়েছে। এখন সেটি পরিবর্তন করতে হলে সংসদে বরিস জনসনের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। তা পেতে হলে তার বিরোধী দল লেবার পার্টির সমর্থন দরকার হবে। সেই সমর্থন পাওয়া জনসনের জন্য খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভোটের ফলের কারণে আজ এমপিরা হাউস অব কমন্স নিয়ন্ত্রণ করবেন। এর ফলে তারা ব্রেক্সিট ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্বিত করার প্রস্তাব দিতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করতে বিল আনার সুযোগ পাবেন। তবে তা তখনি ঘটবে যদি এমপিরা ১৯শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিটের জন্য একটি নতুন চুক্তি অনুমোদন বা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট না দেন। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার ১৫ই অক্টোবর একটি সাধারণ নির্বাচন করতে চান। তার দু’দিন পরেই ব্রাসেলসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
যদি তাই হয় তাহলে চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিটের সম্ভাবনা থাকবে না। জবাবে বরিস জনসন বলে দিয়েছেন তিনি আগাম নির্বাচনের প্রস্তাব উত্থাপন করবেন পার্লামেন্টে। অন্যদিকে বিরোধী লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, নির্বাচন হওয়ার আগেই ওই বিলটি পাস হওয়া উচিত। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।
ব্রেক্সিট নিয়ে বৃটিশ রাজনীতিতে অনেক দিন ধরেই ঝড়। এই ঝড়ে পতন ঘটেছে দু’জন প্রধানমন্ত্রীর। প্রথম বিদায় নিতে হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে। তারপর এসেছিলেন তেরেসা মে। তাকেও বিদায় নিতে হয়েছে। এরপর ব্রেক্সিট সম্পাদনের এই গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন লন্ডনের সাবেক মেয়র, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বরিস জনসন। তিনি ক্ষমতায় এসেই ৩১শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিট সম্পাদনের প্রত্যয় ঘোষণা করেন। এটাই এখন ব্রেক্সিট সম্পাদনের সর্বশেষ সময়সীমা। এরই মধ্যে তিনি পার্লামেন্ট ৫ সপ্তাহের জন্য স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন। তাতে সম্মতি দিয়েছেন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ। পার্লামেন্ট স্থগিত করার পরিকল্পনায় সংশয় বাড়তে থাকে এই জন্য যে, এর মধ্য দিয়ে চুক্তিবিহিন ব্রেক্সিট সম্পাদন করতে পারেন বরিস জনসন। এমন সংশয় থেকে বিরোধী শিবিরে যোগ দিয়েছেন তারই ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভের ২১ এমপি।
ছুটি শেষে মঙ্গলবার অধিবেশন বসে বৃটেনের পার্লামেন্ট। আগেই ব্রেক্সিট নিয়ে নিজ দলের যারা বিরোধিতা করবেন তাদের বহিষ্কার করার হুমকি দিয়েছিলেন জনসন। কিন্তু তাতেও কাজ হলো না। বিরোধী দলের পাশাপাশি নিজ দলের বিদ্রোহী এমপিদের কাছে হাউজ অব কমন্সে ৩২৮-৩০১ ভোটে হেরে গেলেন তিনি। ভোটে জয়ের ফলে আজ বুধবার পার্লামেন্টের নিয়ন্ত্রণ পেলেন বিরোধী ও বিদ্রোহী এমপিরা। এই ভোটের ফলে চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের বিরোধীরা ব্রেক্সিট বিলম্বিত করতে পার্লামেন্টে বিল আনতে পারবেন।
বিবিসি লিখেছে, মঙ্গলবার পার্লামেন্টে ভোটের পর ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, কনজারভেটিভ দলের যেসব এমপি বিদ্রোহ করেছেন তাদের পার্লামেন্টারি পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আশা ছিল, বহিষ্কার হুমকি ও আগাম নির্বাচনের কথায় বিদ্রোহী এমপিরা হয়তো অবস্থান বদলাবেন। লেবার নেতা জেরেমি করবিন বলেছেন, চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিটের পক্ষে দেশে সংখ্যাগরিষ্ঠতা আর নেই।
প্রধানমন্ত্রী জনসন বলেছেন, অক্টোবরে নির্বাচনের প্রচেষ্টা চালানো ছাড়া তার কিছু করার নেই। কারণ তিনি বলছেন, দেশের জনগণকেই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও এটিও তার জন্য খুব সহজ হবে না। কারণ বৃটেনে ২০১১ সালের একটি আইনে পার্লামেন্টকে পাঁচ বছরের মেয়াদ দেয়া হয়েছে। এখন সেটি পরিবর্তন করতে হলে সংসদে বরিস জনসনের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে। তা পেতে হলে তার বিরোধী দল লেবার পার্টির সমর্থন দরকার হবে। সেই সমর্থন পাওয়া জনসনের জন্য খুব একটা সহজ হবে না বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
ভোটের ফলের কারণে আজ এমপিরা হাউস অব কমন্স নিয়ন্ত্রণ করবেন। এর ফলে তারা ব্রেক্সিট ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত বিলম্বিত করার প্রস্তাব দিতে প্রধানমন্ত্রীকে বাধ্য করতে বিল আনার সুযোগ পাবেন। তবে তা তখনি ঘটবে যদি এমপিরা ১৯শে অক্টোবরের মধ্যে ব্রেক্সিটের জন্য একটি নতুন চুক্তি অনুমোদন বা চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পক্ষে ভোট না দেন। ধারণা করা হচ্ছে, সরকার ১৫ই অক্টোবর একটি সাধারণ নির্বাচন করতে চান। তার দু’দিন পরেই ব্রাসেলসে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
No comments