ইয়েমেনে মুখোমুখি সৌদি-আমিরাত
ক্ষমতা
দখলের লড়াইয়ে ইয়েমেনে ক্রমশই একে অপরের মুখোমুখি হচ্ছে সৌদি আরব ও সংযুক্ত
আরব আমিরাত। দেশ দুটি ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে
একজোটে যুদ্ধ শুরু করেছিলো। কিন্তু আঞ্চলিক আরো কিছু সশস্ত্র গোষ্ঠির
ক্ষমতা দখল নিয়ে এখন পর¯পরের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে সৌদি আরব ও আরব আমিরাত।
ফলে হুমকির মুখে পরেছে সৌদি নেতৃত্বাধীন আরব জোটের ভবিষ্যৎ। এ খবর দিয়েছে
বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আদেনের নিয়ন্ত্রণ ছিলো সেখানকার একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে। সম্প্রতি সৌদি সমর্থিন ইয়েমেন সরকারের সেনারা সে অঞ্চলটির দখল নেয়। কিন্তু এখানে ওই বিদ্রোহীদের প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার।
সেখানে ইয়েমেনি সেনাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে আরব আমিরাত। পুনরায় বিদ্রোহীদের ওই এলাকার দখল নিতে সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়তে শুরু করেছে আবুধাবি।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে কার্যত সৌদি-আমিরাত জোটের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে পরলো। গত চার বছর ধরে ইয়েমেনে প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে ইরান ও আরব জোট। এখন এই আরব জোটেও দেখা যাচ্ছে ভাঙ্গনের ইঙ্গিত।
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আব্দ-রাব্বু মন্সুর হাদি। কিন্তু আরব আমিরাত ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। উভয় পক্ষই একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে একটি সুন্নি জোট হিসেবে আÍপ্রকাশ করেছিলো। তারই অংশ হিসেবে হুতিদের থামাতে ২০১৫ সালে ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু করে আরব জোট। কিন্তু তাদের ছিলো ইয়েমেনে আলাদা আলাদা স্বার্থ। সৌদি আরব ও আরব আমিরাত এই সংকট সমাধানে আলোচনা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু হাদি সরকার দাবি করে, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আগে বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সাহায্য বন্ধ করতে হবে। এবং বিদ্রোহীদের ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছেরে দিতে হবে। কিন্তু এই শর্তে রাজি নয় অপর পক্ষ। বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, আগে ইসলামিস্ট ইসলাহ পার্টিতে এই অঞ্চল ছারতে হবে এবং উত্তরাঞ্চলীয়দের দক্ষিণ ইয়েমেনের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। এদিকে ইয়েমেনে হাদি সরকারের প্রতি সৌদি সমর্থন অব্যাহত থাকলেও আরব আমিরাত একে অকার্যকরী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর বিকল্প কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে দেশটি।
সৌদি আরব নিজ উদ্যোগেই ইয়েমেনে যুদ্ধের জন্য আরব রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে একটি সামরিক জোট গঠন করেছিলো। এ জোটে দেশটির প্রধান সহযোগি রাষ্ট্র ছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইয়েমেনে ইরানপন্থী শিয়া বিদ্রোহী গ্রুপ হুতিদের থামাতে উভয় দেশই সংকল্পবদ্ধ ছিলো। কিন্তু জোটের মধ্যেকার এই দ্বন্দ্ব বর্তমানে ইয়েমেনকে সৌদি আরবের জন্য কঠিন করে তুলছে। হুতিদের দুর্বল করা এমন অবস্থায় প্রায় অসম্ভব হয়ে পরবে সৌদি আরবের জন্য। আদেনের ঘটনাও প্রমাণ করে সেখানে হাদি সরকার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে না। দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীরা যখন দেশটির গুরুত্বপূর্ন অংশের নিয়ন্ত্রণে আছে তখন রাজধানী সানাসহ প্রধান বন্দর হোদেইদাহের নিয়ন্ত্রণে আছে হুতিরা। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা টার্গেট করে হামলার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে হুতি।
ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর আদেনের নিয়ন্ত্রণ ছিলো সেখানকার একটি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর হাতে। সম্প্রতি সৌদি সমর্থিন ইয়েমেন সরকারের সেনারা সে অঞ্চলটির দখল নেয়। কিন্তু এখানে ওই বিদ্রোহীদের প্রত্যক্ষ সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকার।
সেখানে ইয়েমেনি সেনাদের ওপর বিমান হামলা চালিয়েছে আরব আমিরাত। পুনরায় বিদ্রোহীদের ওই এলাকার দখল নিতে সৌদি জোটের বিরুদ্ধে লড়তে শুরু করেছে আবুধাবি।
এই ঘটনার মধ্য দিয়ে কার্যত সৌদি-আমিরাত জোটের ভবিষ্যত অন্ধকার হয়ে পরলো। গত চার বছর ধরে ইয়েমেনে প্রক্সি যুদ্ধ চালাচ্ছে ইরান ও আরব জোট। এখন এই আরব জোটেও দেখা যাচ্ছে ভাঙ্গনের ইঙ্গিত।
ইয়েমেনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃত সরকারের প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন আব্দ-রাব্বু মন্সুর হাদি। কিন্তু আরব আমিরাত ইয়েমেনের দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীদের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। উভয় পক্ষই একসময় যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে একটি সুন্নি জোট হিসেবে আÍপ্রকাশ করেছিলো। তারই অংশ হিসেবে হুতিদের থামাতে ২০১৫ সালে ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু করে আরব জোট। কিন্তু তাদের ছিলো ইয়েমেনে আলাদা আলাদা স্বার্থ। সৌদি আরব ও আরব আমিরাত এই সংকট সমাধানে আলোচনা করতে চেয়েছিলো। কিন্তু হাদি সরকার দাবি করে, সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আগে বিদ্রোহীদের প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র সাহায্য বন্ধ করতে হবে। এবং বিদ্রোহীদের ওই অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ ছেরে দিতে হবে। কিন্তু এই শর্তে রাজি নয় অপর পক্ষ। বিদ্রোহীরা জানিয়েছে, আগে ইসলামিস্ট ইসলাহ পার্টিতে এই অঞ্চল ছারতে হবে এবং উত্তরাঞ্চলীয়দের দক্ষিণ ইয়েমেনের ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দিতে হবে। এদিকে ইয়েমেনে হাদি সরকারের প্রতি সৌদি সমর্থন অব্যাহত থাকলেও আরব আমিরাত একে অকার্যকরী হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এর বিকল্প কাউকে ক্ষমতায় বসানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছে দেশটি।
সৌদি আরব নিজ উদ্যোগেই ইয়েমেনে যুদ্ধের জন্য আরব রাষ্ট্রগুলোকে নিয়ে একটি সামরিক জোট গঠন করেছিলো। এ জোটে দেশটির প্রধান সহযোগি রাষ্ট্র ছিলো সংযুক্ত আরব আমিরাত। ইয়েমেনে ইরানপন্থী শিয়া বিদ্রোহী গ্রুপ হুতিদের থামাতে উভয় দেশই সংকল্পবদ্ধ ছিলো। কিন্তু জোটের মধ্যেকার এই দ্বন্দ্ব বর্তমানে ইয়েমেনকে সৌদি আরবের জন্য কঠিন করে তুলছে। হুতিদের দুর্বল করা এমন অবস্থায় প্রায় অসম্ভব হয়ে পরবে সৌদি আরবের জন্য। আদেনের ঘটনাও প্রমাণ করে সেখানে হাদি সরকার নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারবে না। দক্ষিণাঞ্চলীয় বিদ্রোহীরা যখন দেশটির গুরুত্বপূর্ন অংশের নিয়ন্ত্রণে আছে তখন রাজধানী সানাসহ প্রধান বন্দর হোদেইদাহের নিয়ন্ত্রণে আছে হুতিরা। সাম্প্রতিক সময়ে সৌদি আরবের গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা টার্গেট করে হামলার সংখ্যা বাড়িয়ে দিয়েছে হুতি।
No comments