আসাম এনআরসি’র বিরুদ্ধে সরব বিজেপিসহ বিভিন্ন দলের আইনপ্রণেতা
গত ৩১
আগস্ট শনিবার
প্রকাশ হওয়া আসামের নাগরিক তালিকা থেকে বহু প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক বাদ
পড়েছেন বলে একমত হয়েছেন রাজ্যটির বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের আইন প্রণেতারা। ভুল
ও অসঙ্গতির শিকার হয়ে যারা এই তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন তাদের ফরেনার্স
ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা। চূড়ান্ত এনআরসি
থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের প্রায় ১৯ লাখ বাসিন্দা। তবে রবিবার ভারতীয়
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কোনও আইন প্রণেতাই
নিজেদের আসনে বাদ পড়া নাগরিকদের সম্ভাব্য কোনও হিসাব দেননি। তারা এই সংখ্যা
বিশ্লেষণের কথা জানিয়েছেন। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে নির্বাচিত ক্ষমতাসীন
বিজেপির সাংসদরাও দলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এনআরসি’র সমালোচনা করেছেন।
৩১ আগস্ট শনিবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় অনলাইনে ও এনআরসি সেবাকেন্দ্রে প্রকাশিত আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের প্রায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ। এক বিবৃতিতে এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চূড়ান্ত তালিকায় মোট আবেদনকারীদের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখের মধ্যে নাগরিক হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন।
আসাম বিজেপির সভাপতি ও সরভোগ আসনের আইনপ্রণেতা রঞ্জিত দাস বলেন, ‘আমার আসনে বেশ কয়েকটি ঘটনা আছে যেখানে একই পরিবারের কিছু সদস্য এনআরসি’তে স্থান পেয়েছেন আর কিছু বাদ পড়েছেন। অন্য জায়গা থেকে এসে আমার আসনের পুরুষদের বিয়ে করেছেন এরকম বহু নারী বাদ পড়েছেন। হিন্দু ছাড়াও মুসলমানরা আমার কাছে বাদ পড়ার কথা বলেছেন। আমি তাদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে বলেছি। কেউ যদি এনআরসি থেকে বাদ পড়া নিয়ে আপিল না করে তাহলে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হবে’।
অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) দক্ষিণ অভয়াপুরির সংরক্ষিত শিডিউল কাস্ট আসনের আইন প্রণেতা অনন্ত কুমার মালো নিজেই এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন। তার পরিবারের কেউই তালিকায় স্থান পাননি। তিনি বলেন, এটা কি একটা এনআরসি? আপনারাই বলুন। হাজার হাজার প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক-বিশেষ করে বাঙ্গালি হিন্দু বাদ পড়েছে আর বহু অবৈধ অভিবাসী এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
৩১ আগস্ট শনিবার স্থানীয় সময় সকাল দশটায় অনলাইনে ও এনআরসি সেবাকেন্দ্রে প্রকাশিত আসামের চূড়ান্ত নাগরিক তালিকা (এনআরসি) থেকে বাদ পড়েছেন রাজ্যের প্রায় ১৯ লাখ ৬ হাজার ৬৫৭ জন মানুষ। এক বিবৃতিতে এনআরসি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চূড়ান্ত তালিকায় মোট আবেদনকারীদের মধ্যে ৩ কোটি ৩০ লাখের মধ্যে নাগরিক হিসেবে স্থান পেয়েছেন ৩ কোটি ১১ লাখ ২১ হাজার ৪ জন।
আসাম বিজেপির সভাপতি ও সরভোগ আসনের আইনপ্রণেতা রঞ্জিত দাস বলেন, ‘আমার আসনে বেশ কয়েকটি ঘটনা আছে যেখানে একই পরিবারের কিছু সদস্য এনআরসি’তে স্থান পেয়েছেন আর কিছু বাদ পড়েছেন। অন্য জায়গা থেকে এসে আমার আসনের পুরুষদের বিয়ে করেছেন এরকম বহু নারী বাদ পড়েছেন। হিন্দু ছাড়াও মুসলমানরা আমার কাছে বাদ পড়ার কথা বলেছেন। আমি তাদের ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে বলেছি। কেউ যদি এনআরসি থেকে বাদ পড়া নিয়ে আপিল না করে তাহলে ওই ব্যক্তিকে নিয়ে সন্দেহ তৈরি হবে’।
অল ইন্ডিয়া ইউনাইটেড ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্টের (এআইইউডিএফ) দক্ষিণ অভয়াপুরির সংরক্ষিত শিডিউল কাস্ট আসনের আইন প্রণেতা অনন্ত কুমার মালো নিজেই এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন। তার পরিবারের কেউই তালিকায় স্থান পাননি। তিনি বলেন, এটা কি একটা এনআরসি? আপনারাই বলুন। হাজার হাজার প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক-বিশেষ করে বাঙ্গালি হিন্দু বাদ পড়েছে আর বহু অবৈধ অভিবাসী এতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
মোরিগাও আসন থেকে নির্বাচিত বিজেপি’র আইনপ্রণেতা রমা কান্ত দেওরি-ও এনআরসি থেকে বাদ পড়েছেন বলে জানা গেছে। তবে নিজের বাদ পড়া বা অন্তর্ভুক্তি কোনওটাই নিশ্চিত করেননি তিনি। রাজ্যের আদিবাসী সম্প্রদায়ের সদস্য এই আইনপ্রণেতা বলেন, ‘আমি এটা দেখিনি এমনকি সেখানে আমার নাম আছে কিনা তা নিয়েও আমার কোনও চিন্তা নেই। আমি জানি বহু বাংলাদেশি এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আর বহু আদিবাসী বাদ পড়েছে’।
ঢেকিয়াঝুলি থেকে নির্বাচিত বিজেপি’র আরেক এমএলএ অশোক সিংহাল বলেছেন, অনেকেই বাদ পড়েছে আর কারা বাদ পড়েছে সেইসব তথ্য এক জায়গায় করার চেষ্টা করছি।
আপার আসাম হিসেবে পরিচিত অসমীয়া ভাষাভাষী জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকার আইনপ্রণেতারা বলছেন, তাদের আসনগুলোতে বাদ পড়ার সংখ্যা তুলনামূলক কম।
আসাম বিধানসভার বিরোধীদলীয় নেতা এবং সিভাসাগর জেলার নাজিরা থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের এমএলএ দেবব্রত সাইকিয়া বলেন, ‘আমার আসনে সিডিউল কাস্ট (ভারতের স্বীকৃত পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী) বাংলাভাষী সম্প্রদায় রয়েছে যাদের পূর্বপ্রজন্ম ছিলো শরণার্থী। তাদের অনেকেই বাদ পড়েছে। কিছু মুসলমানও বাদ পড়েছে। অসমীয়া মানুষ কমবেশি সবাই তালিকায় রয়েছে’।
গোলাঘাট থেকে নির্বাচিত কংগ্রেসের এমএলএ অজন্তা নিয়োগি নিজের আসনের মোট কতজন বাদ পড়েছেন তা জানার চেষ্টা করছেন বলে জানান। তিনি বলেন, ‘আমার আসনে মূলত অসমীয়া জনগোষ্ঠীর বাস আর তারা বেশিরভাগই এনআরসিতে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আদিবাসী উপজাতি জনগোষ্ঠীও এতে আছে-বা কেউ কেউ হয়তো এখনও নিজেদের নাম আছে কিনা তা দেখে উঠতে পারেননি। বাদ পড়াদের পূর্ণাঙ্গ তথ্যের জন্য অপেক্ষা করছি।’
কিন্তু যেসব এলাকায় মূলত বাংলাভাষী হিন্দু জনগোষ্ঠীর বাস সেসব এলাকার আইনপ্রণেতারা বলছেন তাদের আসনের বহু মানুষ তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন। এই জনগোষ্ঠী মূলত বিজেপি’র ভোট ব্যাংক। আর তাদের বাদ পড়া নিয়েই উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছে দলটি।
মধ্য আসামের হোজাই জেলা থেকে নির্বাচিত বিজেপি’র আইন প্রণেতা শিলাদিত্য দেব-এর আসনে খসড়া এনআরসি থেকে বাদ পড়েছিল সবচেয়ে বেশি মানুষ। তিনি বলেন, খসড়া এনআরসি’তে আমার জেলাতেই সবচেয়ে বেশি মানুষ বাদ পড়েছিল। এবারও এই সংখ্যা অনেক বেশি হবে- আমি ধারণা পাওয়ার চেষ্টা করছি। ১৯৭১ সালের আগে আসার প্রকৃত নথি থাকার পরও অনেক বাঙ্গালি হিন্দু বাদ পড়েছে। আমার মনে হয়েছে এখানে সাম্প্রদায়িক এজেন্ডা ও মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ব্যক্তিগত পক্ষপাত আছে। তদুপরি বহু ঘটনা আছে যে একই নথি দিয়ে আবেদন করার পরও পিতামাতা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে কিন্তু সন্তান বাদ পড়েছে।
এআইইউডিএফ-এর আইনপ্রনেতা হাফিজ বশির আহমেদ |
বাঙ্গালি
অধ্যুষিত বরাক উপত্যকার শিলচর আসনের বিজেপি সংসদ সদস্য দিলিপ কুমার পাল
বলেন, ‘আমার স্ত্রীর নাম খসড়া তালিকায় ছিল না। তার কাছে আমাদের আবেদন নম্বর
রয়ে গেছে আর এখন সে বাইরে আছে। সেকারণে আমাদের নাম তালিকায় এসেছে কিনা তা
এখনও দেখা হয়ে ওঠেনি। আমরা এই এনআরসি মানবো না। এই এনআরসিতে অবৈধ বিদেশিরা
যুক্ত হয়েছে আর প্রকৃত ভারতীয়রা বাদ পড়েছে। আমার কাছে এর কোনও মূল্য নেই’।
বাঙ্গালি অধ্যুষিত আরেক এলাকা উত্তর করিমগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এমএলএ কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, এই এনআরসি মানুষ হয়রানি করছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এনআরসি হালনাগাদ করার কাজে গতি আসে কিন্তু যখন কোনও সমস্যা আসে সরকার তখন চুপ করে থাকে। প্রতীক হাজেলা (সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগকৃত এনআরসি সমন্বয়কারী) বেশ কিছু নিয়ম প্রচলন করেছেন আর বিদ্যমান নিয়ম বদলে দিয়েছেন। আমরা আগেও বলেছি বাঙ্গালি হিন্দুদের বাদ দেওয়া হবে, কিন্তু কেউ শোনেনি। আমার আসনে বহু ঘটনা আছে যেখানে আট ব্যক্তি একই কাগজপত্র জমা দিয়েছে কিন্তু পাঁচজন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আর বাকি তিনজন বাদ পড়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন চিন্তার কারণ নেই কারণ বাদ পড়ারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন-কিন্তু আমাদের যা বলা হচ্ছে না তা হলো এই ট্রাইব্যুনাল কিভাবে কাজ করবে?
মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনগুলোর আইনপ্রণেতারাও বলছেন বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে বহু প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক রয়েছে।
লোয়ার আসামের ধুবড়ি থেকে নির্বাচিত এআইইউডিএফ-এর আইনপ্রনেতা হাফিজ বশির আহমেদ বলেন, যদি একজন ভারতীয় নাগরিকও বাদ যায় তাহলে এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়ে কারো সন্তুষ্ট হওয়া উচিত না। কিন্তু এই ১৯ লাখ সংখ্যা দেখিয়ে দিয়েছে যে এতগুলো বছর ধরে রাজনীতিবিদ ও নেতারা যে দাবি করে আসছেন আসামে ৩০ লাখ- ৪০ লাখ অবৈধ বিদেশি রয়েছে তাদের সেই দাবি ভুল। আসামে এসব বাংলাদেশিদের উপস্থিতির রাজনীতিতে লাভবান হয়েছে নেতারা। তিনি বলেন, এই ১৯ লাখ মানুষের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে তাদের মামলা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে অমীমাংসিত রয়েছে বা অনেকেই ডি-ভোটার হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে বা ভিন্নমতালম্বী। ফলে এই ১৯ লাখ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে। এরইমধ্যে আমরা ঘোষণা করেছি যে, বাদ পড়া প্রকৃত সব ভারতীয়দের সহায়তা দেব আমরা আর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করবো।
নওগা’র ঢিং আসন থেকে নির্বাচিত এআইইউডিএফ-এর আইনপ্রণেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, বহু ঘটনা আছে যেখানে পিতামাতা তালিকায় স্থান পেয়েছে কিন্তু সন্তানরা বাদ পড়েছে। নথি উপস্থাপনের সময় ছোটখাটো ভুল করা প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকেরা বাদ পড়েছে। ১৯৪৭ সালের আগের জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করাও অনেকেই বাদ পড়েছে। আমার জেলা থেকে বাদ পড়াদের সংখ্যা পাওয়ার চেষ্টা করছি আমি।
বাঙ্গালি অধ্যুষিত আরেক এলাকা উত্তর করিমগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এমএলএ কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বলেন, এই এনআরসি মানুষ হয়রানি করছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এনআরসি হালনাগাদ করার কাজে গতি আসে কিন্তু যখন কোনও সমস্যা আসে সরকার তখন চুপ করে থাকে। প্রতীক হাজেলা (সুপ্রিম কোর্টের নিয়োগকৃত এনআরসি সমন্বয়কারী) বেশ কিছু নিয়ম প্রচলন করেছেন আর বিদ্যমান নিয়ম বদলে দিয়েছেন। আমরা আগেও বলেছি বাঙ্গালি হিন্দুদের বাদ দেওয়া হবে, কিন্তু কেউ শোনেনি। আমার আসনে বহু ঘটনা আছে যেখানে আট ব্যক্তি একই কাগজপত্র জমা দিয়েছে কিন্তু পাঁচজন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে আর বাকি তিনজন বাদ পড়েছে। এখন মুখ্যমন্ত্রী বলছেন চিন্তার কারণ নেই কারণ বাদ পড়ারা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল করতে পারবেন-কিন্তু আমাদের যা বলা হচ্ছে না তা হলো এই ট্রাইব্যুনাল কিভাবে কাজ করবে?
মুসলমান সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনগুলোর আইনপ্রণেতারাও বলছেন বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষের মধ্যে বহু প্রকৃত ভারতীয় নাগরিক রয়েছে।
লোয়ার আসামের ধুবড়ি থেকে নির্বাচিত এআইইউডিএফ-এর আইনপ্রনেতা হাফিজ বশির আহমেদ বলেন, যদি একজন ভারতীয় নাগরিকও বাদ যায় তাহলে এনআরসি প্রক্রিয়া নিয়ে কারো সন্তুষ্ট হওয়া উচিত না। কিন্তু এই ১৯ লাখ সংখ্যা দেখিয়ে দিয়েছে যে এতগুলো বছর ধরে রাজনীতিবিদ ও নেতারা যে দাবি করে আসছেন আসামে ৩০ লাখ- ৪০ লাখ অবৈধ বিদেশি রয়েছে তাদের সেই দাবি ভুল। আসামে এসব বাংলাদেশিদের উপস্থিতির রাজনীতিতে লাভবান হয়েছে নেতারা। তিনি বলেন, এই ১৯ লাখ মানুষের ঘটনা বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে তাদের মামলা ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে অমীমাংসিত রয়েছে বা অনেকেই ডি-ভোটার হিসেবে চিহ্নিত রয়েছে বা ভিন্নমতালম্বী। ফলে এই ১৯ লাখ সংখ্যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমে আসবে। এরইমধ্যে আমরা ঘোষণা করেছি যে, বাদ পড়া প্রকৃত সব ভারতীয়দের সহায়তা দেব আমরা আর ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের করবো।
নওগা’র ঢিং আসন থেকে নির্বাচিত এআইইউডিএফ-এর আইনপ্রণেতা আমিনুল ইসলাম বলেন, বহু ঘটনা আছে যেখানে পিতামাতা তালিকায় স্থান পেয়েছে কিন্তু সন্তানরা বাদ পড়েছে। নথি উপস্থাপনের সময় ছোটখাটো ভুল করা প্রকৃত ভারতীয় নাগরিকেরা বাদ পড়েছে। ১৯৪৭ সালের আগের জমি সংক্রান্ত কাগজপত্র উপস্থাপন করাও অনেকেই বাদ পড়েছে। আমার জেলা থেকে বাদ পড়াদের সংখ্যা পাওয়ার চেষ্টা করছি আমি।
No comments