এবার আমেরিকা এমন এক নিষেধাজ্ঞা দিল যা বিশ্বে সত্যিই নজিরবিহীন
মার্কিন
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ইরান বিদ্বেষ অব্যাহত রয়েছে। তিনি তেহরানের
ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির মাধ্যমে এখনো ওয়াশিংটনের নীতি মেনে নিতে বাধ্য
করার চেষ্টা করছেন।
তেহরানকে বাগে আনতে ওয়াশিংটনের একের পর এক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে তারা ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির নীতি গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে মার্কিন সরকার ইরানের বেশ কিছু কর্মকর্তাকে আমেরিকায় প্রবেশ কিংবা সেখানে অবাধ চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে ট্রাম্প বলেছেন, "ইরানের কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারবর্গ অভিবাসী হোক বা না হোক তারা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবে কি না কিংবা অবাধে কোথাও যেতে পারবে কিনা সেটা আমি নির্ধারণ করে দেব।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানি কর্মকর্তাদের আমেরিকা সফরের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ বিশ্বে নজিরবিহীন। কারণ ইরানের অনেক কর্মকর্তা নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে অবস্থিত জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল ও বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্ব বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য ওই দুই শহরে ইরানিদের যাতায়াত করতে হয়। অথচ আমেরিকা ও জাতিসংঘের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী জাতিসংঘের সদস্য ইরানসহ যেকোনো দেশের কর্মকর্তাদের অবাধ চলাচলের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে যাতে তারা আমেরিকায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার বৈঠকে অংশ নিতে পারে। মার্কিন সরকার কিছু দিন আগেও ইরানের প্রেসিডেন্টসহ দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যাতে তারা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে অংশ নিতে না পারে। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত ইরানি প্রতিনিধি দলের আমেরিকা সফরের জন্য ভিসা দিয়েছে তবে সেটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা আরোপ করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব পদক্ষেপ নিয়ে কেন তিনি ইরানি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেন সেটাই এখন প্রশ্ন।
ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর প্রতিশোধ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা দিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ফায়দা হাসিলের জন্যই রুহানি ও ট্রাম্পকে আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তা ভেস্তে যাওয়ায় মার্কিন কর্মকর্তারা প্রচণ্ড হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে ট্রাম্পের ওই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে খোদ আমেরিকার ভেতরেই ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এতোসব সমালোচনা ও ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই হোয়াইট হাউজ ইরানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিল। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, "ইরান মানব সমাজের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং দেশটি প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিক জলপথের জন্য হুমকি।"
অতীত ঘটনাবলীর দিকে তাকালে দেখা যায়, আরো অনেক দেশের কর্মকর্তাদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। রাশিয়া, কিউবা ও ভেনিজুয়েলাসহ আরো অনেক দেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আমেরিকা এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আমেরিকায় প্রবেশ কিংবা আমেরিকার ভেতরে চলাফেরার ওপর ইরানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হল তা সত্যিই নজিরবিহীন। কিন্তু এসব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানকে নতজানু করতে পারবে না আমেরিকা।
তেহরানকে বাগে আনতে ওয়াশিংটনের একের পর এক প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় ট্রাম্প প্রশাসন কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছে। তাই সর্বশেষ প্রচেষ্টা হিসেবে তারা ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ সৃষ্টির নীতি গ্রহণ করেছে। এরই অংশ হিসেবে মার্কিন সরকার ইরানের বেশ কিছু কর্মকর্তাকে আমেরিকায় প্রবেশ কিংবা সেখানে অবাধ চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। ইরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের পুনরাবৃত্তি করে ট্রাম্প বলেছেন, "ইরানের কর্মকর্তারা এবং তাদের পরিবারবর্গ অভিবাসী হোক বা না হোক তারা আমেরিকায় প্রবেশ করতে পারবে কি না কিংবা অবাধে কোথাও যেতে পারবে কিনা সেটা আমি নির্ধারণ করে দেব।"
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানি কর্মকর্তাদের আমেরিকা সফরের ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এ পদক্ষেপ বিশ্বে নজিরবিহীন। কারণ ইরানের অনেক কর্মকর্তা নিউইয়র্ক ও ওয়াশিংটনে অবস্থিত জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিল ও বিশ্ব ব্যাংকসহ বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত রয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন গুরুত্ব বৈঠকে অংশ নেয়ার জন্য ওই দুই শহরে ইরানিদের যাতায়াত করতে হয়। অথচ আমেরিকা ও জাতিসংঘের মধ্যে সমঝোতা অনুযায়ী জাতিসংঘের সদস্য ইরানসহ যেকোনো দেশের কর্মকর্তাদের অবাধ চলাচলের সুযোগ দেয়ার কথা বলা হয়েছে যাতে তারা আমেরিকায় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার বৈঠকে অংশ নিতে পারে। মার্কিন সরকার কিছু দিন আগেও ইরানের প্রেসিডেন্টসহ দেশটির অন্যান্য কর্মকর্তাদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যাতে তারা জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের বৈঠকে অংশ নিতে না পারে। যদিও তারা শেষ পর্যন্ত ইরানি প্রতিনিধি দলের আমেরিকা সফরের জন্য ভিসা দিয়েছে তবে সেটা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা আরোপ করে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এসব পদক্ষেপ নিয়ে কেন তিনি ইরানি কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিলেন সেটাই এখন প্রশ্ন।
ধারণা করা হচ্ছে, ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি ও মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের মধ্যে আলোচনার প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার পর প্রতিশোধ হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন নতুন করে এ নিষেধাজ্ঞা দিল। মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের পক্ষে ফায়দা হাসিলের জন্যই রুহানি ও ট্রাম্পকে আলোচনায় বসানোর চেষ্টা করা হয়েছিল কিন্তু তা ভেস্তে যাওয়ায় মার্কিন কর্মকর্তারা প্রচণ্ড হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তবে ট্রাম্পের ওই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে খোদ আমেরিকার ভেতরেই ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে। এতোসব সমালোচনা ও ব্যর্থতা ঢাকার জন্যই হোয়াইট হাউজ ইরানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আমেরিকায় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিল। হোয়াইট হাউস এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, "ইরান মানব সমাজের জন্য সমস্যা সৃষ্টি করছে এবং দেশটি প্রতিবেশী ও আন্তর্জাতিক জলপথের জন্য হুমকি।"
অতীত ঘটনাবলীর দিকে তাকালে দেখা যায়, আরো অনেক দেশের কর্মকর্তাদের আমেরিকায় প্রবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে ওয়াশিংটন। রাশিয়া, কিউবা ও ভেনিজুয়েলাসহ আরো অনেক দেশের ওপর চাপ সৃষ্টির জন্য আমেরিকা এ ধরণের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তবে পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আমেরিকায় প্রবেশ কিংবা আমেরিকার ভেতরে চলাফেরার ওপর ইরানের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হল তা সত্যিই নজিরবিহীন। কিন্তু এসব নিষেধাজ্ঞা দিয়ে ইরানকে নতজানু করতে পারবে না আমেরিকা।
No comments