রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন নিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য এবং বিশ্লেষক প্রতিক্রিয়া
মিয়ানমার
থেকে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া
বিলম্বিত করছে মিয়ানমার। নিজ দেশে নিরাপদে বসবাসের পরিবেশ তৈরি না হবার
কারণ দেখিয়ে রোহিঙ্গারাও নাগরিক অধিকার ছাড়া স্বেচ্ছায় মিয়ানমার ফিরতে
চাচ্ছে না।
মিয়ানমারে সরকারী বাহীনি ও রাখাইন সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের মুখে প্রায় ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩ জন
আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করে মিয়ানমার। জাতিসংঘ বলেছে, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য যে পরিবেশ দরকার মিয়ানমার এখনো তা তৈরি করতে পারেনি। এ বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে জানান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকলেও বাংলাদেশের তাগাদা আমলে নিচ্ছে না মিয়ানমার।
মিয়ানমার-বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এর মধ্যে চার দফা বৈঠক করেছে। দুই দফায় পরিবার ভিত্তিক ৩০ হাজার ৪২৮ জন রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু যাচাই বাছাই করে মাত্র ৩ হাজার ৪৬৫ জনকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। বাকিদের বিষয়ে তিন ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে দেশটি। একটা অংশের নাম তাদের নথিতে নেই, কারো কারো থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম নেই এবং বাকীরা সন্ত্রাসী। অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের না নেয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে রেখেছে মিয়ানমার।
ওদিকে ইয়াবা, মানব পাচার ও হাটবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে অস্ত্রের মহড়া ছাড়াও হত্যা , হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে।
পুলিশের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সাড়ে চার মাসে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৩২ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৬, মার্চে ১০, এপ্রিলে ৪ ও মে মাসে ৪ জন। টেকনাফ পুলিশের ভাষ্য আনুযায়ি পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ১৫ জন রোহিঙ্গা। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশ ইয়াবা ব্যবসায়ী।এদের দুজন মানব পাচারকারী বলে পুলিশ দাবী করেছে।
এ ছাড়া আশ্রয় শিবিরের কিশোরদের মাঝে অপরাধ বৃদ্ধির পাশাপাশি রোহিঙ্গা কিশোরী ও যুবতী মেয়েরা হত্যা ও ধর্ষনের শিকার হচ্ছে। গত ২৬ মার্চ বালুখালী শিবিরের ই-ব্লক থেকে পুলিশ আয়েশা বেগম (১৯) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। ধর্ষণের পর তাঁকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মুখোশধারী একদল রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং শিবির থেকে খতিজা বেগম নামের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে। এরপর হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে যায়। উখিয়ার বালুখালী শিবিরের বাসিন্দা এক গৃহবধূ বলেন, সম্প্রতি এক রাতে মুখোশধারী তিন যুবক ঘরে ঢুকে তাঁর এক কিশোরী মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আয়াছুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, যেসব রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধ বেড়েছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও।
মিয়ানমারে সরকারী বাহীনি ও রাখাইন সন্ত্রাসীদের নির্যাতনের মুখে প্রায় ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন। বর্তমানে উখিয়া-টেকনাফের ৩৪টি আশ্রয়শিবিরে নিবন্ধিত রোহিঙ্গার সংখ্যা ১১ লাখ ১৮ হাজার ৯১৩ জন
আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে ২০১৭ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশের সাথে চুক্তি করে মিয়ানমার। জাতিসংঘ বলেছে, রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার জন্য যে পরিবেশ দরকার মিয়ানমার এখনো তা তৈরি করতে পারেনি। এ বিষয়ে সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গণমাধ্যমকে জানান রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আন্তর্জাতিক সমর্থন থাকলেও বাংলাদেশের তাগাদা আমলে নিচ্ছে না মিয়ানমার।
মিয়ানমার-বাংলাদেশ প্রত্যাবাসন চুক্তি বাস্তবায়নে গঠিত যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এর মধ্যে চার দফা বৈঠক করেছে। দুই দফায় পরিবার ভিত্তিক ৩০ হাজার ৪২৮ জন রোহিঙ্গার তালিকা দিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু যাচাই বাছাই করে মাত্র ৩ হাজার ৪৬৫ জনকে ফিরিয়ে নিতে সম্মত হয়েছে মিয়ানমার। বাকিদের বিষয়ে তিন ধরনের ব্যাখ্যা দিয়েছে দেশটি। একটা অংশের নাম তাদের নথিতে নেই, কারো কারো থাকলেও পরিবারের অন্য সদস্যদের নাম নেই এবং বাকীরা সন্ত্রাসী। অর্থাৎ রোহিঙ্গাদের না নেয়ার ক্ষেত্র তৈরি করে রেখেছে মিয়ানমার।
ওদিকে ইয়াবা, মানব পাচার ও হাটবাজার নিয়ন্ত্রণে রাখাকে কেন্দ্র করে রোহিঙ্গা শিবিরের অভ্যন্তরে অস্ত্রের মহড়া ছাড়াও হত্যা , হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা বাড়ছে।
পুলিশের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১৭ মে পর্যন্ত সাড়ে চার মাসে রোহিঙ্গাদের অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ৩২ জন রোহিঙ্গা। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ৮ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৬, মার্চে ১০, এপ্রিলে ৪ ও মে মাসে ৪ জন। টেকনাফ পুলিশের ভাষ্য আনুযায়ি পুলিশ ও বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন ১৫ জন রোহিঙ্গা। নিহত ব্যক্তিদের অধিকাংশ ইয়াবা ব্যবসায়ী।এদের দুজন মানব পাচারকারী বলে পুলিশ দাবী করেছে।
এ ছাড়া আশ্রয় শিবিরের কিশোরদের মাঝে অপরাধ বৃদ্ধির পাশাপাশি রোহিঙ্গা কিশোরী ও যুবতী মেয়েরা হত্যা ও ধর্ষনের শিকার হচ্ছে। গত ২৬ মার্চ বালুখালী শিবিরের ই-ব্লক থেকে পুলিশ আয়েশা বেগম (১৯) নামের এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করে। ধর্ষণের পর তাঁকে গলাটিপে হত্যা করা হয়। এর আগে গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মুখোশধারী একদল রোহিঙ্গা উখিয়ার কুতুপালং শিবির থেকে খতিজা বেগম নামের এক কিশোরীকে অপহরণের পর ধর্ষণ করে। এরপর হত্যা করে লাশ জঙ্গলে ফেলে যায়। উখিয়ার বালুখালী শিবিরের বাসিন্দা এক গৃহবধূ বলেন, সম্প্রতি এক রাতে মুখোশধারী তিন যুবক ঘরে ঢুকে তাঁর এক কিশোরী মেয়েকে অপহরণের চেষ্টা চালায়।
কক্সবাজার বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক আয়াছুর রহমান বলেন, রোহিঙ্গারা নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে। তাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন নিশ্চিত করা না গেলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে।
শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম গণমাধ্যমকে বলেছেন, যেসব রোহিঙ্গা শিবিরে অপরাধ বেড়েছে, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল বাড়ানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিও।
No comments