মুকুটের লড়াই শুরু: মাশরাফিকে যা বললেন প্রিন্স হ্যারি by ইশতিয়াক পারভেজ
রানীর
দেশে শুরু হলো ২২ গজের যুদ্ধ। মুকুট জিতে নিতে চলছে লড়াই। ইংলিশরা জয় দিয়ে
শুরু করেছে, এবার নিজেদের মাটিতে আক্ষেপ ভোলানোর মিশন তাদের। পাকিস্তানকে
উড়িয়ে দিয়েছে ক্যারিবীয়রা। গতকাল শ্রীলঙ্কাকে হেসে খেলেই হারিয়েছে
নিউজিল্যান্ড। অপেক্ষার প্রহর শেষ বাংলাদেশের। নিজেদের প্রথম ম্যাচে আজ
বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ হার দিয়ে শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা। এ ম্যাচ দিয়েই
মাশরাফি বিন মুর্তজার দলের শুরু হবে ট্রফি জিতে নেয়ার স্বপ্নের যাত্রা।
২০ বছর পর বিশ্বকাপ ক্রিকেট এবার ফিরেছে জন্মভূমিতে। বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বিশ্বকাপের ১০ দলের অধিনায়ক গিয়েছিলেন বাকিংহাম প্যালেসে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাতে। ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ও আভিজাত্যের প্রতীক মনে করা হয় এই ভবনকে। গোটা বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত ভবনগুলোর একটি। সৌভাগ্যের দেশে মাশরাফির দল মাঠের লড়াই শুরু করবেন আজ। মাত্র দুই বছর আগেই ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার গৌরব কুড়ায় বাংলাদেশ। এবার ট্রফি ছোঁয়ার পালা। লন্ডনের দ্য ওভাল গ্রাউন্ডে আজ প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
ইংল্যান্ড জুড়ে বাংলাদেশের ভক্ত সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়েছে ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা। তবে সেখানে সব কিছুই যেন একটি নিয়মের মধ্যে। মাঠে আসা দর্শকরা গ্যালারি আর স্টেডিয়াম পাড়াতেই উল্লাস করবেন। কিংবা যেখানে বার, পাব আর নাইট ক্লাব আছে সেখানে বড় বড় টিভি পর্দায় খেলা দেখে উল্লাস করবেন। যে কারণে হুট করেই যেখানে সেখানে ক্রিকেট নিয়ে মিছিল দেখা যাবে না। তবে এই দেশেই আছে টাইগারদের বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী। বিশেষ করে বাঙালি পাড়া হিসেবে পরিচিত লন্ডনের ব্রিক লেন, হোয়াইট চ্যাপল ও স্যাডওয়েলে হাঁটতে গেলেই শোনা যায় খেলা নিয়ে আলোচনা।
কিংবা বাংলাদেশিদের হোটেলে খেতে গেলে বা তাদের ট্যাক্সিতে উঠলেও বুঝা যায় নিজ দেশকে সমর্থন দিতে কতটা মুখিয়ে আছেন তারা। মাশরাফি বিন মুর্তজাও জানেন তাদের শক্তির অন্যতম অংশ সমর্থকরা। এমনকি সেটি জানেন প্রিন্স হ্যারিও। রাজপ্রাসাদে সেই বিষয়টি টাইগার অধিনায়ককে স্মরণও করিয়ে দিয়েছেন রাজপুত্র। তা নিয়ে মাশরাফি জানান, ‘প্রিন্স হ্যারি আমাকে বললেন, বাংলাদেশের অনেক বড় একটি কমিউনিটি আছে এখানে। অনেকক্ষেত্রেই তারা বড় ভূমিকা রাখছে এই দেশে। আবহাওয়া নিয়েও কথা হলো, দেশে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে এসে এখানে খেলা কতটা কঠিন। বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির খোঁজ- খবরও নিলেন। বললেন খেলা উপভোগ করতে।’
বাংলাদেশের এই খেলা দেখার জন্য গতকাল পর্যন্ত সমর্থকদের টিকিটের পেছনে ছুটতে দেখা গেছে। অনেকেই এসেছেন দেশ থেকে। এসে যে যার মতো টিকিট সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। এই সুযোগে বেড়েছে টিকিট কালোবাজারিতে বিক্রিও। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ দেখতে আসা তারেক সামস, ও জাহিদ হাসনাইন নামে দু’জন তিনদিন ধরে ইংল্যান্ডে ঘুরেছেন টিকিটের জন্য। অবশেষে ৩৫ পাউন্ড মূল্যের দু’টি টিকিট কিনেছেন ২০০ পাউন্ড দিয়ে। তাতেও খুশি তারা। এখন অপেক্ষা যে টিকিটগুলো নেই তা যোগার করা। শুধু তাই নয়, ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ সহ নিউপোর্ট থেকে অনেক টাইগারভক্ত গতকালই চলে এসেছেন লন্ডনে। এছাড়াও বার্মিংহাম থেকে আসবে আরো সমর্থক।
লন্ডনের কেনিংটনে অবস্থিত ওভাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি ২৩ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। আশা করা যাচ্ছে গ্যালারি থাকবে হাউস ফুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ২০ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। তার মধ্যে বিশ্বকাপে তিনবার। এখানেই বাংলাদেশ দলের জন্য বড় অনুপ্রেরণা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আন্তর্জতিক ওয়ানডেতে প্রথম জয়টি আসে ২০০৭ বিশ্বকাপে। সেবার হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে ২৫১ রান ৮ উইকেট হারিয়ে। জবাবে মাত্র ১৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৫-তে দেশের মাটিতে। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে হার দিয়ে শুরু করলেও মাশরাফির নেতৃত্বে পরের দুই ম্যাচে জিতে যায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পেয়েছিল সিরিজ জয়ের স্বাদ। আবারো সুযোগ এসেছে টাইগারদের ক্রিকেটে ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে মুকুট জয়ের মিশন শুরু করার।
২০ বছর পর বিশ্বকাপ ক্রিকেট এবার ফিরেছে জন্মভূমিতে। বুধবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আগে বিশ্বকাপের ১০ দলের অধিনায়ক গিয়েছিলেন বাকিংহাম প্যালেসে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের সঙ্গে সাক্ষাতে। ব্রিটিশ রাজতন্ত্র ও আভিজাত্যের প্রতীক মনে করা হয় এই ভবনকে। গোটা বিশ্বের সবচেয়ে সুপরিচিত ভবনগুলোর একটি। সৌভাগ্যের দেশে মাশরাফির দল মাঠের লড়াই শুরু করবেন আজ। মাত্র দুই বছর আগেই ইংল্যান্ডের মাটিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে প্রথমবারের মতো সেমিফাইনালে খেলার গৌরব কুড়ায় বাংলাদেশ। এবার ট্রফি ছোঁয়ার পালা। লন্ডনের দ্য ওভাল গ্রাউন্ডে আজ প্রোটিয়াদের মুখোমুখি হবে টাইগাররা।
ইংল্যান্ড জুড়ে বাংলাদেশের ভক্ত সমর্থকদের মধ্যে শুরু হয়েছে ম্যাচ নিয়ে উন্মাদনা। তবে সেখানে সব কিছুই যেন একটি নিয়মের মধ্যে। মাঠে আসা দর্শকরা গ্যালারি আর স্টেডিয়াম পাড়াতেই উল্লাস করবেন। কিংবা যেখানে বার, পাব আর নাইট ক্লাব আছে সেখানে বড় বড় টিভি পর্দায় খেলা দেখে উল্লাস করবেন। যে কারণে হুট করেই যেখানে সেখানে ক্রিকেট নিয়ে মিছিল দেখা যাবে না। তবে এই দেশেই আছে টাইগারদের বিশাল সমর্থক গোষ্ঠী। বিশেষ করে বাঙালি পাড়া হিসেবে পরিচিত লন্ডনের ব্রিক লেন, হোয়াইট চ্যাপল ও স্যাডওয়েলে হাঁটতে গেলেই শোনা যায় খেলা নিয়ে আলোচনা।
কিংবা বাংলাদেশিদের হোটেলে খেতে গেলে বা তাদের ট্যাক্সিতে উঠলেও বুঝা যায় নিজ দেশকে সমর্থন দিতে কতটা মুখিয়ে আছেন তারা। মাশরাফি বিন মুর্তজাও জানেন তাদের শক্তির অন্যতম অংশ সমর্থকরা। এমনকি সেটি জানেন প্রিন্স হ্যারিও। রাজপ্রাসাদে সেই বিষয়টি টাইগার অধিনায়ককে স্মরণও করিয়ে দিয়েছেন রাজপুত্র। তা নিয়ে মাশরাফি জানান, ‘প্রিন্স হ্যারি আমাকে বললেন, বাংলাদেশের অনেক বড় একটি কমিউনিটি আছে এখানে। অনেকক্ষেত্রেই তারা বড় ভূমিকা রাখছে এই দেশে। আবহাওয়া নিয়েও কথা হলো, দেশে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রা থেকে এসে এখানে খেলা কতটা কঠিন। বিশ্বকাপ নিয়ে আমাদের প্রস্তুতির খোঁজ- খবরও নিলেন। বললেন খেলা উপভোগ করতে।’
বাংলাদেশের এই খেলা দেখার জন্য গতকাল পর্যন্ত সমর্থকদের টিকিটের পেছনে ছুটতে দেখা গেছে। অনেকেই এসেছেন দেশ থেকে। এসে যে যার মতো টিকিট সংগ্রহ করার চেষ্টা করছেন। এই সুযোগে বেড়েছে টিকিট কালোবাজারিতে বিক্রিও। বাংলাদেশ থেকে বিশ্বকাপ দেখতে আসা তারেক সামস, ও জাহিদ হাসনাইন নামে দু’জন তিনদিন ধরে ইংল্যান্ডে ঘুরেছেন টিকিটের জন্য। অবশেষে ৩৫ পাউন্ড মূল্যের দু’টি টিকিট কিনেছেন ২০০ পাউন্ড দিয়ে। তাতেও খুশি তারা। এখন অপেক্ষা যে টিকিটগুলো নেই তা যোগার করা। শুধু তাই নয়, ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফ সহ নিউপোর্ট থেকে অনেক টাইগারভক্ত গতকালই চলে এসেছেন লন্ডনে। এছাড়াও বার্মিংহাম থেকে আসবে আরো সমর্থক।
লন্ডনের কেনিংটনে অবস্থিত ওভাল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামটি ২৩ হাজার ৫০০ দর্শক ধারণক্ষমতা সম্পন্ন। আশা করা যাচ্ছে গ্যালারি থাকবে হাউস ফুল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত ২০ বার মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ দল। তার মধ্যে বিশ্বকাপে তিনবার। এখানেই বাংলাদেশ দলের জন্য বড় অনুপ্রেরণা প্রোটিয়াদের বিপক্ষে আন্তর্জতিক ওয়ানডেতে প্রথম জয়টি আসে ২০০৭ বিশ্বকাপে। সেবার হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে ২৫১ রান ৮ উইকেট হারিয়ে। জবাবে মাত্র ১৮৪ রানেই গুটিয়ে যায় শক্তিশালী দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টাইগারদের সবচেয়ে বড় সাফল্য ২০১৫-তে দেশের মাটিতে। মিরপুর শেরেবাংলা মাঠে হার দিয়ে শুরু করলেও মাশরাফির নেতৃত্বে পরের দুই ম্যাচে জিতে যায় বাংলাদেশ। সেই সঙ্গে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পেয়েছিল সিরিজ জয়ের স্বাদ। আবারো সুযোগ এসেছে টাইগারদের ক্রিকেটে ইতিহাসে সবচেয়ে সেরা দল নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে মুকুট জয়ের মিশন শুরু করার।
No comments