মার্কিন মাটিতে ট্রাম্প নীতির সমালোচনা মেরকেলের
হার্ভার্ড
বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশ্ব রাজনীতির সমালোচনা
করেছেন। কোনো নাম উল্লেখ না করে তিনি বিশ্ব বাণিজ্য ও শুল্ক, অবরোধ প্রয়োগ,
জলবায়ু, প্রাচীর স্থাপন এবং একলা চলা নীতির সমালোচনা করে সবাইকে মুক্ত,
উদার ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলবার আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে অবস্থিত স্বনামধন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার বক্তৃতা করেন জার্মান চ্যান্সেলর। তাঁর ৩৫ মিনিটের সমাবর্তন বক্তৃতায় ২০ হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন বলে আয়োজক পক্ষ জানিয়েছে।
বক্তৃতায় মেরকেল পূর্ব জার্মানিতে তাঁর যৌবনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, পূর্ব বার্লিনে তাঁর বসবাস করবার বাড়িটির কাছেই বার্লিনকে বিভক্ত করে রাখা প্রাচীরটি ছিল। অনেক উৎসাহ রইলেও তিনি কখনই সে প্রাচীরের অপরদিকের কিছু জানতে পারতেন না। প্রতিদিন তিনি ভাবতেন কীভাবে এই প্রাচীরকে জয় করা যায়। অবশেষে সেই প্রাচীরের পতন হলো এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে ইতিহাসের নতুন যাত্রা শুরু হলো। তিনি বলেন নতুন করে বর্ণ,ধর্ম, জাতিতে জাতিতে আবারও প্রাচীর গড়ে তুলবার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সকলকে সেই অজ্ঞতা এবং সংকীর্ণ মনস্তত্ত্বের প্রাচীর ভেঙে ফেলবার চেষ্টা করতে হবে। মনগড়া মিথ্যা অভিযোগ কখনই সত্য হয় না, সত্য সব সময় সত্য হয়ে রবে।
মেরকেল আরও বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে দ্বন্দ্ব এবং কথায় কথায় শুল্ক প্রয়োগ ও অবরোধ সবার সমৃদ্ধির ভিত্তিকে বিপন্ন করবে। সবাইকে একক সমৃদ্ধির কথা না ভেবে সবার কথা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবনের প্রাকৃতিক ভিত্তি গুলি হুমকির সম্মুখীন। এই সমস্যা স্পষ্টত মানুষের তৈরি করা। তাই এই চ্যালেঞ্জকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সবার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।
ইতিপূর্বে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মেরকেলের দুই পূর্বসূরি কনরাড আডেনআওয়ার ও হেলমুট কোহল বক্তৃতা করেছেন। এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মেরকেলকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, মার্গারেট ওয়াং এর আমন্ত্রণে মেরকেল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আডেনআওয়ার ও হেলমুটের সময় জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসবার পরে থেকে দেশ দুটির সম্পর্ক ক্রমশই শীতল হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস রাজ্যে অবস্থিত স্বনামধন্য হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার বক্তৃতা করেন জার্মান চ্যান্সেলর। তাঁর ৩৫ মিনিটের সমাবর্তন বক্তৃতায় ২০ হাজার লোক উপস্থিত ছিলেন বলে আয়োজক পক্ষ জানিয়েছে।
বক্তৃতায় মেরকেল পূর্ব জার্মানিতে তাঁর যৌবনের কথা বলতে গিয়ে বলেন, পূর্ব বার্লিনে তাঁর বসবাস করবার বাড়িটির কাছেই বার্লিনকে বিভক্ত করে রাখা প্রাচীরটি ছিল। অনেক উৎসাহ রইলেও তিনি কখনই সে প্রাচীরের অপরদিকের কিছু জানতে পারতেন না। প্রতিদিন তিনি ভাবতেন কীভাবে এই প্রাচীরকে জয় করা যায়। অবশেষে সেই প্রাচীরের পতন হলো এবং ঐক্যবদ্ধ ভাবে ইতিহাসের নতুন যাত্রা শুরু হলো। তিনি বলেন নতুন করে বর্ণ,ধর্ম, জাতিতে জাতিতে আবারও প্রাচীর গড়ে তুলবার প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। সকলকে সেই অজ্ঞতা এবং সংকীর্ণ মনস্তত্ত্বের প্রাচীর ভেঙে ফেলবার চেষ্টা করতে হবে। মনগড়া মিথ্যা অভিযোগ কখনই সত্য হয় না, সত্য সব সময় সত্য হয়ে রবে।
মেরকেল আরও বলেন, বিশ্ব বাণিজ্যে দ্বন্দ্ব এবং কথায় কথায় শুল্ক প্রয়োগ ও অবরোধ সবার সমৃদ্ধির ভিত্তিকে বিপন্ন করবে। সবাইকে একক সমৃদ্ধির কথা না ভেবে সবার কথা ভাবতে হবে। তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে জীবনের প্রাকৃতিক ভিত্তি গুলি হুমকির সম্মুখীন। এই সমস্যা স্পষ্টত মানুষের তৈরি করা। তাই এই চ্যালেঞ্জকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সবার যথাসাধ্য চেষ্টা করতে হবে।
ইতিপূর্বে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে মেরকেলের দুই পূর্বসূরি কনরাড আডেনআওয়ার ও হেলমুট কোহল বক্তৃতা করেছেন। এই সমাবর্তন অনুষ্ঠানে মেরকেলকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি দেওয়া হয়। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, মার্গারেট ওয়াং এর আমন্ত্রণে মেরকেল এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন। আডেনআওয়ার ও হেলমুটের সময় জার্মান ও যুক্তরাষ্ট্রের সুসম্পর্ক বজায় ছিল। তবে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসবার পরে থেকে দেশ দুটির সম্পর্ক ক্রমশই শীতল হয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনে বক্তৃতা করেন। যুক্তরাষ্ট্র, ৩০ মে। ছবি: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে |
No comments