শক্তিশালী ইউরোপের পক্ষেই রায় দিল ২৮ দেশের জনগণ
ভারতের
পর সর্ববৃহত নির্বাচন দেখল বিশ্ববাসী। ২৩ মে থেকে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে ২৬ মে ইউরোপ সময় রাত ১০টায়। নির্বাচনে
প্রধান দলগুলোর আসন কিছুটা কমলেও শক্তিশালী ইউরোপের পক্ষেই রায় দিয়েছে
ইউরোপের ২৮ দেশের জনগণ।
ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ইউরোপের প্রধান রাজনৈতিক দল ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি (ইপিপি) এবারও সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়েছে। তারা পেয়েছে ১৭৮ টি আসন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ইপিপি পেয়েছিল ২২১ আসন। অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্রেটদের জোট এস এন্ড ডি। জোটটি পেয়েছে ১৪৭ আসন। তাদের আসনও কমেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এস এন্ড ডি জোট পেয়েছিল ১৯১ আসন।
তবে এবার ইউরোপের চমক হচ্ছে লিবারেল ডেমোক্রেট, গ্রিন পার্টি ও জাতীয়তাবাদী দলগুলোর উত্থান। সারা ইউরোপের লিবারেল ডেমোক্রেটদের এই জোট এবার ঈর্ষনীয়ভাবে ১০১টি আসন পেয়েছে যা গত নির্বাচনের চেয়ে ৩৪টি আসন বেশি। ২০১৪ সালে তারা পেয়েছিল ৬৭টি আসন। আর গত নির্বাচনের ষষ্ঠ অবস্থান থেকে চতুর্থ অবস্থানে এসেছে জার্মানীসহ ইউরোপের আলোচিত পরিবশেবাদীদের রাজনৈতিক দল গ্রিন পার্টি। তারা এবার ৭০টি আসন পেয়েছে। গত নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৫০টি আসন।
এবারের নির্বাচনে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল ইউরোপের সমালোচক পপুলিস্ট ও মুসলিম অভিবাসী বিরোধী দলগুলোর উত্থান নিয়ে। ইউরোপে শান্তির বার্তা বয়ে এনেছে তাদের উত্থান না হওয়ায়। যদিও ইউরোপের সমালোচক বৃটেনের নাইজেল ফারাজের ইএফডি ৫৬টি আসন পেয়েছে যা গত নির্বাচনের তুলনায় ৮ টি আসন বেশি। এছাড়া ইউরোপের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ইসিআর পার্টিও ৬০ টি আসন পেয়েছে।
অন্যদিকে ইতালির আলোচিত জাতীয়তাবাদী নেতা সালভিনি ও ফ্রান্সের জাতীয়তাবাদী নেত্রী মারিন ল্য পেন এর নেতৃত্বাধীন ইএনফ ৫৭টি আসন পেয়েছে। ফ্রান্সের জাতীয়তাবাদী নেত্রীর উত্থান ফ্রান্সে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ সৃষ্টি করবে। যার প্রভাব ব্রাসেলসেও পড়তে পারে। তবে অভিবাসীদের মধ্যে তাদের উত্থান নিয়ে এখনও আতঙ্ক রয়ে গেছে। আর নর্ডিক অঞ্চলের বাম ও গ্রিনদের সংগঠন এনজিএল ৪১ আসন পেয়েছে।
ইউরোপের নির্বাচন নিয়ে জার্মানীর ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ইউরোপিয়ান স্টাডিজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সাগর আনোয়ার জানান, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে গ্রিন পার্টি। ২০০৪ সালে ইতালিতে জন্ম নেয়া এই পার্টি এখন জার্মানিসহ পুরো ইউরোপের তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ইউরোপে আরব দেশগুলো থেকে আসা উদ্বাস্তু ও অভিবাসী বিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী দলগুলোর চরম উত্থানের যে আশঙ্কা ছিল তা তেমনভাবে ঘটেনি। এটা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করেছে অভিবাসীদের। তবে, মেইনস্ট্রিম পার্টিগুলোর আসন কমাতে ইউরোপের নতুন শক্তির উত্থানকে জানান দিচ্ছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে মোট আসন ৭৫১টি। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিনটি প্রধান ইনস্টিটিউটের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অন্যতম। এ ছাড়া বাকি দু’টি হলো ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বা পার্লামেন্টের সদস্যরা মূলত জোটভুক্ত দেশগুলোর জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জোটের বিভিন্ন বিষয়ে আইনপ্রণেতা হিসেবে কাজ করে। জোটের বাজেটের ক্ষেত্রেও ইইউ পার্লামেন্টে সম্মতির প্রয়োজন হয়। ইউরোপীয় কমিশন জোটের প্রশাসনিক বিষয়াদি এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকারগুলোর প্রতিনিধি–সংবলিত কমিটি। ইইউ পার্লামেন্টের সদস্যরাই তাদের পছন্দমতো ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।
ফলাফল পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে, ইউরোপের প্রধান রাজনৈতিক দল ইউরোপিয়ান পিপলস পার্টি (ইপিপি) এবারও সংখ্যাগরিষ্টতা পেয়েছে। তারা পেয়েছে ১৭৮ টি আসন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে ইপিপি পেয়েছিল ২২১ আসন। অন্যদিকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের সোশ্যালিস্ট ও ডেমোক্রেটদের জোট এস এন্ড ডি। জোটটি পেয়েছে ১৪৭ আসন। তাদের আসনও কমেছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে এস এন্ড ডি জোট পেয়েছিল ১৯১ আসন।
তবে এবার ইউরোপের চমক হচ্ছে লিবারেল ডেমোক্রেট, গ্রিন পার্টি ও জাতীয়তাবাদী দলগুলোর উত্থান। সারা ইউরোপের লিবারেল ডেমোক্রেটদের এই জোট এবার ঈর্ষনীয়ভাবে ১০১টি আসন পেয়েছে যা গত নির্বাচনের চেয়ে ৩৪টি আসন বেশি। ২০১৪ সালে তারা পেয়েছিল ৬৭টি আসন। আর গত নির্বাচনের ষষ্ঠ অবস্থান থেকে চতুর্থ অবস্থানে এসেছে জার্মানীসহ ইউরোপের আলোচিত পরিবশেবাদীদের রাজনৈতিক দল গ্রিন পার্টি। তারা এবার ৭০টি আসন পেয়েছে। গত নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৫০টি আসন।
এবারের নির্বাচনে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছিল ইউরোপের সমালোচক পপুলিস্ট ও মুসলিম অভিবাসী বিরোধী দলগুলোর উত্থান নিয়ে। ইউরোপে শান্তির বার্তা বয়ে এনেছে তাদের উত্থান না হওয়ায়। যদিও ইউরোপের সমালোচক বৃটেনের নাইজেল ফারাজের ইএফডি ৫৬টি আসন পেয়েছে যা গত নির্বাচনের তুলনায় ৮ টি আসন বেশি। এছাড়া ইউরোপের সমালোচক হিসেবে পরিচিত ইসিআর পার্টিও ৬০ টি আসন পেয়েছে।
অন্যদিকে ইতালির আলোচিত জাতীয়তাবাদী নেতা সালভিনি ও ফ্রান্সের জাতীয়তাবাদী নেত্রী মারিন ল্য পেন এর নেতৃত্বাধীন ইএনফ ৫৭টি আসন পেয়েছে। ফ্রান্সের জাতীয়তাবাদী নেত্রীর উত্থান ফ্রান্সে নতুন রাজনৈতিক মেরুকরণ সৃষ্টি করবে। যার প্রভাব ব্রাসেলসেও পড়তে পারে। তবে অভিবাসীদের মধ্যে তাদের উত্থান নিয়ে এখনও আতঙ্ক রয়ে গেছে। আর নর্ডিক অঞ্চলের বাম ও গ্রিনদের সংগঠন এনজিএল ৪১ আসন পেয়েছে।
ইউরোপের নির্বাচন নিয়ে জার্মানীর ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে ইউরোপিয়ান স্টাডিজে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সাগর আনোয়ার জানান, এবারের নির্বাচনে সবচেয়ে বড় চমক হচ্ছে গ্রিন পার্টি। ২০০৪ সালে ইতালিতে জন্ম নেয়া এই পার্টি এখন জার্মানিসহ পুরো ইউরোপের তরুণ প্রজন্মের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। এছাড়া ইউরোপে আরব দেশগুলো থেকে আসা উদ্বাস্তু ও অভিবাসী বিরোধী এবং জাতীয়তাবাদী দলগুলোর চরম উত্থানের যে আশঙ্কা ছিল তা তেমনভাবে ঘটেনি। এটা কিছুটা হলেও আশ্বস্ত করেছে অভিবাসীদের। তবে, মেইনস্ট্রিম পার্টিগুলোর আসন কমাতে ইউরোপের নতুন শক্তির উত্থানকে জানান দিচ্ছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে মোট আসন ৭৫১টি। আর ইউরোপীয় ইউনিয়নের তিনটি প্রধান ইনস্টিটিউটের মধ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট অন্যতম। এ ছাড়া বাকি দু’টি হলো ইউরোপীয় কমিশন এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট বা পার্লামেন্টের সদস্যরা মূলত জোটভুক্ত দেশগুলোর জনগণের প্রতিনিধিত্ব করে। ইউরোপীয় পার্লামেন্ট জোটের বিভিন্ন বিষয়ে আইনপ্রণেতা হিসেবে কাজ করে। জোটের বাজেটের ক্ষেত্রেও ইইউ পার্লামেন্টে সম্মতির প্রয়োজন হয়। ইউরোপীয় কমিশন জোটের প্রশাসনিক বিষয়াদি এবং ইউরোপীয় কাউন্সিল সদস্য রাষ্ট্রগুলোর সরকারগুলোর প্রতিনিধি–সংবলিত কমিটি। ইইউ পার্লামেন্টের সদস্যরাই তাদের পছন্দমতো ভোট দিয়ে পাঁচ বছরের জন্য ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করেন।
No comments