ভারতের ২৩৩ এমপির বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা, সন্ত্রাসসহ গুরুতর অভিযোগ
লোকসভায়
নবনির্বাচিত এমপিদের মধ্যে কমপক্ষে ২৩৩ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, হত্যা,
সন্ত্রাসসহ গুরুতর ফৌজদারি অভিযোগ আছে। ৫৪৩ আসনে নির্বাচিত এমপিদের মধ্যে
এমন অভিযুক্ত এমপি শতকরা ৪০ ভাগ। এক গবেষণায় এ কথা বলেছে ভারতের অলাভজনক
প্রতিষ্ঠান এসোসিয়েশন অব ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর)। এর নির্বাচন বিষয়ক
প্রধান অনীল বর্মা বলেছেন, পার্লামেন্টে একটি ‘ডিস্টার্বিং ট্রেন্ড’ দেখা
যাচ্ছে, যা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ। এ খবর দিয়েছে অনলাইন টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
শনিবার ওই গ্রুপটি বলেছে, অভিযুক্ত এমপিদের মধ্যে বিরোধী দল কংগ্রেসের একজন সদস্য আছেন, যার বিরুদ্ধে ২০৪টি মামলা আছে। এর মধ্যে রয়েছে মানুষ হত্যা ও ডাকাতির মামলা। এডিআর ২০০৪ সাল থেকে এ বিষয়ে গবেষণা শুরু করে। তারা এবার নির্বাচিত ৫৩৯ জন বিজয়ীর রেকর্ড যাচাই করে দেখেছে, ফৌজদারি অভিযোগে মামলা আছে এমন বিজয়ীর সংখ্যা এ বছর সর্বোচ্চ। ক্ষমতাসীন বিজেপি ৩০৩ আসনে এককভাবে বিজয়ী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপিতে এমন অভিযুক্ত বিজয়ী আছেন ১১৬ জন। তার মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে আছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ।
বিরোধী দল কংগ্রেসের ২৯ জন এমপির বিরুদ্ধে মামলা আছে। তার মধ্যে কেরালার ইদুক্কি থেকে নির্বাচিত ডিন কুরিয়াকোসের বিরুদ্ধে আছে ২০৪টি ফৌজদারি মামলা। এডিআর বলছে, ভয়াবহ ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি এমন এমপির সংখ্যা এক দশকে দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১১টি হত্যা মামলা। ৩০টি গণহত্যার মামলা। ৩টি আছে ধর্ষণের মামলা।
যদি কোনো ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত হন এবং তিনি দুই বছর বা তারও বেশি মেয়াদে শাস্তি হিসেবে জেল পেয়ে থাকেন তাহলে ভারতের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। তবে অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম আছে। এর আগের পার্লামেন্টে ১৮৫ জন এমপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ ছিল। কিন্তু তাদের কেউই আদালতে অভিযুক্ত হন নি। ফলে তাদের অনেকেই নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর বিজেপি থেকে নতুন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে একটি মসজিদে বোমা হামলা করে ৬ জন মানুষকে হত্যায় সন্ত্রাসের অভিযোগ আছে। তবে সাধ্বী এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার অভিযোগ সাবেক কংগ্রেস সরকার তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বানিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, বেশির ভাগ সময়ই অভিযুক্ত ব্যক্তির পাশে এসে দাঁড়ায় দল। তারা বলে, তাদের অভিযুক্ত এমপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
এসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) হলো ভারতীয় একটি নিরপেক্ষ, বেসরকারি সংগঠন। তারা নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে কাজ করে। ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচের সঙ্গে তারা ভারতীয় রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে অর্থ ও পেশীশক্তির প্রভাব কমিয়ে আনাও তাদের লক্ষ্য।
শনিবার ওই গ্রুপটি বলেছে, অভিযুক্ত এমপিদের মধ্যে বিরোধী দল কংগ্রেসের একজন সদস্য আছেন, যার বিরুদ্ধে ২০৪টি মামলা আছে। এর মধ্যে রয়েছে মানুষ হত্যা ও ডাকাতির মামলা। এডিআর ২০০৪ সাল থেকে এ বিষয়ে গবেষণা শুরু করে। তারা এবার নির্বাচিত ৫৩৯ জন বিজয়ীর রেকর্ড যাচাই করে দেখেছে, ফৌজদারি অভিযোগে মামলা আছে এমন বিজয়ীর সংখ্যা এ বছর সর্বোচ্চ। ক্ষমতাসীন বিজেপি ৩০৩ আসনে এককভাবে বিজয়ী হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির দল বিজেপিতে এমন অভিযুক্ত বিজয়ী আছেন ১১৬ জন। তার মধ্যে একজনের বিরুদ্ধে আছে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ।
বিরোধী দল কংগ্রেসের ২৯ জন এমপির বিরুদ্ধে মামলা আছে। তার মধ্যে কেরালার ইদুক্কি থেকে নির্বাচিত ডিন কুরিয়াকোসের বিরুদ্ধে আছে ২০৪টি ফৌজদারি মামলা। এডিআর বলছে, ভয়াবহ ফৌজদারি মামলার মুখোমুখি এমন এমপির সংখ্যা এক দশকে দ্বিগুণের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১১টি হত্যা মামলা। ৩০টি গণহত্যার মামলা। ৩টি আছে ধর্ষণের মামলা।
যদি কোনো ব্যক্তি ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় অভিযুক্ত হন এবং তিনি দুই বছর বা তারও বেশি মেয়াদে শাস্তি হিসেবে জেল পেয়ে থাকেন তাহলে ভারতের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন না। তবে অপরাধের ধরনের ওপর ভিত্তি করে এক্ষেত্রে কিছুটা ব্যতিক্রম আছে। এর আগের পার্লামেন্টে ১৮৫ জন এমপির বিরুদ্ধে ফৌজদারি অভিযোগ ছিল। কিন্তু তাদের কেউই আদালতে অভিযুক্ত হন নি। ফলে তাদের অনেকেই নতুন করে নির্বাচিত হয়েছেন।
উগ্র হিন্দুত্ববাদী নেত্রী সাধ্বী প্রজ্ঞা ঠাকুর বিজেপি থেকে নতুন এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে ২০০৮ সালে একটি মসজিদে বোমা হামলা করে ৬ জন মানুষকে হত্যায় সন্ত্রাসের অভিযোগ আছে। তবে সাধ্বী এ অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। তার অভিযোগ সাবেক কংগ্রেস সরকার তার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ বানিয়েছে। এখানে উল্লেখ্য, বেশির ভাগ সময়ই অভিযুক্ত ব্যক্তির পাশে এসে দাঁড়ায় দল। তারা বলে, তাদের অভিযুক্ত এমপি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
এসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) হলো ভারতীয় একটি নিরপেক্ষ, বেসরকারি সংগঠন। তারা নির্বাচন এবং রাজনৈতিক সংস্কারের বিষয়ে কাজ করে। ন্যাশনাল ইলেকশন ওয়াচের সঙ্গে তারা ভারতীয় রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। একই সঙ্গে নির্বাচনে অর্থ ও পেশীশক্তির প্রভাব কমিয়ে আনাও তাদের লক্ষ্য।
No comments