ভারতে টুপি পরায় মুসলিম তরুণকে পিটুনি
ভারতে
নয়াদিল্লির গুরুগ্রাম শহরে এক মুসলিম তরুণের মাথার টুপি খুলে নিয়ে তাকে জয়
শ্রীরাম গাইতে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। ওই তরুণ তখন মসজিদ থেকে
ফিরছিলেন। শনিবার রাতে গুরুগ্রামের সদর বাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। এ খবর
দিয়েছে দ্য হিন্দুস্থান টাইমস।
হয়রানির শিকার হওয়া ওই মুসলিম তরুণের নাম মোহাম্মদ বরকত আলম (২৫)। তিনি জানান, শনিবার তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একদল অচেনা ব্যক্তি তাকে আটকিয়ে তার মাথার টুপি খুলে নেয় ও তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় ভারত মাতা কি জয়’ গাইতে বাধ্য করে। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে অভিযোগে স্লোগান গাওয়ার অংশটুকু উল্লেখ করা হয়নি।
আলম দিন কয়েক আগেই বিহারের বেগুসারাই থেকে গুরুগ্রামে থাকতে যান। তিনি জানান, রাত ১০:১৫মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বরকত বলেন, মসজিদ থেকে ফেরার সময় চার জন মানুষ মোটরসাইকেলে করে ও দুইজন পথচারী আমার পথ আটকায়। একজন আমায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমায় বলা হয়, এই এলাকায় টুপি পরে ঘোরা যাবে না। টুপিটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি তাকে জানাই, আমি মসজিদ থেকে ফিরছি। আমি টুপিটি খুলতে চাইনি। তখন তিনি আমায় ফের মারলেন ও টুপিটি খুলে নিলেন।
আলম অভিযোগ করেন, পথচারীদের একজন তাকে চড় মেরেছে। তিনি প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানে কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি। তিনি বলেন, একজন আমায় লাঠি দিয়ে বারবার মেরেছে। আমায় ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ গাইতে বলেছে। আমি না করলে, আমার শূকরের মাংস খাইয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।
আলম জানান, কেবল পায়ে হেঁটে আসা ব্যক্তিরাই তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। মোটরসাইকেলে করে আসা ব্যক্তিরা কিছু করেনি। কিন্তু একসময় তিনি কাঁদতে শুরু করলে, তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন রাতেই আলমের ভাই তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গুরুগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজিব যাদব জানান, শনিবার রাতে ওই মুসলিমের ওপর হামলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত অনুসারে, দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্কের পর তাকে মারধর করা হয়।
হয়রানির শিকার হওয়া ওই মুসলিম তরুণের নাম মোহাম্মদ বরকত আলম (২৫)। তিনি জানান, শনিবার তারাবির নামাজ পড়ে মসজিদ থেকে বাড়ি যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে একদল অচেনা ব্যক্তি তাকে আটকিয়ে তার মাথার টুপি খুলে নেয় ও তাকে ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘জয় ভারত মাতা কি জয়’ গাইতে বাধ্য করে। এ ঘটনায় পুলিশের কাছে একটি অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। তবে অভিযোগে স্লোগান গাওয়ার অংশটুকু উল্লেখ করা হয়নি।
আলম দিন কয়েক আগেই বিহারের বেগুসারাই থেকে গুরুগ্রামে থাকতে যান। তিনি জানান, রাত ১০:১৫মিনিটের দিকে এই ঘটনা ঘটে।
বরকত বলেন, মসজিদ থেকে ফেরার সময় চার জন মানুষ মোটরসাইকেলে করে ও দুইজন পথচারী আমার পথ আটকায়। একজন আমায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমায় বলা হয়, এই এলাকায় টুপি পরে ঘোরা যাবে না। টুপিটি খুলে ফেলতে নির্দেশ দেয়া হয়। আমি তাকে জানাই, আমি মসজিদ থেকে ফিরছি। আমি টুপিটি খুলতে চাইনি। তখন তিনি আমায় ফের মারলেন ও টুপিটি খুলে নিলেন।
আলম অভিযোগ করেন, পথচারীদের একজন তাকে চড় মেরেছে। তিনি প্রতিবাদ করতে গেলে সেখানে কেউ তাকে সাহায্য করতে আসেনি। তিনি বলেন, একজন আমায় লাঠি দিয়ে বারবার মেরেছে। আমায় ‘জয় শ্রীরাম’ ও ‘ভারত মাতা কি জয়’ গাইতে বলেছে। আমি না করলে, আমার শূকরের মাংস খাইয়ে দেবে বলে হুমকি দিয়েছে।
আলম জানান, কেবল পায়ে হেঁটে আসা ব্যক্তিরাই তার ওপর নির্যাতন চালিয়েছে। মোটরসাইকেলে করে আসা ব্যক্তিরা কিছু করেনি। কিন্তু একসময় তিনি কাঁদতে শুরু করলে, তারা পালিয়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, সেদিন রাতেই আলমের ভাই তাকে একটি স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
গুরুগ্রামের সহকারী পুলিশ কমিশনার রাজিব যাদব জানান, শনিবার রাতে ওই মুসলিমের ওপর হামলার অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তদন্ত অনুসারে, দুই পক্ষের মধ্যে বিতর্কের পর তাকে মারধর করা হয়।
No comments