মেঘ-বৃষ্টিতে পাকিস্তানের রাডার কাজ করবে না ভেবে বালাকোটে হামলা -মোদি
ভারতের
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের
বালাকোটে বিমান হামলা চালানোর মূল পরামর্শ তিনিই দিয়েছিলেন। মেঘ-বৃষ্টিতে
পাকিস্তানের রাডারে ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধরা পড়বে না বলে অনুমান করেছিলেন
তিনি। আর তাই বিমান হামলা চালানোর সবুজ সংকেত দেন মোদি।
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ নেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। গত ১৩ মে শনিবার তাঁর সাক্ষাৎকার নেয় নিউজ নেশন। তাতে মোদি বালাকোটে হামলা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবহাওয়া হুট করেই খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল, মেঘ ছিল...ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এক ধরনের দ্বিধা সৃষ্টি হয়েছিল যে, মেঘের মধ্যে বিমান হামলা চালানো যাবে কিনা—তা নিয়ে। এ নিয়ে (বালাকোট পরিকল্পনা) পর্যালোচনা করার সময় বিশেষজ্ঞদের অভিমত ছিল—নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যায় কি না। আমার মনে দুটি বিষয় ছিল। একটি হলো গোপনীয়তা...দ্বিতীয়ত, আমি বলেছিলাম আমি বিজ্ঞান জানা ব্যক্তি নই। বলেছিলাম, সেখানে অনেক মেঘ ও বৃষ্টি থাকবে। আমার প্রজ্ঞা আছে, মনে হচ্ছিল মেঘ আমাদের সাহায্য করতে পারে। তখন আমরা রাডার এড়াতে পারব। সবাই খুব বিভ্রান্ত ছিল। চূড়ান্তভাবে আমি বলেছিলাম, সেখানে মেঘ আছে...সুতরাং পরিকল্পনামাফিক এগোনো যাক।’
গত ২৬ ফেব্রুয়ারির পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ জন সদস্য নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ওই বিমান হামলা চালানো হয়।
এদিকে বালাকোটে চালানো হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে। অনেক টুইটার ব্যবহারকারী এ ঘটনায় মোদির সমালোচনা করছেন। দেশটির বামপন্থী নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হেলাফেলা করার বিষয় নয়। মোদির এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ ধরনের কেউ ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না।’ মোদির এই বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী বলেও অভিযোগ করেছেন ইয়েচুরি।
ব্যঙ্গাত্মকভাবে মোদিকে ভারতের নতুন ‘নেপোলিয়ন’ আখ্যা দিয়ে দেশটির সাবেক কূটনীতিক কেসি সিং এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘নিশ্চয়ই বিমানবাহিনী প্রধান জানতেন যে, মেঘের কারণে রাডারের কাজে হেরফের হয় না এবং পাকিস্তানের রাডার ভারতীয় বিমানকে চিহ্নিতও করেছিল। ধারণা করা হয়, মেঘ এড়িয়ে কাজ করতে সক্ষম যে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট আমাদের আছে, সেটি কার্যকর ছিল না। এত তাড়াহুড়া কীসের? নির্বাচনী দামামা? এটি সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিকরণ করা।’
তবে বালাকোটের অভিযানে মেঘ-বৃষ্টির কারণে ভারতও সমস্যায় পড়েছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ কারণেই ৬টি ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব হয়নি। এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানলে ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু ভারতীয় বিমানবাহিনী ওই দিন মেঘের কারণে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারেনি।
ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল নিউজ নেশনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদি। গত ১৩ মে শনিবার তাঁর সাক্ষাৎকার নেয় নিউজ নেশন। তাতে মোদি বালাকোটে হামলা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আবহাওয়া হুট করেই খুব খারাপ হয়ে গিয়েছিল, মেঘ ছিল...ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছিল। এক ধরনের দ্বিধা সৃষ্টি হয়েছিল যে, মেঘের মধ্যে বিমান হামলা চালানো যাবে কিনা—তা নিয়ে। এ নিয়ে (বালাকোট পরিকল্পনা) পর্যালোচনা করার সময় বিশেষজ্ঞদের অভিমত ছিল—নির্ধারিত তারিখ পরিবর্তন করা যায় কি না। আমার মনে দুটি বিষয় ছিল। একটি হলো গোপনীয়তা...দ্বিতীয়ত, আমি বলেছিলাম আমি বিজ্ঞান জানা ব্যক্তি নই। বলেছিলাম, সেখানে অনেক মেঘ ও বৃষ্টি থাকবে। আমার প্রজ্ঞা আছে, মনে হচ্ছিল মেঘ আমাদের সাহায্য করতে পারে। তখন আমরা রাডার এড়াতে পারব। সবাই খুব বিভ্রান্ত ছিল। চূড়ান্তভাবে আমি বলেছিলাম, সেখানে মেঘ আছে...সুতরাং পরিকল্পনামাফিক এগোনো যাক।’
গত ২৬ ফেব্রুয়ারির পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বালাকোটে হামলা চালায় ভারতীয় যুদ্ধবিমান। পুলওয়ামায় আত্মঘাতী বোমা হামলায় ভারতের আধাসামরিক বাহিনীর ৪০ জন সদস্য নিহত হওয়ার বদলা হিসেবে ওই বিমান হামলা চালানো হয়।
এদিকে বালাকোটে চালানো হামলা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন শুরু হয়েছে। অনেক টুইটার ব্যবহারকারী এ ঘটনায় মোদির সমালোচনা করছেন। দেশটির বামপন্থী নেতা সীতারাম ইয়েচুরি বলেছেন, ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা হেলাফেলা করার বিষয় নয়। মোদির এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এ ধরনের কেউ ভারতের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারেন না।’ মোদির এই বক্তব্য নির্বাচনী আচরণবিধির পরিপন্থী বলেও অভিযোগ করেছেন ইয়েচুরি।
ব্যঙ্গাত্মকভাবে মোদিকে ভারতের নতুন ‘নেপোলিয়ন’ আখ্যা দিয়ে দেশটির সাবেক কূটনীতিক কেসি সিং এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, ‘নিশ্চয়ই বিমানবাহিনী প্রধান জানতেন যে, মেঘের কারণে রাডারের কাজে হেরফের হয় না এবং পাকিস্তানের রাডার ভারতীয় বিমানকে চিহ্নিতও করেছিল। ধারণা করা হয়, মেঘ এড়িয়ে কাজ করতে সক্ষম যে গোয়েন্দা স্যাটেলাইট আমাদের আছে, সেটি কার্যকর ছিল না। এত তাড়াহুড়া কীসের? নির্বাচনী দামামা? এটি সামরিক বাহিনীকে রাজনীতিকরণ করা।’
তবে বালাকোটের অভিযানে মেঘ-বৃষ্টির কারণে ভারতও সমস্যায় পড়েছিল। বিশ্লেষকেরা বলছেন, এ কারণেই ৬টি ক্রিস্টাল মেজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া সম্ভব হয়নি। এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আঘাত হানলে ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ হিসাব পাওয়া সম্ভব হতো। কিন্তু ভারতীয় বিমানবাহিনী ওই দিন মেঘের কারণে এ ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়তে পারেনি।
No comments