২২ গজে বিশ্বযুদ্ধ by ইশতিয়াক পারভেজ
ক্রিকেটের
জন্মভূমিতে শুরু ২২ গজের সবচেয়ে বড় লড়াই। ইংল্যান্ডে দ্বাদশ বিশ্বকাপ
আসরের পর্দা উঠছে আজ। উদ্বোধনী দিনে মুখোমুখি হচ্ছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড ও
দক্ষিণ আফ্রিকা। লন্ডনের ঐতিহাসিক ওভাল মাঠে খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় বিকাল
সাড়ে ৩টায়। ১০ দলের এই মহারণে অপেক্ষা এবার ‘বাংলা’ উৎসবের। হ্যাঁ, এই
বিশ্বকাপেই বাংলাদেশ দেখছে ট্রফি জয়ের স্বপ্ন। ৯ দেশের বিপক্ষে দুই মাসের
ছুটে চলায় প্রতিটি মুহূর্তেই হবে বাঘের গর্জন। ওভাল থেকে লর্ডস পর্যন্ত
পতপত করে উড়বে লাল সবুজের পতাকা। মাঠে ব্যাট-বল হাতে ১১ ক্রিকেটার হবেন ১৮
কোটি মানুষের সেই উৎসবের উপলক্ষ্য। আর মাশরাফি বিন মুর্তজার দলকে পাড়ি দিতে
হবে কঠিন ‘ইংলিশ চ্যানেল’।
ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের টাফ নদীর পশ্চিম তীরে ও কার্ডিফ আর্মস পার্কের উত্তরে অবস্থিত সোফিয়া গার্ডেন স্টেডিয়াম। লেডি সোফিয়া রডন-হ্যাস্টিংসের নামানুসারে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছিল। টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয় দুই প্রতিবেশীর বিপক্ষে লড়াই দিয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ অবশ্য ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। তবে ২৮শে মে ভারতের বিপক্ষে হার দিয়েই শুরু হয়েছে টাইগারদের মাঠের লড়াই। তবে এই হার যেন মঙ্গল যাত্রার ইঙ্গিত। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ৪টি প্রস্তুতি ম্যাচেই হার দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে মূল পর্বে একের পর এক জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে মাশরাফি বাহিনী। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে টাইগারদের সেরা সাফল্য। এবার অবশ্য একেবারেই ভিন্ন ফরমেটে খেলা। ১০ দলের বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লীগে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ৯ দল। আগামী ২রা জুন লন্ডনের দ্য ওভাল ভেন্যুতে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। যারা বিশ্বের অন্যতম ক্রিকেট শক্তি হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ ট্রফির মুখ দেখেনি। এরপর একই স্টেডিয়ামে ৫ই জুন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। এখন পর্যন্ত ট্রফি না জেতা এই দলটির বিপক্ষেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ফের ওয়েলসের কার্ডিফে। যেখানে ২০০৫ থেকে এখন পর্যন্ত দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। যদিও এবার ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে এখানে মিলেছে হার।
এই ভেন্যুতে টাইগারদের প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপের আয়োজক ইংল্যান্ড। ৮ই জুন নিজেদের মাঠে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে। গত দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের স্মৃতি ইংলিশদের। ২০১১’র বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের কাছে হার দেখে ইংল্যান্ড। আর অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হার নিয়ে আসরের প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। তবে এবার নিজেদের মাটিতে সেই ইতিহাস পরিবর্তনে মরিয়া তারা। শুধু তাই নয় ইংলিশদের ক্রিকেটের জনক বলা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে জোটেনি বিশ্বকাপের মুকুট। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না ইংলিশরা নিজেদের মাটিতে এবার সেই সোনার হরিণ ধরে রাখতে কতটা মরিয়া থাকবে।
তাই প্রথম তিন ম্যাচেই মাশরাফির দলের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
এরপর একে একে বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ ১১ই জুন ব্রিস্টলে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিবেশী দল শ্রীলঙ্কা। তবে এবার লঙ্কানদের চেয়ে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে। এই ম্যাচ জিতে নেয়ার দারুণ সুযোগ টাইগারদের সামনে। ১৭ই জুন টন্টনে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ তে টানা দুইবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের সেই ক্রিকেট জৌলুস আর নেই। কিন্তু তাদের দানবীয় ব্যাটিং যে কোনো দলকে চুরমার করে দিতে পারে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ পৌঁছে ৪২১ রানে। তবে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা হার দেখেছে ফাইনাল পর্যন্ত টানা ৩ ম্যাচে। যদিও তাদের বিশ্বকাপ দলে অনেক পরিবর্তন। দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইসের মতো তারকারা। তাই ইংল্যান্ডের মাটিতে সহজ হবে না ক্যারিবীয়রা।
এরপরই আবারো কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়বে টাইগাররা। কারণ ২০শে জুন নটিংহ্যাম এ প্রতিপক্ষ ১৯৯৭, ১৯৯৯, ও ২০০৭ ও ২০১৫ পর্যন্ত ৪ বার বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে নেয়া শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। ঠিক তার এক দিন পর ২২শে জুন বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ ভারত। উপমহাদেশের অন্যতম ক্রিকেট শক্তি ভারত প্রথম বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে ১৯৮৩ তে। কিন্তু এরপর তাদের বিশ্বের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেতে অপেক্ষা করতে হয় ২০১১ পর্যন্ত। সেবার নিজেদের ঘরের মাঠে তারা ফের বিশ্বকাপ জয়ের মুকুট পরে। এরপর ২৪শে জুন বাংলাদেশ দলের আরেক জয়ের লক্ষ্য আফগানিস্তান। আর লর্ডসে শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ১৯৯২’র বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান। তবে তার আগেই যদি নিজেদের জয়ের লক্ষ্য অর্জন হয় তাহলে পাবে সেমিফাইনালের রাস্তা। সেই পথ ধরেই স্বপ্ন সত্যি হতে পারে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা। তাতেই বৃটিশ সাম্রাজ্যে হতে পারে বাংলার মহোৎসব।
ওয়েলসের রাজধানী কার্ডিফের টাফ নদীর পশ্চিম তীরে ও কার্ডিফ আর্মস পার্কের উত্তরে অবস্থিত সোফিয়া গার্ডেন স্টেডিয়াম। লেডি সোফিয়া রডন-হ্যাস্টিংসের নামানুসারে এই স্টেডিয়ামের নামকরণ করা হয়েছিল। টাইগারদের বিশ্বকাপ যাত্রার প্রস্তুতি শুরু হয় দুই প্রতিবেশীর বিপক্ষে লড়াই দিয়ে। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ অবশ্য ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। তবে ২৮শে মে ভারতের বিপক্ষে হার দিয়েই শুরু হয়েছে টাইগারদের মাঠের লড়াই। তবে এই হার যেন মঙ্গল যাত্রার ইঙ্গিত। ২০১৫ অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড বিশ্বকাপে ৪টি প্রস্তুতি ম্যাচেই হার দেখেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেখানে মূল পর্বে একের পর এক জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে মাশরাফি বাহিনী। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে টাইগারদের সেরা সাফল্য। এবার অবশ্য একেবারেই ভিন্ন ফরমেটে খেলা। ১০ দলের বিশ্বকাপের রাউন্ড রবিন লীগে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ৯ দল। আগামী ২রা জুন লন্ডনের দ্য ওভাল ভেন্যুতে বাংলাদেশ দলের প্রথম ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। যারা বিশ্বের অন্যতম ক্রিকেট শক্তি হলেও এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ ট্রফির মুখ দেখেনি। এরপর একই স্টেডিয়ামে ৫ই জুন বাংলাদেশের দ্বিতীয় ম্যাচে প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড। এখন পর্যন্ত ট্রফি না জেতা এই দলটির বিপক্ষেও দুর্দান্ত বাংলাদেশ।
সেখান থেকে ফের ওয়েলসের কার্ডিফে। যেখানে ২০০৫ থেকে এখন পর্যন্ত দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচেই জিতেছে বাংলাদেশ। যদিও এবার ভারতের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে এখানে মিলেছে হার।
এই ভেন্যুতে টাইগারদের প্রতিপক্ষ বিশ্বকাপের আয়োজক ইংল্যান্ড। ৮ই জুন নিজেদের মাঠে তারা বাংলাদেশের বিপক্ষে মাঠে নামবে দুঃসহ স্মৃতি নিয়ে। গত দুই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে হারের স্মৃতি ইংলিশদের। ২০১১’র বিশ্বকাপে চট্টগ্রামে বাংলাদেশের কাছে হার দেখে ইংল্যান্ড। আর অস্ট্রেলিয়ায় ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কাছে হার নিয়ে আসরের প্রথম পর্ব থেকেই ছিটকে পড়ে ইংল্যান্ড। তবে এবার নিজেদের মাটিতে সেই ইতিহাস পরিবর্তনে মরিয়া তারা। শুধু তাই নয় ইংলিশদের ক্রিকেটের জনক বলা হলেও এখন পর্যন্ত তাদের ভাগ্যে জোটেনি বিশ্বকাপের মুকুট। তাই বলার অপেক্ষা রাখে না ইংলিশরা নিজেদের মাটিতে এবার সেই সোনার হরিণ ধরে রাখতে কতটা মরিয়া থাকবে।
তাই প্রথম তিন ম্যাচেই মাশরাফির দলের সামনে অপেক্ষা করছে কঠিন চ্যালেঞ্জ।
এরপর একে একে বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ ১১ই জুন ব্রিস্টলে সাবেক বিশ্বচ্যাম্পিয়ন প্রতিবেশী দল শ্রীলঙ্কা। তবে এবার লঙ্কানদের চেয়ে বাংলাদেশ অনেকটাই এগিয়ে। এই ম্যাচ জিতে নেয়ার দারুণ সুযোগ টাইগারদের সামনে। ১৭ই জুন টন্টনে টাইগারদের প্রতিপক্ষ ১৯৭৫ ও ১৯৭৯ তে টানা দুইবারের বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারিবীয়দের সেই ক্রিকেট জৌলুস আর নেই। কিন্তু তাদের দানবীয় ব্যাটিং যে কোনো দলকে চুরমার করে দিতে পারে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচেই নিউজিল্যান্ডকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ৫০ ওভারে তাদের সংগ্রহ পৌঁছে ৪২১ রানে। তবে বিশ্বকাপের আগমুহূর্তে আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে ক্যারিবীয়রা হার দেখেছে ফাইনাল পর্যন্ত টানা ৩ ম্যাচে। যদিও তাদের বিশ্বকাপ দলে অনেক পরিবর্তন। দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন ক্রিস গেইল, আন্দ্রে রাসেল, এভিন লুইসের মতো তারকারা। তাই ইংল্যান্ডের মাটিতে সহজ হবে না ক্যারিবীয়রা।
এরপরই আবারো কঠিন চ্যালেঞ্জে পড়বে টাইগাররা। কারণ ২০শে জুন নটিংহ্যাম এ প্রতিপক্ষ ১৯৯৭, ১৯৯৯, ও ২০০৭ ও ২০১৫ পর্যন্ত ৪ বার বিশ্বকাপ ট্রফি জিতে নেয়া শক্তিশালী অস্ট্রেলিয়া। ঠিক তার এক দিন পর ২২শে জুন বাংলাদেশ দলের প্রতিপক্ষ ভারত। উপমহাদেশের অন্যতম ক্রিকেট শক্তি ভারত প্রথম বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছে ১৯৮৩ তে। কিন্তু এরপর তাদের বিশ্বের শ্রেষ্ঠত্ব ফিরে পেতে অপেক্ষা করতে হয় ২০১১ পর্যন্ত। সেবার নিজেদের ঘরের মাঠে তারা ফের বিশ্বকাপ জয়ের মুকুট পরে। এরপর ২৪শে জুন বাংলাদেশ দলের আরেক জয়ের লক্ষ্য আফগানিস্তান। আর লর্ডসে শেষ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ১৯৯২’র বিশ্বকাপজয়ী পাকিস্তান। তবে তার আগেই যদি নিজেদের জয়ের লক্ষ্য অর্জন হয় তাহলে পাবে সেমিফাইনালের রাস্তা। সেই পথ ধরেই স্বপ্ন সত্যি হতে পারে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে খেলা। তাতেই বৃটিশ সাম্রাজ্যে হতে পারে বাংলার মহোৎসব।
No comments