গোপন অস্ত্রে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ডোবাতে পারে ইরান
উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন যুদ্ধজাহাজ |
উপসাগরীয়
অঞ্চলে ‘গোপন অস্ত্রের’ মাধ্যমে মার্কিন যেকোনো যুদ্ধজাহাজ ইরান ডুবিয়ে
দিতে পারবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির জ্যেষ্ঠ একজন সামরিক কর্মকর্তা।
গতকাল শনিবার দেশটির আধা সরকারি সংবাদ সংস্থা মিজানের বরাত দিয়ে এ তথ্য
জানায় রয়টার্স।
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মুর্তোজা কোরাবানি বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ‘গোপন অস্ত্রের’ মাধ্যমে মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো ডুবিয়ে দিতে পারে ইরান। গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েনের কথা জানায়। এর পরই ইরানের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলো।
জেনারেল কোরাবানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। যদি মার্কিন বাহিনী নির্বোধের মতো সামান্যতম কোনো ঘটনা এ অঞ্চলে ঘটায়, তবে আমরা ক্ষেপণাস্ত্র বা দুটি নতুন ‘গোপন অস্ত্র’ ব্যবহার করে তাদের জাহাজ এবং ক্রুসহ বিমান সমুদ্রের নিচে পাঠিয়ে দেব। তবে ওই ‘গোপন অস্ত্র’ আসলে কী, তা তিনি খোলাসা করে বলেননি।
অপর একজন কমান্ডার জেনারেল হাসান সাইফি বলেন, যাঁরা (মার্কিন) অভিজ্ঞ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে জানেন, তাঁরা কখনো আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাইবেন না।
ইরান কর্তৃক সম্ভাব্য আক্রমণের হুমকি হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন বিমানবাহী রণতরীর বহরের সঙ্গে বোমারু বিমান এবং অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে। পশ্চিমা গবেষকেরা বলছেন, ইরান তাদের অস্ত্র ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে, তারা তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে তাদের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনাকে সামনে রেখে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়ে তিনি জাপানের উদ্দেশে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘নতুন করে সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ নিশ্চিত করা। আমরা সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। তাই অল্প পরিমাণ সেনা পাঠানো হচ্ছে।’ ইরানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার এখন মনে হয় যে ইরান আর যুদ্ধ করতে চায় না। তারা আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে ইচ্ছুক নয়।’ এর আগে শুক্রবার সেনা পাঠানোর বিষয়টি কংগ্রেসকে জানান ট্রাম্প। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সৈন্যদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হবে।
এদিকে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগের কিছু নেই বলে মনে করে ইরান। শুক্রবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ইরান একদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন দেখবে কিন্তু ট্রাম্প কখনো ইরানের পতন দেখতে পারবেন না। সেখানে জারিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কোরেশি ও সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।
তবে পাকিস্তান সরাসরি কোনো পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার ঝুঁকি নেয়নি। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া বলেন, যুদ্ধ কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষেরই দরকার এ অঞ্চলের যুদ্ধ এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।
ইরানের জ্যেষ্ঠ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মুর্তোজা কোরাবানি বলেছেন, উপসাগরীয় অঞ্চলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ‘গোপন অস্ত্রের’ মাধ্যমে মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো ডুবিয়ে দিতে পারে ইরান। গত শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার ৫০০ সেনা মোতায়েনের কথা জানায়। এর পরই ইরানের পক্ষ থেকে এ কথা বলা হলো।
জেনারেল কোরাবানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এই অঞ্চলে দুটি যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। যদি মার্কিন বাহিনী নির্বোধের মতো সামান্যতম কোনো ঘটনা এ অঞ্চলে ঘটায়, তবে আমরা ক্ষেপণাস্ত্র বা দুটি নতুন ‘গোপন অস্ত্র’ ব্যবহার করে তাদের জাহাজ এবং ক্রুসহ বিমান সমুদ্রের নিচে পাঠিয়ে দেব। তবে ওই ‘গোপন অস্ত্র’ আসলে কী, তা তিনি খোলাসা করে বলেননি।
অপর একজন কমান্ডার জেনারেল হাসান সাইফি বলেন, যাঁরা (মার্কিন) অভিজ্ঞ এবং যুদ্ধ সম্পর্কে জানেন, তাঁরা কখনো আমাদের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চাইবেন না।
ইরান কর্তৃক সম্ভাব্য আক্রমণের হুমকি হিসেবে ট্রাম্প প্রশাসন বিমানবাহী রণতরীর বহরের সঙ্গে বোমারু বিমান এবং অতিরিক্ত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র মধ্যপ্রাচ্যে পাঠিয়েছে। পশ্চিমা গবেষকেরা বলছেন, ইরান তাদের অস্ত্র ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলছে, তারা তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন, বিশেষ করে তাদের দূরপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র।
ইরানের সঙ্গে উত্তেজনাকে সামনে রেখে মধ্যপ্রাচ্যে আরও ১ হাজার ৫০০ মার্কিন সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়ে তিনি জাপানের উদ্দেশে হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন।
সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘নতুন করে সেনা মোতায়েনের উদ্দেশ্য হচ্ছে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ নিশ্চিত করা। আমরা সেখানে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাই। তাই অল্প পরিমাণ সেনা পাঠানো হচ্ছে।’ ইরানের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমার এখন মনে হয় যে ইরান আর যুদ্ধ করতে চায় না। তারা আসলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যুদ্ধে ইচ্ছুক নয়।’ এর আগে শুক্রবার সেনা পাঠানোর বিষয়টি কংগ্রেসকে জানান ট্রাম্প। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সৈন্যদের মধ্যপ্রাচ্যে পাঠানো হবে।
এদিকে ট্রাম্পের এমন সিদ্ধান্তে উদ্বেগের কিছু নেই বলে মনে করে ইরান। শুক্রবার পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সাংবাদিকদের ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাভেদ জারিফ বলেন, ইরান একদিন ডোনাল্ড ট্রাম্পের পতন দেখবে কিন্তু ট্রাম্প কখনো ইরানের পতন দেখতে পারবেন না। সেখানে জারিফ পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেহমুদ কোরেশি ও সেনাপ্রধান কামার জাভেদ বাজওয়ার সঙ্গে বৈঠক করেন।
তবে পাকিস্তান সরাসরি কোনো পক্ষে বা বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার ঝুঁকি নেয়নি। দেশটির সেনাপ্রধান জেনারেল বাজওয়া বলেন, যুদ্ধ কারও জন্যই মঙ্গলজনক নয়। ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র উভয় পক্ষেরই দরকার এ অঞ্চলের যুদ্ধ এড়ানোর জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা।
ইরান বলছে তাদের হাতে ‘গোপন অস্ত্র’ আছে যা দিয়ে তারা মার্কিন যুদ্ধজাহাজগুলো ডুবিয়ে দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত |
No comments