সাবধান যুদ্ধে জড়াবেন না, মার্কিনদের ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা
ব্রাসেলসে
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সদর দপ্তর সফররত মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক
পম্পেওকে পারস্য উপসাগরে যুদ্ধের বিষয়ে সাবধান করেছেন ইইউ
পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও স্বল্প সময়ের
নোটিশে সম্প্রতি পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে তাঁর দেশের সঙ্গে ইরানের সম্পর্কের
টানাপোড়েনের বিষয়ে অবিহিত করতে সোমবার ব্রাসেলস সফর করেছেন।
সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে তাঁর দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তিন দেশ যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স, যারা প্রথম থেকেই পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের ও যুদ্ধের বিষয়ে সাবধান করেছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস তাঁর মার্কিন প্রতিপক্ষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘পারমাণবিক চুক্তি আমাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন।’ ব্রাসেলসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠক শেষে জানান, ‘আমরা ইরানে কোনো রকম সামরিক অভিযান চাই না।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা মার্কিনদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করব না। আমরা ইউরোপীয় দেশগুলো পুরোপুরি একমত যে আমাদের নিরাপত্তার কারণেই পারমাণবিক চুক্তির প্রয়োজন। জার্মানির সরকার খুবই উদ্বিগ্ন যে পরিস্থিতি ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।’
একইভাবে বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, ‘কোনো দুর্ঘটনা ক্রমেও যেন পারস্য উপসাগরে কোনো রকম সংঘাত সৃষ্টি না হয়। সময় নিয়ে আমাদের বুঝতে হবে উভয় পক্ষ বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছেন।’
২০১৮ সালের ৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক কর্মসূচি বা জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন বা (জসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র আবার ইরানের প্রতি অর্থনৈতিক অবরোধ সৃষ্টি করেছে এবং অন্যদেরও এই অবরোধে শামিল হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
ইরান ২০১৫ সালে ছয় পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সবাই এই পারমাণবিক চুক্তিটি রাখার পক্ষে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগর অভিমুখে দুটি মার্কিন রণতরী আব্রাহাম লিংকন ও ইউএসএস আরলিংটন যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে। গত রোববার ওমান উপসাগরে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে নাশকতামূলক হামলার পর ওই এলাকার পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়েছে। তবে কারা জাহাজগুলোতে নাশকতামূলক হামলা চালিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী সালিদ আল ফালহ বলেছেন, তাঁদের দুটি তৈলবাহী ট্যাংকার এই নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্রিনপিস, ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে আবেদন করে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপকূলে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে তার মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে কোনোমতেই যেন ২০০৩ সালে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
সোমবার সন্ধ্যায় ব্রাসেলসে ইইউ সদর দপ্তরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানের সঙ্গে তাঁর দেশের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে এসেছিলেন। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের তিন দেশ যুক্তরাজ্য, জার্মানি ও ফ্রান্স, যারা প্রথম থেকেই পারমাণবিক চুক্তি নিয়ে ইরানের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক অবরোধের ও যুদ্ধের বিষয়ে সাবধান করেছে।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস তাঁর মার্কিন প্রতিপক্ষ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওকে যুদ্ধের বিষয়ে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, ‘পারমাণবিক চুক্তি আমাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজন।’ ব্রাসেলসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে বৈঠক শেষে জানান, ‘আমরা ইরানে কোনো রকম সামরিক অভিযান চাই না।’
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস আরও স্পষ্ট করে বলেন, ‘আমরা মার্কিনদের চাপের কাছে নতিস্বীকার করব না। আমরা ইউরোপীয় দেশগুলো পুরোপুরি একমত যে আমাদের নিরাপত্তার কারণেই পারমাণবিক চুক্তির প্রয়োজন। জার্মানির সরকার খুবই উদ্বিগ্ন যে পরিস্থিতি ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।’
একইভাবে বৈঠকে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট বলেন, ‘কোনো দুর্ঘটনা ক্রমেও যেন পারস্য উপসাগরে কোনো রকম সংঘাত সৃষ্টি না হয়। সময় নিয়ে আমাদের বুঝতে হবে উভয় পক্ষ বিষয়টি নিয়ে কী ভাবছেন।’
২০১৮ সালের ৪ মে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারমাণবিক কর্মসূচি বা জয়েন্ট কমপ্রিহেনসিভ প্ল্যান অব অ্যাকশন বা (জসিপিওএ) থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র আবার ইরানের প্রতি অর্থনৈতিক অবরোধ সৃষ্টি করেছে এবং অন্যদেরও এই অবরোধে শামিল হওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে।
ইরান ২০১৫ সালে ছয় পারমাণবিক ক্ষমতাধর দেশের সঙ্গে আন্তর্জাতিক পারমাণবিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। শুধু যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া সবাই এই পারমাণবিক চুক্তিটি রাখার পক্ষে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপসাগর অভিমুখে দুটি মার্কিন রণতরী আব্রাহাম লিংকন ও ইউএসএস আরলিংটন যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়েছে। গত রোববার ওমান উপসাগরে চারটি বাণিজ্যিক জাহাজে নাশকতামূলক হামলার পর ওই এলাকার পরিস্থিতি আরও অশান্ত হয়েছে। তবে কারা জাহাজগুলোতে নাশকতামূলক হামলা চালিয়েছে, তা এখনো জানা যায়নি। তবে সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী সালিদ আল ফালহ বলেছেন, তাঁদের দুটি তৈলবাহী ট্যাংকার এই নাশকতায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পরিবেশবিষয়ক আন্তর্জাতিক সংগঠন গ্রিনপিস, ইউরোপীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কাছে আবেদন করে বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পারস্য উপকূলে যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়ে তার মিত্রদের সঙ্গে যোগাযোগ করছে। তবে কোনোমতেই যেন ২০০৩ সালে ইরাকের সঙ্গে যুদ্ধের পুনরাবৃত্তি না ঘটে।
No comments