আল্লাহ্র ইচ্ছায় বেঁচে ফিরেছি -ওবায়দুল কাদের
সিঙ্গাপুরে
টানা দুই মাস ১০ দিন চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক
ওবায়দুল কাদের। গতকাল সন্ধ্যায় দেশে ফিরে তিনি দেশবাসী ও প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, নতুন উদ্যমে আবার তিনি
কাজে আত্মনিয়োগ করতে চান। ওবায়দুল কাদের বলেন, পরম করুনাময় আল্লাহ’র ইচ্ছায়
এবং দেশবাসীর দোয়ায় আমি ফিরে এসেছি। অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর
গতকালই প্রথম গণমাধ্যমের সামনে কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
বিকেল ৫ টা ৫২ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৮৫ নম্বর ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে। এর আগে থেকেই বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে জড়ো হন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এ সময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা। এর আগে স্থানীয় সময় ৪ টা ১০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে বিমানের ফ্লাইটটি। ঢাকায় অবতরণের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ দলীয় নেতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদিকদের সামনে আসেন ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি বলেন, দুই মাস ১১ দিন আগে আমার জীবন ছিল চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাঁচব কি-না এ নিয়ে সংশয় ছিল। সেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী- যিনি চরম সঙ্কটে মা তার সন্তানের জন্য যা করেন তিনি আমার জন্য তা-ই করেছেন, তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। তাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলা হয় মাদার অব হিউম্যানিটি। তার কাছে আমি অশেষ ঋণে বাঁধা পড়ে গেলাম। তিনি বলেন, শেখ রেহানা,তিনি কোরআন শরীফ পাঠ করে আমার জন্য দোয়া করেছেন। তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। যদিও সেই সময় আমার মধ্যে আমি ছিলাম না। শুনেছি, আপনজন এই সময় কাছে এসে ডাকলে মৃত্যুপথযাত্রী সাড়া দেয়। শেখ হাসিনা আমাকে নাম ধরে ডেকেছিলেন, তখন আমি সাড়া দিয়েছিলাম-এটা পরে আমাকে বলেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশের মানুষ, দলের এবং দলের বাইরের সবাই আমার জন্য দোয়া করেছেন-এমনকি প্রবাসী বাঙালিরা আমার পাশে ছিলেন। সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো মানুষের ভালোবাসা। সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের পাশে আছি। একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় অর্জন জনগণের ভালোবাসা পাওয়া, যা আমি পেয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আসুন, আমরা নতুন উদ্যমে কাজ করে আমাদের নেত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করি। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতি যারা আমার অনুপস্থিতিতে টিমওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হতে দেননি। আমরা এভাবেই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো। তিনি বলেন, আমাদের জীবনটাই হলো স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটা। আমরা এটা শিখেছি বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে। শেখ হাসিনার কাছ থেকে। তিনি বলেন, আর পাঁচ মিনিট পরে যদি আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতাম তাহলে অন্য ঘটনাও ঘটে যেতে পারত। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং ডা. দেবী শেঠীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন। গত ২রা মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার বিএসএমএমইউতে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে ওবায়দুল কাদেরের হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ঠা মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২০শে মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে। এক মাস পর হাসপাতাল ছাড়লেও চিকিৎসকরা চেকআপের জন্য আরও কিছু দিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর একটি বাসা ভাড়া করে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন ওবায়দুল কাদের।
বিকেল ৫ টা ৫২ মিনিটে ওবায়দুল কাদেরকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি ০৮৫ নম্বর ফ্লাইটটি ঢাকায় অবতরণ করে। এর আগে থেকেই বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টার্মিনালে জড়ো হন হাজার হাজার নেতাকর্মী। এ সময় তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান তারা। এর আগে স্থানীয় সময় ৪ টা ১০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের চাঙ্গি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে ছাড়ে বিমানের ফ্লাইটটি। ঢাকায় অবতরণের পর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানসহ দলীয় নেতারা তাকে অভ্যর্থনা জানান। পরে বিমানবন্দরের ভিভিআইপি লাউঞ্জে সংবাদিকদের সামনে আসেন ওবায়দুল কাদের। এসময় তিনি বলেন, দুই মাস ১১ দিন আগে আমার জীবন ছিল চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে। বাঁচব কি-না এ নিয়ে সংশয় ছিল। সেই জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে পরম করুণাময় আল্লাহ তাআলার ইচ্ছায় এবং আমাদের প্রিয় নেত্রী- যিনি চরম সঙ্কটে মা তার সন্তানের জন্য যা করেন তিনি আমার জন্য তা-ই করেছেন, তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই। তাকে (প্রধানমন্ত্রী) বলা হয় মাদার অব হিউম্যানিটি। তার কাছে আমি অশেষ ঋণে বাঁধা পড়ে গেলাম। তিনি বলেন, শেখ রেহানা,তিনি কোরআন শরীফ পাঠ করে আমার জন্য দোয়া করেছেন। তার প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। যদিও সেই সময় আমার মধ্যে আমি ছিলাম না। শুনেছি, আপনজন এই সময় কাছে এসে ডাকলে মৃত্যুপথযাত্রী সাড়া দেয়। শেখ হাসিনা আমাকে নাম ধরে ডেকেছিলেন, তখন আমি সাড়া দিয়েছিলাম-এটা পরে আমাকে বলেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, সারা দেশের মানুষ, দলের এবং দলের বাইরের সবাই আমার জন্য দোয়া করেছেন-এমনকি প্রবাসী বাঙালিরা আমার পাশে ছিলেন। সবচেয়ে বড় পাওয়া হলো মানুষের ভালোবাসা। সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আপনাদের পাশে আছি। একজন রাজনীতিবিদের সবচেয়ে বড় অর্জন জনগণের ভালোবাসা পাওয়া, যা আমি পেয়েছি। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও দেশবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আসুন, আমরা নতুন উদ্যমে কাজ করে আমাদের নেত্রীর হাতকে আরও শক্তিশালী করি। আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি, আওয়ামী লীগের নেতাদের প্রতি যারা আমার অনুপস্থিতিতে টিমওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হতে দেননি। আমরা এভাবেই শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করবো। তিনি বলেন, আমাদের জীবনটাই হলো স্রোতের বিপরীতে সাঁতার কাটা। আমরা এটা শিখেছি বঙ্গবন্ধুর পরিবার থেকে। শেখ হাসিনার কাছ থেকে। তিনি বলেন, আর পাঁচ মিনিট পরে যদি আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে আসতাম তাহলে অন্য ঘটনাও ঘটে যেতে পারত। এ সময় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসক, মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের চিকিৎসক এবং ডা. দেবী শেঠীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি। ৬৭ বছর বয়সী ওবায়দুল কাদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ছাড়াও শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ সিওপিডিতে (ক্রনিক অবসট্রাকটিভপালমোনারি ডিজিজ) ভুগছেন। গত ২রা মার্চ সকালে শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঢাকার বিএসএমএমইউতে ভর্তি হলে এনজিওগ্রামে ওবায়দুল কাদেরের হৃদপিন্ডের রক্তনালীতে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর মধ্যে একটি ব্লক স্টেন্টিংয়ের মাধ্যমে অপসারণ করেন চিকিৎসকরা। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত ৪ঠা মার্চ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। ভর্তি করা হয় মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে। কয়েকদিন চিকিৎসার পর অবস্থার উন্নতি হলে গত ২০শে মার্চ কার্ডিও থোরাসিক সার্জন ডা. শিভাথাসান কুমারস্বামীর নেতৃত্বে বাইপাস সার্জারি হয়। ছয় দিন পর তাকে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হয় কেবিনে। এক মাস পর হাসপাতাল ছাড়লেও চিকিৎসকরা চেকআপের জন্য আরও কিছু দিন তাকে সিঙ্গাপুরে থাকার পরামর্শ দেন। এরপর একটি বাসা ভাড়া করে সিঙ্গাপুরে অবস্থান করেন ওবায়দুল কাদের।
No comments