পিউ রিসার্চের জরিপ: শতকরা ৮২ ভাগ মার্কিনী মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমরা বেশি বৈষম্যের শিকার
অন্য
গ্রুপগুলোর তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমরা বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলে
মনে করেন অধিক মার্কিনী। প্রতি ১০ জন মার্কিনীর মধ্যে ৮ জনেরও বেশি এমনটা
মনে করেন। পিউ রিসার্স সেন্টারের জরিপে সোমবার এ কথা বলা হয়েছে। এতে বলা
হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমাজ ব্যবস্থায় এসব মুসলিম অন্যদের তুলনায় নুন্যতম
হলেও বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। এ খবর দিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে অনলাইন
সিএনএন।
পিউ রিসার্চের জরিপে বলা হয়েছে, যারা জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে শতকরা কমপক্ষে ৮২ ভাগ বলেছেন, হিস্প্যানিক, সমকামী পুরুষ বা নারীর মতো অন্য আরো গ্রুপের তুলনায় মুসলিমরা বেশি বৈষম্যের শিকার। এর চেয়ে সামান্য কম অর্থাৎ শতকরা ৮০ ভাগ বলেছেন, কৃষ্ণাঙ্গরা ন্যূনতম বৈষম্যের শিকার। মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট দলের প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য, মুসলিম নারী ইলহান ওমরকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের পর এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপটি করা হয়েছে ট্রাম্পের ওই টুইটের আগে। ট্রাম্প তার টুইটে ইলহান ওমরের গত মাসের একটি বক্তব্যের ভিডিও যুক্ত করেছেন। ওই ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয় বলে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন ইলহান। তার এই ভিডিওটির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় সন্ত্রাসী হামলার ক্লিপ যুক্ত করেছেন। ক্যাপশনে ট্রাম্প লিখেছেন, আমরা কোনোদিন ভুলে যাবো না।
ট্রাম্পের এই টুইটকে অনেকেই দেখছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে। ইলহান দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্টের এমন টুইটের পর অনেক বেশি হত্যার হুমকি পেয়েছেন তিনি। কংগ্রেসনাল ব্লাক ককাস বলেছে, ইলহান ওমরের জীবনকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ডেমক্রেট ও ডেমোক্রেটপন্থি নিরপেক্ষদের তিন-চতুর্থাংশ বলেছেন, মুসলিমরা অনেক বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ২০১৩ সালে এমনটা মনে করতেন তাদের শতকরা ৫৬ ভাগ। ওদিকে রিপাবলিকান ও রিপাবলিকানপন্থি নিরপেক্ষরা প্রায় একই অবস্থানে আছেন। ২০১৩ সালে তারা এমনটা মনে করতেন শতকরা ৩১ ভাগ। বর্তমানে এ হার ৩৪।
জরিপে দেখা গেছে, আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মনে করছেন ইহুদিরাও বৈষম্যের মুখে। ২০১৯ সালে শতকরা ২৪ ভাগ মার্কিনি বলেছেন, মার্কিন সমাজে ইহুদিদের বিরুদ্ধে প্রচুর বৈষম্য রয়েছে। ২০১৬ সালে এ হার ছিল শতকরা ১১। এ ছাড়া নারীর বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও বলা হয়েছে। আগে এমনটা মনে করতেন শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ। বর্তমানে এই হার শতকরা ৬৯ ভাগ।
পিউ রিসার্চ সেন্টার এই জরিপ চালিয়েছে ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এ সময়ে দেশের ১৫০৩ জন মার্কিনীর সঙ্গে ল্যান্ডফোনে বা সেল ফোনে যোগাযোগ করে তাদের সাক্ষাতকার নেয়া হয়।
পিউ রিসার্চের জরিপে বলা হয়েছে, যারা জরিপে অংশ নিয়েছেন তাদের মধ্যে শতকরা কমপক্ষে ৮২ ভাগ বলেছেন, হিস্প্যানিক, সমকামী পুরুষ বা নারীর মতো অন্য আরো গ্রুপের তুলনায় মুসলিমরা বেশি বৈষম্যের শিকার। এর চেয়ে সামান্য কম অর্থাৎ শতকরা ৮০ ভাগ বলেছেন, কৃষ্ণাঙ্গরা ন্যূনতম বৈষম্যের শিকার। মিনেসোটা থেকে নির্বাচিত ডেমোক্রেট দলের প্রতিনিধি পরিষদ সদস্য, মুসলিম নারী ইলহান ওমরকে নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের টুইটের পর এই জরিপের ফল প্রকাশ করা হয়েছে।
জরিপটি করা হয়েছে ট্রাম্পের ওই টুইটের আগে। ট্রাম্প তার টুইটে ইলহান ওমরের গত মাসের একটি বক্তব্যের ভিডিও যুক্ত করেছেন। ওই ভিডিওতে যুক্তরাষ্ট্রে মুসলিমদেরকে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক হিসেবে দেখা হয় বলে নিজের দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন ইলহান। তার এই ভিডিওটির সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বরে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থায় সন্ত্রাসী হামলার ক্লিপ যুক্ত করেছেন। ক্যাপশনে ট্রাম্প লিখেছেন, আমরা কোনোদিন ভুলে যাবো না।
ট্রাম্পের এই টুইটকে অনেকেই দেখছেন মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর আক্রমণ হিসেবে। ইলহান দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্টের এমন টুইটের পর অনেক বেশি হত্যার হুমকি পেয়েছেন তিনি। কংগ্রেসনাল ব্লাক ককাস বলেছে, ইলহান ওমরের জীবনকে বিপদে ফেলে দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
ডেমক্রেট ও ডেমোক্রেটপন্থি নিরপেক্ষদের তিন-চতুর্থাংশ বলেছেন, মুসলিমরা অনেক বেশি বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন। ২০১৩ সালে এমনটা মনে করতেন তাদের শতকরা ৫৬ ভাগ। ওদিকে রিপাবলিকান ও রিপাবলিকানপন্থি নিরপেক্ষরা প্রায় একই অবস্থানে আছেন। ২০১৩ সালে তারা এমনটা মনে করতেন শতকরা ৩১ ভাগ। বর্তমানে এ হার ৩৪।
জরিপে দেখা গেছে, আগের চেয়ে অনেক বেশি মানুষ মনে করছেন ইহুদিরাও বৈষম্যের মুখে। ২০১৯ সালে শতকরা ২৪ ভাগ মার্কিনি বলেছেন, মার্কিন সমাজে ইহুদিদের বিরুদ্ধে প্রচুর বৈষম্য রয়েছে। ২০১৬ সালে এ হার ছিল শতকরা ১১। এ ছাড়া নারীর বিরুদ্ধে গত কয়েক বছরে বৈষম্য বৃদ্ধি পেয়েছে বলেও বলা হয়েছে। আগে এমনটা মনে করতেন শতকরা ৬০ ভাগ মানুষ। বর্তমানে এই হার শতকরা ৬৯ ভাগ।
পিউ রিসার্চ সেন্টার এই জরিপ চালিয়েছে ২০ মার্চ থেকে ২৫ মার্চ পর্যন্ত। এ সময়ে দেশের ১৫০৩ জন মার্কিনীর সঙ্গে ল্যান্ডফোনে বা সেল ফোনে যোগাযোগ করে তাদের সাক্ষাতকার নেয়া হয়।
No comments