ম্যালেরিয়া ঝুঁকিতে ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ
ম্যালেরিয়া
নির্মূলে আশাব্যঞ্জক সাফল্য থাকলেও এখনো দেশের প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ
ম্যালেরিয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ১৩টি জেলায় এর
প্রাদুর্ভাব বেশি। জেলাগুলো হচ্ছে- রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান,
কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা,
ময়মনসিংহ, শেরপুর এবং কুড়িগ্রাম। এই জেলা গুলোর মধ্যে তিন পার্বত্য জেলা
বান্দরবান, রাঙামাটি এবং খাগড়াছড়ি সীমান্তবর্তী, পাহাড় ও বনাঞ্চলবেষ্টিত
হওয়ায় ম্যালেরিয়ার প্রকোপ সেখানে। মোট ম্যালেরিয়া রোগীর শতকরা প্রায় ৯১
ভাগই সংঘটিত হয়ে থাকে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আয়োজিত মিডিয়া
ওরিয়েন্টেশনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়। আগামী ২৫শে এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া
দিবসকে সামনে রেখে জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ
কর্মসূচি, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা- বাংলাদেশ, বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক ও
অন্যান্য সহযোগী সংস্থাসমূহ এ ওরিয়েন্টেশনের আয়োজন করে। স্বাস্থ্য
অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক ও কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল এর
লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক ডা. সানিয়া তহমিনা সভাপতির বক্তব্যে বলেন, এই
কর্মসূচির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল স্টেকহোল্ডার নিয়ে একত্রে কাজ করলে অবশ্যই
আমরা একদিন এই দেশ থেকে ম্যালেরিয়া নির্মূল করতে পারব। এজন্য সবাইকে সচেতন
হতে হবে।
ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, যে ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব রয়েছে, তা এক সঙ্গে নির্মূল করা সম্ভব নয়।
কারণ, প্রত্যেকটি অঞ্চলে জনগোষ্ঠীর ধরণ ও শরীরের বৈশিষ্ট্য আলাদা। আপাতত আমরা তিন পার্বত্য জেলাকে ম্যালেরিয়া নির্মূলে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর মাঝে এ পর্যন্ত ১০ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন দীর্ঘস্থায়ী কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে সর্বমোট ১০,৫২৩ জন ম্যালেরিয়া রোগী সনাক্ত করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে এবং ৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে।
২০০৮ সালের তুলনায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা শতকরা ৮৮ ভাগ এবং মৃত্যুর হার প্রায় ৯৫ ভাগ কমাতে সক্ষম হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- পার্বত্য এলাকাগুলো দূর্গম হওয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোগনির্ণয় করতে না পারা এবং চিকিৎসা প্রদান দুঃসাধ্য হওয়া, আন্তঃসীমান্ত চলাচল/পারাপারকারীদের মধ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের প্রবণতা, সকল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীদের ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার আওতায় আনা ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, এবারই প্রথমবারের মতো সারা দেশের ৬৪টি জেলায় একযোগে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত হবে।
এ উপলক্ষে থাকছে র্য্যালি, আলোচনা সভা, স্বাস্থ্য ক্যাম্প ও ডক্যুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং বেসরকারি ও সরকারি টেলিভিশনে বিশেষ টক শো। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বাংলাদেশ)-এর মেডিকেল অফিসার ডা. মিয়া সাপাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির সাবেক লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক বেনজীর আহমদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বাংলাদেশ)-এর সাবেক ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. এ মান্নান বাঙ্গালী প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান। এবারের ম্যালেরিয়া দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘আমিই করব ম্যালেরিয়া নির্মূল।’
ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজেস ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম বলেন, যে ১৩টি জেলায় ম্যালেরিয়ার প্রাদুর্ভাব রয়েছে, তা এক সঙ্গে নির্মূল করা সম্ভব নয়।
কারণ, প্রত্যেকটি অঞ্চলে জনগোষ্ঠীর ধরণ ও শরীরের বৈশিষ্ট্য আলাদা। আপাতত আমরা তিন পার্বত্য জেলাকে ম্যালেরিয়া নির্মূলে বেশি অগ্রাধিকার দিচ্ছি। অনুষ্ঠানে আয়োজকরা জানান, ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে ম্যালেরিয়াপ্রবণ এলাকার জনগোষ্ঠীর মাঝে এ পর্যন্ত ১০ দশমিক ৬৯ মিলিয়ন দীর্ঘস্থায়ী কীটনাশকযুক্ত মশারি বিতরণ করা হয়েছে। ২০১৮ সালে সর্বমোট ১০,৫২৩ জন ম্যালেরিয়া রোগী সনাক্ত করে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে এবং ৭ জন ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছে।
২০০৮ সালের তুলনায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা শতকরা ৮৮ ভাগ এবং মৃত্যুর হার প্রায় ৯৫ ভাগ কমাতে সক্ষম হয়েছে। এতে বেশ কয়েকটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়। এগুলো হচ্ছে- পার্বত্য এলাকাগুলো দূর্গম হওয়ায় দ্রুততম সময়ের মধ্যে রোগনির্ণয় করতে না পারা এবং চিকিৎসা প্রদান দুঃসাধ্য হওয়া, আন্তঃসীমান্ত চলাচল/পারাপারকারীদের মধ্যে ম্যালেরিয়ায় আক্রান্তের প্রবণতা, সকল ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীদের ম্যালেরিয়ার চিকিৎসার আওতায় আনা ইত্যাদি। অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, এবারই প্রথমবারের মতো সারা দেশের ৬৪টি জেলায় একযোগে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত হবে।
এ উপলক্ষে থাকছে র্য্যালি, আলোচনা সভা, স্বাস্থ্য ক্যাম্প ও ডক্যুমেন্টারি প্রদর্শনী এবং বেসরকারি ও সরকারি টেলিভিশনে বিশেষ টক শো। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বাংলাদেশ)-এর মেডিকেল অফিসার ডা. মিয়া সাপাল, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক এম এ ফয়েজ, ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির সাবেক লাইন ডাইরেক্টর অধ্যাপক বেনজীর আহমদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (বাংলাদেশ)-এর সাবেক ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. এ মান্নান বাঙ্গালী প্রমুখ। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল ও এডিসবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. এম এম আক্তারুজ্জামান। এবারের ম্যালেরিয়া দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে-‘আমিই করব ম্যালেরিয়া নির্মূল।’
No comments